কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ সার্বিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোলে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। জোড়া গোল করে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। আর এতেই মেতে উঠে ব্রাজিল দলের সমর্থকরা।
বিশ্বকাপ ফুটবলের আঁচ পড়েছে তারকা অঙ্গনে। এদিকে বাংলা সংগীতের যুবরাজ আসিফ আকবর ব্রাজিল দলের সমর্থক। কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার আগে থেকেই নিজের উন্মাদনা নিয়ে সোশ্যালে নানা পোস্ট করছেন ‘ও প্রিয়া’ খ্যাত গায়ক।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় অনুষ্ঠিত ব্রাজিল-সার্বিয়ার ম্যাচ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন আসিফ আকবর। ম্যাচ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও সোশ্যালে এ নিয়ে পোস্ট করেছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ব্রাজিলের জয়ের পরে ফের সোশ্যালে পোস্ট করতে দেখা যায় তাকে। রাত সোয়া ৩টার দিকে ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আসিফ লেখেন, “ওকে থ্যাংক ইউ। জয় হোক সেলেসাও সাম্বা ফুটবলের। জয় হোক ফুটবল স্পিরিটের। ওয়েলডান তরুণ ব্রাজিল টিম।”
আরও লেখেন, “সমর্থন আর সমর্থক, নো প্রবলেম। হেক্সা মিশনের প্রাথমিক বিজয়ে সবাইকে অভিনন্দন। সফল হোক কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২।”
দেশের প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা মনোয়ার রাজধানীর বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই শিল্পীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেরী মনোয়ার। দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, "সম্প্রতি শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন ৮৯ বছর বয়সী মুস্তাফা মনোয়ার। শনিবার বিকেলে আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।”
সব্যসাচী এই শিল্পী একাধারে চারুশিল্পী, নাট্যনির্দেশক ও শিল্প গবেষক। বাংলাদেশের পাপেট শিল্পকে নতুন মাত্রা দেওয়া মুস্তাফা মনোয়ার কবি গোলাম মোস্তফার ছেলে।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০০৪ সালে একুশে পদক পাওয়া মুস্তফা মনোয়ারের ৮৯তম জন্মদিন ছিল গত ১ সেপ্টেম্বর।
বর্ণিল কর্মজীবনে আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন খ্যাতনামা এই শিল্পী। ১৯৯০ সালে টিভি নাটকের জন্য টেনাশিনাস পদক, ১৯৯২ সালে চারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে শিশু শিল্পকলা কেন্দ্র কিডস কালচারাল ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম কর্তৃক কিডস সম্মাননা পদক, ২০০২ সালে চিত্রশিল্প, নাট্য নির্দেশক এবং পাপেট নির্মাণে অবদানের জন্য শিশুকেন্দ্র থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
গুণি এ চিত্রশিল্পীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর যশোরের মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শ্রীপুরে। তিনি নাকোল গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা কবি গোলাম মোস্তফার পৈত্রিক নিবাস ছিল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। পাঁচ বছর বয়সে মা জমিলা খাতুন মারা যান। ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে বিজ্ঞানে ভর্তি হন। সেখানে তিনি পড়াশোনা না করে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টসে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।
১৯৬৫ সালে মেরী মনোয়ারের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে সাদাত মনোয়ার ও এক মেয়ে নন্দিনী মনোয়ার।
কর্মজীবন শুরু করেন পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে। পরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া জনবিভাগ উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ^ সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় নাম সেলেনা গোমেজ। তবে বর্তমানে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেছেন এই তারকা। কিছুদিন আগে যুক্ত হয়েছেন মার্কিন গায়িকা লিন্ডা রনস্ট্যাডের বায়োপিকে। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে এবারের অস্কারেও থাকবে সেরা অভিনেত্রী ক্যাটাগরীতে মনোনয়ন। পুরস্কার পেয়ে গেলেও অবাক হবার কিছু নেই। কেননা, এ বছরেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন ‘এমিলিয়া পেরেজ’ ছবির জন্য।
শুধু তাই নয়, তিনি যে এ সময়ে ভক্তদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা তা বোঝা যায় তার ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার সংখ্যা দেখলে। পৃথিবীর তাবত শোবিজ তারকাদের মধ্যে সেলেনা গোমেজের অনুসারী সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি (৪২৪ মিলিয়ন)। তিনি শুধু পিছিয়ে আছেন দুজন স্পোর্টস তারকা লিওনেল মেসির (৫০৪ মিলিয়ন) আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৬৩৮ মিলিয়ন) থেকে।
