কে জিতবে গোল্ডেন বুট?

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার বিশ্বকাপের অন্তিম সুর বাজছে। আজ রোববার ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসরের।

ফাইনালে কে জিতবে, এই আলোচনার সঙ্গে আছে বিশ্বকাপে কে ‘গোল্ডেন বুট’, ‘গোল্ডেন বল’ ও ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জিতবেন সেটা নিয়েও। বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোলদাতাই পান গোল্ডেন বুট, বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার পান গোল্ডেন বল, আর সেরা গোলকিপারের হাতে ওঠে গোল্ডেন গ্লাভস।

কাতার বিশ্বকাপ ‘গোল্ডেন বুট’ জেতার লড়াইয়ে আছেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ের জিরুদ ও হুলিয়ান আলভারেজ।

এবারের বিশ্বকাপে মেসি ও এমবাপে দুজনেরই ৫টি করে গোল করেছেন। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ফের ফ্রান্স আর আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা; অলিভিয়ের জিরুদ ও হুলিয়ান আলভারেজ। তাদের দুজনের গোল সমান ৪টি করে।

বিশ্বকাপে ফাইনালের আগ পর্যন্ত লিওনেল মেসি গ্রুপ পর্যায়ে সৌদি আরবের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর গোল করেছিলেন মেক্সিকোর বিপক্ষেও। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে এবং সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন মেসি।

এদিকে কিলিয়ান এমবাপের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম গোল করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন। শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ফের জোড়া গোল করার পর কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে গোলের দেখা পাননি এমবাপে।

মেসি ও এমবাপে সমান ৫ গোল করলেও একদিক থেকে এগিয়ে আছেন মেসি। কিলিয়ান এমবাপে যেখানে অ্যাসিস্ট করেছেন ২টি, সেখানে মেসির অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৩।

মেসি ও এমবাপে ৫ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন ঠিক, তবে তাদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে হুলিয়ান আলভারেজ ও অলিভিয়ের জিরুদের সামনেও। চমকের বিশ্বকাপে তারা শেষ মুহূর্তে বড় কোন চমক দেখিয়ে গোল্ডেন বুট জিতে নিলে অবাক হওয়ার কিছু কি থাকবে?

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে এই গোল্ডেন বুট পুরস্কারের নামকরণ করে ফিফা। এরআগে ১৯৮২ সালের স্পেন বিশ্বকাপে এই পুরস্কারের নাম ছিল ‘গোল্ডেন শু’।

গোল্ডেন বুট দেওয়া হয় সেই খেলোয়াড়কে, যিনি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করেন। যদি একাধিক খেলোয়াড় সমসংখ্যক গোল করেন, তবে বিবেচ্য হয় অ্যাসিস্ট সংখ্যা। এরপর হিসাব আসে কে কতক্ষণ খেলেছেন। তার মধ্যে যে সবচেয়ে কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করবেন, তিনিই গোল্ডেন বুট পাবেন।

এবারের বিশ্বকাপে মেসি এবং এমবাপের দুজনেরই গোলসংখ্যা ৫। তবে অ্যাসিস্টে এগিয়ে মেসি। আবার কম সময়ের বিচারে এগিয়ে এমবাপে। ফাইনালের আগ পর্যন্ত মেসি খেলেছেন ৫৭০ মিনিট। আর এমবাপে খেলেছেন ৪৭৭ মিনিট।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

মুশফিকের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রানের রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোর।

এর আগে শনিবার চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ৩৩৮ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। একদিনের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়েন টাইগাররা।

আজও টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে আটকে রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডের দুই পেসার মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম। প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান তুলতে পারেনি তামিম ও লিটন। পঞ্চম ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার-প্লের শেষ বলে দলীয় ৪২ রানে রান আউট হয়ে থামেন তামিম। ৪টি চারে ৩১ বলে ২৩ রান করেন তামিম।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে দলের রানের চাকা ঘুড়ান লিটন। ২০তম ওভারে ১শ রান পায় বাংলাদেশ। পরের ওভারের প্রথম বলে ছক্কায় ওয়ানডেতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি পূরন করেন লিটন।

৫৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা লিটন শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে পেসার কার্টিস ক্যাম্পারের বলে বিদায় নেন লিটন। ৭১ বল খেলে ৩টি করে চার-ছয় মারেন লিটন। এই ইনিংসেই ওয়ানডেতে ২ হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সাথে ৯৬ বলে ১০১ রান যোগ করেন লিটন।

লিটনের ফেরার পর উইকেটে এসে ভালো শুরু করেও হুমের প্রথম শিকার হয়ে ব্যক্তিগত১৭ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। সাকিবের সাথে ৩৯ রানের জুটি গড়ার পথে ৫৯ বলে ওয়ানডেতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত।

