জিতে গেল বাংলাদেশ

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু

  • Font increase
  • Font Decrease

অপেক্ষার প্রহর শেষ। স্বপ্ন এখন বাস্তব। সমালোচক আর ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাঁই ঢেলে দিয়ে নির্মাণ হয়ে গেল পদ্মা সেতু। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের পিছনে রয়েছে এক আত্নপ্রত্যায়ী মহিয়সী নারীর দৃঢ় সাহসিকতার গল্প। সেই গল্প যেন রুপকথার মতো। দেখতে দেখতে কেটে গেল কয়েকটি বছর। তারপর অবশেষে গল্প হলো সত্য।

দেশী-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সমালোচনার মুখে যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ অবাস্তব সেই সময়েও নিজের জায়গা থেকে দৃঢ় সাহসিকতা আর মনোবল নিয়ে অটুট ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা। কড়া সমালোচনার মধ্যেই তিনি ঘোষণা দিলেন ‘ নিজস্ব অর্থায়নেই হবে পদ্মা সেতু’। হয়েছেও তাও। সব কিছু পিছনে ফেলে সগৌরবে মাথা উচুঁ করে খরস্রোতা পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে কোটি মানুষের স্বপ্ন। হেরে গিয়েছে ওরা; জিতেছে বাংলাদেশ।

একটি সেতুকে কেন্দ্র করে যত আলোচনা-সমালোচনা হলো পৃথিবীতে অন্য আর কোন সেতু নিয়ে এতো আলোচনা হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। একটি গোষ্ঠি স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচার করে আসছিল। কিন্তু তাদের সেই মিথ্যাচার আজ ধরা পড়েছে। তারা এখন কোটি কোটি বাঙালির কাছে ঘৃণার পাত্র।

ষঢ়যন্ত্রকারীরা বুঝতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্নবিশ্বাস পাহাড় সমান। ঠুনকো অভিযোগে শেখ হাসিনাকে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। শত বাধা-বিপত্তি আর প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও দৃঢ় সাহসিকতার সাথে নিজেকে অটল রেখেছিলেন পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে। সব কিছু ভেদ করে এখন বিজয়ের হাতছানি দিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বিশ্বকে জানান দেওয়া হচ্ছে বাঙলির সক্ষমতার কথা। বাঙালি জাতি মাথা নত করার নয় সেটা আবারও পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিলেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা।


দুর্নীতি চেষ্টার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক মতভেদ, গুজব, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে এখন মাথা উচুঁ করে সগৌরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম সেতু। এই সেতুই প্রমাণ করে দেয় বাঙালিরা কখনো হারতে জানেনা। বাঙালিদের ইতিহাস সমৃদ্ধে ভরা গৌরবের ইতিহাস। বাঙালি ও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে নতুন এক সফল সংগ্রামের নাম।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা বিশ্বকে জানিয়ে দিলেন আমাদের সক্ষতার কথা। এই সেতুর উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণকে ঘিরে এখন দেশে চলছে আনন্দের বন্যা। দেশ জুড়ে চলছে উৎসব। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে খুবই জমকালো। সারা দেশের মানুষ যাতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে পারেন সেজন্য দেশের প্রতিটি জেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রিয় শিক্ষার্থীদেরও দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সারা বিশ্বের আজ চোখ থাকবে বাংলাদেশে। তারা দেখবে বাংলাদেশের নতুন জয়ের জমকালো চোখ ধাঁধাঁনো মহাযজ্ঞ।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

লোডশেডিং গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং যেন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। রোদ ও ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং চলছে। আর ঢাকার বাইরে খেয়ালখুশিমতো লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বলছেন, ‘বিদ্যুৎ এখন যায় না, মাঝেমধ্যে আসে।’

এবিষয়ে খিলক্ষেতের বাসিন্দা আফসানা রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তার ওপর বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এর ফলে বাচ্চা নিয়ে প্রচণ্ড গরমে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতির মধ্যে একটু প্রশান্তির আশায় ভিড় বাড়ে শরবত ও জুসের দোকানে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া এই মানুষেরা বলছেন, তীব্র গরমে কমেছে রোজগার।

শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে।

তবে রাজধানীর বাইরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ। কোনো কোনো জেলায় বিদ্যুৎ থাকছে না দৈনিক গড়ে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ঘাটতির কারণেই লোডশেডিং বলছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অনুভূত ছিল ৪২ ডিগ্রি। এর আগে রাজধানীতে জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৪ সালে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতর তাদের আগামী এক মাসের দেওয়া পূর্বাভাসে বলেছে, এই জুন মাসে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ৮ জুন নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। জুন মাসে কম বৃষ্টির কথা বলা হলেও এ মাসে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে জুন মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

চলতি মাসে দেশে ১-২টি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সে.) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সে.) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে এক-দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আভাস নেই।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

তারাকান্দায় আ.লীগ–বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের মোট ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জনতা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছে- তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন হামলা করেছে। ওই সময় গুলি ও ককটেলে অন্তত ৫ জন আহত হয়। অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বলেন, আমার নেতাকর্মীরা বাচনিক কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও নাইট শুটারগান দিয়ে আমাকে মারার জন্য হামলা করে। এসয়ম অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ধরনের হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বাসার সামনে আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীদেরও খোঁজ নিতে পারছিনা।

তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ফজলুল হক দাবি করেন, তারাকান্দা উত্তর বাজার থেকে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে সেই মিছিলে অতর্কিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে হামলা করে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। এসময় তার অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ফলাফল যা হবে তাই মেনে নেব এভাবেই নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য হামলার অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে এমন তথ্য আছে আমাদের কাছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে সত্য কিন্তু গুলির বিষয়টি যাচাই করতে হবে।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া মানবিক সহায়তা তহবিল সঙ্কটের কারণে চলতি মাস থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন ব্যাপকভাবে কমানো হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অর্থায়নের আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে শরণার্থীরা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে মাথাপিছু মাসিক ১২ ডলার মূল্যমানের রেশন পাচ্ছিলেন, যা দিয়ে কেবল তাদের দৈনিক চাহিদা মিটত। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে গত ১ মার্চ থেকে তাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়। চলতি মাস থেকে তা আরও কমে হয়েছে মাত্র আট ডলার।

এতে বলা হয়, চলতি বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা বিশেষভাবে নাজুক। আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছে ২০২৩ সালের জন্য ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার মানবিক সহায়তা তহবিলের আবেদন করা হয়েছিল। অথচ ১ জুন পর্যন্ত এর মাত্র ২৪ দশমিক ছয় শতাংশ অর্থায়ন মিলেছে। এর ফলে অন্যান্য জরুরি কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনরক্ষাকারী সহায়তায় নতুন কাটছাঁটের উদ্যোগ এমন এক সময় নেয়া হলো, যখন তারা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব এবং উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। এই মুহূর্তে লাখ লাখ শরণার্থীর সাহায্য ভীষণ প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে এর ফল হবে ভয়াবহ। এতে বিশেষ করে নারী, শিশু ও সবচেয়ে নাজুক মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, খাদ্য ও শিক্ষার জন্য মোট যে পরিমাণ অর্থ দরকার হয়, তার মাত্র ২৪ দশমিক ছয় শতাংশের অর্থায়ন মিলেছে। এই শরণার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতার আর কোনো উৎস নেই। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বসবাসরত মানুষদের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক পিটার হাসের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে মুখ্য সচিব একাই উপস্থিত ছিলেন। আর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের চিফ প্রটোকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকটি ছিল ক্লোজড ডোর (রুদ্ধদ্বার)। এ নিয়ে পরে কোনো ব্রিফিং হয়নি।

এর আগে, বুধবার পিটার হাস সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে নিরাপত্তা এসকর্ট কেন আচমকা প্রত্যাহার হলো সে বিষয়ে জানতে চান। বৈঠকে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত স্বতন্ত্র ভিসানীতি নিয়েও আলোচনা হয়।

মার্কিন দূতের বিদায়ের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে ভিসানীতি করেছে, তা নিয়ে রাষ্ট্রদূত আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে এসেছিলেন। আমি বলেছি একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। কোনো ষড়যন্ত্র না, কোনো রকমের মাসলম্যানের অভ্যুত্থান না, কিংবা বন্দুকের নল না, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই একটি নির্বাচন হোক, আমরাও সেটি চাই।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;