৫০ বছরেও অরক্ষিত বিজয়ের সাক্ষী বধ্যভূমিগুলো

  বিজয়ের ৫০ বছর



আমিনুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
৫০ বছরেও অরক্ষিত বিজয়ের সাক্ষী বধ্যভূমিগুলো

৫০ বছরেও অরক্ষিত বিজয়ের সাক্ষী বধ্যভূমিগুলো

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের হাজিরহাট এলাকায় জাফরগঞ্জ ব্রিজের পাশে রংপুর শহরের ব্যবসায়ী অশ্বিনী ঘোষসহ ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ব্রিজের ওপর দুই দিনে ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। আমার বাবাকেও জাফরগঞ্জ ব্রিজের কাছে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনারা।

বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না জাফরগঞ্জ ব্রিজ বধ্যভূমির কথা। নিহতদের স্মরণে সেখানে নির্মাণ করা হয়নি কোনো নামফলক বা স্মৃতিস্তম্ভ। এমন আরও অনেক জায়গা রয়েছে, যা আজও সংরক্ষণ করা হয়নি।

আক্ষেপের সঙ্গেই কথাগুলো বললেন প্রজন্ম একাত্তর রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি দেবদাস ঘোষ দেবু।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রংপুরে পুরোপুরি সংরক্ষণের আওতায় আসেনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো। কিছু বধ্যভূমি সংস্কার করা হলেও অযত্ন আর অবহেলায় অরক্ষিতভাবে পড়ে থাকা বেশীর ভাগ বধ্যভূমি নিশ্চিহ্নের পথে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে এনে নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তারই রক্ষমাখা নীরব সাক্ষী বধ্যভূমি এবং গণকবরগুলো। এর মধ্যে কিছু জায়গা বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হলেও অনেক জায়গা এখনো চিহ্নিতই করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরে ছোট-বড় অনেক বধ্যভূমি থাকলেও সরকারিভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে মাত্র ১৩টি। সেগুলো হলো- রংপুর টাউন হল, দখিগঞ্জ শ্মশান, সাহেবগঞ্জ, দমদমা, বালার খাইল, নব্দীগঞ্জ, লাহিড়ীরহাট, ঘাঘট নদী, নিসবেতগঞ্জ, জাফরগঞ্জ ব্রিজ, বদরগঞ্জের ঝাড়ুয়ার বিল ও পদ্মপুকুর এবং মিঠাপুকুর উপজেলার জয়রাম আনোয়ারা বধ্যভূমি। এছাড়াও জানা-অজানার মধ্যে রয়েছে মডার্ন সিনেমা হল, কুকুরুন বিল, নারিরহাট, শংকরদহ, বৈরাগীগঞ্জ, বলদিপুকুর, দেবীপুর, শিবগঞ্জ এলাকা বধ্যভূমি এবং রংপুর সেনানিবাস গণকবর। এসব দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা বধ্যভূমি আর কোন জায়গায় রয়েছে গণকবর। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানানোর জন্য বেশির ভাগ বধ্যভূমিতে নেই তথ্য নির্ভর কোনো নামফলক ও শহিদদের তালিকা।


ঝাড়ুয়ার বিল ও পদ্মপুকুর বধ্যভূমি:

রংপুরের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের ঝাড়ুয়ার বিল ও পদ্মপুকুর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদাররা দুইটি ট্রেনে চড়ে রামনাথপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া ও কিসমত ঘাটাবিল এলাকার ঝাকুয়াপাড়া সংলগ্ন স্থানে আসে। এরপর তারা রামনাথপুর ও বিষ্ণুপুরে বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ সময় যারা বেঁচে যান তারা প্রাণভয়ে আশ্রয় নেন ঝাড়ুয়ার বিল-পদ্মপুকুর পাড়ে; কিন্তু রাজাকাররা ঝাড়ুয়ারবিল-পদ্মপুকুর পাড়ে সাধারণ মানুষের আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি টের পেয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে জানালে তারা সেখানে গিয়ে সারিবদ্ধভাবে সবাইকে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে বদরগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নে ঝাড়ুয়ার বিল বধ্যভূমি ও পদ্মপুকুর এলাকায় ২০১৪ সালে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে।

