স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের ৬ জনের ৩ জনই ছাত্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্য।

স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্য।

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: র‍্যাবের বিশেষ চেকপোস্টে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্য আটক হয়েছে। আটককৃত ৬ জনের ৩ জনই ছাত্র বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‍্যাব ৩- এর উপঅধিনায়ক মেজর রাহাত হারুন।

মেজর রাহাত হারুন বলেন, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী পাঁচদোনা এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট বসায় র‍্যাব। এসময় এনা পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করে ৩ জনের কোমর থেকে ২০ টি করে মোট ৬০ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, জামাল হোসেন (২২), তানভীর আহম্মেদ (২৫), রাজু হোসেন (২৩)। তারা তিন জনই ছাত্র। প্রতিবার স্বর্ণ পৌঁছে দেবার জন্য তারা ১৪ হাজার করে টাকা পায়।

এই র‍্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, ১ ঘণ্টা পর একই রুটে গ্রীন লাইনের একটি বাসে তল্লাশি করে, একই কৌশল অবলম্বনকারী ৩ জন সদস্যকে আটক করে র‍্যাব। তাদের কাছে থেকেও ২০ টি করে মোট ৬০ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

এ সময় আটককৃতরা হলেন, আবুল হাসান (৩৫), রাজু আহমেদ (৩০), আলাউদ্দিন (৩২)। তারা দীর্ঘদিন স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল।

এ সময় তাদের কাছে থেকে মোট ১২০ টি বারে ১৪ কেজি অবৈধ স্বর্ণসহ ১৩ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি টাকা।

   

কবি নজরুল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান বলেছেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য সেই চেতনাকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি, বিদ্রোহী কবি, সর্বোপরি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার পর স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করেছেন।’

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ এ বিষয়কে ধারণ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নজরুলের ওপর একসময় অভিযোগ ছিল তিনি বিশেষ সময়ের কবি। কবি নজরুল এর জবাব দিয়েছেন তার জীবনের শেষ ভাষণে ১৯৪১ সালের ৬ এপ্রিল বঙ্গীয় মুসলমান সমিতির রজত জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানের অভিভাষণে।

দূরারোগ্য ব্যাধিতে চিরজীবনের জন্য বাকরূদ্ধ হয়ে যাওয়ার পূর্বে এই ছিল তার সর্বশেষ কালজয়ী ভাষণ। কবি আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি। আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলে শুধু এই দেশরই, এই সমাজেরই নই, আমি সকল দেশের-সকল মানুষের।’

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় নজরুল জন্মবার্ষিকীতে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান, সংসদ সদস্য নিলুফার আনজুম পপি, ট্র্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মহিবুল রশিদ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহফুজুল আলম মাসুম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন। স্মারক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকার।

এছাড়াও সকালে কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ ত্রিশালে বই মেলার উদ্বোধন করেন।

;

সালিশের নামে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার অর্থ আত্মসাৎ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নৌ বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমি ও অবকাঠামোর জন্য পাওয়া ৬ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের না দিয়ে শালিসের বাহানায় আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা মো. জাকির হোসেনের কাছে রেখে দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নাছির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার চর চারতলা গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে হাসি আক্তার জুঁই।

লিখিত বক্তব্যে জুঁই বলেন, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা মৌজার ৪৪০/৩৩১৮ দাগের এক একর ভূমি নৌ বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করে সরকার। অবকাঠামো বিলসহ অধিগ্রহণ মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৬ কোটি ৮৪ লাখ, ৪১ হাজার ৯৫৩ টাকা। আমরা উক্ত ভূমির বৈধ মালিক হলেও উপজেলার মৈশাইর গ্রামের শাহজাহান মিয়াসহ আরো কয়েকজন জাল দলিল ও ভুল বিএস খতিয়ানের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত ভূমি তাদের নামে খারিজ করে নেয়। নামজারি করতে গিয়ে ২০.১২.১৯৫২ সালে সম্পাদিত ৪৩৬৪ নং একটি দলিলের জাল অনুলিপি প্রদর্শন করা হয়। অথচ রেকর্ড রুমে তল্লাসী দিয়ে পাওয়া যায় ৪৩৬৪ দলিলাদি সরাইল উপজেলার বেহাইর মৌজার যা ০৪.১২.১৯৫২ সালে সম্পাদিত হয়েছে। অথচ আমরা উক্ত ভূমির প্রকৃত ওয়ারিশের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে বৈধ মালিক হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করি। ফলে অধিগ্রহণের টাকা আটকে যায়। যা কোন পক্ষের মাধ্যমেই তা উত্তোলন করা যাচ্ছিল না।

