ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য!

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য!

ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য!

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যে দলই জিতবে তারা তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাবে। আর্জেন্টিনা চাইছে কাপ জয়ের ৩৬ বছরের খরা মেটাতে। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের পর এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতে ইতালি ও ব্রাজিলের রেকর্ড স্পর্শ করতে মুখিয়ে ফ্রান্স। মেসি-এমবাপে দ্বৈরথের আগে একনজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান।

বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ১৩ দেশ

ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে ১৩টি দেশ। সেগুলি হলো- জার্মানি, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইংল্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও সুইডেন। এখনও অবধি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে মোট ৭৯টি দেশ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছে আটটি দেশ- ব্রাজিল, জার্মানি, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও ইংল্যান্ড।

সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলেছে জার্মানি

ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার নিরিখে সবার আগে জার্মানি। আটবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে জার্মানরা। ১৯৫৪, ১৯৬৬, ১৯৭৪, ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০, ২০০২ ও ২০১৪ সালে। ১৯৯০ সাল অবধি জার্মানি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে পশ্চিম জার্মানি নামে। ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, ইতালির সঙ্গে এবার নিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে চলেছে আর্জেন্টিনা।

চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড ব্রাজিলের

ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ৬ বার, চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৫ বার। শেষবার কাফুর নেতৃত্বে ব্রাজিল কাপ জেতে। জার্মানি ও ইতালি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চারবার করে। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে সবচেয়ে বেশিবার হেরেছে জার্মানি। ১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ২০০২ সালে জার্মানি বিশ্বকাপ অভিযান রানার-আপ হয়েই শেষ করেছিল। আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস তিনবার করে বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছে। ফলে কাল ফ্রান্স জিতে গেলে জার্মানিকে ধরে ফেলবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও জার্মানিই পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে হয়েছিল আর্জেন্টিনা-জার্মানি দ্বৈরথ। ১৯৮৬ সালে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বাকি দুটি ক্ষেত্রেই চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

কোন ফুটবলার সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছেন?

সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার নজির রয়েছে কাফুর। তিনি তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল টানা খেলেছেন। কাফুর নেতৃত্বেই ব্রাজিল ২০০২ সালে শেষবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ৫-২ গোলে সুইডেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনালে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ৪-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ইতালিকে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্স ৩-০ গোলে হারায় ব্রাজিলকে। সেই ফাইনালগুলিতেও জয়ের ব্যবধান ছিল ৩।

   

সেরা শান্ততেই আস্থা বিসিবির



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাসেল ডমিঙ্গোর প্রিয় ছাত্র, নির্বাচকদের চোখের মণি কিংবা লর্ড, এমন হাজারও নোংরা তকমা নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অমানুষিক ট্রলের শিকার হতে হয়েছে টাইগার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তকে। কিন্তু শান্ত সমালোচকদের এসব নিন্দার জবাব মুখ দিয়ে না, বরং ব্যাট হাতেই জানান দিয়েছেন, দিচ্ছেন।

ব্যাট হাতে এই শান্ত রূপকথার জন্ম ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। টুর্নামেন্টে ছিলেন ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩৬ গড়ে করেছিলেন ১৮০ রান। একই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন ২০২৩ বিপিএলেও। সেই টুর্নামেন্টে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরাও। ৩৯ গড়ে করেছিলেন ৫১৬ রান।

ব্যাস, এরপর থেকেই সব ফরম্যাটেই টাইগার দলের সেরা ব্যাটার হয়ে উঠলেন। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় কিংবা চেমসফোর্ডে আইরিশদের বিপক্ষে মান বাঁচানো, এ সবকিছুই হয়েছে শান্তর কল্যাণে। সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি। তবুও এই টুর্নামেন্টের যে দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে, সে দুই ম্যাচেই ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

