ভাউট ভেগহোর্স্টকে ‘গাধা’ বলে গালি দেন মেসি!

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভাউট ভেগহোর্স্টকে ‘গাধা’ বলে গালি দেন মেসি!

ভাউট ভেগহোর্স্টকে ‘গাধা’ বলে গালি দেন মেসি!

  • Font increase
  • Font Decrease

নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার ম্যাচে উত্তেজনা এতখানি ছিল শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা মল্লযুদ্ধে পরিণত হওয়াটাই বাকি ছিল কেবল। ম্যাচে ফাউল করা, হলুদ কার্ড, লাল কার্ড সব ছিল। দুই দলের খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা ভুলে নেমেছেন যুদ্ধে। মাঠের লড়াই শেষে লড়াই হয়েছে মাঠের বাইরেও। কোচকেও পর্যন্ত অপমান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচ নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ২-২ গোলে সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতে জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে।

সেমিফাইনালে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া। 

ম্যাচে ১৮টি হলুদ কার্ড দেখাতে হয়েছে রেফারি মাতেও লাহোজকে। লাল কার্ড দেখিয়েছেন তিনি নেদারল্যান্ডসের ডেনজেল ডামফ্রিজকে। হলুদ কার্ড দেখেছেন লিওনেল মেসিও। ম্যাচে দুই দল মিলে ফাউল করেছে ৪৮টি। এক ম্যাচে ফাউল সংখ্যা ৪৮, ভাবা যায়!

২০০৬ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগালের মধ্যকার এক ম্যাচে ১৬টি হলুদ কার্ড ও ৪টি লাল কার্ড দেখেছিল বিশ্ব। এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডের ম্যাচ হলুদ কার্ডের সেই রেকর্ড বুঝি ভেঙে দেওয়ার ম্যাচ! ম্যাচ পর্যন্ত এটা সীমিত থাকলে এত কথা হতো না, কিন্তু ম্যাচ–পরবর্তী হিংসা ও ঘৃণার উদ্‌গিরণে এই ম্যাচ ছাড়িয়ে গেছে সবকিছু। বিস্ময়করভাবে এখানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন লিওনেল মেসি। যিনি কি-না শান্ত-সৌম্য চেহারা ও আচরণের ধারাবাহিকতা এতদিন ধরে রেখেছিলেন!

নেদারল্যান্ডস ম্যাচ হেরেছে পেনাল্টি শুটআউটে। শোকেস্তব্ধ কেউ কেউ মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন, কেউ বা দু'হাতে মুখ ঢেকে বসেছিলেন দুঃখে, বেদনার্ত দৃষ্টিতে কেউবা শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। স্বভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনা দলের একাংশ উদযাপনে, আরেক অংশ কিনা ডাচদের মুখ ভেঙাচ্ছিল, বিদ্রূপ করছিল; এমন দৃশ্য দেখা যায় না সচরাচর! 

শুনতে অবাক লাগবে যে কথায় সেটা হচ্ছে- মেসি এক ডাচ ফুটবলারকে কটূক্তি  করেন। ‘এদিকে তাকিয়ে আছিস কেন, গাধা’ বলে গালি দেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দেওয়া মেসির এই গালি পুরো বিশ্বে প্রচারিত হয়ে গেছে। জানা গেছে, ওই ডাচ খেলোয়াড়ের নাম ভাউট ভেগহোর্স্ট। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন এই ফুটবলারই।

শেষ কি এখানে? না, আরও আছে! ম্যাচের আগে নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গাল একটা খোঁচা দিয়েছিলেন মেসিকে। যার মূল কথা ছিল, প্রতিপক্ষ যখন আক্রমণে যায়, মেসি তখন দাঁড়িয়ে থাকে। ফন গালের এই মন্তব্যে ম্যাচের আগে উত্তাপ ছড়িয়েছিল। ম্যাচ শেষেও দেখা গেল এর প্রকাশ। খেলার সময়ে ডাচ কোচ দলকে নির্দেশনা দিতে দেখা গিয়েছিল। এটা আবার পছন্দ হয়নি আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ো মার্তিনেজের। প্রতিপক্ষ দলের কোচকে মুখ বন্ধ রাখার দেন তিনি। ওই ডাচ নাকি বেশি কথা বলেন, এমন অভিযোগ আবার মার্তিনেজের।

মার্তিনেজের প্রসঙ্গ ছাড়াও ডাচ কোচ ফন গালের প্রতি বিরূপ মন্তব্য জুড়েছেন লিওনেল মেসি। মাঠে প্রকাশ্যে ফন গালকে জবাব দিয়ে দেবেন মেসি, এটা ভাবতে পারেননি কেউ, ফন গালও। নেদারল্যান্ডস সুন্দর খেলেনি, ফন গাল যে এত সুন্দর ফুটবল, ভালো ফুটবল বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন; তিনি লম্বা লম্বা ফরোয়ার্ডদের নামিয়ে বক্সের মধ্যে শুধু ক্রস ফেলতে পারেন!