এবার জীবনের নতুন সাফল্য পেলেন সেলেনা। বিলিয়নিয়ার তারকাদের অত্যন্ত এলিট ক্লাবে উঠে এলো এই তারকার নাম। জনপ্রিয় মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেত্রী এবং উদ্যোক্তা সেলেনা গোমেজ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কনিষ্ঠ স্বনির্ভর বিলিয়নিয়ারের তালিকায় সম্প্রতি জায়গা করে নিয়েছেন।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ৩২ বছর বয়সী সেলেনার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১৩০০ কোটি ডলার।
ছোটবেলায় বার্নি এবং ডিজনি চ্যানেলের তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা সেলেনা গোমেজের বিপুল সম্পদের বেশিরভাগই এসেছে তার রেয়ার বিউটি’ নামক মেকআপ কোম্পানি থেকে। যা তিনি পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বর্তমানে এই কোম্পানিতে তার শেয়ার মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই ব্র্যান্ডের সাফল্য তাকে টেইলর সুইফট, রিহানা এবং কাইলি জেনারের মতো কনিষ্ঠ স্বনির্ভর নারী ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
এছাড়াও সেলেনা গোমেজ মানসিক স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ান্ডারমাইন্ড-এ বিনিয়োগ করার পাশাপাশি সংগীত, অভিনয়, সম্পত্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পার্টনারশিপ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করেন।
ব্লুমবার্গের তথ্য মতে, লুই ভুটোন, কোচ এবং পুমার মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে এন্ডোর্সমেন্ট চুক্তি থেকে গোমেজ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। তিনি হুলুর জনপ্রিয় সিরিজ ‘অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং’-এ অভিনয়ের জন্য প্রতি সিজনে কমপক্ষে ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এই সিরিজটি সম্প্রতি পঞ্চম সিজনের জন্য নবায়ন করা হয়েছে।
সেলেনা গোমেজের কণ্ঠে সর্বশেষ প্রকাশিত গান ‘সিঙ্গেল সুন’। এটি গেলো বছর প্রকাশ হয়েছিল।
‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ হলো ছোটপর্দার শিল্পীদের সংগঠন। ছোটপর্দায় যারা অভিনয় করেন তাদের অধিকার আদায়, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও সমস্যা সমাধানে কাজ করে এই সংগঠন। আর সংস্কারকামী শিল্পীরা হলেন সদ্য গড়ে ওঠা একটি গোষ্ঠী। বললে ভুল হবে না, সে সকল শিল্পীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে তাদের মধ্যে একাংশ হলো এই সংস্কারকামী শিল্পীরা।
এমন নয় যে অভিনয়শিল্পী সংঘের কেউ ছাত্রদের পক্ষে রাজপথে দাঁড়াননি। কিন্তু এই আন্দোলনে অভিনয়শিল্পী সংঘের যে ভূমিকা রাখার দরকার ছিলো না তারা পারেননি বলেও সম্প্রতি কথা উঠেছে। এমনকি এই সংগঠনের কোন কোন শিল্পী সরাসরি ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান করেছেন। ফলে অভিনয়শিল্পী সংঘ আস্থা হারিয়েছে খানিকটা। যার ফলে এই সংগঠনের কিছু সংস্কার দাবি করছে একদল শিল্পী।
সে বিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের কোন প্রতিক্রিয়া না পেয়ে আজ আরেকটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সংস্কারকামী শিল্পীদের পক্ষে জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন এই সংগনের নামে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন।
বাঁধন লিখেছেন, ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের সকল সদস্যের প্রতি আহবান করছি আপনারা প্লিজ সংগঠনের কাছে জানতে চান-
১. চলমান এই সংস্কারের আলাপের বিষয়টা আপনারা যারা সংগঠনের সদস্য আছেন কমিটির পক্ষ থেকে আপনাদের সাথে তারা শেয়ার করেননি কেন?
২. সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি রাষ্ট্রের ক্রাইসিস মূহুর্তে যে বিবৃতি প্রদান করেছে সেটার জন্য সাধারণ সদস্যদের অনুমতি নেওয়া হয়নি কেন?
৩. এখন যে তারা বলছেন, তারা তখন এত কিছু করেছেন সেটা সকল সাধারণ অভিনয়শিল্পী জানে না কেন?
৪. কেন তারা ‘আলো আসবেই’ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এমন আলোচনা হচ্ছে জেনেও গণহত্যাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন?
৫. তারা কেন প্রতিবাদ করেননি জোরলোভাবে?
৬. কেন একটা ন্যাশনাল ক্রাইসিসে তারা এমন আচরণ করবেন?
৭. আমরা তাদের আমাদের প্রতিনিধি মনে করি। আমরা তাদেরকে দেশের সকল অভিনয়শিল্পীর প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য করি। প্রতিনিধিরা এমন কেন হবে যে অন্যায়কে সমর্থন করে?
