এমপি আনার খুন: ঢাকা আসছেন কলকাতা পুলিশের দুই কর্মকর্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত ও তথ্য বিনিময় করতে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পুলিশের স্পেশাল একটি দল।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভারতীয় পুলিশের এই বিশেষ টিমের ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সদর দফতর ও ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। দুই দেশের নাগরিকরা হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য ভারতীয় পুলিশের একটি স্পেশাল টিম তদন্তের জন্য ঢাকায় আসবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে দুই সদস্যের একটি দল ঢাকায় আসবে।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীমের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে সেখানে তার মরদেহ মেলেনি।

আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মামলার এজাহার দায়ের করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

গতকাল বুধবার বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। এটি নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। আনোয়ারুল আজীম আনার একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার এলাকার সাধারণ মানুষ স্তম্ভিত। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি তিনবারের সংসদ সদস্য। নিবিড়ভাবে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কয়েকজন আমাদের কাছে আটক আছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা সবকিছু বলতে পারছি না।

   

টুং-টাং শব্দে মুখর কিশোরগঞ্জের কামারপাড়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদ। কিশোরগঞ্জের সবগুলো উপজেলায় কোরবানির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। টুং টাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে কামারপাড়া।

কামার ছমেদ আলী (৩৫) দুই দিনে ১০ ঘণ্টাও ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনি৷ গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার কাজ। কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার ফজরের আগেই দোকান খুলতে হচ্ছে৷  কারণ জমে থাকা কাজ শেষ করতেই হবে।

শনিবার (১৫ জুন) রাতে কয়েকটি কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, এমনি দৃশ্য। প্রতি দোকানে অতিরিক্ত ৫-৬ জন শ্রমিক মিলে কাজ করছে৷ দোকানের চারদিকে ঘিরে আছে মানুষ৷ কেউ নতুন কিনছেন আবার কেউ পুরাতন গুলো মেরামত ও ধার দিতে আনছেন।

এমনকি শনিবার সকাল থেকেই মানুষের ভিড়। ধরণা দিচ্ছেন তাদের জিনিস গুলো তৈরি হলো কিনা এ নিয়ে৷

একদিকে কোরবানির পশু কেনায় ব্যস্ত সচ্ছল পরিবারগুলো, অন্যদিকে প্রায় কয়েকগুণ বেশি সমানুপাতিক হারেই দা, বটি, ছুরি কিংবা কুরবানির পশু কাবু করার অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কামাররা। দম ফেলার যেন ফুসরত নেই এখন৷ অনেকটা নাওয়া খাওয়া ভুলেই কাজ করতে হচ্ছে।


কোরবানির ঈদের জন্য একান্ত চিত্তে অপেক্ষার প্রহর গুণে কামার দোকানের কর্মচারীরা। পুরো বছর অত্যন্ত নিম্ন আয়েই তাদের কাটাতে হয় দিন।

ঈদ মৌসুমে ভোর রাত থেকেই তাদের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় আর চলে মধ্য রাত অব্দিও। প্রতিটি ছোট ও বড় ছুরি ধারালো করার কাজে কামাররা মজুরি নিচ্ছেন ১০০-১৭০ টাকা। চাকু ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অনেকে আবার নিজস্ব ধাতব পদার্থ নিয়ে আসছেন দা-বটি তৈরি করতে। কেউবা নিচ্ছেন কিনে। তবে দা বটির চাহিদা থাকে সারা বছরই। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে হলেও প্রয়োজনীয় জিনিসটি নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

কামার সুজিত চন্দ্র বলেন, ঈদের আগেই এমন কদর, পরে শেষ। সবকিছু এখন রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়৷ নতুন তৈরির আগ্রহ অনেকের কম। এই কয়ডা দিনই আমাদের টেহা রোজগারের দিন।'

আরেক কামার ছমেদ আলী বলেন, ঘুম, খাবার ঠিকমতো হচ্ছে না৷ মানুষের তাগদা আছে অনেক৷ আজ শেষ দিন৷ কাজ শেষ করার খুব চাপ।

;

