আসুন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে আরও এগিয়ে নিই

  বিজয়ের ৫০ বছর



বাসস
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বহু প্রতীক্ষিত বিজয় অর্জন করি। এ বছর দেশবাসী আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, যা বাঙালির বিজয়োৎসবে যোগ করেছে অনন্য এক মাত্রা। আনন্দঘন এ মুহূর্তে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।

বিজয়ের এ দিনে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশী বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা বাঙালি জাতির বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জন জাতিকে এনে দিয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। তবে এ অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ উপ্ত হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্যস্বাধীন দেশে ফিরে জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন কৃষি বিপ্লবের। আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতি, কালোবাজারি, মুনাফাখোরী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের আপনজনদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়। রুদ্ধ হয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের।

তিনি বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে সরকার ‘ভিশন ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির ফলে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছে বৃটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু এখন সমাপ্তির পথে। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী বহুমুখী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন।

তিনি বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাসী। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের প্রবাসী ভাইবোনেরা তাদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স দেশে প্রেরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। জাতি তাদের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি মানব সভ্যতাকে ইতিহাসের এক চরম বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও থামিয়ে দিতে পারেনি। সরকারের সময়োচিত ও দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যু হারও শূন্যের কাছাকাছি। করোনা নিরাময়ে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১-দফা নির্দেশনা, সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে তিনি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

তিনি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

চট্টগ্রাম-৮ আসনে নৌকার টিকিট পেলেন নোমান আল মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম-৮ আসনে নৌকার টিকিট পেলেন নোমান আল মাহমুদ

চট্টগ্রাম-৮ আসনে নৌকার টিকিট পেলেন নোমান আল মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকেই।

বন্দরনগরীর পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, মোহরা, ষোলশহর এবং বোয়ালখালী উপজেলা নিয়ে চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন গঠিত। বিগত কয়েক দশক ধরে এই আসনে বোয়ালখালীর বাসিন্দা রাজনীতিবিদরা নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এর আগের সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদলের ‍মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন সংসদ সদস্য হন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোন সংশয় নেই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের বেশি শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোন সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

তিনি বলেছেন, আমার নিজস্ব উপজেলায় ১৭টি বধ্যভূমি রয়েছে যেখানে একটি বধ্যভূমিতেই একদিনেই ১৬৫ জনকে হত্যা করে দাফন করা হয়েছে। তাহলে ১৭টি বধ্যভূমিতে কত লোক দাফন করা হয়েছে। এভাবে দেশের ৪৯০ টি উপজেলায় কত গড়পড়তা ১০ টি করে বধ্যভূমি থাকলে মনে হয় ৩০ লাখেরও বেশি শহীদ হবে। তাই শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোন সংশয় নেই।

শনিবার (২৫ মার্চ) গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যে নৃশংস গণহত্যা হয়েছে তার স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া খুবই দুঃখজনক। মূলত ২০১৭ সালে থেকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টস ইংরেজিতে ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাকে বইগুলোর নাম দেবেন আমি বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় অনুবাদ করে দেব।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়কপীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আরমেনিয়া, কম্বোডিয়া ও অন্যান্য দেশের গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হলেও আমাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হচ্ছে না এটি খুবই দুঃখজনক। ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির একটি জন্য বর্বরোচিত কলঙ্কময় রাত হিসেবে তিনি আখ্যায়িত করেন।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের অধ্যাপক রডরেজ মার্টিন অধিকারী, বীরমুক্তিযোদ্ধা মূসা সাদিক, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের সংদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভায় স্বাগত বক্তব্যে এই স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা হচ্ছে। সেখানে সভাপতিত্ব করছেন শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালায় বাংলাদেশে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জাতীয়ভাবে দেশে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে।

স্বাধীনের পর থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘরসহ নানা সংগঠনের প্রচেষ্টায় গত কয়েক দশকে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষও গণহত্যায় শহিদদের স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।

ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা হলেও জাতিসংঘে বা আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক কোনো দলিলে এর স্বীকৃতি এখনো নেই। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে আর তার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হয়নি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে নিখোঁজের দুইদিন পরে প্রাডো গাড়িসহ সম্রাট হোসেন (২৮) নামে এক চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালের দিকে কুমারখালী উপজেলা পাবনার পদ্মার চর সাদিপুর এলাকা থেকে গাড়ির ভেতরে থাকা ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত চালক সম্রাট হোসেন পাবনা জেলার ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মহিলা কলেজের পিছনে আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। সে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়িচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত সম্রাট হোসেন দুইদিন নিখোঁজ হয়। আজ সকালের দিকে কুমারখালী চর সাদিপুর এলাকায় দুইদিন ধরে একটি গাড়ি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বস্তাবন্দি অবস্থায় গাড়ির ভিতর একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন হোসেন জানান সম্রাট হোসেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের গাড়ি চালক ছিলেন। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায় নি। তবে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর সব জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;