৮. কোন দল কী করছে সেটার দায় শিল্পী কেন নেবে?
৯. এটা তো গঠনতন্ত্রের বিরোধী। এটা তো একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তাহলে কিভাবে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির পাপেট হয়ে গেল এই সংগঠন?
১০. সাধারণ কিছু অভিনয়শিল্পী সংগঠনের সাথে বসতে চাইলেন যখন তাদের মতামত প্রকাশের জন্য, তখন সেই বিষয়ে তারা কেন আপনাদের সাথে আলাপ করলেন না?
১১. জানতে চান, সংগঠন কেন পেশাদার অভিনয়শিল্পী হিসেবে যে স্বার্থ, মর্যাদা, অধিকার রক্ষার দায়িত্ব গঠনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে নিলেন, সেই দায়িত্বে তারা ব্যর্থ হলেন কেন?
১২. একটা ক্লোজ ডোর বৈঠক করতে চাওয়া হয়েছিলো, দুই পাশে দুটি ক্যামেরা। সবাই সবার প্রতি সম্মান রেখে কথা বলার আহবান জানানো হয়েছিলো। তারা সেখানে কেন কে সদস্য আর কে সদস্য না সেটার প্রশ্ন তুললেন?
১৩. অভিনয়শিল্পীরা তো অভিনয়শিল্পী সংগঠনের সাথেই কথা বলবে। অন্য কারো সাথে না। সেটাকে তারা সম্মান দেখালেন না কেন?
১৪. এটা শুধু আমার, ওনাদের, তোমার, এমনটা হবে কেন?
১৫. আমরা একটা কেমন সংগঠন দেখতে চাই- সেই ভিশন শেয়ার করার সুযোগ কেন থাকবে না?
১৬. এটাতো সকল দৃশ্যমাধ্যমের পেশাদার অভিনয়শিল্পীদের একমাত্র সংগঠন হওয়ার কথা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। তাহলে সেটা এখনো কেন হলো না?
১৭. অধিকাংশ অভিনয়শিল্পী কেন জানেন না যে আসলে সংগঠন এর কাজ কি? কি হবে এটা করে? এটার সদস্য কেন হবেন? সেই আগ্রহ এ সময়ের অভিনয়শিল্পীদের তৈরি হচ্ছে না কেন?
১৮. কেন গ্লোবালি এই সংগঠনটা ডেভেলপড হয়নি এতদিনেও?
১৯. কেন এতদিনেও স্বীকৃতি পায়নি যে অভিনয় একটি পেশা? কোথায় আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি?
২০. কেন এই সংগঠনের যা যা করার কথা ছিলো, কেন তারা তা করতে পারেননি?
২১. কেন আমরা লজ্জিত হলাম, অপমানিত হলাম? এটা কি কার্যকরী কমিটির ব্যর্থতা নয়?’
সব প্রশ্ন শেষে বাঁধন লেখেন, ‘আমাদের সম্মানহানির দায় সংগঠনের সকল ডিসিশন মেকারের। তাই আমরা এই সকল জিজ্ঞাসায় ওই পুরো কমিটিকে ক্লোজড ডোরে আমরা জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলাম। যাতে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিত সৃষ্টি না হয়। তারা কি করলেন, বিভেদ তৈরি করলেন। যেহেতু আপনারা বিভেদকারী এবং আপনাদের সকল অভিনয়শিল্পীর সাথে মুখোমুখি আলোচনায় বসার সদিচ্ছা নাই, আপনাদের আহবান জানাচ্ছি প্লিজ দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
চলেন সবাই মিলেমিশে সকল দৃশ্যমাধ্যমের পেশাদার অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে একত্রিত করে সংগঠিত হয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের সকল স্বার্থ, অধিকার এবং মর্যাদা নিশ্চিত করি। আমাদের বর্তমান সংগঠনটিকে সুন্দর করে এমন একটা সংগঠন বানাই যেটা সকল অভিনয়শিল্পীর ছায়া হবে। একসঙ্গে। ভেদাভেদহীন। অভিনয়শিল্পী পরিচয়ে। শিল্পীদের সকল অধিকার, স্বার্থ, মর্যাদা রক্ষা যদি সংগঠন নিশ্চিত করে তাহলেই না অভিনয়শিল্পী নিশ্চিন্তে শুধু অভিনয়টাই করতে পারবে। আসেন সবাই মিলে জানতে চাই। সংগঠনকে প্রশ্ন করি।’
ভাই-বোনের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিদিন কতো মানুষ তার ভাই বোনের জন্য কতো কী করছে তার ইয়ত্তা নেই। তেমনি এক সাধারন ভাই বোনের গল্প নির্মিত হয়েছে বলিউডের সিনেমা ‘জিগরা’। মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুপারস্টার আলিয়া ভাট।
