কবি নজরুল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান বলেছেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য সেই চেতনাকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি, বিদ্রোহী কবি, সর্বোপরি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার পর স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করেছেন।’

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ এ বিষয়কে ধারণ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নজরুলের ওপর একসময় অভিযোগ ছিল তিনি বিশেষ সময়ের কবি। কবি নজরুল এর জবাব দিয়েছেন তার জীবনের শেষ ভাষণে ১৯৪১ সালের ৬ এপ্রিল বঙ্গীয় মুসলমান সমিতির রজত জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানের অভিভাষণে।

দূরারোগ্য ব্যাধিতে চিরজীবনের জন্য বাকরূদ্ধ হয়ে যাওয়ার পূর্বে এই ছিল তার সর্বশেষ কালজয়ী ভাষণ। কবি আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি। আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলে শুধু এই দেশরই, এই সমাজেরই নই, আমি সকল দেশের-সকল মানুষের।’

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় নজরুল জন্মবার্ষিকীতে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান, সংসদ সদস্য নিলুফার আনজুম পপি, ট্র্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মহিবুল রশিদ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহফুজুল আলম মাসুম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন। স্মারক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকার।

এছাড়াও সকালে কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ ত্রিশালে বই মেলার উদ্বোধন করেন।

   

ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, লোকসানে ব্যবসায়ীরা



মেহেদী হাছান মাহীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, ঢাকা
ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় উৎসবের দিন পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ মুহূর্তে আসন্ন এই ঈদকে কেন্দ্র করে হাটগুলোতে চলছে গবাদি পশু বিক্রি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর হাটসহ বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কোরবানি পশুর হাট। ক্রেতারা কোরবানির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের গরু-ছাগল ও ভেড়া। ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে বড়, মাঝারি এবং ছোট সাইজের পশু কিনছেন। কিন্তু, পশু বিক্রি করলেও তেমন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন খামারিরা। অনেকে আবার লোকসানেও বিক্রি করেছেন পশু। 

মাতুয়াইল থেকে বাবা মো. শাহজাহানের সাথে যাত্রাবাড়ী হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছেন মো: রাকিব। চারদিন ধরে দুইটি গরু নিয়ে হাটে তিনি। ঈদের আগের দিনেও গরু বিক্রি না হওয়ায় চোখে-মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে রাকিবের। রাকিব নিজ বাড়িতে গরু দুইটি পালন করে আসছেন। শখের দুটি গরুকে বিক্রি করতে না পারায় মন খারাপ তার।

গরু বিক্রি না হওয়া প্রসঙ্গে রাকিব বার্তা ২৪. কমকে বলেন, ক্রেতারা গরুর দাম একেবারেই কম বলে। এর চাইতে কসাইয়ের কাছে গরু বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাবো। ক্রেতার কাছে গরু দুইটির মূল্য চেয়েছে ৩ লাখ টাকা। কিন্তু, কোনো রকমের সাড়া না পেয়ে গরুগুলোকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাকিব।

রাকিব আরও বলেন, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে গরু দুইটাকে লালন-পালন করে আসছি।


এ-পর্যন্ত গরু দুইটির পেছনে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো খরচ করেছি। কিন্তু, হাটে নিয়ে আসার পর ক্রেতারা একেবারেই কম দাম বলছে।

একইরকম অভিজ্ঞতা কিশোরগঞ্জ থেকে আসা মো. রুবেল মিয়ার। টানা তিন বছর যাত্রাবাড়ী হাটে তিনি তার গরু নিয়ে আসেন। এবারের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা তিনবছর পশুর হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছি আমি। তবে, গত দুই বছরের তুলনায় এবারের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে খারাপ। গো-খাদ্যের প্রচুর দাম হওয়ার কারণে এবারে গরুর দাম বিগত কয়েকবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, মাত্র দুইদিন হয়েছে আমি এখানে এসেছি। এই হাটে মোট ১২ টা গরু নিয়ে এসেছি। তারমধ্যে একেবারেই সীমিত লাভে মাত্র ৪ টি গরু বিক্রি করেছি। খামার থেকে যাত্রাবাড়ী পশুর হাটে আসতে এপর্যন্ত আমার ২৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।    

