লিসিচানস্ক শহর রাশিয়া-ইউক্রেন উভয়ের নিয়ন্ত্রণ দাবি

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের পূর্ব লুহানস্কের লিসিচানস্ক শহর রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় উভয় বাহিনীই বলেছে যে তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রোববার (০৩ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেন বলেছে, লিসিচানস্ক শহরে তাদের বাহিনীর ওপর রুশ বাহিনী তীব্র গোলাবর্ষণ করছে তবে জোর দিয়ে বলছে যে শহরটি এখনও তাদের দখলে রয়েছে।

আর রাশিয়ান সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছেন, তারা সফলভাবে শহরে প্রবেশ করেছে এবং শহরের কেন্দ্রে পৌঁছেছে।

এদিকে রাশিয়ান মিডিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী বা রাশিয়ান বাহিনীর লিসিচানস্ক শহরের রাস্তার মধ্য দিয়ে কুচকাওয়াজ করার ভিডিও প্রকাশ করেছে। শহরের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কেন্দ্রে সোভিয়েত পতাকা উড়ার ভিডিওটিও টুইট করেছে তারা। তবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

শহরটি দখল করলে রাশিয়ানরা ডনবাসের পূর্বাঞ্চলে আরও গভীরে প্রবেশ করতে পারবে। কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ডনবাস।

সম্প্রতি ডনবাসের আরেক কৌশলগত শহর সেভরোডনেস্ক দখল করে নেয় রাশিয়া। সম্প্রতি এই দুই শহর দখল নিতে ব্যাপক হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আরও জোরালো হয়।

লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেছেন, রুশ বাহিনী চারদিক থেকে শহরটির দিকে এগিয়ে আসলে তাদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।

মস্কোপন্থী লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রডিয়ন মিরোশনিক রাশিয়ান টেলিভিশনকে বলেছেন, লিসিচানস্ককে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে কিন্তু এখনও মুক্ত করা হয়নি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। ভয়াবহ হামলায় ইউক্রেনের কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। তাদের অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯১৭৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ১৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই)) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজা শহরে আরও দু'জন এবং নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলার ৩৯ হাজার ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজার ৭০৩ জন। তাছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। নিহত ও আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও নারী। 

অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি ১১৩৯ জন নিহত হয়েছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তৃণমূল নেতার আত্মহত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ির খড়িবাড়ির চক্করমারি শ্মশানঘাট এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিলিগুড়ি টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, জগদীশ রায় (৬৫) নামের ওই ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিশিষ্ট লোকশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার নবম শ্রেনির এক ছাত্রী জগদীশ রাযয়ের কাছে গান শিখতেন। সেই সুযোগ নিয়ে ওই ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে জগদীশ। ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারলে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় থানায় অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর বাবা। এর একদিন পরেই উদ্ধার হলো অভিযুক্ত জগদীশ রায়ের মরদেহ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় চার মাস আগে ওই তৃণমূল নেতা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এতদিন পর ঘটনাটি জানাজানি হলে হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন তৃণমূল নেতা।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সহিংসতার কয়েকটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে এমন প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পুনর্বাসন করার দাবি জানায় সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, আন্দোলন-সহিংসতার প্রেক্ষাপটে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এর মধ্যে যেসব ভিডিও এবং আলোকচিত্র পাওয়া যায়, সেগুলো যাচাই–বাছাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্ভূত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ও এর ক্রাইসিস অ্যাভিডেন্স ল্যাব বিক্ষোভ দমনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইনবহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতী ও কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের তিনটি ঘটনার ভিডিও যাচাই করেছে।

এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ পরিচালক দেপোরসে মুচেনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ভিডিও এবং আলোকচিত্র অব্যাহতভাবে যাচাই করে ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকার ও এর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর প্রতি বিক্ষোভের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সহিংস দমনাভিযান এবং যোগাযোগব্যবস্থার ওপর সব ধরনের বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে।

ঢাকার সাভার, বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে ধারণ করা তিনটি ভিডিও যাচাই করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলেছে, সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যথাযথ উপায় নয়। আগ্নেয়াস্ত্র শুধু তখনই ব্যবহার করা যাবে, যখন মৃত্যু ঘটতে পারে বা গুরুতর আহত হওয়ার মতো হুমকি মোকাবিলার প্রয়োজন হয়।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি: মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কার্গিল বিজয় দিবসের রজত জয়ন্তী উদযাপন করছে ভারত। এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ জুলাই) কার্গিল যুদ্ধে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আয়োজিত স্মরণসভায় মোদি বলেন, পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা ব্যর্থ করবে ভারত।

শুক্রবার সকালে লাদাখে ‘কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়ালে’পৌঁছে কার্গিল যুদ্ধে শহিদ বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মোদি। এসময় যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের অবদান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জন্য তাদের আত্মত্যাগ অমর। কার্গিল বিজয় দিবসে তাদের সর্বদা স্মরণ করা হবে।

পাকিস্তান এখনও জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে দাবি করে মোদি বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের বলব, ওদের অপচেষ্টা কখনই সফল হবে না। শত্রুদের যোগ্য জবাব দেব। লাদাখ বা ​​জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে হারাবে ভারত। পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। তারা সন্ত্রাসবাদ এবং ছায়া যুদ্ধ ব্যবহার করে। আমি আজ এমন একটি জায়গা থেকে কথা বলছি, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা সরাসরি আমার কথা শুনবে। আমি তাদের বলতে চাই, তাদের পরিকল্পনা কখনই সফল হবে না। লাদাখ হোক বা ​​জম্মু ও কাশ্মীর, আমরা উন্নয়ন চালিয়ে যাব।’

এর আগে এদিন সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘২৬ জুলাই প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য একটি বিশেষ দিন। এবার আমরা ২৫তম কার্গিল বিজয় উদযাপন করব। আমাদের দেশকে যারা প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই বিশেষ ভাবে পালিত হচ্ছে আজকের এই দিন।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রায় তিনমাস যুদ্ধের পর কার্গিলে ভারতের দিকে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের দখল করা অংশ পুনরুদ্ধার করে অভিযানের বিজয়ের সাফল্য ঘোষণা করে। যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়কে স্মরণ করতে দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে দেশটি।

 

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;