আসুন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে আরও এগিয়ে নিই

  বিজয়ের ৫০ বছর



বাসস
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বহু প্রতীক্ষিত বিজয় অর্জন করি। এ বছর দেশবাসী আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, যা বাঙালির বিজয়োৎসবে যোগ করেছে অনন্য এক মাত্রা। আনন্দঘন এ মুহূর্তে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।

বিজয়ের এ দিনে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশী বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা বাঙালি জাতির বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জন জাতিকে এনে দিয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। তবে এ অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ উপ্ত হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্যস্বাধীন দেশে ফিরে জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন কৃষি বিপ্লবের। আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতি, কালোবাজারি, মুনাফাখোরী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের আপনজনদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়। রুদ্ধ হয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের।

তিনি বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে সরকার ‘ভিশন ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির ফলে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছে বৃটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু এখন সমাপ্তির পথে। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী বহুমুখী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন।

তিনি বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাসী। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের প্রবাসী ভাইবোনেরা তাদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স দেশে প্রেরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। জাতি তাদের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি মানব সভ্যতাকে ইতিহাসের এক চরম বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও থামিয়ে দিতে পারেনি। সরকারের সময়োচিত ও দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যু হারও শূন্যের কাছাকাছি। করোনা নিরাময়ে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১-দফা নির্দেশনা, সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে তিনি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

তিনি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

   

চট্টগ্রামে একদিনে ডেঙ্গু শনাক্ত ১৩২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এসময় নতুন করে ১৩২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলায় বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৯৩৪ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৫৯৯ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৩৫ জন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৩ জন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন এবং জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন ১৮৫ জন।

তাছাড়া জেলায় এ বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ জন মারা গেছেন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

মাইক্রোবাস খাদে পড়ে চায়না প্রকৌশলী আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এতে ওই গাড়িতে থাকা তিন চিনা নাগরিকের মধ্যে ওয়াইইউ (৪৩) এবং চুয়েন (৩১) নামক দুই প্রকৌশলী আহত হয়েছে। আহতদের ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার লিন (৩৭) ও দুই প্রকৌশলী ওয়াইইউ ও চুয়েন মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-২৮৯৬) সোমবার দুপুরে ঢাকা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এতে ওই গাড়ীতে থাকা দুই প্রকৌশলী ওয়াইইউ এবং চুয়েন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আমতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিনা তিন নাগরিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়ান হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

চাঁদা চেয়ে শিশু অপহরণের হুমকি: বিষ্ণুপুরে আতঙ্ক কাটেনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ার বিষ্ণুপুর গ্রামবাসীর আতঙ্ক কাটেনি

বগুড়ার বিষ্ণুপুর গ্রামবাসীর আতঙ্ক কাটেনি

  • Font increase
  • Font Decrease

আতঙ্ক কাটেনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে। শিশু অপহরণের হুমকি দিয়ে এই গ্রামের দুই শতাধিক বাড়িতে চাঁদা দাবি করে পোস্টার লাগানো হয় শনিবার রাতে।

রোববার সকালে পোস্টারিং নজরে আসার পর থেকেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ রোববার রাতে তিন যুবকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ দিকে রোববার সকাল থেকেই বিষ্ণুপুর গ্রামে পুলিশ পাহারা বাসানো হয়। গ্রামবাসি আতঙ্কে তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকে আবার নিজেই সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করছেন। শিশুদের পাশাপাশি পুরুষ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক কাটছে না। সন্ধ্যার মধ্যেই কর্মজীবী মানুষ ঘরে ফিরছেন। সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে কোন পুরুষ মানুষ বাজার কিংবা গ্রামে আড্ডা দিতে বের হচ্ছেন না।

এদিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সোমবার দুপুরে বিষ্ণুপুর গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে গ্রামবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও গ্রামে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে বলে জানিয়েছেন। পুলিশের একাধিক টিম রোববার সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান জানান, গ্রামের একটি ক্লাবে গভীর রাত পর্যন্ত কিছু যুবক আড্ডা দিতো। সেই অনুযায়ী ওই গ্রামের নাজমুল, রজিব ও রুবেল নামের তিন যুবককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নানা কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছে তেমন তথ্য না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরকে আবারো পুলিশ হেফাজতে নেয়া হবে।

বিষ্ণুপুর মাজাগাড়ি গ্রামের মামুন, সাইফুল ইসলাম, সুলতান প্রামাণিক বলেন, তাদের গ্রামে এভাবে বাচ্চাদের অপহরণের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হবে। এটা ভাবতেই পারছে না তারা।এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি কখনও গ্রামের মানুষ হননি। এ কারণেই তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কাহালু থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে পোস্টার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, আর্থিক অবস্থা বুঝে বাড়ি বাড়ি পোস্টার লাগানো হয়েছে। যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল তাদের বাড়িতে ৫ থেকে ৬ হাজার আবার যাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাদের বাড়িতে ২০০ থেকে ২০০০ টাকা দাবি করা হয়েছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে গ্রামের লোকজনই পোস্টার লাগানোর সাথে জড়িত।

ওসি আরো বলেন, পোস্টারে আগামী ৬ অক্টোবর রাতে টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ কারণে ৬ তারিখ পর্যন্ত দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রামের সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

শিক্ষক আন্দোলন: কলেজগুলোতে হয়নি ক্লাস-পরীক্ষা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যাডার বৈষম্যসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে চট্টগ্রামের সরকারি কলেজগুলোতেও সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, জিরো পয়েন্টে শিক্ষকরা দুই সারিতে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিট সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে সোমবার দেশের সব সরকারি কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরে একযোগে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।

শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে আসলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বর্তমান সরকার যখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভাবছে, ঠিক তখন দেশের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য সৃষ্ট শিক্ষা ক্যাডারকে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা কর্মসূচি থেকে পদোন্নতি বৈষম্য কমাতে বিসিএসের সব ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া, অধ্যাপকদের বেতন গ্রেড তৃতীয় ধাপে উন্নীত করা ও অর্জিত ছুটির সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডারের বাইরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সরানোর দাবিও জানান শিক্ষকরা।

একইভাবে চট্টগ্রাম নগরীর বাকি পাঁচ সরকারি কলেজেও ছিল একই চিত্র। শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে কলেজগুলোতে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা কলেজে এলেও ফিরে যান।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;