ইউক্রেনকে আরও ২৭০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহায়তার জন্য আরও ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার (২৩ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক সহায়তা প্যাকেজে ইউক্রেনকে আরও মাঝারি-পাল্লার রকেট সিস্টেম এবং কৌশলগত ড্রোন দেওয়া হবে। নতুন প্যাকেজটিতে চারটি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমও দেওয়া হবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন যুদ্ধ জয় করতে আমরা ইউক্রেন সরকার এবং তার জনগণকে যতদিন সময় লাগবে ততদিন সমর্থন অব্যাহত রাখব।

   

দিল্লিতে লেখক-সাংবাদিকদের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

নিউজক্লিক নামক ওয়েবসাইটের সাংবাদিকদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযুক্ত করে দিল্লি পুলিশ। চীন থেকে অবৈধ তহবিল পেয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্তের জন্য সাংবাদিকদের অভিযুক্ত করা হয়। অভিযান চলাকালীন তাদের মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।

যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিউজক্লিক ওয়েবসাইটের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ, সাংবাদিক অভিসার শর্মা, অনিন্দ্য চক্রবর্তী এবং ভাষা সিং, জনপ্রিয় ব্যঙ্গশিল্পী সঞ্জয় রাজৌরা এবং ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমি। তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এই তল্লাশি চালানো হয় বলে বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়।

তহবিল তদন্তের দায়ে  নিউজক্লিক ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ। সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ। ২০০৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে নিউজক্লিক। এটি সরকারের সমালোচনাকারী সংবাদ ওয়েবসাইট হিসাবে পরিচিত। ২০২১ সালেও ভারতের সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে কর কর্তৃপক্ষের  তদন্ত অভিযান চালিয়েছিল ওয়েবসাইটটি।

পুলিশ এখনও অভিযানের বিষয়ে মন্তব্য করেনি। জনাব সিং শর্মা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ তাদের ফোন এবং ল্যাপটপ কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। সিং আরও লিখেন, পুলিশ তার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। দিল্লিতে ওয়েবসাইটের অফিসেও অনুসন্ধান চলছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে।

তবে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া বিবিসিকে এই প্রসঙ্গে মতামত দিতে অসম্মতি জানান।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

ধর্ষণে অভিযুক্ত মেক্সিকোর সাবেক কূটনীতিক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মি টু আন্দোলনের অভিযুক্ত নাম মেক্সিকোর সাবেক কূটনীতিক আন্দ্রেস রোমার।যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে  অভিযুক্ত এই ব্যক্তি ইসরায়েলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

ইতিমধ্যে তাকে ইসরায়েল থেকে মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য আন্দ্রেসের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।মেক্সিকোতে ‘মি টু’ আন্দোলনে আন্দ্রেসের নাম আলোচিত হয়। প্রথমে এক নারী প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। পরে আরও নারী তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করলে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। এর কিছু সময় পরেই দেশত্যাগ করেন রোমার।

সেসময় আন্দ্রেস রোমার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে মেক্সিকোর কনসাল জেনারেল ছিলেন। তিনি একসময় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থায় (ইউনেসকো) মেক্সিকোর প্রতিনিধি ছিলেন।

মেক্সিকো সিটির অ্যাটর্নি জেনারেল আর্নেস্টিনা গডয় ইতিমধ্যে জানান, আন্দ্রেসের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা আছে।

তবে, আন্দ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে ২০২১ সালে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তিনি কখনও কোনো নারীকে ধর্ষণ বা হামলা করেননি। কাউকে হুমকি দেননি বা কোনো ধরনের সহিংসতায়ও সম্পৃক্ত নন।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে অপসারণের দাবি রিপাবলিকানদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের  হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে অপসারণের জন্য ঐতিহাসিক বিড ফাইল করেছেন কট্টর রিপাবলিকান নেতা ম্যাট গেটজ। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তিনি এই দাবি তোলেন বলে বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

আর্থিক অচলাবস্থা সৃষ্টি থামাতে সরকারী সংস্থাকে অর্থায়নের জন্য বিল পাসে সহায়তা করেন ম্যাকার্থি। ডেমোক্র্যাটদের সহায়তায় এই বিল পাস করায় রিপাবলিকানদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তাই এবার নিজ দল থেকেই পদত্যাগের দাবি পেলেন ম্যাকার্থি।

ম্যাট গেটজের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ম্যাকার্থি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন: এ প্রক্রিয়া চালু করুন। মিঃ গেটজ জবাব দিলেন: শুধু করেছি।

মিঃ গেটজ সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে ক্যাপিটলের বাইরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি লুইসিয়ানা রিপাবলিকান স্টিভ স্কালিসকে ডেপুটি - স্পিকার হওয়ার জন্য  সমর্থন করবেন।