রংপুর টাউনহল বধ্যভূমি:

রংপুর শহরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা সবচেয়ে বেশি হত্যাকা­ণ্ড ঘটায় রংপুর টাউন হলে। এটাকে টর্চার সেল বানানো হয়েছিল। এটি ছিল পাকিস্তানি সেনাদের নারী নির্যাতনের একটি প্রধান কেন্দ্র। এই টাউন হলে মেয়েদের ধরে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালানো হতো এবং শেষে মেরে ফেলা হতো। এসব লাশসহ অসংখ্য মুক্তিকামী বাঙালির লাশ টাউন হলের পেছনের একটি কূপে ফেলে দেয়া হতো। গত বছর টাউন হল চত্বর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে ওই কূপ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। সেগুলো সংগ্রহে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।


মডার্ন সিনেমা হল বধ্যভূমি

১৯৭১ সালের ১ মে ১৯ জন বাঙালি সেনা অফিসার ও সৈনিককে সেনানিবাস থেকে বের করে এনে রাত ১২টার দিকে সাহেবগঞ্জের এই মডার্ন সিনেমা হলের পেছনের বধ্যভূমিতে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এই বধ্যভূমি থেকে বেঁচে যান এক রিকশাচালক। নভেম্বরের ৮ তারিখে পাকিস্তানি সেনাদের এক দালাল জব্বার ওই রিকশাচালককে ন্যাপের কর্মী বলে ধরে নিয়ে যায়। তাকে মডার্ন সিনেমা হলে আটক রাখা হয়। এখানে তখন প্রায় সাড়ে ৩০০ বন্দীকে আটকে রাখা হয়েছিল। ১৩ দিন অমানুষিক নির্যাতনের পর তাদের সিনেমা হলের পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একে একে জিনকি, মালেক, আলী হোসেন, ফারুক হোসেনসহ সবাইকে জবাই করা হয়। এরই এক ফাঁকে সেই রিকশাচালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

ঘাঘট নদতীরে নিসবেগঞ্জ বধ্যভূমি:

পাকিস্তানি বাহিনীর ২৩তম ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ছিল রংপুর শহরের নিসবেগঞ্জ এলাকায়। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ অবাঙালি পাকিস্তানি সেনা অফিসার লে. আব্বাসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শহরে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফলে ২৮ মার্চ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ তীর-ধনুক-বল্লম-লাঠি-দা-কুড়াল এবং বাঁশের লাঠি হাতে রংপুর সেনানিবাস আক্রমণের উদ্দেশ্যে ঘাঘট নদের তীরে জমায়েত হতে থাকে। এ সময় ক্যান্টনমেন্ট থেকে বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়ে পাকিস্তানি বাহিনী। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। ঘাঘট নদের পানি সেইদিন হাজারো শহিদের রক্তে লাল হয়ে যায়। এতে এই ঘাঘট নদের তীর একটি বৃহৎ বধ্যভূমিতে পরিণত হয়। এক সময় নিশবেতগঞ্জ সেতু এলাকার সর্বত্র মানুষের মাথার খুলি ও কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে শহীদদের স্মরণে রক্তগৌরব নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

দমদমা সেতু বধ্যভূমি:

রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে দুই মাইল দক্ষিণ-পূর্বে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে দমদমা সেতুর নিচে রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখের মধ্যরাতে কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অধ্যাপক সুনীল বরণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক রামকৃষ্ণ অধিকারী, অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন রায় এবং অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়কে বাসা থেকে বের করে আনে। পরে ক্যাম্পাসের ভিতরেই তাদের উপর শারীরীক নির্যাতন চালানো হয়। এই অবস্থায় অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়ের সহধর্মিণী মঞ্জুশ্রী রায় বাসা থেকে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বেরিয়ে আসেন। পরে পাকসেনারা  মঞ্জুশ্রী রায়-সহ অন্যান্য অধ্যাপকদের রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের দমদমা ব্রীজ এর কাছে আনে এবং রাস্তা সংলগ্ন একটি বাঁশের ঝাঁড়ে গুলি করে হত্যা করে।


