ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য!

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য!

ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য!

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যে দলই জিতবে তারা তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাবে। আর্জেন্টিনা চাইছে কাপ জয়ের ৩৬ বছরের খরা মেটাতে। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের পর এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতে ইতালি ও ব্রাজিলের রেকর্ড স্পর্শ করতে মুখিয়ে ফ্রান্স। মেসি-এমবাপে দ্বৈরথের আগে একনজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান।

বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ১৩ দেশ

ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে ১৩টি দেশ। সেগুলি হলো- জার্মানি, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইংল্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও সুইডেন। এখনও অবধি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে মোট ৭৯টি দেশ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছে আটটি দেশ- ব্রাজিল, জার্মানি, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও ইংল্যান্ড।

সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলেছে জার্মানি

ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার নিরিখে সবার আগে জার্মানি। আটবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে জার্মানরা। ১৯৫৪, ১৯৬৬, ১৯৭৪, ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০, ২০০২ ও ২০১৪ সালে। ১৯৯০ সাল অবধি জার্মানি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে পশ্চিম জার্মানি নামে। ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, ইতালির সঙ্গে এবার নিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে চলেছে আর্জেন্টিনা।

চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড ব্রাজিলের

ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ৬ বার, চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৫ বার। শেষবার কাফুর নেতৃত্বে ব্রাজিল কাপ জেতে। জার্মানি ও ইতালি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চারবার করে। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে সবচেয়ে বেশিবার হেরেছে জার্মানি। ১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ২০০২ সালে জার্মানি বিশ্বকাপ অভিযান রানার-আপ হয়েই শেষ করেছিল। আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস তিনবার করে বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছে। ফলে কাল ফ্রান্স জিতে গেলে জার্মানিকে ধরে ফেলবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও জার্মানিই পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে হয়েছিল আর্জেন্টিনা-জার্মানি দ্বৈরথ। ১৯৮৬ সালে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বাকি দুটি ক্ষেত্রেই চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

কোন ফুটবলার সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছেন?

সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার নজির রয়েছে কাফুর। তিনি তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল টানা খেলেছেন। কাফুর নেতৃত্বেই ব্রাজিল ২০০২ সালে শেষবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ৫-২ গোলে সুইডেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনালে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ৪-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ইতালিকে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্স ৩-০ গোলে হারায় ব্রাজিলকে। সেই ফাইনালগুলিতেও জয়ের ব্যবধান ছিল ৩।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে দুপুরে নামছে টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ওয়ানডেতে বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আগে-ভাগেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে সোমবার মাঠে নামছে তামিম-সাকিব বাহিনী।

সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি । টি-স্পোর্টসে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের। জবাবে ৩০ দশমিক ৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। এতে ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় তামিম-সাকিবরা। ওয়ানডে ফরম্যাটে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের।

পুরো ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ১০ ওভারে পেসারদের সুইংকে কাজে লাগিয়ে ভালো অবস্থায় ছিলো আয়ারল্যান্ড। পরবর্তীতে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেয় গত আট বছর ধরে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা বাংলাদেশ। এই সময় মাত্র দু’টি সিরিজে হারে তারা। দু’টি সিরিজ হারই ছিলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

তৃতীয়বারের মত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এবার মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ২০০৮ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশদের হোয়াইওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিলো টাইগাররা। ওই সিরিজের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে, আয়ারল্যান্ডের জয় ২টিতে।সাম্প্রতিক ফর্ম এবং শক্তি বিচারে এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিতের পথেই আছে বাংলাদেশ।

তবে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিকল্প তৈরি করতে এই সিরিজে খেলোয়াড়দের ঘুড়িয়ে-ফিরিয়ে খেলানোই মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের। প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে ৯২ রানের ইনিংস খেলে দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। অভিষেক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক বনে যান হৃদয়।

নিজেকে প্রমাণ করার সময় এসেছে আরেক ব্যাটার ইয়াসির আলির। সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকা ইয়াসির এখনও প্রতিভার ঝলক দেখাতে পারেননি।

অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে লজ্জাজনক হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য আয়ারল্যান্ডের। দ্বিতীয় ওয়ানডেটি আইরিশদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রূপ নিয়েছে।

