খেলতে নামার আগে জোড়া সুসংবাদ ব্রাজিলের

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিল দলে দুঃসংবাদ যেন বসতি গেড়েছিল। দেশ থেকে একদিকে, অন্যদিকে কাতারে। সঙ্গে আছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হারের দগদগে ক্ষত!

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ফুটবলের রাজা পেলে, যেকোনো সময়ই ভয়াবহ সংবাদ! এদিকে আবার দলে একের পর এক ইনজুরির আঘাত, নেইমারসহ আরও কয়েকজনের বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কা।

শঙ্কাগুলো অবশেষে দূরীভূত হতে চলেছে। ব্রাজিল থেকে সুসংবাদ এসেছে পেলের শারীরিক অবস্থার। পেলে জানিয়েছেন তিনি দলের খেলা দেখছেন। ব্রাজিলের খেলা তাকে শক্তি জুগিয়েছে। আবার এদিকে টিম ডক্টর জানাচ্ছেন, নেইমার সুস্থ হয়ে ওঠেছেন, অনুশীলন করছেন। নেইমারও বলছেন, ভালো আছি। কোচ তিতে বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই নেইমারকে বিবেচনার কথা।

আজ সোমবার থেকে ব্রাজিলের নকআউট পর্ব শুরু হচ্ছে। শেষ ষোলোর প্রথম বাধা দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ার দেশটি গ্রুপ পর্যায়ের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে পর্তুগালের মতো দলকে পরাজিত করে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে।

ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বারবার এসেছে নেইমার প্রসঙ্গ, এসেছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হারের প্রসঙ্গ, এসেছে ফুটবল-সম্রাট পেলের প্রসঙ্গও। উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক থিয়েগো সিলভা।

গ্রুপ পর্বে কী হয়েছে সেটা আমরা ভুলে গেছি, আপনারাও ভুলে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এটা আমাদের নতুন ম্যাচ। ব্রাজিল দল তাদের সেরাটা দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাবে; আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন অধিনায়ক। তবে তিনি প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এও বলেছেন, কোরিয়ানদের গতি আছে, বল পাসিং ক্ষমতা আছে, ডিফেন্স আছে। তবে তাদের দুর্বলতা আমাদের জানা আছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে নেইমারের সুস্থতার খবরের পাশাপাশি পেলের শারীরিক অবস্থা বিষয়ক সুসংবাদ ব্রাজিল দলকে উজ্জীবিত করছে। ফুটবল কিংবদন্তি পেলের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম পোস্ট জানিয়েছে, তিনি ভালো আছেন। বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের ফুটবল খেলা দেখছেন তিনি। মাতৃভূমির ফুটবল দলের খেলাই তাকে শক্তি জুগিয়েছে। এই ফুটবল কিংবদন্তি আরও বলেছেন, তিনি অনেক আশাবাদী এবং মনোবল এখনো মজবুত।

অলিম্পিকে বড় ভুল: দক্ষিণ কোরিয়া পরিচয় হলো উত্তর কোরিয়ার নামে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বড় থেকে বড় নেতা অনেক সময় বিভিন্ন দেশের নামের মাঝে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জনসম্মুখে কম্বোডিয়া বলতে গিয়ে আফ্রিকার দেশ কলম্বিয়ার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। রাজনীতির মাঠে এমন প্রায়ই দেখা যায়। তবে খেলার মাঝে এমন নামের ভুল হতে খুব একটা দেখা যায় না। তাও আবার গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত আলিম্বিকের মতো মঞ্চে। 

প্যারিস অলিম্পিকে ঘটে গেল এমনি এক ভুল। গতকাল সিন নদীতে চলছিল মার্চপাস্ট। এমন সময় মাইকের মাধ্যমে উচ্চারিত হচ্ছিল অলিম্পিকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের নাম। কার্যত চলছিল পরিচয় পর্ব। এরই ধারাবাহিকতায় ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়া দল যখন জলযানে করে মার্চপাস্টে আসে, ধারাভাষ্যকার তাদের পরিচয় করিয়ে দেন পুরো ভুলভাবে। প্রথমে ফরাসি ভাষায় দক্ষিণ কোরিয়াকে বলা হয়, ‘রিপাবলিকে পপুলাইরে দেমোক্রাতিকে দে কোরে।’ পরে ইংরেজিতে বলা হয়, ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।’ এটা উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম। আর দক্ষিণ কোরিয়ার অফিশিয়াল নাম হচ্ছে রিপাবলিক অব কোরিয়া। 