স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এই স্থানে আরও বহু মানুষকে ধরে হত্যা করে। স্থানীয় অধিবাসীদের মতে- রংপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক ধরে এনে, ৭ই জন মধ্যরাতে এখানে জড় করে হত্যা করা হয়। এই দিনে প্রায় ২০০ লোককে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু মানুষকে এখানে এনে হত্যা করা হয়। ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের দায়িত্ব নেয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে দায়িত্ব নেয়ার দীর্ঘ সময় পরেও বধ্যভূমি সংরক্ষণে তেমন উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

দখিগঞ্জ শ্মশানঘাট বধ্যভূমি:

রংপুর শহরের দখিগঞ্জ শ্মশানঘাটে ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল রংপুর সেনানিবাসের দুটি মেস থেকে ১১ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকসেনারা এই ১১ জনকে দখিগঞ্জ শ্মশানে এনে গুলি করে। এই সময় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান তাজহাটের দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক (মন্টু ডাক্তার)। দশ জনের লাশের সাথে তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মরার মতো পড়ে থাকেন। পাকসেনারা সবাইকে মৃত মনে করে চলে গেলে, দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় শচীন ডাক্তারের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে তিনি ভারতে চলে যান এবং স্বাধীনতার পরে দেশে ফিরে আসেন। এই দলে মন্টু ডাক্তারের সঙ্গে ছিলেন রংপুরের ভাসানী ন্যাপ নেতা ইয়াকুব মাহফুজ আলী। এই বধ্যভূমিতে নামফলক ও শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।

সাহেবগঞ্জ বধ্যভূমি:

রংপুর জেলখানা থেকে ১১ জন বন্দী ইপিআর সদস্যকে ধরে এনে হত্যা করে। হারাগাছ রোড ও সাহেবগঞ্জের মাঝামাঝি একটি স্থানে এই শহীদদের গণকবর রয়েছে।

রংপুর সেনানিবাস গণকবর:

রংপুর সেনানিবাসের পাশেই রয়েছে একটি গণকবর। এই গণকবরটিতে পাকিস্তানি বাহিনী বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাঙালি ইপিআর সদস্যসহ প্রায় ২০০ ব্যক্তির লাশ পুঁতে রেখেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর এখান থেকে প্রায় ১০ হাজার শহীদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ১২ এপ্রিল হানাদাররা সৈয়দপুর থেকে বহু মাড়োয়ারিকে ধরে এনে হত্যা করে এখানে পুঁতে রাখে।

সতের শহীদকে আজও ভোলেনি গঙ্গাচড়াবাসি:

১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শংকরদহ গ্রামে ঘটেছিল এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। পাক হানাদার বাহিনীর বুলেটে নির্মমভাবে নিহত হন ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসী। এদের মধ্যে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় পাক সেনারা ব্রাশ ফায়ার করে মেরেছে ৬ জন, চলতি পথে গুলি করে ১০ জন এবং বেয়নেট চার্জ করে মেরেছে ১ জনকে। ১৯৭১-এর ১২ ডিসেম্বর সকালবেলা কোম্পানি কমান্ডার মীর আব্দুস সালামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল গঙ্গাচড়া থানা আক্রমণ করে। তার পূর্বেই পাক সেনারা পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা থানা ব্যারাক থেকে কিছু অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একজন পাকিস্তানি বাবুর্চীকে ধরে নিয়ে যায় তিস্তা নদীর অপরপ্রান্তে মুক্ত স্বাধীন এলাকায়। এ খবর পেয়ে পরদিন রংপুর সেনানিবাস থেকে একদল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গঙ্গাচড়ায় আসে। ক্ষিপ্ত সৈন্যরা ব্রাশফায়ার করতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী শংকরদহ গ্রাম পর্যন্ত যাওয়ার পথে গঙ্গাচড়ার মফিজ উদ্দিন, ফজর উদ্দিন, আব্দুল আজিজ ও হবিবর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। ওইদিন বিকালে এলাকার শান্তি কামনায় বকুলতলা পুরাতন মসজিদে নফল নামাজ আদায় করছিলেন মহিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মৌলভী তৈয়ব আলী, বছির উদ্দিন, সহির উদ্দিন, মহির উদ্দিন, নবির উদ্দিন ও তার সাত বছরের পুত্র সন্তান। নরঘাতকরা মসজিদ আক্রমণ করে নামাজরত অবস্থায় ব্রাশফায়ার করে উক্ত ৬ জনকেই হত্যা করে।

