মেসিরূপী মারাদোনা, ৮৬ যেন ফিরে এলো!

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেসিরূপী মারাদোনা, ৮৬ যেন ফিরে এলো!

মেসিরূপী মারাদোনা, ৮৬ যেন ফিরে এলো!

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছু কিছু ছবি থাকে যা ইতিহাসে নিজের ছাপ ফেলে দিয়ে যায়। সেই একটি ছবি দশকের পর দশক মানুষের মনে গেঁথে থাকে। মানুষ সেই ছবিটার মুহূর্তকেই যেন আবার নতুন করে উপভোগ করতে চায়, সেই মুহূর্তে বাঁচতে চায়। এমনই এক ছবি হল ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ জয়ের পর সতীর্থদের কাঁধে চড়ে উল্লাসে মাতা মারাদোনার। সেই ছবি মারাদানো হওয়ার ইচ্ছে ছিল লিওনেল মেসিরও।

মেসির সতীর্থরাও চাইতেন, মেসিকে সেই মুহূর্ত ‘উপহার’ দিতে। ২০২২ সালে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার জয়ের পর মারাদোনার সেই মুহূর্ত ফিরে এলো। সতীর্থ, বন্ধু আগুয়েরোর কাঁধে চেপে বিশ্বকাপের ট্রফি মাথার ওপর তুললেন মেসি। উঠল তার নামের জয়ধ্বনি।

অনেকেই মনে করেছিলেন ১৯৮৬ সালে মারাদোনার সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। তবে মেসি পুনরাবৃত্তি ঘটালেন সেই মুহূর্তের। ৩৬ বছর পর শুধু বিশ্বকাপই জিতলেন না, নিজেকে কার্যত মারাদোনার সমকক্ষ করে তুললেন মেসি। এ মেসি আজ ‘রাজপুত্র’ নন, তিনিই রাজা।

ব্যক্তিগত ভাবে ফুটবল বিশ্বের সব সম্মান তার ঝুলিতে ছিল। এমন কী, এর আগে বিশ্বকাপ না জিতলেও ‘গোল্ডেন বল’ জিতেছিলেন ২০১৪ সালে। তবে ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসে নিজের সবটা উজার করে দিয়ে বিশ্বকাপটাও জিতলেন।

নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে তো অনেকেই মনে করেছিলেন, মেসির মধ্যে হয়ত মারাদোনার ‘ভুত’ ঢুকেছে। না, খেলার জন্য নয়। সে তো গত ১৬ বছর ধরেই মেসির তুলনা হয়ে আসছে মারাদোনার সঙ্গে। তবে ‘শান্ত’ মেসির ‘রাগ’ দেখেই মেসির মধ্যে মারাদোনার ‘ছায়া’ দেখতে পেয়েছিলেন অনেকে।

এদিকে আর্জেন্টিনার দলে ছিলেন না মেসির বন্ধু আগুয়েরো। হৃদরোগের কারণে ফুটবলই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে কাপ জিততে মরিয়া আর্জেন্টিনা সেই আগুয়েরোকে দলের সঙ্গেই রেখেছিল। এমন কী রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি মেসির সঙ্গে একই ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। সেই আগুয়েরোই মেসিকে কাঁধে তুলে নিয়ে ১৯৮৬-র ছবির পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। মারাদোনা নিজের দলকে কাঁধে করে টেনে নিয়ে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। মেসিও তাই করলেন।

   

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে ভারতীয় সাইডআর্ম বিশেষজ্ঞ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু হতে আর বাকি কেবল দুই দিন। অংশগ্রহণকারী দলগুলো এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। প্রতিপক্ষের বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে মাথায় রেখে বাড়তি প্রস্তুতিও সারছে দলগুলো।

বিশ্বজুড়ে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের আধিক্য এখন চোখে পড়ার মতো। নিউজিল্যান্ডের কথাই ধরুন, দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। পাকিস্তানে শাহিন আফ্রিদি, বাংলাদেশে মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম… সব মিলিয়ে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের সংখ্যা এবারের বিশ্বকাপে কম নয়।

সে বিষয়টা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপে বাঁহাতি ফাস্ট বোলিংয়ের মুখোমুখি হবার জন্য নিজেদের ঝালিয়ে নিতে একজন ভারতীয় সাইডআর্ম বিশেষজ্ঞকে দলে ভিড়িয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ডগ-থ্রোয়ার জাতীয় একটি যন্ত্র সাইডআর্ম গত এক দশকে পেশাদার ক্রিকেটে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। ইংল্যান্ডের অনুশীলন সেশনে কোচরাও এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন।

কিন্তু তাদের প্রধান কোচের উপর বাড়তি চাপ কমানোর জন্য নিয়োগ দেয় সৌরভ আম্বাতকারকে। গত সপ্তাহে গৌহাটিতে তিনি দলের সাথে যুক্ত হয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই থাকবেন সফরকারী দলটির সঙ্গে।

আম্বাতকারের পাশাপাশি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য মাসাজ থেরাপিস্ট হিসেবে দলে যোগ দিয়েছেন আরেক ভারতীয় মহেশ আর্য। দলটির মেডিকেল টিমের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

