বিজয় দেখার দিন আজ

  বিজয়ের ৫০ বছর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আজ মহান বিজয় দিবস।

আজ মহান বিজয় দিবস।

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির দিন আজ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আজ থেকে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালার ১ম দিন আজ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় থাকবে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। শপথগ্রহণ শেষে আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সম্মানীয় অতিথিকে 'মুজিব চিরন্তন' শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করবেন হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

জাতীয় পর্যায়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এছাড়া, সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।

আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সাথে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।
বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা।

অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ, বারুদে বারুদে আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শ্মশান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের আর খুলির স্তুপ একদিন পাললিক হয়।

মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।

অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হল মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

আরও ৮ কলম বের হলো সেই মোতালেবের পেট থেকে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
আরও ৮ কলম বের হলো সেই মোতালেবের পেট থেকে

আরও ৮ কলম বের হলো সেই মোতালেবের পেট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

কোন প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়া আরও ৮টি কলম বের করা হলো মানসিক রোগী আব্দুল মোতালেবের পেট থেকে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে দু-দফায় অস্ত্রোপচার ছাড়া মোট ২৩টি কলম বের করা হলো।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ওই রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করেছেন চিকিৎসকরা। মেডিকেল সাইন্সের ইতিহাসে বিনা অস্ত্রোপচারে রোগীর পেট থেকে এতগুলো কলম বের করার ঘটনা এটিই প্রথম বলে দাবি চিকিৎসকদের।

আব্দুল মোতালেব নামে ওই রোগী একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি বেলকুচি উপজেলার খুকনি আটার দাগ গ্রামের বাসিন্দা। মোতালেব ৪-৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে এসব কলম আস্ত গিলে খেয়েছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে আরও ৮টি কলম বের করা হয়েছে। তার পেটে আর কলম নেই। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পেটে ব্যথায় ভুগতে থাকা মোতালেবের রোগ ডায়াগনসিস করা যাচ্ছিল না। আমাদের এখানে ভর্তি হওয়ার পর এন্ডোস্কপি করে পাকস্থলীতে অনেকগুলো কলম দেখতে পাই। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আমরা কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নিই। এখানে রক্তক্ষরণের শঙ্কা ছিল, ইনজুরি হওয়ার ভয় ছিল। বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টাব্যাপী এন্ডোস্কপির মাধ্যমে একটি করে ধরে ধরে ১৫টি কলম বের করা হয়। ভেতরে আরও বেশ কয়েকটি কলম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই। আজ সোমবার আবারও এন্ডোস্কপি করে ৮টি কলম বের করা হয়। মেডিকেল সাইন্সের ইতিহাসে পেটের মধ্যে এতগুলো কলম বের করার ঘটনা এটিই প্রথম। সম্ভবত আমরাই প্রথম এই সাফল্যের কাজটি করতে পেরেছি।

মোতালেবের মা লাইলী বেগম বলেন, এক বছর ধরে তার ছেলের পেটের ব্যথা। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করেও সুস্থ হয়নি। ১৫ দিন আগে সমস্যা আরও বেশি হয়। খেতে পারে না, বমি করে। এ কারণে তাকে এই হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটের মধ্য থেকে কলম বের করেন ডাক্তাররা।

তিনি আরও বলেন, ১২ বছর ধরে তার ছেলে মানসিক রোগী। মানসিক ডাক্তারও দেখানো হয়েছে। কলমগুলো অজ্ঞান অবস্থায় খেয়েছে সে।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, আমাদের এখানে উন্নতমানের অত্যাধুনিক সব মেশিন রয়েছে। আটটি এন্ডোস্কপি মেশিন আছে যার সবগুলো অত্যাধুনিক। প্রতি বিভাগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে যেগুলো চালু আছে অথবা অল্প দিনের মধ্যেই চালু হবে। উত্তরাঞ্চলের জনগণের জন্য আশার কেন্দ্র হবে এই হাসপাতালটি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

