মিরোস্লাভ ক্লোসা থেকে রোনালদো-মেসিরা কত দূর?

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিরোস্লাভ ক্লোসা,  রোনালদো, মেসি

মিরোস্লাভ ক্লোসা, রোনালদো, মেসি

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানির স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৬টি বিশ্বকাপ গোল তার। বিশ্বকাপে ক্লোসা ২৪ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ গোলদাতার অনন্য কীর্তি গড়েছেন।

এরআগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনাল্ড লিমা, ফেনোমেনন বলে খ্যাতি ছিল যার। বিশ্বকাপে রোনাল্ডো লিমার গোলসংখ্যা ১৫। এছাড়া জার্মানির জার্ড মুলার ১৩ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল; ফ্রান্সের জাস্ট ফন্তেইন বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল, এবং তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ফুটবল-সম্রাট পেলে বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল।


পেলে থেকে শুরু করে মিরোস্লাভ ক্লোসার সকলেরই ফুটবল ক্যারিয়ারের গৌরবময় সমাপ্তি ঘটেছে। তাদের গড়া রেকর্ড ভাঙার সুযোগ এখন অন্যদের। এই সময়ে এই তালিকার আগেভাগে আছেন জার্মানির টমাস মুলার, উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেস, পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, ব্রাজিলের নেইমার জুনিয়র এবং আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। তারা কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়েছেন।

ক্লোসার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড আদৌ ভাঙবে, কবে ভাঙবে, কে হতে যাচ্ছেন নতুন রেকর্ডধারী— প্রশ্নগুলোর উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে তুলনামূলক বিচারে যে তালিকা করতে পারি সেখানে প্রথম নাম আসতে পারে টমাস মুলারের। জার্মান এ ফুটবলার কাতার বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপে গোল করেছেন ১০টি; ম্যাচ খেলেছেন ১৬টি। এরপর নাম আসতে পারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লুইস সুয়ারেসের। এই দুই ফুটবলারের নিজেদের নামের পাশে লিখা আছে ৭টি করে বিশ্বকাপ গোল। সুয়ারেস এই ৭ গোল করতে বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলেছেন ১৩টি, অন্যদিকে রোনালদো খেলেছেন ১৭ ম্যাচ।

কাতারে খেলতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে ৬ গোল করা ফুটবলার আছেন আরও তিনজন। হ্যারি কেইন, নেইমার জুনিয়র ও লিওনেল মেসি। ৬ গোল করতে কেইনের লেগেছে মাত্র ৬ ম্যাচ, ম্যাচপ্রতি একটি করে গোল তার। অন্যদিকে নেইমার ১০ ম্যাচ খেলে করেছেন সমসংখ্যক গোল, আর লিওনেল মেসির ৬ গোল করতে ম্যাচ লেগেছে ১৯টি।


টমাস মুলার

জার্মানি ২৩ নভেম্বর গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে জাপানের বিপক্ষে। এরপর স্পেনের বিপক্ষে ২৮ নভেম্বর এবং কোস্টা রিকার বিপক্ষে খেলবে তারা ডিসেম্বরের ২ তারিখে। বড় আসরে জার্মানি তাদের সেরা খেলাটাই খেলে বলে মনে করা হয়ে থাকে। তাদের বিশ্বকাপ রেকর্ড সে কথাই বলে। ব্রাজিলের পর জার্মানিই বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দল। ক্লাব ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে আলো ছড়ানো টমাস মুলার বিশ্বকাপে তার সেরাটা দিতে পারলে কে জানে তিনিই হয়তো মিরোস্লাভ ক্লোসার রেকর্ডের আরও কাছে কিংবা রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ডের মালিক হয়েও যেতে পারেন।

জার্মানির হয়ে এ পর্যন্ত মুলার ১১৮ ম্যাচে করেছেন ৪৪ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ৯৯ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ৫ বার; লালকার্ড দেখেননি একবারও।


লুইস সুয়ারেস

লুইস সুয়ারেস বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭ গোল করা ফুটবলার। উরুগুয়ের হয়ে এ পর্যন্ত সুয়ারেস ১৩৪ ম্যাচে করেছেন ৬৭ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ১২৬ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ১৮ বার; লালকার্ড দেখেছেন ২ বার।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে উরুগুয়ের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল ও ঘানা। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২৪ নভেম্বর, ২৯ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর।


ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ফুটবলার ধরা হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন-গড়েছেন এই পর্তুগিজ। জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড রোনালদোর। গত বছর ভেঙেছেন তিনি ইরানের আলী দাইয়ির ১০৯ গোলের রেকর্ড। বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে রোনালদোর নামের পাশে ১৯১ ম্যাচে ১১৭ আন্তর্জাতিক গোল। জাতীয় দলের হয়ে তিনি শুরুর একাদশে ছিলেন ১৭৮ ম্যাচ; ২৬ বার দেখেছেন হলুদকার্ড, একবারও দেখেননি লালকার্ড।

ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৮ শতাধিক গোলের একমাত্র রেকর্ডধারীও তিনি। পাঁচবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী এই ফুটবলার ২০০৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ মঞ্চে খেলেছেন চারবার। প্রতি বিশ্বকাপে গোল করা ফুটবলারও তিনি।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে পর্তুগালের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে ঘানা, উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২৪ নভেম্বর, ২৯ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর।

ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারলে খেলার সুযোগ হবে ৭ ম্যাচের। এই ম্যাচগুলো থেকে ক্লোসার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙার পর্যায়ে কি যেতে পারবেন তিনি, প্রশ্ন বটেই! তবে সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই রোনালদো। জাতীয় দলের পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এবার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না তিনি। পর্তুগালের হয়ে জিতেছেন তিনি উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা। নামটা রোনালদো বলেই সাম্প্রতিক ফর্মকে বিবেচনায় না দিয়ে তার শেষ দেখা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে বড় আসরে জ্বলে ওঠার অনেক উদাহরণ আছে তার!