স্বাধীনতার এত বছর পরও গঙ্গাচড়ায় নিহতদের স্মরণে গড়ে ওঠেনি কোন স্মৃতিসৌধ, আসেনি ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম, পালন হয় না গণহত্যা দিবস। তবে ভয়াল সেই স্মৃতি আজও কাঁদায় গঙ্গাচড়ার মানুষকে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. দিনেশ চন্দ্র ভৌমিক মন্টুর ছেলে সুশান্ত ভৌমিক সুবল বলেন, ‌স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বধ্যভূমিগুলোতে রাষ্ট্রীয় ভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এসব বধ্যভূমিসহ সংশ্লিষ্ট সকল স্থাপনা সংরক্ষণে সরকারকে আরও গুরুত্ব বাড়াতে হবে।’

রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু বলেন, সরকারের উচিত বধ্যভূমিগুলোকে সংরক্ষণ এবং ফুটিয়ে তোলা, যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বেঁচে থাকে। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আকাঙ্খা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের কষ্ট-অর্জন অজানা থেকে যাবে। 

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বধ্যভূমি এবং গণকবর সংস্কারের জন্য কাজ করছে। রংপুরে যে সব বধ্যভূমি এখনও অরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দমদমা বধ্যভূমি, টাউন হলের পিছনের বধ্যভূমি, সাহেবগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজ শেষ করা হয়েছে। সেসব বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ ও নামফলক বসানো হয়েছে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

মধ্যরাতে হুমকি দিয়ে ভোরে খুন, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রস্রাব করতে বাধা দেওয়ায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে কথা কাটাকাটির পর হুমকি দিয়ে এক যুবককে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২৯ মে) রাঙামাটি জেলার কোতোয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি আবু তাহের রাজীব (২৩) ও তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), রায়হান সজীব (২২) এবং আবুল হাসনাত রানা (৩০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার।

র‌্যাব জানায়, গত ২৭ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তি নগরীর নয়াবাজার এলাকার একটি কারখানার গেইটের সামনে প্রস্রাব করলে কারখানার নৈশপ্রহরী খুন হওয়া মো. আজাদের ভাই মফিজ লোকটিকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যক্তি নৈশপ্রহরী মফিজকে বলে, এটা সরকারি জায়গা তুই বাধা দেওয়ার কে’ এই বলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামি আবু তাহের রাজীব, ওসমান, আবুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে ঘটনাস্থলে এসে বিবাদে জড়ায়। বড় ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে আজাদ ঘটনাস্থলে গেলে তার সাথেও কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আসামিরা আজাদকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ২৮ মে ভোর পৌনে ৫টার দিকে আজাদ নাস্তার জন্য দোকানে যেতে বের হলে পথিমধ্যে পাহাড়তলির নয়াবাজার এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তাকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়িভাবে পেটে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে পাহাড়তলি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হতে আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর জখম হওয়া আজাদ তার ভাতিজা তারেকুর রহমারে কাছে আক্রমণকারীদের নাম বলেন।