এমতাবস্থায় আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ২৮.১১.২০২১ তারিখে আমাদের ডেকে নিয়ে উভয় পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করে সমবন্টনের প্রস্তাব দেয়। আমরাও সরল বিশ্বাসে মীমাংসার স্বার্থে তাদের কথা বিশ্বাস করে আমাদের দায়ের করা মামলা ৪১০/২০১৯ তুলে নেই। একই তারিখে হানিফ মুন্সি ও জাকির হোসেন আমাদের ৪ জনের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল খালি স্ট্যাম্পে এবং স্ব স্ব একাউন্টের ব্যাংক চেকে টাকার অংক না বসিয়ে স্বাক্ষর নেয়। পরে মিমাংসার স্বার্থে আমাদের আপত্তি না থাকায় শাহজাহান মিয়ার মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উঠানো হয়। উঠানো টাকার মধ্যে ৬ কোটি টাকা হানিফ মুন্সির কাছে জমা রাখে। যা পরবর্তীতে সমঝোতার ভিত্তিতে বণ্টন করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু হানিফ মুন্সি এই টাকা আমাদের না দিয়ে ৩ বছর যাবত তার কাছে আটকে রেখেছে। যা এলাকার সকলেই জানেন। আমরা এই বিষয়ে তার কাছে বার বার গেলেও সে আমাদের টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। অথচ আমরা মামলা মোকাদ্দমা করে টাকা পয়সা খরচ করে অতিকষ্টে আমরা দিনে পার করছি। এই টাকার শোকে আলম খা স্টোক করে মৃত্যুবরণ করেন। তার ছেলেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এসব ঘটনা সুরাহা না হওয়ায় আমরা আবারো আদালতে পি২৮৮/২০২৪ একটি মামলা দায়ের করেছে।

এসব বিষয়ে মৃত আলম খার ছেলে জামাল খা বলেন, ৬ কোটি টাকা আমরা পাওয়ার কথা থাকলেও শালিসের নাম করে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন তা নিজেদের কাছে আটকে রাখছে। আমরা গরিব মানুষ একদিকে জমি ও বাবাকে হারিয়েছি, অন্যদিকে টাকা। আমরা এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা চাই।

ভুক্তভোগীদের ওয়ারিশ মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমরা এই টাকার জন্য বার বার হানিফ মুন্সিও জাকির হোসেনের কাছে গেলেও তারা আমাদের পাত্তাই দিচ্ছে না। এনিয়ে উপহজলায় বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আমরা আমাদের অধিকারের টাকা চাই।

এসব বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.হানিফ মুন্সি বলেন, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের মধ্যে কেউ এই টাকা পাওনা না। তারা উদ্যেশ্যমূলকভাবে ও আমাকে হয়রানি করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সবকিছু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা কারো প্রাপ্য টাকা আমাদের কাছে রাখিনি। যারা অভিযোগ করেছে তাদের মামলা আদালতে খারিজ করে দিয়েছে। তাই কোন ভাবেই তারা টাকা পাওনা না। একটি মহল আমাকে নির্বাচনে ঘায়েল করার জন্য এই নাটক সাজিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আলম খার ছেলে জামাল খা, রাজন খা, ওমর খার স্ত্রী খালেদা বেগম, কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম, কুদ্দুস মিয়া প্রমূখ।

;

সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শাজাহানপুরে টয়লটের সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে বিমল বাঁশফোঁড় (৫০) ও লাঠিয়াল বাঁশফোড় (৪৫) নামে দুইজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তারা বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর সুইপার কলোনীর বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের আগড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোহাইল আগড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের বাড়িতে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে ওই দুইজন বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ট্যাংকের ভিতর আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে সেপটিক ট্যাংক থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

;

সংসদ সদস্য আজীম হত্যাকাণ্ড

আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় গুলশান ও বসুন্ধরা এলাকায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে হলুদ ও মশলা মাখিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার জন্য রাজধানীর গুলশান ও বসুন্ধরা এলাকায় একাধিক মিটিং করেন হত্যাকারীরা। গুলশান-২ এর ৬৫ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাসায় ও বসুন্ধরার- এল ব্লকের ৩২ নম্বরের ১৯২৯ নম্বর বাসায় তাকে হত্যার পরিকল্পনায় মিটিংগুলো করা হয়। গুলশান-২ এর ১৭ নম্বর বাড়িতে রয়েছে একটি মদের বার। এর মধ্যে বসুন্ধরার- এল ব্লকের বাড়িটি আনোয়ারুল আজিম আনারের ছোটবেলার বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকরী হিসেবে অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীনের মালিকানাধীন বলেও ডিবি সূত্রে জানা যায়। 

সূত্র জানায়, শাহীন দুই থেকে তিন মাস ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আনারকে হত্যা করতে প্রথমে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।  তবে গোয়েন্দা পুলিশের শক্তিশালী তদন্ত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কলকাতাকে বেছে নেন।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন- হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ, ফয়সাল, আমানের বান্ধবী সিলিস্তি রহমান, জিহাদ ওরফে জাহিদ ও সিয়াম। আটকদের মধ্যে আটকদ দুইজন জিহাদ ওরফে জাহিদ ও সিয়াম ভারতের নাগরিক।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অ্যাপচালিত এক ট্যাক্সিক্যাবচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার নাম পত্রিকাটি প্রকাশ না করলেও ঢাকার গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, তার নাম রাজা। 

উল্লেখ্য, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিনদিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরাহনগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস। তারপরই গণমাধ্যমে আসে তার মৃত্যুর খবর।

;