এমন ভুলে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ' ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাম ঘোষণার সময় দক্ষিণ কোরিয়া দলকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় উত্তর কোরিয়া হিসেবে। 

তবে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) অবশ্য তাদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। নিজেদের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে কোরিয়ান ভাষায় এক পোস্ট করে তারা। যার বাংলা অনুবাদ ঠিক এমন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় দক্ষিণ কোরিয়া দলকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে যে ভুলটি হয়েছে, এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

বিশ্বকাপের আগে আমরা ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করব: জ্যোতি 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর বাংলাদেশে। আগামী অক্টোবরে শুরু হবে বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটি। ঠিক আগেই এখন চলছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই, এশিয়া কাপ। সেখানে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনটা সেমি-ফাইনালে এসে শেষ করল জাহানারা-জ্যোতিরা। আসরের প্রথম সেমিতে শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। দলীয় ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের সামনে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল লক্ষ্যটা দিয়েছিল স্রেফ ৮১ রান। যা অনায়াসেই তুলে নেয় হারমানপ্রীত করের দল। 

ভারতের বিপক্ষে মুর্শিদা-জ্যোতিদের এই ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। তবে আসছে বিশ্বকাপের আগে এই ব্যাটিং দুর্দশাসহ বাকি ভুলগুলোও শুধরে নিতে যায় জ্যোতিরা। 

ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে স্রেফ ৮০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ১১ ওভারেই পৌঁছে যায় ভারত, কোনো উইকেট না হারিয়েই। আসর থেকে এমন হতাশাজনক বিদায়ের পর 

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জ্যোতি বলেন, ‘তারা (ব্যাটাররা) ভালো ইনিংস খেলতে সক্ষম। তবে ভারতের বিপক্ষে ব্যাপারগুলো ভিন্ন ছিল। আমাদের ব্যাটিংয়ে কাজ করতে হবে। কারণ সেখানেই আমরা হেরে যাচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে আমরা আমাদের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করব।’

গতকালের ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার শুরুটা হয়েছিল টপ-অর্ডারেই। এবং সেখানেই মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ে বলে জানান জ্যোতি। ‘আমরা মূলত কি চেয়েছিলাম সেটাই বুঝতে পারিনি। পাওয়ারপ্লেতে অনেক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। টপ অর্ডাররা যখন রান না করে, দলের পক্ষে তখন রান তোলা কঠিন হয়ে যায়। এটা মানসিক ব্যাপার।’

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

শরিফুল উজ্জ্বল ও সাকিবের নিষ্প্রভ দিনে হারল বাংলা টাইগার্স 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডায় বল হাতে শরিফুল ইসলামের শুরুটা হলো অসাধারণ। এর আগে অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেললেও কানাডার এই টুর্নামেন্টের এটি ছিল শরিফুলের প্রথম ম্যাচ। সেখানে ইনিংসে প্রথম ওভারেই পড়ল বোলিংয়ে ডাক। নেতৃত্বে আবার তারই স্বদেশী সাকিব আল হাসান। সব মিলিয়ে চাপটা কিনা একটু বেশিই ছিল! প্রথম বলটিই দিয়ে বসলেন ওয়াইড। তবে সেখান থেকে দারুণভাবে ফিরে করলেন মেইডেন ওভার। পরে নিলেন একটি উইকেটও। তবে শরিফুলের এই মিতব্যায়ী দিনে ব্যাটে-বলে দুইয়েই নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান। 

দুই স্বদেশীর ব্যতিক্রম এই পারফর্মের দিন তাদের দলও অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি তাদের দল। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মন্ট্রিয়েল টাইগার্সের কাছে ৩৩ রানে হারে বাংলা টাইগার্স মিসিসাগার। 