২০২২ থেকে ২০২৩, যেমন করে সময়টা বদলেছে, ঠিক তেমনিভাবে বদলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ফর্ম। ওয়ানডে টি-টোয়েন্টির মতো টেস্ট ক্রিকেটেও যে শান্ত বর্তমানে সেরা বাংলাদেশি ব্যাটার। যার প্রমাণ ক্রিকেটের এই দীর্ঘতম ফরম্যাটে শান্তর ব্যাটিং ফর্ম। যার পুরষ্কারটাও পেয়েছেন তিনি। টেস্টে অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে। এরপর আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয়েছে তার কাঁধে। সেখানে দ্রুতি ছড়ালে যে স্থায়ীভাবে নেতৃত্ব পাচ্ছেন সেটুকু বলায় যায়।

তার আগে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজেও শান্ত দেখাচ্ছেন নিজের ব্যাটিং শৈলী। ইতোমধ্যে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। পাশাপাশি শান্ত এদিন গড়লেন নতুন এক রেকর্ড। ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশি টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের স্কোর। পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই করলেন সেঞ্চুরি। এমনকি নিজের শেষ দুই টেস্টে শান্ত করেছেন তিন সেঞ্চুরি।

শান্তরা সমালোচনার ঝড়ে উড়ে যান না, চাপে নেতিয়ে যান না। বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান। মুখ না, ব্যাট দিয়েই শত অপমানের জবাব দিয়ে যান। এ কারণেই শান্তরা জিতে যান জীবনযুদ্ধে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

নিউজিল্যান্ড সফরে অধিনায়ক শান্ত; ফিরেছেন সৌম্য



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান সময়টা বেশ ভালোই কাটছে বাংলাদেশি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্টে পেয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দিওলের অধিয়ানকের দায়িত্ব, ইতোমধ্যে এই টেস্টে করে ফেলেছেন সেঞ্চুরিও। এরই মধ্যে শান্তর কাছে এসেছে নতুন সুখবর, নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের অধিনায়কত্বের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে এই বাঁহাতি ব্যাটারকে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে উভয় সিরিজের জন্যই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দীর্ঘদিন  পরে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। এছাড়াও ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। বিশ্রাম দেয়া হয়েছে সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। 

এছাড়াও ইনজুরি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণে এই দুই সিরিজও মিস করছেন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। 

১৭ ডিসেম্বর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হবে আগামী ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে ২৭, ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪ টায় এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় হলেও তৃতীয় ম্যাচটি শুরু হবে ভোর ৬ টায়। 

বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড : নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক বিজয়, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, রাকিবুল হাসান।

টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, রনি তালুকদার, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম এবং তানজিম হাসান সাকিব।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

২২ গজে ফিরছেন ধোনি



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে উইকেটের পিছনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তৎকালের তরুণ সেই দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা জিতিয়েছিল ভারতকে। সেখান থেকেই ভারতের ক্রিকেট মোড় নেয় ভিন্ন এক গতিতে। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির এই তিন ফরম্যাটেই শিরোপাজয়ী অধিনায়কের তকমা কেবলই ধোনির হাতে।

বয়স পেরিয়েছে ৪২। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন বছর চারেক আগে। ২২ গজে এরপর তাকে কেবলই দেখা গেছে আইপিএলে। গতবারেও চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন দলটির পঞ্চম শিরোপা।

২০০৮ থেকে শুরু করে ২০২৩, আইপিএলের ১৬ আসরের ১০টিতেই ফাইনাল খেলেছে চেন্নাই। সেখানে জিতেছে পাঁচটিতে। বিশ্বের অন্যতম এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগের সবচেয়ে সফল দল চেন্নাই, এতে যেমন কোনো সন্দেহ নেই, ঠিক তেমনি এই দলটির এমন তকমা অর্জনের গুরু দায়িত্ব যে ছিলেন ধোনিই, এতেও কোনো সন্দেহ নেই।

২০২১ আসরে নিজেদের চতুর্থ শিরোপার জয়ের পর সবাই এমনটাই ধারণা করে নিয়েছিল আর হয়তো নেতৃত্বে দেখা যাবে না ধোনিকে। প্রমাণ মিলেছিল পরের আসরেই। নতুন কাউকে নেতৃত্বে অভ্যস্ত করতেই রবীন্দ্র জাদেজাকে দায়িত্ব দেয় দলটি। তবে সেবার ১৪ ম্যাচে কেবল ৪টিতে জয়ের দেখা পেয়েছিল চেন্নাই। পরের আসরে তাই আবারও ধোনির হাতেই সেই দায়িত্ব সপে দেওয়া হয়। ফলাফলও হাতেনাতেই। আবারও চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই।