যাত্রীর চাপ কমতে শুরু করেছে সায়েদাবাদে 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটিতে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সায়েদাবাদ থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় ছুটছেন মানুষ। ছুটির শুরুতে যানজট আর টিকিটের সংকট থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই চিত্র বদলে গেছে। কাউন্টারে বাস থাকলেও যাত্রীদের তেমন চাপ নেই।

রোববার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ডের কাউন্টারগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি কাউন্টারের বাসের টিকিট রয়েছে। যাত্রীদের ডাকাডাকিতে ব্যস্ত কাউন্টারের কর্মীরা। ব্যাগ হাতে দেখলে গন্তব্য জানতে যাচ্ছে। চাহিদা মতো টিকিট পাচ্ছেন যাত্রীরা।

কথা হয় বনানী এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সুপার ভাইজার সুলতান মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি পটুয়াখালী যাবো। ছুটি পাবো কি না সেটা নিশ্চিত ছিলাম না, তাই অগ্রিম টিকিট কাটিনি। টিকিট পাবো কি না সেই শঙ্কা নিয়ে কাউন্টারে আসলাম। কিন্তু এসে দেখি প্রতিটি কাউন্টারে টিকিট আছে। তাই শ্যামলী পরিবহনের একটি টিকিট কাটলাম।


ঈদের আগের দিন সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ কম বলে জানিয়েছেন, শ্যামলী বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মো. কাওসার। তিনি বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ কম। আমাদের পর্যাপ্ত টিকিট আছে।

শনিবার (১৫ জুন) লেট হলেও আজ দ্রুতই বাস পাওয়া যাচ্ছে। যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। শনিবার বিকেল থেকে সারারাত যানজট ছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকে গাড়ির চাপ কম থাকায় যানজট নেই।

ইউনিক পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সোহরাব হোসেন বলেন, দেশের সব রুটে আমাদের বাস চলে। আমাদের কোনো টিকিট নেই। সব আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। শিডিউল অনুযায়ী বাস যাচ্ছে। আমরা যানজট এড়াতে যাত্রাবাড়ীর হুজুরবাড়ি এলাকা থেকে যাত্রীদের বাসে তুলে দিচ্ছি। এতে কোনো লেট শিডিউল নেই।

ঈদের ছুটিতে সময় মতো বাস না পাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন মহাসড়কের পাশে গরুর হাট বসানোর কারণে কয়েকদিন ধরে লেট শিডিউল টানতে হয়েছে। সময় মতো বাস না আসায় যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে শনিবার সকাল ১০টার পর থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এখন কোনো যাত্রীকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।

ঈদ যাত্রায় যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি ট্রাফিক ওয়ারি বিভাগের যাত্রাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তানজিল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, যাত্রাবাড়ী সায়েদাবাদ থেকে ঢাকা বরিশাল, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন রুটের গাড়ি যাতায়াত করছে। তবে শরীয়তপুরসহ বেশ কয়েকটি স্বল্প দূরত্বের বাস রয়েছে যেগুলো বারবার আসা যাওয়ার কারণে যাত্রাবাড়ীতে যানজট লেগেছে। স্বল্প দূরত্বের বাসের বারবার রোটেশনের কারণে গাড়ির চাপ আছে। তবে আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করছি।

তিনি আরও বলেন, যাত্রাবাড়ী মোড়ে  কিছু বাসের কাউন্টার রয়েছে। এ কারণে যানজট নিয়ন্ত্রণ কঠিন। বরিশাল, চট্টগ্রামসহ সব রুটের বাস বের হয়ে যাচ্ছে। তবে ঢাকায় প্রবেশপথে ধোলাইপাড়ে দেড় কিলোমিটারের একটা যানজটে পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা সর্বাধিক চেষ্টা করছি।

;

ঈদকে ঘিরে হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই: র‌্যাব ডিজি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঈদকে কেন্দ্র করে নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত র‍্যাব: ডিজি

ঈদকে কেন্দ্র করে নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত র‍্যাব: ডিজি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান র‍্যাব ডিজি।

মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রিক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র‍্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে প্রত্যেকটা বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটা দলকে র‍্যাব গ্রেফতার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্থ না হয় আমরা নজর রাখছি।