র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বলেন, আসামিদের গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্তের মাধ্যমে মামলার আসামিরা রাঙামাটি জেলার কোতোয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে বলে তথ্য পাই। অভিযান করে ওই হোটেল থেকে প্রধান আসামি আবু তাহের রাজীব ও সহযোগী দেলোয়ার হোসেন জয়, রায়হান সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামি আবুল হাসনাতকেও গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার (১ জুন) থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম এবং ২০২৩ সালের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এই অধিবেশন নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতকরণে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২৯ মে) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আদেশে মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১২টা থেকে সকল প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে– ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ।

একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

প্রয়োজনে সংসদ নির্বাচনে আরও কঠোর হবে ইসি: রাশেদা সুলতানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আরও কঠোর হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করে আরও কঠোর হতে, তাহলে আমরা আরও কঠোর হব। পরিবেশ পরিস্থিতি যদি বলে এভাবে চললেই হবে, তাহলে আমরা এভাবেই চলব। এটা পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

তিনি বলেন, আমাদের একটাই ইচ্ছা ‘সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে, জনগণ বলতে পারবে- আমার ভোটটা আমি দিয়েছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা সুলতানা বলেন, জনগণ তাদের রায় দেবেন। আমরা সব সময় চেয়েছি, এখনো চেয়েছি, ভবিষ্যতে চাইব- আমাদের ইলেকশন যতগুলো আমরা করব, সব যেন সুষ্ঠু হয়। মানুষ এসে যেন ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে। এটাই আসলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। শুধু সিটি করপোরেশন ইলেকশন কেন? যে কয়টা বাকি আছে ও জাতীয় নির্বাচন- আমরা এই নীতিতে থাকব। এটাই আমরা করব৷’

সিটি নির্বাচনগুলো অনেকটা একপাক্ষিক বলা হচ্ছে- এমন নির্বাচনে তৃপ্তি কতটুকু, জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, তৃপ্তি-অতৃপ্তি প্রকাশের তেমন কোনো বিষয়.. নেই আমাদের। কেননা নির্বাচনে কেউ আসবে, কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কেউ করবে না, এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হতে চান বা চান না এটা সম্পূর্ণ নিজস্ব বিষয়। নির্বাচন কমিশনের কাউকে তো আনার সুযোগ ওভাবে নেই। এলে অবশ্যই আমরা ভালো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পাব। এলে আনন্দ পাব বেশি। না এলেও ইলেকশনগুলো করতে হবে। কারণ আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।

জাতীয় নির্বাচনে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয় তিনি বলেন, এখনো এনিয়ে বসা হয়নি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ২০২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং এর সমমানের পরীক্ষায় নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে উপস্থিত হবে।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। আর ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে।

সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিউট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল-২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। আর ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে। এরপর ২০২৬ সালের প্রথম এসএসসি ও সসমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মূল্যায়ন এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে। নানান দিক বুঝে উঠতে আমাদের সময় লাগবে। শিক্ষকদেরও অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অভিভাবকদেরও সময় লাগবে। আমরা সৌভাগ্যবান শিক্ষোক্ষার্থীদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, তাদের সময় লাগছে সবচেয়ে কম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, হয়ে যাবে। আমরা এই স্মার্ট শিক্ষা, তার বিভিন্ন অংশ নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবো। যাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি সে জন্য স্মার্ট শিক্ষার নীতি নির্ধারণ কৌশল রপ্ত করবার জন্য আমাদের এই আয়োজন।

স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের সূচনা উপলক্ষে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল' আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। এই ফেস্টিভ্যালে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১০টি সেমিনারে সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।

একটি কেন্দ্রীয় ‘স্মার্ট শিক্ষা’ ফ্রেমওয়ার্ক রচনার লক্ষ্যে কিছু মতামত নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করার জন্য এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকগুলো সেমিনার করবো, সেখান থেকে অনেক উপায় বের হবে। স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের শুরু হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত রক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়া স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। এরপর বিকালে সেমিনারে অংশ নেন নির্ধারিত অতিথিরা।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;