তবে ২০২৩ আসরে সবাই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল এবার হয়তো ক্রিকেটটাই ছাড়তে চলেছেন ধোনি। চেন্নাইয়ের প্রতি ম্যাচে টাই ছিল বাড়তি ভিড়, নিজের আইডলকে বিদায় দিয়ে নানা বার্তা প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ধোনির হাজারও ভক্ত। তবে ফাইনালে ধোনি নিজেই জানান, এখনই জানাচ্ছি না বিদায়। তবে পরের আসরে খেলবো কি না তা জানতে আরও পাঁচ-ছয় মাস লাগবে, যদি ফিট থাকি আরও একটি আসর অন্তত খেলবো।

আইপিএল ফাইনাল পেরিয়েছে ঠিক পাঁচ মাস। ফিরেছে সেই প্রশ্ন? ধোনি কি থাকবেন সামনের আসরে? এ নিয়ে এখনো কোনো অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত না এলেও চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও-এর সম্প্রতি দেওয়া এক বক্তব্যে মিলেছে ধোনির খেলার আভাস। ধোনি এখনো ছেড়ে যাইনি চেন্নাইকে। সেই সুখবর যে জানিয়ে রেখেছেন গত আসরের ফাইনালেই।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্বপ্নের দিন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় দিনের শুরুতে খানিকটা ভুগিয়েছে নিউজিল্যান্ডের শেষ দুই ব্যাটার। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৩১০ টপকে ৭ রানের লিড নেওয়ার পর কিউইদের ৩১৭ রানে থামান মুমিনুল হক। এরপর অবশ্য দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৩ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ১১২ রান জমা করে। বাংলাদেশের লিড ২০৫ রানের।

তৃতীয় দিনটা হতে পারত বাংলাদেশের স্বপ্নের দিন। যদি না ভুল বোঝাবুঝিতে ৪০ রানে রান আউটে কাটা পড়তেন মুমিনুল। অবশ্য এরপর আর উইকেটে আঁচড় লাগতে দেননি অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম ম্যাচেই। এরপর দিন শেষ করেছেন বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রেখে। দিনটা শেষ করেছেন স্বপ্নের মতো সাজিয়ে।

ব্যাট হাতে দারুণ সময় পার করেছেন মুশফিকও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে যোগ করেছেন ৯৬ রান। শান্ত অপরাজিত আছেন ১০৪ রানে।

টেস্টে সময়টা এমনিতেও স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন শান্ত। নিজের খেলা সবশেষ চার টেস্ট ইনিংসের তিনটিতেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। যা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম। এমন দিনে বাংলাদেশও রয়েছে সিলেট টেস্টের চালকের আসনে।

এদিন কিউইদের ৩১৭ রানে আটকে রেখে ধিরস্থিরভাবে ভাবে প্রথম সেশন শেষ করে স্বাগতিকরা। তবে বিপত্তি আসে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই। পরপর দুই ওভারেই ফেরেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়।

দলীয় ২৩ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান (১৭)। সেই অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে। প্রথম ইনিংসে তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল টার্ন নিয়ে লাগে স্ট্যাম্পে। এবার ঠিক একই রকম বলেই আউট হলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৮)। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করা এই ব্যাটার এবার হলেন দুর্ভাগার শিকার। নাজমুল হাসান শান্তর এক স্ট্রেইট ড্রাইভ বোলারের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইক স্ট্যাম্পে লাগলে রান আউটের শিকার হন জয়।

সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছিলেন মমিনুল ও শান্ত। দু’জনে টানছিলেন দলকে। তবে হঠাৎই ভুল বোঝাবুঝিতে উইকেট ছাড়তে হয় মুমিনুলকে। ৪০ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর অবশ্য বাকি দিনটা নির্বিঘ্নেই পার করেছে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার শান্ত ও মুশফিক। চতুর্থ দিনেও ব্যাট করতে নামবেন দু’জনে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;