এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

হত্যার কারণ জানতে তদন্ত চলছে: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে নিবিড়ভাবে তদন্ত চলছে।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে থানায় মামলা করবেন। আমাদের কর্মকর্তারা তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

হারুন বলেন, নিহত এমপির মেয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। তার বাবা বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন। এরপর আর পাওয়া যায় নি। সেখানে কি ঘটেছে এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করার জন্য এসেছেন। মামলা কিভাবে কোথায় করবেন তা আমরা বলেছি। তার বাবা সংসদ ভবন এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে তিনি ভারতে গেছেন। আমরা তাকে বলেছি শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করতে। মামলা করতে আমাদের কর্মকর্তারা তাকে সহযোগিতা করছে। মামলাটি আজকের মধ্যেই হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি মর্মান্তিক। তিনি একজন ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ এলাকার জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তার এলাকার সাধারণ মানুষ স্তম্ভিত। আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি তিন বারের সংসদ সদস্য। এ রকম নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। এটা মনে করেই আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাজ করছে। নিবিড়ভাবে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কয়েকজন আছে আমাদের কাছে তাদের থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা সব কিছু বলতে পারছি না। একজন সংসদ সদস্যকে যেভাবে বাংলাদেশি অপরাধীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি যারা আছে তাদের প্রত্যেককে আমরা আইনের আওতায় আনবো। বিচারের মুখোমুখি আনবো। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।

বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কি কারণে হত্যার ঘটনা ঘটেছে জানা গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আসলে এটা কি কারণে ঘটেছে জানতে আমাদের তদন্ত চলছে। এটা পারিবারিক নাকি অার্থিক অথবা এলাকায় কোনো দুর্র্বত্তদের দমন করার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না। সব কিছু আমরা তদন্তে বের করে আনবো।

   

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ।

রোববার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন করছেন।

এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।

ঈদের দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করেন আবু ইয়াহিয়া জাকারিয়া মাদানী।

জেলার হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফ, উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ আরও বেশ কয়েকটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে শামিল হয়েছেন।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পিরজাদা আবু ইয়াহিয়া মো. জাকারিয়া আল মাদানি বলেন, মরহুম মাওলানা ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্‌যাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারায় দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারী এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষ। তাই রোববার সেখানে পশু কোরবানি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিশ্বের অন্যদেশগুলোতেও একই দিনে ঈদ উদযাপন করা হবে।

;

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদ। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের হার।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৯১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ৩৪ হাজার ২৩৬টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৪৫০ টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ১৭ হাজার ৬৫৫ টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার টাকা।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এবারো ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মোট ২১টি জেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।

;

ডিএমপি কমিশনার

‘ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই

ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহা সোমবার। জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত ও নির্বিঘ্নে চলাচলের লক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। একই সঙ্গে ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

রোববার (১৬ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান হাবিবুর রহমান। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, অন্যান্য বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, ঢাকায় মুসলিম দেশের কূটনীতিক এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঈদ জামাত আদায় করবেন। এই ঈদগাহ মাঠে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন ড.খ. মহিদ উদ্দিন , অতিরিক্ত কমিশনার মো.আশরাফুজ্জামান, সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে ১০টার দিকে এসে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের ভেতরে ও আশেপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করেন তিনি।

জানা গেছে, প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটারের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার ঈদগাহের প্যান্ডেলের ক্ষেত্রফল ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার।

;

আজ ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদযাত্রার শেষ দিন রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ্ আলম কবির কিরণ।

রোববার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান তিনি।

শাহ্ আলম কবির কিরণ বলেন, রোববার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করেছে সবগুলো ট্রেনই প্রায় নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে। শনিবার যেহেতু গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে সেহেতু ছুটির পর থেকে সবগুলো ট্রেনেই এমন ভিড় ছিল। আমরা বিগত ৫ দিন যাবৎ সুষ্ঠু, সুন্দর ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই আমরা যাত্রী সেবা দেয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি।

আমরা ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে দিয়েছি। মোট আসনের বিপরীতে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রীদের অনুরোধে কাউন্টার থেকে দেয়া হয়েছে। টিকিটসহ যাত্রী যারা যাচ্ছে তারা যেন তাদের আসনে বসতে পারে এবং যে স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটলো কাউন্টার থেকে সে যেন অন্তত দাঁড়িয়ে হলেও তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। তিনস্তর বিশিষ্ট টিকিট চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রতিটি ট্রেন যেহেতু সঠিক সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে সেহেতু আমরা চাই যাত্রীরা যেন তার গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে। শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত অনেক বেশি যাত্রীর চাপ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা যাত্রীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ সারাদিন ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল লোকাল কমিউটার ২৫ জোড়া এ ছাড়াও তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে। এবং প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ যাত্রী এই কমলাপুর স্টেশন থেকে যাতায়াত করবে।

ছাদে যাত্রীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই চাই কোনো যাত্রী যেন ছাদে ও ইঞ্জিনে, ব্যাফারে ভ্রমণ না করে তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়েই যেন টিকিট কেটে ভ্রমণ করে। আপনারা জানেন যে টিকিট যার ভ্রমণ তার এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তারপরেও এত পরিমাণ যাত্রীদের চাপ, সেটা ঠেকাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রত্যেক যাত্রী যেন তার আসনে বসে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এটা আমরা চেষ্টা করছি।

;