প্রথম ম্যাচের পর আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি বলেছিলেন, ম্যাচের অর্ধেক সময়েও আমরা খুব বেশি হতাশ ছিলাম না। যখন আমরা ব্যাটিং করতে নামি তখনও উইকেট ভালো ছিলো। তারপর আমরা ৪-৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাই। অভিজ্ঞতার অভাব ছিলো-এটি অজুহাত হিসাবে দাঁড় করাতে চাই না আমরা। তবে তারা ছন্দে ছিলো এবং খুব ভাল খেলেছে।

তিনি আরও বলেন, তবে ভালো বিষয় হলো, আমরা সোমবার আরও একটি সুযোগ পাবো। আমরা প্রতিন্দ্বন্দিতা করতে চাই। প্রথম ম্যাচের চেয়ে আরও ভালো খেলতে চাই, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে।

বাংলাদেশ দল

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও রনি তালুকদার।

আয়ারল্যান্ড দল

অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, লরকান টাকার, গ্যারেথ ডেলানি, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, বেঞ্জামিন হোয়াইট, জোশুয়া লিটল ও গ্রাহাম হুম।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

সোমবারই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ নিশ্চিত করতে সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে বদ্ধপরিকর স্বাগতিক বাংলাদেশ। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি টি স্পোর্টস চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের। জবাবে ৩০ দশমিক ৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। এতে ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় তামিম-সাকিবরা। ওয়ানডে ফরম্যাটে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের।

পুরো ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ১০ ওভারে পেসারদের সুইংকে কাজে লাগিয়ে ভালো অবস্থায় ছিলো আয়ারল্যান্ড। পরবর্তীতে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেয় গত আট বছর ধরে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা বাংলাদেশ। এই সময় মাত্র দু’টি সিরিজে হারে তারা। দু’টি সিরিজ হারই ছিলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

তৃতীয়বারের মত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এবার মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ২০০৮ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশদের হোয়াইওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিলো টাইগাররা। ওই সিরিজের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে, আয়ারল্যান্ডের জয় ২টিতে।সাম্প্রতিক ফর্ম এবং শক্তি বিচারে এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিতের পথেই আছে বাংলাদেশ।

তবে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিকল্প তৈরি করতে এই সিরিজে খেলোয়াড়দের ঘুড়িয়ে-ফিরিয়ে খেলানোই মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের। প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে ৯২ রানের ইনিংস খেলে দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। অভিষেক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক বনে যান হৃদয়।

নিজেকে প্রমাণ করার সময় এসেছে আরেক ব্যাটার ইয়াসির আলির। সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকা ইয়াসির এখনও প্রতিভার ঝলক দেখাতে পারেননি।

অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে লজ্জাজনক হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য আয়ারল্যান্ডের। দ্বিতীয় ওয়ানডেটি আইরিশদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রূপ নিয়েছে।

প্রথম ম্যাচের পর আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি বলেছিলেন, ম্যাচের অর্ধেক সময়েও আমরা খুব বেশি হতাশ ছিলাম না। যখন আমরা ব্যাটিং করতে নামি তখনও উইকেট ভালো ছিলো। তারপর আমরা ৪-৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাই। অভিজ্ঞতার অভাব ছিলো-এটি অজুহাত হিসাবে দাঁড় করাতে চাই না আমরা। তবে তারা ছন্দে ছিলো এবং খুব ভাল খেলেছে।

তিনি আরও বলেন, তবে ভালো বিষয় হলো, আমরা সোমবার আরও একটি সুযোগ পাবো। আমরা প্রতিন্দ্বন্দিতা করতে চাই। প্রথম ম্যাচের চেয়ে আরও ভালো খেলতে চাই, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে।

বাংলাদেশ দল

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও রনি তালুকদার।

আয়ারল্যান্ড দল

অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, লরকান টাকার, গ্যারেথ ডেলানি, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, বেঞ্জামিন হোয়াইট, জোশুয়া লিটল ও গ্রাহাম হুম।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

বাংলাদেশের বড় জয়ের নতুন রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

টাইগারদের দেয়া ৩৩৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ফলে, ১৮৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান আর তৌহিদ হৃদয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

জবাবে আয়ারল্যান্ড ৩০.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৫৫ রানে। রানের দিক থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ১৬৯ রানে, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এই সিলেটের মাটিতেই, ২০২০ সালে। আবার ওয়ানডেতে ৩৩৮ রানের স্কোরও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ, আগেরটি ছিল ৩৩৩ রানের।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল আয়ার‌ল্যান্ডের। উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান তোলে দলটি। স্টেফান ডোনিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। এরপর আর বলতে গেলে দাড়াতে পারেনি সফরকারীরা। উইকেট হারাতে থাকে ধারাবাহিক বিরতিতে।

