এখন মহানন্দে চোখের পলকে হোন পদ্মাপার!

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার



মানসুরা চামেলী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এখন মহানন্দে চোখের পলকে হোন পদ্মাপার!

এখন মহানন্দে চোখের পলকে হোন পদ্মাপার!

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ণিল রঙে রঙিন পদ্মার আকাশ, চারিদিকে উল্লাস ধ্বনি। স্বপ্ন ছুঁয়ে যাচ্ছে শিরদাঁড়া! গর্ব ও অর্জনে উদ্বেলিত হৃদয়। শিবচর, জাজিরায় মানুষের স্রোতের ঢেউ উঠেছে। সবার কণ্ঠে জয়গান।

এ যেন পরম মহেন্দ্রক্ষেণ। টোল প্লাজায় ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন পদ্মা সেতুর স্বপ্ন কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন যাত্রী হয়ে পরিশোধ করেন টোল। মাওয়া প্রান্তের ফলক উন্মোচন করে প্রবেশ করলেন স্বপ্ন সেতু পদ্মায়। তিনি হয়ে গেলেন ইতিহাসের সাক্ষী। উন্মোচিত হলো দক্ষিণের দ্বার, খুলে গেল সম্ভাবনার দুয়ার।

ঘড়ির কাটায় যখন ঠিক বেলা ১২টা, পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেতু পাড়ি দেন তিনি।


স্বপ্ন ছোঁয়ার এই ক্ষণে একটাই কথাই মনে হলো অনেক হয়েছে অপেক্ষা, আর না, এবার কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতার ভাষায় গেয়ে উঠি- ‘এখন আর অপেক্ষা কিসের?/যান, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে/ এখন --মহানন্দে,-- মহাসুখে,/ চোখের পলকে হোন পদ্মাপার।’

গোটা দেশ আজ পদ্মা সেতুর উৎসবে মাতোয়ারা। ঐতিহাসিক এ দিনে লাখো জনতা পদ্মার পাড় শিবচরে গিয়ে মিলিত হয়েছেন। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের এই সেতুর উৎসবে যোগ দিয়েছেন। সকাল ৮টার মধ্যে জাজিরা ও শিবচরের অন্তত চারটি ইউনিয়নের সড়ক লোকে-লোকারন্য হয়ে যায়। গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ধরে মানুষ সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষে পদ্মার তীরের ৬ কিলোমিটার এলাকা ভরে যায়।

পদ্মা সেতু নির্মাণ যেন এক মহাকাব্য। নানা সমালোচনা বাধা পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ। পদ্মা সেতু সাথে জড়িয়ে আছে জাতির আবেগ। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্ন। এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি লাঘাব হলো তাদের।


শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলেও রোববার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। দক্ষিণের জেলা ফরিদপুরের বাসিন্দা আজিজুল বিশ্বাস। পদ্মা সেতু চালু হওয়া ঈদের আনন্দে হচ্ছে তার। উন্মুখ হয়ে আছেন সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য।

আজিজুল বিশ্বাস বলেন, কি আনন্দ হচ্ছে বলে বোঝানো যাবে না। কালকেই সকালে সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাব।

পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগ খাত নয়, পরিবর্তন আসবে কৃষিতে, গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা। তাই কৃষকরা দিন গুণছেন তাদের নতুন দিনের। শিবচরে সমাবেশে যোগ দিতে এসে কৃষক বজলুর রহমান জানান, শিবচর থেকে পণ্য নিতে কি যে কষ্ট করতে হয়েছে বলে বোঝানো যাবে না। আজ পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এক ঘণ্টায় ঢাকা ভেতরে সবজি নিয়ে যাব। এতে খরচ বাঁচবে, লাভ বেশি হবে।

মাদারিপুরের বাসিন্দা পপি মন্ডল স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ভোগের ভয়ে কখনই আমি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া হয়ে যেতে চাই না। মাওয়া হয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্পিডবোট পার হতাম। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হলে কি যে ভয় লাগ বলে বোঝাতে পারব না। আজকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়ে, আমি আসলে বলতে পারব না এ অনুভূতি কেমন।    


আজকের দিনটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য সত্যিই বিশেষ বলে জানালেন বরিশালের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম।

তিনি বললেন, নিজে যেমন ভোগান্তির শিকার হয়েছি। তেমন মানুষের ভোগান্তি দেখেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হত পদ্মা পাড়ি দিতে। পদ্মা সেতু হওয়ায় এই দুর্বিসহ কষ্টের লাঘাব হলো। আজকে তাই বিশেষ একটা দিন আমাদের জন্য।

প্রসঙ্গত, নানা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ২০১৪ সালে নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতুর কাজ শুরু হয়। গত বুধবার (২২ জুন) সেতুর নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ করে তা সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে দেশের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে দৃশ্যমান হয়।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