লম্বা লম্বা ফুটবলারদের লম্বা লম্বা পাস নিয়ে মেসি যতই বিরূপ মন্তব্য করুন না কেন ম্যাচ শেষের দিকে ৬ ফুট ২ ইঞ্চি আর ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি দুই ফরোয়ার্ডকে নামিয়েই নেদারল্যান্ডসকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন লুইন ফন গাল। মেসি কি এখানেই বিরক্ত? প্রতিপক্ষের কৌশলে কেউ বিরক্ত হতে পারেন, কিন্তু প্রকাশ্যে কি এভাবে বলা যায়? অন্তত মেসির মতো মহাতারকার কাছ থেকে এমন কিছু আশা করা যায়?

   

শাইনপুকুরকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বের ১১ ও সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার খালিদ হাসান এবং তিনে নামা অমিত হাসানের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৫৮ বলে সমান ৫৮ রান আসে খালিদের ব্যাটে। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অমিত।

দলের অন্য ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে না পারায় ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে থামে তারা। আবাহনীর পক্ষে তিন উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান।

২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ২৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ১১০ রান করে বিজয় দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩২ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে শাইনপুকুর।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

টানা চতুর্থ হার নিগারদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন বৃষ্টি উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। তীব্র দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টি শরীর-মন ভিজিয়ে দিচ্ছে সবার। কিন্তু সিলেটে শিলাবৃষ্টি নিশ্চয়ই উপভোগ করেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি ও তার সতীর্থরা। আজ সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটিং ইনিংসের সময় দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে ম্যাচ। যার ফলে কুড়ি ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভার। এর মধ্যেই জয়ের জন্য ১২৫ রান তোলার চ্যালেঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছেন নিগাররা। ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫৬ রানের হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ তে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত। ডিএলএস পদ্ধতিতে ১২৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ১২০-এর ঘর ছুঁতে না পারা বাংলাদেশের জন্য যে এই লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিল না। ব্যাটিংয়ে নামতেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা।

দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি ওপেনার দিলারা আক্তার (২১), তিনে নামা রুবাইয়া হায়দার (১৩) ও শরিফা খাতুন (১১*) বাদে অন্য ব্যাটাররা। এমন ব্যাটিং দিয়ে তো ১৪ ওভারে ১২৫ রান তাড়া করা যায় না। বাংলাদেশও পারেনি। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৬৮ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডিতে খেলবে শক্তিশালী কোরিয়া-পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

২০২১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। নিয়মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের বর্ষপঞ্জিতেও অর্ন্তভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশের এই প্রতিযোগিতা। এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ২৩ থেকে ৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া এই তিন মহাদেশের ১১টি বিদেশি দলের সাথে অংশ নিবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইউরোপের পোল্যান্ড, আফ্রিকার কেনিয়া এবং এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।

প্রথমবারের মতো অংশ নিবে সবশেষ দুই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড এবং এশিয়ান কাবাডির পরাশক্তি পাকিস্তান- আজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সভাকক্ষে বৈঠক শেষে জানান ডিএমপি কমিশনার ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, তিনি কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। বিভিন্ন কারণে আসছে না লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা, ইউরোপের ইংল্যান্ড ও এশিয়ার চাইনিজ তাইপে।

বিদেশি দলগুলো আসবে ২৩ ও ২৪ মে, ২৫ মে ম্যানেজার্স মিটিংয়ে হবে গ্রুপিং ও ফিকশ্চার। খেলা হবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে।

২০২১ সাল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তি। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরকে বর্ণিল রুপ দিতে চায় ফেডারেশন। সারাদেশে একযোগে কাবাডি উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে, হবে আতশবাঁজি- জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান গাজী মো. মোজাম্মেল হক।

প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল ৬টি দল। ২০২২ সালে দ্বিতীয় আসরে ৮টি ও ২০২৩ সালে তৃতীয় আসরে অংশ নেয় ১২টি দল। গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। প্রথম দুইবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। ২০২১ সালে ৩৪-২৮ ও ২০২২ সালে ৩৪-৩১ পয়েন্টে জিতেছিল লাল-সবুজ দল। আর গত আসরে চাইনিজ তাইপেকে ২৮-৪২ পয়েন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা। তিনবারই বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তুহিন তরফদার।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৪ ওভারে ১২৫ রান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। এখন ভারতের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াই চলছে। সে লড়াইয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জটা সহজ নয়। বৃষ্টির বাগড়ায় ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ১২৫ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে চান ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা দ্রুতলয়ে রান তুলতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। রাবেয়া খানের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে টার্নে পরাস্ত হন। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ২২ রান।

তবে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;