মিডল অর্ডারে জর্জ ডকরেল লড়েছেন কিছুটা। তার ব্যাটেই আসে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস। ওপেনার স্টেফান করেন ৩৪ রান। এছাড়া পল স্টার্লিং ২২, কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬, মার্ক অ্যাডায়ার ১৩ রান করেন। বাকিরা ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান।

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন পেসার ইবাদত হোসেন। নাসুম আহমেদ তিনটি, তাসকিন দুটি, সাকিব নেন একটি করে উইকেট।

এই ম্যাচে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব ও তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু পারেননি কেউ। দুজনই নার্ভাস নাইনটিজের শিকার। ৯ চারে ৮৯ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলে গ্রাহামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। হৃদয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে সাকিব গড়েন ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি।

হৃদয় গড়েছেন অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। কিন্তু ৮ রানের জন্য তিনিও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৮৫ বলে ৮ চার ও দুই ছক্কায় ৯২ রান করে তিনি বোল্ড হন গ্রাহামের বলে। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতে নব্বইয়ের ঘরে আউট হওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে নাম উঠেছে তৌহিদ হৃদয়ের।

শেষের দিকে ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।

তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আগামী সোমবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। ২৩ মার্চ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

এদিকে তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান করেন সাকিব। ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে তামিম খেলেছেন ২০৪ ইনিংস। সাকিব এই রান করলেন ২১৬  ইনিংস খেলে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

বাংলাদেশের দেয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে আয়ারল্যান্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাকিব আল হাসান ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তৌহিদ হৃদয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় টাইগার ব্যাটাররা।

সাকিব ৯৩ ও হৃদয় ৯২ রান করে আউট হন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারেই ৩ রানে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পেসার মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দেন তামিম।

দলীয় ১৫ রানে তামিমকে হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস ও ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে পেসার কার্টিস ক্যাম্পারের বলে শর্ট কভারে পল স্টার্লিংয়ের ক্যাচে বিদায় নেন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলা লিটন।
ভালো শুরু করেও ১৭তম ওভারে স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের বলে বোল্ড হন ৩৪ বলে ২৫ রান করা শান্ত।

৮১ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান সাকিব ও হৃদয়। ২১তম ওভারে ১শ, ৩০তম ওভারে দলের রান দেড়শতে নেন তারা। ৬৫ বল খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ও টানা তিন ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতেও অর্ধশতক করেছিলেন সাকিব।

৫৫ বল খেলে হাফ-সেঞ্চুরি পূরন করেন হৃদয়। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতে অর্ধশতক করলেন হৃদয়। তার আগের ওভারে স্পিনার হ্যারি টেক্টরের বলে ৫টি চারে ২২ রান তুলে ৮৯ রানে পৌঁছেন ২০১৯ সালের জুনের পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন সাকিব।

কিন্তু ৩৮তম ওভারে পেসার গ্রাহাম হুমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৯৩ রানে আউট হন সাকিব। ৮৯ বল খেলে ৯টি চারে এই ইনিংস খেলার পথে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজার রান করেন সাকিব। চতুর্থ উইকেটে ১২৫ বলে ১৩৫ রান যোগ করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন সাকিব-হৃদয়।

দলীয় ২১৬ রানে সাকিবের বিদায়ে উইকেটে এসেই মারমুখী হয়ে উঠেন মুশফিকুর রহিম। একবার জীবন পেয়ে ৩টি করে চার-ছক্কায় হুমের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৬ বলে ৪৪ রান করেন মুশি। পঞ্চম উইকেটে হৃদয়ের সাথে ৪৯ বলে ৮০ রান যোগ করে বাংলাদেশকে ৩শ রান করার পথ মসৃণ করেন মুশফিক।

মুশফিক ফেরার ওভারেই নাভার্স-নাইন্টিতে আউট হন হৃদয়। হুমের বলে বোল্ড হবার আগে ৮টি চার ও ২টি ছয়ে ৮৫ বলে ৯২ রান করেন তিনি। অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে আউট হন হৃদয়।

শেষ দিকে ইয়াসির আলি ১০ বলে ১৭, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ ৭ বলে ১১ রানে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান। আয়ারল্যান্ডের হুম ৬০ রানে ৪ উইকেট নেন।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;