লোডশেডিং গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং যেন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। রোদ ও ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং চলছে। আর ঢাকার বাইরে খেয়ালখুশিমতো লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বলছেন, ‘বিদ্যুৎ এখন যায় না, মাঝেমধ্যে আসে।’

এবিষয়ে খিলক্ষেতের বাসিন্দা আফসানা রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তার ওপর বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এর ফলে বাচ্চা নিয়ে প্রচণ্ড গরমে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতির মধ্যে একটু প্রশান্তির আশায় ভিড় বাড়ে শরবত ও জুসের দোকানে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া এই মানুষেরা বলছেন, তীব্র গরমে কমেছে রোজগার।

শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে।

তবে রাজধানীর বাইরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ। কোনো কোনো জেলায় বিদ্যুৎ থাকছে না দৈনিক গড়ে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ঘাটতির কারণেই লোডশেডিং বলছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অনুভূত ছিল ৪২ ডিগ্রি। এর আগে রাজধানীতে জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৪ সালে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতর তাদের আগামী এক মাসের দেওয়া পূর্বাভাসে বলেছে, এই জুন মাসে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ৮ জুন নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। জুন মাসে কম বৃষ্টির কথা বলা হলেও এ মাসে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে জুন মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

চলতি মাসে দেশে ১-২টি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সে.) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সে.) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে এক-দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আভাস নেই।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

তারাকান্দায় আ.লীগ–বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের মোট ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জনতা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছে- তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন হামলা করেছে। ওই সময় গুলি ও ককটেলে অন্তত ৫ জন আহত হয়। অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বলেন, আমার নেতাকর্মীরা বাচনিক কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও নাইট শুটারগান দিয়ে আমাকে মারার জন্য হামলা করে। এসয়ম অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ধরনের হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বাসার সামনে আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীদেরও খোঁজ নিতে পারছিনা।

তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ফজলুল হক দাবি করেন, তারাকান্দা উত্তর বাজার থেকে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে সেই মিছিলে অতর্কিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে হামলা করে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। এসময় তার অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ফলাফল যা হবে তাই মেনে নেব এভাবেই নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য হামলার অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে এমন তথ্য আছে আমাদের কাছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে সত্য কিন্তু গুলির বিষয়টি যাচাই করতে হবে।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া মানবিক সহায়তা তহবিল সঙ্কটের কারণে চলতি মাস থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন ব্যাপকভাবে কমানো হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অর্থায়নের আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে শরণার্থীরা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে মাথাপিছু মাসিক ১২ ডলার মূল্যমানের রেশন পাচ্ছিলেন, যা দিয়ে কেবল তাদের দৈনিক চাহিদা মিটত। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে গত ১ মার্চ থেকে তাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়। চলতি মাস থেকে তা আরও কমে হয়েছে মাত্র আট ডলার।

এতে বলা হয়, চলতি বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা বিশেষভাবে নাজুক। আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছে ২০২৩ সালের জন্য ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার মানবিক সহায়তা তহবিলের আবেদন করা হয়েছিল। অথচ ১ জুন পর্যন্ত এর মাত্র ২৪ দশমিক ছয় শতাংশ অর্থায়ন মিলেছে। এর ফলে অন্যান্য জরুরি কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনরক্ষাকারী সহায়তায় নতুন কাটছাঁটের উদ্যোগ এমন এক সময় নেয়া হলো, যখন তারা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব এবং উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। এই মুহূর্তে লাখ লাখ শরণার্থীর সাহায্য ভীষণ প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে এর ফল হবে ভয়াবহ। এতে বিশেষ করে নারী, শিশু ও সবচেয়ে নাজুক মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, খাদ্য ও শিক্ষার জন্য মোট যে পরিমাণ অর্থ দরকার হয়, তার মাত্র ২৪ দশমিক ছয় শতাংশের অর্থায়ন মিলেছে। এই শরণার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতার আর কোনো উৎস নেই। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বসবাসরত মানুষদের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক পিটার হাসের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে মুখ্য সচিব একাই উপস্থিত ছিলেন। আর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের চিফ প্রটোকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকটি ছিল ক্লোজড ডোর (রুদ্ধদ্বার)। এ নিয়ে পরে কোনো ব্রিফিং হয়নি।

এর আগে, বুধবার পিটার হাস সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে নিরাপত্তা এসকর্ট কেন আচমকা প্রত্যাহার হলো সে বিষয়ে জানতে চান। বৈঠকে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত স্বতন্ত্র ভিসানীতি নিয়েও আলোচনা হয়।

মার্কিন দূতের বিদায়ের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে ভিসানীতি করেছে, তা নিয়ে রাষ্ট্রদূত আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে এসেছিলেন। আমি বলেছি একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। কোনো ষড়যন্ত্র না, কোনো রকমের মাসলম্যানের অভ্যুত্থান না, কিংবা বন্দুকের নল না, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই একটি নির্বাচন হোক, আমরাও সেটি চাই।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;