গতকাল ব্রাম্পটনে আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট ১৮৯ রান তোলে মন্ট্রিয়েল। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ একপ্রান্ত আগলে এগোতে থাকলেও আরেক প্রান্তে ব্যাটাররা ছিল যাওয়া-আসার মধ্যেই। তিনে নেমে সাকিব ফেরেন কেবল ৩ রান করে। পরে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৬৪ রান করে গুরবাজ ফেরার পর আরও কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। জয়ের জন্য তখন ৫৫ বলে ৯৩ রান প্রয়োজন ছিল সাকিবদের, উইকেট হাতে ছিল ৭টি। তবে ইফতিখার আহমেদের ২৪ বলে ২৮ রান বাদে বাকি সবাই ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরেই। এতেই ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে বাংলা টাইগার্স। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে অ্যাশটন অ্যাগার ও দিলপ্রীত বাজওয়ার সমান ৪১ ও টিম সেইফার্টের দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রানের চড়ে ১৮৯ রানের ভালো সংগ্রহ পায় মন্ট্রিয়েল। এদিকে ২২ বলে ৪০ রানের এক দারুণ ক্যামিও খেলেন বেন মানেনতি। এতে কেউ ফিফটির দেখা না পেলেও ৪০-ঊর্ধ্বে রান করেছেন চার ব্যাটার। 

সেখানে বল হাতে বাংলা টাইগার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ডেভিড ভিসা। ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে শরিফুল নেন ১ উইকেট। তবে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য।  

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

ছবির দেশে, কবিতার দেশে অলিম্পিকের রোশনাই



নেয়ামত উল্লাহ
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্যারিস। স্থানীয় উচ্চারণে ‘পাগি’। শহরটার কথা শুনলে আপনার চোখে কী ভেসে ওঠে? আইফেল টাওয়ার? ল্যুভ মিউজিয়াম? 

শেষ কিছু দিনে এ দুই স্থাপনার আশপাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও আপনি দেখতে পাবেন তাদের গায়ে একটা লোগোর উপস্থিতি। পাঁচ রঙা পাঁচটা বৃত্ত একে অপরকে জড়িয়ে। এ চিহ্নটাও আপনি চেনেন। অলিম্পিকের চিহ্ন এটা। দুয়ের মিশেল নিরবে জানান দিচ্ছিল, প্যারিসে আসছে অলিম্পিক। 

প্যারিসকে বলা হয় সারাবিশ্বের শিল্পের রাজধানী। কবিদের, শিল্পিদের দেশ নাকি থাকে দুটো, একটা তার মাতৃভূমি আরেকটা এই প্যারিস। আপোলিনিয়নেয়ার, মোপাসা, শার্ল বোদলেয়ার, ভিক্টর হুগোদের শহরে, দেশে ঘুরে সুনীল গঙ্গোপধ্যায় যার নাম দিয়েছিলেন ‘ছবির দেশ, কবিতার দেশ’। সে ছবির দেশে, কবিতার দেশে অলিম্পিক ২০২৪ বোধিত হলো গত রাতে। সেখানেও স্বকীয়তা রইল। রোশনাই ছড়িয়ে, জমকালো সব আয়োজনে অলিম্পিকের আবাহন ঘোষিত হলো সেন নদীর পাড়ে। 

শেষ বার এই প্যারিস যখন অলিম্পিক আয়োজন করেছে, তখন আর এখনকার বিশ্বের চেহারা পাশাপাশি ধরলে চেনাই যাবে না। মাঝে একটা প্রলয়ঙ্করী মহাযুদ্ধ দেখে ফেলেছে পৃথিবী, একটা স্নায়ুযুদ্ধের দেখা মিলেছে, পরাশক্তি ভেঙে নতুন কতশত দেশ হয়েছে, মানুষের দিনযাপনে যুক্ত হয়েছে কতশত প্রযুক্তি… তার মাঝেও প্যারিস রয়ে গেছে তার আগের মোহনীয় চেহারাতেই। শিল্পগুণের বিচারে আলাদা কদর ছিল এই শহরের। এতটাই যে শাসকদের (পড়ুন ‘আগ্রাসক’) যুদ্ধ মানসিকতাও এতে বিন্দুমাত্র ছেদ ফেলতে পারেনি। একটা মহাযুদ্ধেও তাই সসম্মানে অক্ষত রয়ে গেছে প্যারিস। 

