রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মতো বাংলাদেশেও হচ্ছে। একই কথা রিজার্ভেও। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা আপদকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। এত বেশি আলোচনার কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে আরও সুসংগঠিত হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কল্যাণ হবে না। গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি; ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে রোজই আন্দোলন, সরকার উৎখাতসহ নানা রকম হুমকি ধমকি দেয়। যতক্ষণ জনগণ আছে সাথে, ওটা আমি কেয়ার করি না। তারপরও দেশের জ্বালাও পোড়াও, অগ্নিসংযোগ এগুলো যেন না করতে পারে। এগুলো যারা করবে, তাদের কোনো ছাড় নেই... যতই মুরুব্বি ধরুক, আর যাই ধরুক। এদের আমরা ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতিনিয়ত বাচ্চা হচ্ছে। তাদের জনসংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এদিকে, মিয়ানমারেও পরিস্থিতি ভালো নয়। তাদের তো আর ঠেলে দিতে পারি না। আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি। যুদ্ধ করতে যাইনি, ঝগড়াও করতে যাইনি। কখন যে তাদের ফেরাতে পারব, জানি না। আমরা তো রিফিউজি ছিলাম, তাদের কষ্ট বুঝি। তাদের ভাসানচরে নিচ্ছি। কিছু গেছে, আরও যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। গাজায় গণহত্যা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। যেখানেই যাই, এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। ইরানের প্রেসিডেন্ট মারা যাওয়ার ঘটনায় আমরা শোক জানিয়েছি। শোক দিবসও পালন করেছি। যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতিতে কাজ করছি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে সমস্যা ইনফ্লুয়েশন। এটা অনেক দেশের সমস্যা। এটা কমাতে পারলে ভালো হতো। রিজার্ভ আমাদের মতো অনেক দেশেরই কমে যাচ্ছে। আমাদের আপদকালীন সময়ের জন্য খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ কম কোনো সমস্যা না। তারপরও আমি এটা নিয়ে সচেতন করায়, এখন দেখি সবাই এটা নিয়ে কথা বলছে। এটা ভালো। অন্তত বললে, সবাই সচেতন থাকবে। আমি বলেছি, সবাইকে উৎপাদনে মনোযোগী হতে। নিজেদের চাহিদা পূরণে অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে বলেছি। গোপালগঞ্জে আমরা একটা সমিতির মাধ্যমে চাষাবাদ করেছি। সেখানে সবাই এটা করছে। এভাবে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনলে আমাদের খাবারের অভাব হবে না। বরং রপ্তানি করতে পারব। অবশ্য, এখনও সবজি-ফুল রপ্তানি হচ্ছে।

বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও, টেলিভিশন করে দেওয়ার পরও বলছে, কথা বলতে পারি না। ফেসবুকেও সমালোচনা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স। আমরাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সচেতন যে, কীভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্কুলে ছেলেদের সংখ্যা কমছে। মেয়েদের সংখ্যা বেশি। এবার মেয়েরা বেশি পাস করছে, ছেলেরা কম। এর কারণ খুঁজে বের করতে বলেছি। উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে আমরা সুবিধা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ২২ জেলা ও ৩৩৪ উপজেলা এখন ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত। বাকিগুলোও হবে। প্রত্যেক নাগরিক দুই শতক জমিসহ ঘর পাবে। কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, অভুক্ত থাকবে না। পাশাপাশি নিরক্ষরও থাকবে না। সবাইকে পড়াশোনার আওতায় আনব। বেকারও থাকবে না। কর্মসংস্থানের নানা সুযোগ সৃষ্টি করছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির অহমিকা ছিল, তারাই বড় দল। ২০০৮ এর নির্বাচন মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে, সেটাই তাদের ক্ষোভ। এরপর ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসেনি। এরপর থেকে তো বাংলাদেশে নির্বাচনই হতে দেবে না, এমন অবস্থা। হ্যাঁ, কোনো এক সাদা চামড়া থেকে প্রস্তাব এসেছে, বাংলাদেশে তাদের ঘাঁটি করবে। সে সুযোগ দিলে তারা নির্বাচন করতে দেবে। আমি রাজি হইনি। আমি এই প্রস্তাব পাত্তা দেইনি, সোজা কথা। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি। আমি তাদের ওপরই নির্ভর করি।