লড়াই করেও হারল নেপাল, এশিয়াডের সেমিতে ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়ান গেমসের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে লড়াই করেও হেরেছে নেপাল। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে তারা হেরেছে ২৩ রানে।
হ্যাংজুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়। বিশেষ করে, শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন যশস্বী, তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন রুতুরাজ। তারা দুইজনে মিলে গড়েন ৫৯ বলে ১০৩ রানের ওপেনিং জুটি।
দলীয় ১০৩ রানে গায়কোয়াড় আউট হলেও জয়সওয়াল তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি, খেলেন ৪৯ বলে ১০০ রানের দানবীয় ইনিংস। দলীয় ১৫০ রানে দীপেন্দ্র সিংয়ের বলে আউট হন তিনি। শেষের দিকে রিংকু সিংয়ের ১৫ বলে ৩৭ এবং শিবাম দুবের ১৯ বলে ২৫ রানের উপর ভিত্তি করে ২০২ রানের বিশাল পুঁজি পায় ভারত। নেপালের হয়ে দীপেন্দ্র সিং নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট।
ভারতের দেয়া ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন খারাপ করেনি নেপাল। দলীয় ২৯ রানে ওপেনার আরিফ শেখ আউট হলেও কুশাল মাল্লাকে নিয়ে একটি দারুণ জুটি গড়েন আরেক ওপেনার কুশাল ভুরটেল। তবে দলীয় ৬২ রানে ভুরটেল (২৮) আউট হলেই ঘটে ছন্দপতন। দলীয় ৭৭ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নেপাল। এরপর ব্যাটার দীপেন্দ্র সিং এবং সন্দীপ জরার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল নেপাল। তবে দলীয় ১২২ রানে আউট হন দীপেন্দ্র (১৫ বলে ৩২ রান)। এর কিছুক্ষণ পরই আউট হন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা আরেক ব্যাটার সন্দীপ (১২ বলে ২৯ রান), দলীয় ১৪০ রানে। যার ফলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে যায় ভারতের হাতে। শেষমেশ ১৭৯ রানে থামে নেপালের ইনিংস। ভারতের হয়ে পেসার আবেশ খান এবং লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই উভয়েই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

কেবল বিশ্বকাপেই ওয়ানডে খেলা উচিৎ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর পর থেকেই যেন বিশ্ব ক্রিকেটের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আধিপত্য। দর্শকরাও অন্য ফরম্যাটের তুলনায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখেই অধিক স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কম সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনই যেন বেশিরভাগ ক্রিকেটারের জন্য মুখ্য হয়ে উঠছে। ফলে রঙ হারাচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট, পাশাপাশি বিগত বছরগুলোতে ওয়ানডে ম্যাচগুলোর সংখ্যাও কমে এসেছে।
টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটের এই যুগে, অনেক সময়ই নানাবিধ প্রশ্ন উঠছে ওয়ানডে ক্রিকেটকে নিয়ে। এমনকি বেশকিছু ক্রিকেটার ইতোমধ্যে বলেই ফেলেছেন, ৫০ ওভারের পরিবর্তে ওয়ানডে ক্রিকেট হওয়া উচিত ৪০ ওভারের। এবার, ধারাভাষ্যকার এবং এমসিসির হতে যাওয়া সভাপতি মার্ক নিকোলাস জানিয়েছেন, ওয়ানডে ক্রিকেট কেবল বিশ্বকাপে খেলা উচিত।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিকোলাস বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, ওয়ানডে ক্রিকেট শুধুমাত্র বিশ্বকাপেই খেলা উচিত। কারণ, বর্তমান সময়ে দ্বিপাক্ষিকভাবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে মূল্যায়ন করা কঠিন। অনেকে দেশে পর্যাপ্ত মাঠ নেই। এখনকার সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এক প্রকার অলৌকিক শক্তি রয়েছে যার আধিপত্যের কারণে ওয়ানডে ক্রিকেট ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে ধাবিত হচ্ছে।’
এর আগে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী, অজি ব্যাটার উসমান খাজাসহ বেশ কিছু ক্রিকেটারও ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ তুলেছিলেন।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে থাকছে না উদ্বোধনী অনুষ্ঠান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর মাত্র একটা দিন। তার পরই শুরু আইসিসি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দেশের মধ্যেই বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। আইসিসি বিশ্বকাপের প্রত্যেক আসরেই দেখা যায় এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে আয়োজক দেশ একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। আসন্ন বিশ্বকাপ শুরুর আগেও এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে হঠাৎ করে এটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে আয়োজক দেশ, এমনটাই খবর একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের।

বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। তবে এ টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন অর্থাৎ ৪ অক্টোবর একই স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিসিআই।

এমনকি ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল যে, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের টিকিট দিয়েই দর্শকরা মাঠে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। যেখানে মঞ্চ মাতানোর কথা ছিল অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, তামান্না ভাটিয়া এবং আশা ভোসলের মতো তারকাদের। সবশেষ জানা গিয়েছিল, ১০ অধিনায়কের উপস্থিতিতে একটি লেজার শোর আয়োজন করতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

তবে এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বদলে জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠান করতে চায় তারা। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি বিসিসিআই।

শেষমেশ এমনটা হয়ে থাকলে, ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াই বিশ্বকাপ আয়োজন দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;