হ্যারি কেইন

ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের অন্যতম ফুটবলার হ্যারি কেইন। বিশ্বকাপ মঞ্চে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি ঠিক, কিন্তু তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ছয়-ছয়টি গোল। কেইন প্রিমিয়ার লিগের টটেনহাম হটস্প্যারে খেলে থাকেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে এ পর্যন্ত হ্যারি কেইন ৭৫ ম্যাচে করেছেন ৫১ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ৬৪ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ২ বার; লালকার্ড দেখেননি একবারও।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলস। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২১, ২৬ ও ৩০ নভেম্বর। 


নেইমার জুনিয়র

ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের মিশন মূলত আবর্তিত হচ্ছে নেইমার জুনিয়রকে ঘিরে। নেইমার নিজেও বলছেন এই বিশ্বকাপটাই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ তার। শেষটা তিনি রাঙাতে চান রঙিন করে। ২০০২ সালে ব্রাজিল সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল এশিয়া থেকে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত হয়েছিল সে বিশ্বকাপ। সে বার ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রোনাল্ডো লিমা। ব্রাজিল সমর্থকদের বিশ্বাস নেইমার এবার রোনাল্ডোর মতো কিছু একটা করে দেখাবেন।

২০১৪ সালে নিজেদের দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপে যে ম্যাচে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে নাস্তানাবুদ হয়েছিল ব্রাজিল সে ম্যাচ খেলতে পারেননি নেইমার। আগের ম্যাচে কলম্বিয়ার জুনিগার কড়া ট্যাকলে শিরদাঁড়ার হাড় ভেঙে যায় তার। হাসপাতালে শুয়ে থেকে দেখেছিলেন দলের করুণ পরাজয়। বড় আসরে আগে ইনজুরির সঙ্গে সখ্য জমে তার। তবে এবার ইনজুরিমুক্ত তিনি। আছেন ভালো ফর্মেও। 

নেইমার জুনিয়র খেলেন ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। ব্রাজিলের হয়ে এ পর্যন্ত নেইমার ১২২ ম্যাচে করেছেন ৭৫ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ১১৭ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ২৯ বার; লালকার্ড দেখেছেন  একবার।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২৫ নভেম্বর, ২৮ নভেম্বর ও ৩ ডিসেম্বর।


লিওনেল মেসি

সাতবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী লিওনেল মেসি এবার তার দেশের বিশ্বকাপ খরা কাটাতে মরিয়া। ফর্মেও আছেন তিনি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলে ৬ গোল করেছেন তিনি। মিরোস্লাভ ক্লোসার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড তার থেকে অনেক দূরে হলেও মেসির মানের ফুটবলার নিজের সেরা ফর্মে থাকলে ফুটবলে আপাত অসম্ভব অনেক কিছুও সম্ভব হয়ে যেতে পারে।

ক্লাব ও জাতীয় দল দুই জায়গাতেই সফল লিওনেল মেসি। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৬৫ ম্যাচে করেছেন ৯০ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ১৪৯ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ৮ বার; লালকার্ড দেখেছেন ২ বার।

মেসির বর্তমান ক্লাব ফ্রান্সের পিএসজি। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর প্রথম মৌসুম বাজে ভাবে কাটলেও এ মৌসুমে ভালো ফর্মে আছেন তিনি। আর্জেন্টিনার পুরো দল তাকিয়ে আছে মেসির দিকে। ফুটবলবোদ্ধাদের কাছে অনেকদিনের রহস্য ছিল জাতীয় দলের হয়ে মেসির কোন শিরোপা না জেতা। এই খরা কাটিয়েছেন তিনি সবশেষ কোপা আমেরিকায়। দক্ষিণ আমেরিকাভিত্তিক ওই টুর্নামেন্ট আর্জেন্টিনা জিতেছে মেসির নৈপুণ্যে।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষরা হচ্ছে সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২২ নভেম্বর, ২৭ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর।

 

   

জিম্বাবুয়েকে তুড়িতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড এনগারাভার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সপাটে ছক্কা হাঁকালেন। ১০৩ মিটারের সে বিশাল ছক্কায় বল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যেন সাগরে আছড়ে পড়ল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশও অনেকটা একইভাবে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তাদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান।

রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দুজনই, লিটনের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৩, তানজিদ করেন ১৯ বল্রে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিলে ব্যাটারদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটে। তবে তাওহিদ হৃদয় ছিলেন ব্যতিক্রমী। সহজাত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৭ রান করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ১৬ বলে দুই চার এবং একটি বিশাল ছক্কায় ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) একই মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;