একজন ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিকান টম ম্যাকক্লিনটক  মিঃ গেটজের ফ্লোর বক্তৃতার আগে স্পিকারকে অপসারণের চেষ্টাকে আত্ম-ধ্বংসাত্মক পথ উল্লেখ করে বলেন: ‘আমি আমার রিপাবলিকান সহকর্মীদের তাদের কুসংস্কার, আবেগ, মতামতের ত্রুটি, স্থানীয় স্বার্থ এবং স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গির অতীত দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’

মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্টের পর রাষ্ট্রপতি পদে উত্তরাধিকার সূত্রে স্পিকার দ্বিতীয়। তিনি কংগ্রেসের আইন প্রণয়নের অগ্রাধিকারের নিম্নকক্ষ নির্ধারণ করেন। তিনি কমিটির কার্যভার নিয়ন্ত্রণ করেন এবং হোয়াইট হাউসের এজেন্ডা তৈরি বা ভাঙতে পারেন। একটি সরকারী শাটডাউন এড়াতে বিল পাস এবং ইউক্রেনের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেনা রিপাবলিকান কিছু সদস্য। গেটজ এবং অন্যান্য অতি রক্ষণশীলরা মনে করছেন, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধে খুব বেশি ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।তাই বিল পাসে আপত্তি ছিল তাদের।

একজন ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিকান টম ম্যাকক্লিনটক  মিঃ গেটজের ফ্লোর বক্তৃতার আগে স্পিকারকে অপসারণের চেষ্টাকে আত্ম-ধ্বংসাত্মক পথ উল্লেখ করে বলেন: ‘আমি আমার রিপাবলিকান সহকর্মীদের তাদের কুসংস্কার, তাদের আবেগ, তাদের মতামতের ত্রুটি, তাদের স্থানীয় স্বার্থ এবং তাদের স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গির অতীত দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’

চেম্বারের নিয়ম অনুসারে, স্পীকারকে এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা রাখতে হবে যারা অস্থায়ী প্রতিস্থাপন হিসাবে কাজ করতে পারে যদি ভূমিকা কখনও খালি হয়। যদি মিঃ ম্যাকার্থিকে ভোট দেওয়া হয় তবে এই তালিকাটি প্রকাশ করা হবে এবং চেম্বারে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের একজন নতুন নেতার জন্য চেম্বারে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এর শীর্ষে থাকা ব্যক্তিকে স্পিকার প্রো-টেম্পোর নাম দেওয়া হবে। ফ্লোর ভোটে স্পিকারকে অপসারণ করতে হলে হাউসের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। সে হিসেবে ২১৮ ভোট লাগবে রিপাবলিকানদের। কিন্তু মাত্র কয়েকজন কট্টরপন্থী রিপাবলিকান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা মিঃ ম্যাকার্থিকে অপসারণ করতে ইচ্ছুক। তাই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে ডেমোক্র্যাটদের। স্পীকারকে তার পদে রাখতে সাহায্য করতে ভোট দেবে কিনা তা নিয়ে ভাববেন তারা।

তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিশংসন করার যথেষ্ট প্রমাণ আছে কিনা তা দেখার জন্য সম্প্রতি কংগ্রেসনাল তদন্ত শুরু করার অনুমোদন দেওয়ার পরে ডেমোক্র্যাটরা মিঃ ম্যাকার্থির সাথে অসন্তুষ্ট।শাটডাউন এড়াতে রিপাবলিকানদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিল পাস করিয়ে নিজ দলেও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করেছেন তিনি।

তবে  নিউইয়র্কের ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ রবিবার (১ অক্টোবর)সিএনএনকে বলেছেন তার ডেমোক্র্যাট দল মিঃ ম্যাকার্থিকে রাজনৈতিকভাবে সাহায্য করতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে ম্যাকার্থিকেও তাদের সাহায্য করতে হবে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

কানাডাকে ৪১ কূটনীতিক প্রত্যাহার করতে বলল ভারত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খালিস্তানপন্থী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের মৃত্যুকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে কানাডা ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সরিয়ে নিতে বলেছে ভারত।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪১ জন কূটনীতিককে অবশ্যই প্রত্যাবাসন করতে হবে বলে কানাডাকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার ফিনান্সিয়াল টাইমস এই তথ্য সামনে এনেছে।

ভারতে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছে। সেখান থেকে ৪১ জনকে সরিয়ে নিতে বলেছে ভারত। তবে এ বিষয়ে ভারতীয় ও কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য ‘সহিংসতার পরিবেশ’ এবং ‘ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ’ রয়েছে। এছাড়া উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি নয়াদিল্লিকে হতাশ করেছে বলেও সেসময় জানান তিনি।

চলতি বছরের ১৮ জুন কানাডার সারে এলাকায় গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিব চত্বরের পার্কিং লটে দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন নিজ্জর। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ওই গুরুদ্বারের প্রধান ছিলেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ কানাডার। স্বাভাবিকভাবেই সে অভিযোগ খণ্ডন করেছে ভারত।

নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি কানাডীয় পুলিশ। তবে আগস্টে একটি বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যে গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা, সেটির বিবরণও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;