ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্স

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল তারা। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের সামনে মরক্কো। আগামী বুধবার খেলা দুই দলের।

ফ্রান্স-ইংল্যান্ড ম্যাচে নজর ছিল কিলিয়ান এমবাপের দিকে। এমবাপেকে বোতলবন্দি করে রাখার জন্য কাইল ওয়াকারকে রেখেছিলেন ইংরেজ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এমবাপে নিজে গোল করতে পারলেন না ঠিকই। কিন্তু প্রথম গোলের ক্ষেত্রেই তিনিই অবদান রাখলেন। সারা ম্যাচে এমবাপে একাধিকবার তার মার্কারকে বোকা বানালেন। গোল না করেও নায়ক হয়ে থাকলেন তিনিই।

প্রথম থেকে আক্রমণের রাশ ছিল ফ্রান্সের হাতেই। প্রথম আক্রমণও করে তারাই। ডান দিকে বল পেয়েছিলেন ওসমানে দেম্বেলে। তিনি পাস দেন আঁতোয়া গ্রিজম্যানকে। সেখান থেকে অলিভিয়ের জিহুর হেডার বাঁচিয়ে দেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড।

তবে প্রথম গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ফ্রান্সকে। ১৭ মিনিটে দূরপাল্লার শটে চোখধাঁধানো গোল করে চমকে দেন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি। দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণের ফল পায় ফ্রান্স। ডেক্লান রাইসকে টপকে বল নিয়ে এগিয়ে যান কিলিয়ান এমবাপে। তার থেকে বল পেয়ে গ্রিজম্যান পাস দেন চুয়ামেনি। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে নীচু শটে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার। কিছুক্ষণ পরেই সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। জর্ডান হেন্ডারসন বল ভাসিয়েছিলেন বক্সে। হেড করতে পারেননি জুড বেলিংহ্যাম। এর পরে বক্সের বাইরে ফেলে দেওয়া হয় হ্যারি কেনকে। তবে পেনাল্টির আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি।

প্রথমে কিছুটা চাপে থাকলেও, ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের খেলা খুলতে শুরু করে। বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে তারা। তবে প্রথমার্ধে সমতা ফেরাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটা ভাল সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ফিল ফোডেনের কর্নার ক্লিয়ার করতে পারেনি ফ্রান্স। হেন্ডারসনের থেকে পাস পেয়ে বেলিংহ্যামের দিকে ক্রস ভাসান লুক শ। বেলিংহ্যাম ভলি আঙুল ছুইয়ে বের করে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিস। তার পরেই পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে ইনসাইড কাট করে ফ্রান্সের বক্সে ঢুকতে গিয়েছিলেন সাকা। তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন চুয়ামেনি। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান হ্যারি কেন।

দু’দলই জয়সূচক গোলের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। ইংল্যান্ডের দু’টি দারুণ আক্রমণ বাঁচিয়ে দেন লরিস। অন্য দিকে, ফ্রান্সের হয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন আন্দ্রেয়া হাঁবিয়। ডান দিক থেকে বল ভাসিয়েছিলেন জুলস কৌন্ডে। হাঁবিয়কে মার্ক করেননি কোনও ইংরেজ ডিফেন্ডার। চলতি বলে হাঁবিয় জোরালো শট নিলেও পিকফোর্ড বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন। এর পর বেশ কিছু আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু কোনওটিই কাজে লাগাতে সফল হয়নি তারা।

উল্টে এগিয়ে যায় ফ্রান্সই। ৭৭ মিনিটের মাথায় ডেম্বেলের থেকে পাস পেয়ে সপাটে শট মেরেছিলেন জিহু। কিন্তু পিকফোর্ড সেটা বাঁচিয়ে দেন। পরের মিনিটেই বাঁ দিক থেকে গ্রিজম্যানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন জিহু। নাটকের তখনও বাকি ছিল। জিহুর গোলের চার মিনিট পরেই আক্রমণে উঠেছিল ইংল্যান্ড। ম্যাসন মাউন্টকে বক্সের মধ্যে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন থিয়ো হের্নান্দেস। ভার-এর সাহায্য দিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু হ্যারি কেনের শট বারের অনেকটা উপর দিয়ে উড়ে যায়। ম্যাচে ফেরার এটাই ছিল ইংল্যান্ডের কাছে সেরা সুযোগ। পরের দিকে আক্রমণ করলেও গোল করতে পারেনি তারা। একদম শেষ মুহূর্তে বক্সের বাইরে একটি ফ্রিকিক পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

   

শাইনপুকুরকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বের ১১ ও সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার খালিদ হাসান এবং তিনে নামা অমিত হাসানের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৫৮ বলে সমান ৫৮ রান আসে খালিদের ব্যাটে। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অমিত।

দলের অন্য ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে না পারায় ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে থামে তারা। আবাহনীর পক্ষে তিন উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান।

২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ২৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ১১০ রান করে বিজয় দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩২ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে শাইনপুকুর।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

টানা চতুর্থ হার নিগারদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন বৃষ্টি উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। তীব্র দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টি শরীর-মন ভিজিয়ে দিচ্ছে সবার। কিন্তু সিলেটে শিলাবৃষ্টি নিশ্চয়ই উপভোগ করেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি ও তার সতীর্থরা। আজ সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটিং ইনিংসের সময় দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে ম্যাচ। যার ফলে কুড়ি ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভার। এর মধ্যেই জয়ের জন্য ১২৫ রান তোলার চ্যালেঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছেন নিগাররা। ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫৬ রানের হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ তে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত। ডিএলএস পদ্ধতিতে ১২৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ১২০-এর ঘর ছুঁতে না পারা বাংলাদেশের জন্য যে এই লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিল না। ব্যাটিংয়ে নামতেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা।

দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি ওপেনার দিলারা আক্তার (২১), তিনে নামা রুবাইয়া হায়দার (১৩) ও শরিফা খাতুন (১১*) বাদে অন্য ব্যাটাররা। এমন ব্যাটিং দিয়ে তো ১৪ ওভারে ১২৫ রান তাড়া করা যায় না। বাংলাদেশও পারেনি। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৬৮ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডিতে খেলবে শক্তিশালী কোরিয়া-পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

২০২১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। নিয়মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের বর্ষপঞ্জিতেও অর্ন্তভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশের এই প্রতিযোগিতা। এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ২৩ থেকে ৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া এই তিন মহাদেশের ১১টি বিদেশি দলের সাথে অংশ নিবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইউরোপের পোল্যান্ড, আফ্রিকার কেনিয়া এবং এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।

প্রথমবারের মতো অংশ নিবে সবশেষ দুই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড এবং এশিয়ান কাবাডির পরাশক্তি পাকিস্তান- আজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সভাকক্ষে বৈঠক শেষে জানান ডিএমপি কমিশনার ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, তিনি কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। বিভিন্ন কারণে আসছে না লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা, ইউরোপের ইংল্যান্ড ও এশিয়ার চাইনিজ তাইপে।

বিদেশি দলগুলো আসবে ২৩ ও ২৪ মে, ২৫ মে ম্যানেজার্স মিটিংয়ে হবে গ্রুপিং ও ফিকশ্চার। খেলা হবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে।

২০২১ সাল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তি। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরকে বর্ণিল রুপ দিতে চায় ফেডারেশন। সারাদেশে একযোগে কাবাডি উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে, হবে আতশবাঁজি- জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান গাজী মো. মোজাম্মেল হক।

প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল ৬টি দল। ২০২২ সালে দ্বিতীয় আসরে ৮টি ও ২০২৩ সালে তৃতীয় আসরে অংশ নেয় ১২টি দল। গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। প্রথম দুইবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। ২০২১ সালে ৩৪-২৮ ও ২০২২ সালে ৩৪-৩১ পয়েন্টে জিতেছিল লাল-সবুজ দল। আর গত আসরে চাইনিজ তাইপেকে ২৮-৪২ পয়েন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা। তিনবারই বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তুহিন তরফদার।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৪ ওভারে ১২৫ রান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। এখন ভারতের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াই চলছে। সে লড়াইয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জটা সহজ নয়। বৃষ্টির বাগড়ায় ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ১২৫ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে চান ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা দ্রুতলয়ে রান তুলতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। রাবেয়া খানের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে টার্নে পরাস্ত হন। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ২২ রান।

তবে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;