তিনি বলেন, ঈদের দিনে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাব সদর দফতর থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। চামড়া নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, ঈদ ঘিরে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা-নাশকতার তথ্য নেই। তবে কোন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না, সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন ধরনের নাশকতা- হামলা প্রতিরোধ করতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে, যে কোন গুজব প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন ধরনের হামলার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নাই। তারপরেও যদি এমন কিছু হয়ও আমরা প্রস্তুত আছি। যে কোন ঘটনা প্রতিহত করতে র‍্যাবের প্রস্তুতি রয়েছে। র‍্যাব বর্তমানে ত্রিমাত্রিক এলিট ফোর্সে পরিনত হয়েছে। জলে-স্থলে-আকাশে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। নিশ্চয়তা দিচ্ছি শোলাকিয়ায় হামলার মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটবেনা।

;

বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদ। শেষ মুহূর্তে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়িতে ছুটছেন ঘরমুখী মানুষ। মহাখালী বাস টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। তবে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকায় মিলেছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকেই বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যারা আগে টিকিট কেটেছেন, তারা অপেক্ষা করছেন বাসের জন্য। অপরদিকে সরাসরি কাউন্টারে এসেও টিকিট কাটছেন অনেকে।

মহাখালী বাস টার্মিনালে একই রুটের বিভিন্ন পরিবহন থাকলেও সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে এনা পরিবহনের কাউন্টারে। দীর্ঘ লাইন ধরে টিকিট কাটছেন যাত্রীরা।

মনিরুল ইসলাম নামের একজন চাকরিজীবী বার্তা২৪.কমকে বলেন, এনা পরিবহনে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। তাই লাইন ধরে হলেও টিকিট কিনছি।

মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের রয়েছে দুটো কাউন্টার। দুটো কাউন্টারেই সকাল ও দুপুরের টিকিট শেষ। ফলে যারা এখন টিকিট কিনছেন, তাদের বাসে চড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিকেল পর্যন্ত।

সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া রাখছে পরিবহনটি। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া ৩২০ টাকা, হবিগঞ্জের ভাড়া ৪৬০ টাকা,মৌলভীবাজারের ভাড়া ৫৭০ টাকা ও সুনামগঞ্জের ভাড়া রাখা হচ্ছে ৮০০ টাকা।

কাউন্টার ম্যানেজার রফিকুল জানান, আজ যাত্রীর চাপ বেশি। ইতিমধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এখন বিকেল, সন্ধ্যা, রাতের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

এনা পরিবহন ছাড়া অন্যান্য পরিবহনগুলোতে যাত্রীর চাপ তেমন দেখা যায়নি। যাত্রীর তুলনায় এনা বাসের সংখ্যা কম থাকলেও অন্যান্য পরিবহনে তা নেই। টার্মিনালের সামনেই যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে আলম এশিয়া, ইসলাম, রাজীব, এসআই, ইমামসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস।

ইমাম পরিবহনের হেল্পার রফিক বলেন, আমাদের বাস একেবারেই রেডি করা। যাত্রীরা আসবেন আর উঠে যাবেন, কোনো ঝামেলা নেই। বাস ভর্তি হয়ে গেলেই ছেড়ে দেয়া হবে।

এনা পরিবহন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া নিলেও বেশ কিছু পরিবহনে নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের বাস ভাড়া ৩২০ টাকা হলেও একই রুটের অন্যান্য বাসগুলো ভাড়া চাইতে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। বিশেষত ইমাম, সৌখিন, আলম এশিয়া বাসে এ বাড়তি ভাড়া নেয়ার প্রবণতা বেশি।

ময়মনসিংহগামী যাত্রী আরাফাত প্রথমে এনা পরিবহনের টিকিট কাটার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, সকাল ও দুপুরের কোনো টিকিট না পেয়ে তিনি অন্যান্য পরিবহনের ভ্রমণের চেষ্টা করেন। তবে সেক্ষেত্রে দেখতে পান, নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে।

পরিবহনগুলোর স্টাফরা বলেন, অধিকাংশ বাসগুলো ঢাকা ফিরবে খালি অবস্থায়, তাছাড়া ঈদে কর্মীদের বেতন বোনাস দিতে হয়,তাই ভাড়াটা একটু বেশি নেয়া হচ্ছে।

;