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস বিক্রি নিয়ে অনেক দিন দেন-দরবার হয়। আমার একটাই কথা ছিল, দেশের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকলে বিক্রি করব। অত বড় দেশ, এমন কথা তো সহ্য করবে না, এটাই স্বাভাবিক। বৈঠক হলো... খালেদা জিয়া রাজি হলো গ্যাস বিক্রির। আমি রাজি হইনি। আমি বলেছি, গ্যাস বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে, এমন দৈন্যতা আমাদের নেই। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব না। পরে কিন্তু ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন বণ্টন নিয়ে সবশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।

   

চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনে ফাটল, ধীরগতিতে চলছে ট্রেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনে আকষ্মিক ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে দুর্ঘটনা এড়াতে ওই স্থান দিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে ট্রেন।

রোববার (১৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী ঘোড়ামারা রেলগেটের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল রেললাইনের ওপর লাল কাপড় টাঙিয়ে মেরামতের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

উথলী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার স্বপন বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে জানান, রেললাইন ফাটলের বিষয়টি প্রথমে উথলী ঘোড়ামারা রেলগেটের গেটম্যানের নজরে আসে। তিনি দ্রুত আমাদেরকে জানান। এরপরই ঘটনাস্থলে লাল কাপড় টাঙিয়ে মেরামতের কাজ শুরু হয়। এতে ফাটল স্থান দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করছে।

চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, উথলীতে রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ফাটল অংশ কেটে বাদ দিয়ে লাইনের মেরামত চলছে৷ বর্তমানে ঘটনাস্থল দিয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। এতে ঈদ যাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে না বলে তিনি জানান।

এর আগে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি একই স্থানে রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছিল। ওই সময় উথলী রেলস্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার আবু সাঈদ জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে রেললাইনে ফাটলের ঘটনা ঘটতে পারে।

;

ঈদের দিন বৃষ্টি হবে!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪
বৃষ্টি / ছবি: বার্তা২৪

বৃষ্টি / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে অবশেষে চলেই এলো ঈদুল আজহা। আজ বাদে কাল (১৭ জুন) উদযাপিত হবে ২০২৪ সালের কোরবানির ঈদ। তবে ঈদের এই আনন্দের মধ্যে পানি ঢালার সংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস।

সোমবার( ১৭ জুন) ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রোববার থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাতেও ঈদের দিন শেষ বিকাল বা সন্ধ্যায় রয়েছে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। আষাঢ়ের প্রারম্ভে ঈদ হওয়ায় সবার মধ্যে একটা কৌতূহল কাজ করছিল, কেমন থাকবে কোরবানির ঈদের দিন আবহাওয়া! আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন বিভাগে কম বেশি মধ্যম ভারী বর্ষণ থেকে অধিক ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে দেশের সব অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় একেক রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,দেশের ঈদের দিন তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোরও কোনো কোনো অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টি থাকতে পারে।’

ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘ঈদের দিন, অর্থাৎ ১৭ জুন দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত হবে। একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সাথে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অনেক ভারী বর্ষণ হতে পারে।’

ঈদের দিন বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রার কেমন থাকবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।’

ঈদের এই শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে নানারকম ব্যস্ততা কাজ করছে দেশবাসীর মধ্যে। কাল সারাদেশে পশু কুরবানি করা হবে। এমন মুহূর্তে বৃষ্টি হলে, তা পশুর বর্জ্য অপসারণে ইতিকর প্রভাব ফেলতে পারবে।  

;

খুলনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুলনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট

খুলনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর হাটে শেষ মুহূর্তে ব্যাপক ভিড়। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে মহানগরীর প্রতিটি হাটেই বেচাকেনা জমজমাট।