শেষ অলিম্পিকটা এখানে হয়েছিল ১৯২৪ সালে। সে অলিম্পিকের সময় চার্লস কস্তের বয়স ছিল মাসতিনেক। এরপর তিনি বড় হয়ে ফ্রান্সকে অলিম্পিক সোনা এনে দিয়েছেন। ঢুকেছেন ইতিহাসের পাতায়। ফ্রান্সের অলিম্পিক সোনাজয়ীদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিটি এখন তিনি। ২০২৪ সালে এসেও তিনি জানান দিয়েছেন নিজের উপস্থিতি। হুইল চেয়ারে করে এলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এরপর তার হাত থেকে নিয়ে জ্বালানো হলো অলিম্পিকের মশাল। তার আগে ফরাসি ফুটবল কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান স্তাদ দে ফ্রান্স থেকে মশাল দৌড় নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তাই এসে শেষ হয় কস্তের হাত হয়ে। 

সেন নদী ধরে একের পর এক কন্টিনজেন্ট এসে হাজির হয়েছে অনুষ্ঠানে। অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রীস, এরপর শরণার্থীদের দল নৌকায় করে এসেছে শুরুতে। তার পর থেকে বর্ণানুক্রমিকভাবে একে একে সব দেশ এলো অনুষ্ঠানটাতে। 

ফ্রান্স অবশ্য শুধু ছবির দেশ কবিতার দেশই নয়। এখানে নেপোলিওন, জন অফ আর্কের মতো মানুষদেরও তো উপস্থিতি ছিল সরবে। প্রায় ৬ শতক পর জন অফ আর্ককেও ফিরিয়ে আনা হলো গত রাতে। না জন অফ আর্ক নিজে নন, তার সাজে একজন এলেন অনুষ্ঠানে। রুপালি পোশাক গায়ে চড়িয়ে, রুপালি হুডিতে মুখ ঢেলে ধাতব ঘোড়ার পিঠে চড়ে সেন নদীর ওপর দিয়ে এলেন তিনি। পিঠে থাকা অলিম্পিকের পতাকাটা অর্পণ করলেন মঞ্চে।

এ অনুষ্ঠানে গতকাল সেলিন ডিওন এসেছিলেন। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসমাগমে পারফর্ম করেন তিনি। তার আগে পরে লেডি গাগা, আয়া নাকামুরাদের মতো বিশ্ববরেণ্য শিল্পীরাও এসে মাতিয়েছেন মঞ্চ। তার আগে পরে সেন নদীর আশেপাশে বাসার ছাদও দেখেছে নৃত্যশিল্পীদের নান্দনিক সব নাচ।

প্যারিসের সৌন্দর্য্যের কারণে এবারের অলিম্পিক নান্দনিকতার পরাকাষ্ঠা আগে থেকেই ছিল। গত রাতে যখন এখানে যখন শিল্প আর ইতিহাসও এসে যুক্ত হলো, তা যেন নতুন মাত্রাই পেয়ে গেল। শিল্পের সঙ্গে বৃষ্টির যেন কোথায় একটা যোগ আছে। গতকাল প্যারিসের আকাশ কেঁদে জানান দিল, এবারও সে যোগটা টুটে যায়নি একটু। 

অলিম্পিকের নিজেরও অবশ্য একটা উদ্দেশ্য আছে। সেটা গোটা বিশ্বকে এক সূত্রে গাঁথা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে সেটা জানালেন আরও একবার। শুধু কথায় নয়, কাজেও সেটা করার চেষ্টা করেছে আইওসি। ৫২৫০ জন প্রতিযোগী এবার খেলছেন অলিম্পিকে, অর্ধেক তার নারী, অর্ধেক তার পুরুষ। ইতিহাসে এমন সাম্য আর কখনো দেখা যায়নি অলিম্পিকে। 

আলোর রোশনাইয়ের নিচে অন্ধকারও ছিল বৈকি। এ অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ আগে প্যারিসের রেলে দুর্বৃত্তদের হামলা আয়োজনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন অ্যাথলেটরাও তুলেছেন। তবে তীব্র নিরাপত্তার জালে ঢেকে গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটাকে ভালোভাবে শেষ করেছেন আয়োজকরা। 

এ অনুষ্ঠানের মতো এখন বাকি টুর্নামেন্টটাও এমনই অনিন্দ্য সুন্দরভাবে শেষ হোক, আয়োজকরা নিশ্চয়ই তাই চাইবেন।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;