লিটনের মত ইনিংস করার চেষ্টা করেও ৭৩ রানেই থেমে যান শান্ত। হুমের দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ৭৭ বল ৩টি চার ও ২টি ছয়ে নিজের ইনিংস সাজান শান্ত।

৩৪তম ওভারে দলীয় ১৯০ রানে শান্তর আউটে জুটি বাঁধেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। দ্রুত উইকেটে সেট হয়ে মারুমুখী ব্যাট করতে থাকেন তারা। ৪৩তম ওভারে ছক্কায় ৩৪ বলে ওয়ানডেতে ৪৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আজও ছয় নম্বরে নামা মুশফিক।

মুশফিক পারলেও অর্ধশতক হাতছাড়া করেন দারুন খেলতে থাকা হৃদয়। অ্যাডায়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ৪৯ রানে আউট হন হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের স্কোর ৩শ পার করেন মুশফিক-হৃদয়।

দলীয় ৩১৮ রানে হৃদয় ফেরার সময় মুশফিকের রান ছিল ৪৬ বলে ৭৮। সেঞ্চুরি পেতে ইনিংসের শেষ ৪ বলে ৯ রান দরকার পড়ে মুশফিকের। তৃতীয় থেকে পঞ্চম বলে ১টি চারে ৮ রান নেন মুশফিক। শেষ বলে ১ রান নিয়ে ওয়ানডেতে নবম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ৬০ বলে তিন অংকে পা দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মুশফিক। ২৪৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম ছয় নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।

মুশফিকের ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের। মুশফিকের ইনিংসে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। এই ইনিংস খেলার পথে ৭ হাজার রানও পূর্ণ করেন মুশি। বল হাতে আয়ারল্যান্ডের হুম ৩ উইকেট নেন।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে দুপুরে নামছে টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ওয়ানডেতে বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আগে-ভাগেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে সোমবার মাঠে নামছে তামিম-সাকিব বাহিনী।

সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি । টি-স্পোর্টসে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের। জবাবে ৩০ দশমিক ৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। এতে ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় তামিম-সাকিবরা। ওয়ানডে ফরম্যাটে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের।

পুরো ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ১০ ওভারে পেসারদের সুইংকে কাজে লাগিয়ে ভালো অবস্থায় ছিলো আয়ারল্যান্ড। পরবর্তীতে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেয় গত আট বছর ধরে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা বাংলাদেশ। এই সময় মাত্র দু’টি সিরিজে হারে তারা। দু’টি সিরিজ হারই ছিলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

তৃতীয়বারের মত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এবার মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ২০০৮ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশদের হোয়াইওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিলো টাইগাররা। ওই সিরিজের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে, আয়ারল্যান্ডের জয় ২টিতে।সাম্প্রতিক ফর্ম এবং শক্তি বিচারে এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিতের পথেই আছে বাংলাদেশ।

তবে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিকল্প তৈরি করতে এই সিরিজে খেলোয়াড়দের ঘুড়িয়ে-ফিরিয়ে খেলানোই মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের। প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে ৯২ রানের ইনিংস খেলে দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। অভিষেক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক বনে যান হৃদয়।

নিজেকে প্রমাণ করার সময় এসেছে আরেক ব্যাটার ইয়াসির আলির। সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকা ইয়াসির এখনও প্রতিভার ঝলক দেখাতে পারেননি।

অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে লজ্জাজনক হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য আয়ারল্যান্ডের। দ্বিতীয় ওয়ানডেটি আইরিশদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রূপ নিয়েছে।

প্রথম ম্যাচের পর আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি বলেছিলেন, ম্যাচের অর্ধেক সময়েও আমরা খুব বেশি হতাশ ছিলাম না। যখন আমরা ব্যাটিং করতে নামি তখনও উইকেট ভালো ছিলো। তারপর আমরা ৪-৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাই। অভিজ্ঞতার অভাব ছিলো-এটি অজুহাত হিসাবে দাঁড় করাতে চাই না আমরা। তবে তারা ছন্দে ছিলো এবং খুব ভাল খেলেছে।

তিনি আরও বলেন, তবে ভালো বিষয় হলো, আমরা সোমবার আরও একটি সুযোগ পাবো। আমরা প্রতিন্দ্বন্দিতা করতে চাই। প্রথম ম্যাচের চেয়ে আরও ভালো খেলতে চাই, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে।

বাংলাদেশ দল

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও রনি তালুকদার।

আয়ারল্যান্ড দল

অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, লরকান টাকার, গ্যারেথ ডেলানি, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, বেঞ্জামিন হোয়াইট, জোশুয়া লিটল ও গ্রাহাম হুম।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

সোমবারই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ নিশ্চিত করতে সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে বদ্ধপরিকর স্বাগতিক বাংলাদেশ। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি টি স্পোর্টস চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের। জবাবে ৩০ দশমিক ৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। এতে ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় তামিম-সাকিবরা। ওয়ানডে ফরম্যাটে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের।