রোববার (১৬ জুন) সকাল থেকেই কোরবানির হাটে পশু কেনার জন্য আগ্রহী ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেন। 

ক্রেতারা প্রতিটি গরু, ছাগল বা কোরবানির পশু পরিদর্শন করে দামদর ঠিক করছেন। বিক্রেতাদেরও ব্যস্ততা তুঙ্গে। কারণ একদিকে পশু বিক্রি, অন্যদিকে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি বজায় রাখা, উভয়ই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত মহানগরীর জোড়া গেট এলাকার পশুর হাটে সাতক্ষীরা তালা উপজেলা থেকে আসা মো. এবাদুল গাজী নামের এক গরু বিক্রেতা জানালেন, ‘সকাল থেকে ক্রেতাদের চাপ বাড়ছে। গরু দেখার পর দরদাম নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। আমাদেরও কষ্ট কম নয়, কিন্তু আমরা খুশি যে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারছি।’

খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া এলাকা থেকে আগত মোঃ সজল মৃধা নামের এক ক্রেতা বললেন, ‘কোরবানির জন্য ভালো পশু বেছে নিতে চাই। ত্যাগের মহিমায় আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি দেয়।”

খুলনার অধিকাংশ কোরবানির পশুর হাটে পশু চিকিৎসকদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, যা ক্রেতাদের জন্য আশ্বাস প্রদান করে। কোরবানির হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনও তৎপর। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক দল কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

পশুর হাটে সাধারণত চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের পশু পাওয়া যাচ্ছে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া সবই রয়েছে। বিশেষ করে এ এলাকায় গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ক্রেতারা সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান গরু বেছে নিচ্ছেন। ক্রেতাদের মতে, কোরবানির পশু যেন নির্দিষ্ট মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ হাটে আসা মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মিয়া নামের আরেক ক্রেতা জানালেন, “আমি প্রতি বছর কোরবানি দেয়। এটি আমার জন্য এক ধরনের আত্মিক প্রশান্তি এনে দেয়। আমরা সব সময় ভালো পশু বেছে নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিয়ে থাকি।” অন্যদিকে যশোর মনিরামপুর থেকে আসা খামারি মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, “কোরবানির সময় আমাদের বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। সারাবছর আমরা এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করি।”

সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি মাসের ১০ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশুর হাট শুরু হয়। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর কোরবানি ঈদের আগে এ হাটের আয়োজন করে থাকে সিটি কর্পোরেশন। তবে এ হাট জমতে শুরু করে ঈদের দুদিন আগে থেকে। শনিবার থেকে এ হাটে দায়িত্বরত সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ২০২৩ সাল এ হাটে ৪ হাজার ৮৯টি গরু, ১ হাজার ৯শ ১১টি ছাগল এবং ২০টি বিক্রি হয়েছিল ভেড়া। সিটি কর্পোরেশন হাসিল আদায় করেছিল প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ।

;

ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহার বন্ধকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৪টায় কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্কে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই ছুটিতে কুয়াকাটায় অতিরিক্ত পর্যটকদের আগমন ও মাসিক মিটিংয়ের অংশ হিসাবে "কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট" কমিটির এ সভায় একথা জানান জেলা প্রশাসক ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক মো. নুর কুতুবুল আলম।

কুয়াকাটাকে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্রতিবছরের ন্যায় ঈদুল আযহার লম্বা ছুটিতে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হবে। এজন্য আমরা সার্বিকভাবে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ, মহিপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগে থেকেই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও এখানে উপজেলা প্রশাসন এবং একজন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা বা দূর্ঘটনা না ঘটতে পারে। প্রতিবছরই আমরা এই ধরনের প্রোগ্রাম করে আসছি তাই আমরা প্রতি বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছর একটু বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো: আনসার উদ্দিন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার, হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম.এ মোতালেব শরীফ,সাংবাদিক আবুল হোসেন রাজুও আসাদুজ্জামান মিরাজ সহ কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, প্রমুখ।

;