মধ্যরাতে হুমকি দিয়ে ভোরে খুন, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রস্রাব করতে বাধা দেওয়ায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে কথা কাটাকাটির পর হুমকি দিয়ে এক যুবককে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২৯ মে) রাঙামাটি জেলার কোতোয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি আবু তাহের রাজীব (২৩) ও তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), রায়হান সজীব (২২) এবং আবুল হাসনাত রানা (৩০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার।

র‌্যাব জানায়, গত ২৭ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তি নগরীর নয়াবাজার এলাকার একটি কারখানার গেইটের সামনে প্রস্রাব করলে কারখানার নৈশপ্রহরী খুন হওয়া মো. আজাদের ভাই মফিজ লোকটিকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যক্তি নৈশপ্রহরী মফিজকে বলে, এটা সরকারি জায়গা তুই বাধা দেওয়ার কে’ এই বলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামি আবু তাহের রাজীব, ওসমান, আবুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে ঘটনাস্থলে এসে বিবাদে জড়ায়। বড় ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে আজাদ ঘটনাস্থলে গেলে তার সাথেও কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আসামিরা আজাদকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ২৮ মে ভোর পৌনে ৫টার দিকে আজাদ নাস্তার জন্য দোকানে যেতে বের হলে পথিমধ্যে পাহাড়তলির নয়াবাজার এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তাকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়িভাবে পেটে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে পাহাড়তলি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হতে আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর জখম হওয়া আজাদ তার ভাতিজা তারেকুর রহমারে কাছে আক্রমণকারীদের নাম বলেন।

র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বলেন, আসামিদের গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্তের মাধ্যমে মামলার আসামিরা রাঙামাটি জেলার কোতোয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে বলে তথ্য পাই। অভিযান করে ওই হোটেল থেকে প্রধান আসামি আবু তাহের রাজীব ও সহযোগী দেলোয়ার হোসেন জয়, রায়হান সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামি আবুল হাসনাতকেও গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার (১ জুন) থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম এবং ২০২৩ সালের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এই অধিবেশন নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতকরণে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২৯ মে) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আদেশে মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১২টা থেকে সকল প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে– ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ।

একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

প্রয়োজনে সংসদ নির্বাচনে আরও কঠোর হবে ইসি: রাশেদা সুলতানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আরও কঠোর হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করে আরও কঠোর হতে, তাহলে আমরা আরও কঠোর হব। পরিবেশ পরিস্থিতি যদি বলে এভাবে চললেই হবে, তাহলে আমরা এভাবেই চলব। এটা পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

তিনি বলেন, আমাদের একটাই ইচ্ছা ‘সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে, জনগণ বলতে পারবে- আমার ভোটটা আমি দিয়েছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা সুলতানা বলেন, জনগণ তাদের রায় দেবেন। আমরা সব সময় চেয়েছি, এখনো চেয়েছি, ভবিষ্যতে চাইব- আমাদের ইলেকশন যতগুলো আমরা করব, সব যেন সুষ্ঠু হয়। মানুষ এসে যেন ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে। এটাই আসলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। শুধু সিটি করপোরেশন ইলেকশন কেন? যে কয়টা বাকি আছে ও জাতীয় নির্বাচন- আমরা এই নীতিতে থাকব। এটাই আমরা করব৷’

সিটি নির্বাচনগুলো অনেকটা একপাক্ষিক বলা হচ্ছে- এমন নির্বাচনে তৃপ্তি কতটুকু, জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, তৃপ্তি-অতৃপ্তি প্রকাশের তেমন কোনো বিষয়.. নেই আমাদের। কেননা নির্বাচনে কেউ আসবে, কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কেউ করবে না, এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হতে চান বা চান না এটা সম্পূর্ণ নিজস্ব বিষয়। নির্বাচন কমিশনের কাউকে তো আনার সুযোগ ওভাবে নেই। এলে অবশ্যই আমরা ভালো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পাব। এলে আনন্দ পাব বেশি। না এলেও ইলেকশনগুলো করতে হবে। কারণ আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।

জাতীয় নির্বাচনে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয় তিনি বলেন, এখনো এনিয়ে বসা হয়নি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;