আজ ছবিটির ট্রেইলার মুক্তি পেয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্মা প্রোডাকশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। আলিয়া ভাটও তার ইন্সট্রাগ্রাম আইডিতে ট্রেইলারটি শেয়ার করেছেন। চার ঘণ্টায় এটি দেখেছে দেড় মিলিয়ন মানুষ।
প্রায় তিন মিনিটের ট্রেইলারটি যেন আলিয়াময়। এটা হওয়ারই কথা, কারণ ছবিটিতে তিনি ছাড়া আর কোন বড় তারকা নেই। তার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভেদাং রায়না। যাকে এর আগে কেবলমাত্র জয়া আখতার পরিচালিত নেটফ্লিক্স সিনেমা ‘দ্য আর্চিজ’-এ দেখা গেছে শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা, শ্রীদেবীর কন্যা খুশি কাপুর আর অমিতাভ বচ্চনের নাতি আগস্তা নন্দার সঙ্গে। যদিও সবার মধ্যে ভেদাং রায়নাই বেশি নজর কেড়েছিলেন। যার ফলে আলিয়ার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পান ‘জিগরা’তে।
বাবা মা বেঁচে নেই। আত্মীয়দের কাছে অযত্নে মানুষ। একমাত্র ছোট ভাই বিদেশে পুলিশের হাতে গ্রেফতার। ভাইটির হাতে সময় একেবারেই কম। একমাত্র যক্ষের ধন ‘ভাই’কে ছাড়িয়ে আনতে অসাধ্য সাধন করতে প্রস্তুত আলিয়া। ভাইকে বাঁচাতে তার নিরন্তর চেষ্টা দর্শকের হৃদয় ছুয়ে গেছে।
ট্রেইলার দেখে ভারতীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এরইমধ্যে বেশকিছু ভিডিও নির্মাণ করেছেন। এছাড়া রয়েছে দর্শকের মন্তব্য। সবখানে শুধু আলিয়ার প্রশংসা।
ইউটিউব কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘হাইওয়ে সিনেমা (আলিয়ার ক্যারিয়ারের এক দশক আগের ছবি) দেখেই বুঝেছিলাম আলিয়া একদিন বলিউডে রাজত্ব করবে।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আলিয়ার তুলনা শুধুই তিনি।’
আরেক দর্শকের মন্তব্য, ‘আলিয়া দিন দিন এতোটাই দক্ষ হয়ে উঠছেন যে আর প্রতিযোগিতা শুধুই তার সঙ্গে।’
একজন দর্শক এটাও লিখতে ভোলেননি, ‘রণবীর কাপুর আর আলিয়া ভাট তারকা সন্তান হলেও (অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌতসহ একদল নেটিজেন মনে করেন বলিউডের তারকা সন্তানদের কোন মেধা নেই। তারা বাবা মায়ের নাম ভাঙিয়ে অভিনয়ে আসে এবং বড় বড় সুযোগ পায়) তাদের অভিনয়প্রতিভা অসামান্য।’
পুরো ট্রেইলার জুড়ে অ্যাকশন অবতারে দেখা গেছে আলিয়াকে। অভিনেত্রীকে কখনও দেখা গেছে বুলেট ছুঁড়তে, কখনও মারামারি করতে, আবার আবার গাড়ি নিয়ে স্টান্ট করতে। একটি ডায়লগ রয়েছে, ‘এখন আর হিরো হওয়ার দরকার নেই, এখন বেঁচে বেরোতে হবে’। তাতে আলিয়ার চরিত্র বলছে, ‘এখন হিরো তো আমি হবই’। সেই সঙ্গে ট্রেলার জুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে, ‘ফুলো কা তারকা, সাবকা কেহেনা হ্যায়, এক হাজারো মে মেরি বেহেনা হ্যায়’ গানটি। যা কিশোর কুমারের গাওয়া, দেব আনন্দের সিনেমা হরে ‘রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবিতে প্রদর্শিত হয়েছিল। খুব সুন্দরভাবে ট্রেইলারে ফুটে উঠেছে ভাইবোনের কেমিস্ট্রি।
ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত ‘জিগরা’র প্রযোজনাতে রয়েছে আলিয়ার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইটারনাল সানশাইন প্রোডাকশনসও। ছবিটির পরিচালক ভাসান বালা, যিনি এর আগে ‘মনিকা ও মাই ডার্লিং’, ‘পেডলার্স’ এবং ‘মরদ কো দরদ নেহি হোতা’র মতো সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন। আগামী ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি।