কাতারে প্রথম হ্যাটট্রিক পর্তুগালের গনসালো রামোসের

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপ ফুটবলে ৩২ বছর পর নকআউট পর্বে এবং কাতার বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক হয়েছে। হ্যাটট্রিক করেছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড গনসালো রামোস।

মঙ্গলবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই হ্যাটট্রিক করেন রামোস। ৬-১ গোলে ম্যাচ জিতে পর্তুগাল জায়গা করে নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রামোস। তবে শেষ ষোলোর ম্যাচে রোনালদোর বদলে শুরু থেকেই রামোসকে মাঠে নামান কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামার উপলক্ষ রঙিন করলেন পেশাদার ফুটবলে বেনফিকার হয়ে খেলা এই ফরোয়ার্ড। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।

বিশ্বকাপে পর্তুগিজদের পক্ষে হ্যাটট্রিক করা ফুটবলার চারজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৯৬৬ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ৪ গোল করা ইউসেবিও, ২০০২ আসরে গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পাওলেতা ও ২০১৮ আসরে গ্রুপ পর্বে স্পেনের বিপক্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

কেবল দেশীয় রেকর্ডই নয়, এই হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে আরও কিছু অর্জন যোগ হয়েছে রামোসের নামে। ২০০২ সালে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথমবার শুরুর একাদশে নেমেই হ্যাটট্রিক করলেন এই পর্তুগিজ।

এছাড়া বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সবশেষ হ্যাটট্রিক হয়েছে ১৯৯০ সালে। সেবার শেষ ষোলোয় কোস্টারিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার স্কুরাভি।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রামোসের প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের ১৭তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে জোয়াও ফেলিক্সের বাড়ানো বল ধরে দুরূহ কোণ থেকে দুরন্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন রামোস। ৫১তম মিনিটে ডান দিক থেকে দিয়োগো দালোতের পাস গোলমুখে পেয়ে টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রামোস। ৬৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষক সমারের ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে গত ১৭ নভেম্বর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে অভিষেক হয় রামোসের।

এরআগে পর্তুগাল অনুর্ধ্ব-১৯ ও অনুর্ধ্ব-২১ দলের হয়েও হ্যাটট্রিক করেছিলেন গনসালো রামোস।

   

জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৪ ওভারে ১২৩ রান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। এখন ভারতের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াই চলছে। সে লড়াইয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জটা সহজ নয়। বৃষ্টির বাগড়ায় ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ১২৩ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে চান ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা দ্রুতলয়ে রান তুলতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। রাবেয়া খানের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে টার্নে পরাস্ত হন। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ২২ রান।

তবের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

রেজার ইতিহাসগড়া বোলিংয়ে সাকিবদের উড়িয়ে দিলেন তামিমরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে শেষটা সুন্দর হয়নি সাকিব আল হাসানের শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংকের কাছে ১৯৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে তারা। প্রাইম ব্যাংকের রেজা একাই ৮ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শেখ জামালকে।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রাইম ব্যাংককে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শেখ জামাল। তামিম ইকবাল ২২ রান করে ফিরলেও আরও একবার দায়িত্বশীল ইনিংস উপহার দেন জাকির হাসান। সাকিবের বলে শফিকুল ইসলামের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে ৮৫ রান করেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক।

৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। তাদের ব্যাটে চড়ে ৫০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৭০ রান করে প্রাইম ব্যাংক। লিস্ট এ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে দুই উইকেট পান সাকিব। তার সমান দুটি করে উইকেট পান আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমানও।

তবে ২৭১ রান তাড়া করতে নেমে ৭১ রানেই গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। দলটির ব্যাটিং লাইনআপের উপর দিয়ে যেন স্টিম রোলার চালিয়ে দেন পেসার রাজা। স্রেফ ২৩ রান খরচায় তুলে নেন ৮ উইকেট। ‘গোল্ডেন ডাক’ দিয়ে ডিপিএল শেষ করেন সাকিব।

এই জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে ডিপিএল শেষ করেছে প্রাইম ব্যাংক। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তার পরের অবস্থানে শেখ জামাল।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

জয় দিয়ে ডিপিএল শেষ করল রানার্স-আপ মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বের শেষটা জয় দিয়ে করেছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫৩ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা।

সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডান-গাজী গ্রুপের ম্যাচটা ছিল লো স্কোরিং। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.৩ ওভারে ১৭৬ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। ৩৯ রান করে ওপেনার রনি তালুকদার। 

গাজী গ্রুপের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ওয়াসি সিদ্দিক। ৩ উইকেট যায় হুসনা হাবিব মেহেদীর ঝুলিতে।

জবাব দিতে নামা গাজী গ্রুপের হাল আরও বেহাল। নাঈম-নাসুম-মিরাজদের ঘূর্ণিতে ১২৩ রানেই ক্ষান্ত হয় তাদের ইনিংস। নাঈম হাসান তিনটি এবং নাসুম আহমেদ ও মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। দুই উইকেট পান পেসার মুশফিক হাসানও।

তাদের বোলিং তোপে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি গাজী গ্রুপের কোনো ব্যাটার। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে লেজের সারির ব্যাটার মাসুম খান টুটুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর পেছনে দ্বিতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে মোহামেডান। 

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদশের মেয়েরা। এখন চ্যালেঞ্জ সান্ত্বনার জয় তুলে নেয়ার। ধবলধোলাই এড়ানোর। ভারতের বিপক্ষ সে লক্ষ্য নিয়েই সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

সিলেটে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পর টস হয়। এর ফলে ম্যাচ শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ও ৪টা থেকে পিছিয়ে সোয়া ৪টায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশ একাদশ

দিলারা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, রুবাইয়া হায়দার, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), রিতু মনি, শরিফা খাতুন, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তার, হাবিবা ইসলাম ও স্বর্ণা আক্তার

ভারত একাদশ

স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি বর্মা, দয়ালন হেমলতা, হরমনপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), রিচা ঘোষ, সঞ্জনা সঞ্জীবন, দীপ্তি শর্মা, পূজা ভস্ত্রকর, আশা শোভানা, তিতাস সাধু ও রাধা যাদব

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;