পুরো ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ১০ ওভারে পেসারদের সুইংকে কাজে লাগিয়ে ভালো অবস্থায় ছিলো আয়ারল্যান্ড। পরবর্তীতে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেয় গত আট বছর ধরে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা বাংলাদেশ। এই সময় মাত্র দু’টি সিরিজে হারে তারা। দু’টি সিরিজ হারই ছিলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

তৃতীয়বারের মত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এবার মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ২০০৮ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশদের হোয়াইওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিলো টাইগাররা। ওই সিরিজের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে, আয়ারল্যান্ডের জয় ২টিতে।সাম্প্রতিক ফর্ম এবং শক্তি বিচারে এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিতের পথেই আছে বাংলাদেশ।

তবে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিকল্প তৈরি করতে এই সিরিজে খেলোয়াড়দের ঘুড়িয়ে-ফিরিয়ে খেলানোই মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের। প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে ৯২ রানের ইনিংস খেলে দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। অভিষেক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক বনে যান হৃদয়।

নিজেকে প্রমাণ করার সময় এসেছে আরেক ব্যাটার ইয়াসির আলির। সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকা ইয়াসির এখনও প্রতিভার ঝলক দেখাতে পারেননি।

অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে লজ্জাজনক হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য আয়ারল্যান্ডের। দ্বিতীয় ওয়ানডেটি আইরিশদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রূপ নিয়েছে।

প্রথম ম্যাচের পর আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি বলেছিলেন, ম্যাচের অর্ধেক সময়েও আমরা খুব বেশি হতাশ ছিলাম না। যখন আমরা ব্যাটিং করতে নামি তখনও উইকেট ভালো ছিলো। তারপর আমরা ৪-৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাই। অভিজ্ঞতার অভাব ছিলো-এটি অজুহাত হিসাবে দাঁড় করাতে চাই না আমরা। তবে তারা ছন্দে ছিলো এবং খুব ভাল খেলেছে।

তিনি আরও বলেন, তবে ভালো বিষয় হলো, আমরা সোমবার আরও একটি সুযোগ পাবো। আমরা প্রতিন্দ্বন্দিতা করতে চাই। প্রথম ম্যাচের চেয়ে আরও ভালো খেলতে চাই, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে।

বাংলাদেশ দল

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও রনি তালুকদার।

আয়ারল্যান্ড দল

অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, লরকান টাকার, গ্যারেথ ডেলানি, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, বেঞ্জামিন হোয়াইট, জোশুয়া লিটল ও গ্রাহাম হুম।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

বাংলাদেশের বড় জয়ের নতুন রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

টাইগারদের দেয়া ৩৩৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ফলে, ১৮৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান আর তৌহিদ হৃদয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

জবাবে আয়ারল্যান্ড ৩০.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৫৫ রানে। রানের দিক থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ১৬৯ রানে, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এই সিলেটের মাটিতেই, ২০২০ সালে। আবার ওয়ানডেতে ৩৩৮ রানের স্কোরও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ, আগেরটি ছিল ৩৩৩ রানের।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল আয়ার‌ল্যান্ডের। উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান তোলে দলটি। স্টেফান ডোনিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। এরপর আর বলতে গেলে দাড়াতে পারেনি সফরকারীরা। উইকেট হারাতে থাকে ধারাবাহিক বিরতিতে।

মিডল অর্ডারে জর্জ ডকরেল লড়েছেন কিছুটা। তার ব্যাটেই আসে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস। ওপেনার স্টেফান করেন ৩৪ রান। এছাড়া পল স্টার্লিং ২২, কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬, মার্ক অ্যাডায়ার ১৩ রান করেন। বাকিরা ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান।

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন পেসার ইবাদত হোসেন। নাসুম আহমেদ তিনটি, তাসকিন দুটি, সাকিব নেন একটি করে উইকেট।

এই ম্যাচে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব ও তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু পারেননি কেউ। দুজনই নার্ভাস নাইনটিজের শিকার। ৯ চারে ৮৯ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলে গ্রাহামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। হৃদয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে সাকিব গড়েন ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি।

হৃদয় গড়েছেন অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। কিন্তু ৮ রানের জন্য তিনিও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৮৫ বলে ৮ চার ও দুই ছক্কায় ৯২ রান করে তিনি বোল্ড হন গ্রাহামের বলে। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতে নব্বইয়ের ঘরে আউট হওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে নাম উঠেছে তৌহিদ হৃদয়ের।

শেষের দিকে ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।

তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আগামী সোমবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। ২৩ মার্চ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

এদিকে তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান করেন সাকিব। ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে তামিম খেলেছেন ২০৪ ইনিংস। সাকিব এই রান করলেন ২১৬  ইনিংস খেলে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;