কমলাপুর হাটেও দেখা যায় একই চিত্র। হাট ফাকা তবে ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে নেই আনন্দের ছাপ। এই হাট ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয় মো. আনোয়ারুল হোসেনের সাথে। জামালপুর থেকে ১২টি গরু নিয়ে ৪ দিন আগে এসেছেন কমলাপুর পশুর হাটে। মোট ২৫ লাখ টাকার গরু নিয়ে এসেছেন। ১২ টি গরুর মধ্যে গতকাল রাতে তিনি ৪টি গরু সীমিত লাভে বিক্রি করে দিয়েছেন। ঈদের আগের দিনও হাটে ক্রেতা কম দেখে ৫ টি গরু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লসের মধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন।

লোকসানে গরু বিক্রি করে হতাশায় ভুগছেন আনোয়ার। তিনি বলেন, যে পরিমাণ আশা করেছি তার কিছুই হয়নি। যা লাভ হয়েছে তা দিয়ে কিছুই হবে না। এখনও ৩টি গরু বাকি আছে। বিক্রি না হলে আবার নিয়ে যেতেও খরচ। এবারে ঈদ আর ঈদ রইল না।


কেন লোকসান?

যাত্রাবাড়ী হাটের গরু বিক্রেতা মো: রাকিব বলেন, ২০২৩ সালে গো খাদ্যের দামের তুলনায় এই বছর গো খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। আগে এক বস্তা ভুসির দাম ছিল ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকা। কিন্তু, এখন তা প্রায় ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ভালো স্বাস্থ্যের জন্য গরুকে বিভিন্ন ধরণের সবজি-ফলমূল খাওয়াতে হয়। সেই খাবারের দামও আগের থেকে অনেকগুন বেড়েছে।

একই বিষয়ে কমলাপুর হাটের গরু বিক্রেতা মো: আনোয়ার বলেন, দিন যত যাচ্ছে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। সবাই বলে খামারিরা বাড়তি দাম বলে কিন্তু কেন বাড়ায় এটা জিজ্ঞেস করে না! আগে মাসে কারেন্ট বিল আসতো ৩০০ টাকা এখন তা বাইড়া আসে ৫০০ টাকা।

ক্রেতারা খুশি

গেন্ডারিয়ার এলাকাবাসী মুফিদুল ইসলাম। গত দুদিন ধরে হাট ঘুরছিলেন। আজ একটি ষাড় গরু নিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে।

বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান, সাধ্যের মধ্যে আজকে গরুটি কিনতে পারলাম। গত দুদিনের চেয়ে আজ দাম অনেকটাই কম। দামের তারতম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে গরুর দাম খামারিরা বেশি চায়নি। কিন্তু আমাদেরওতো আর বেতন বাড়ে না। সারাবছর টাকা জমাই কোরবানির জন্য। তবে দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়লে এই খামারিরা আরও মাঠে মারা যাবে। এর প্রভাব আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের উপরেই পড়বে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের আরও যত্নবান হওয়া উচিত।

;

মিরপুর গোলারটেক মাঠে ঈদের প্রধান জামাত ডিএনসিসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ঈদের প্রধান জামাত রাজধানীর মিরপুর গোলারটেক মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৭টায় জামাত শুরু হবে বলে জানানো হয়। এ দিন প্রধান জামাতে এলাকাবাসীর সঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ডিএনসিসির কাউন্সিলররা এবং কর্মকর্তারা এই জামাতে অংশগ্রহণ করবেন।

রোববার (১৬ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকা উত্তরে বসবাসরত নগরীবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এবার ঈদে গোলারটেক মাঠে ডিএনসিসির প্রধান জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আমি নিজেও এই জামাতে অংশগ্রহণ করবো। এর ফলে ঢাকা উত্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ হবে। ওয়ার্ড ভিত্তিক ঈদের জামাত আয়োজনের পাশাপাশি এবার প্রথম বড় পরিসরে মিরপুরে ডিএনসিসির প্রধান জামাত আয়োজন হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন এবং সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গুলশানে এ বছর পহেলা বৈশাখ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও উদযাপন করা হয়েছে।'

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান সংলগ্ন গোলারটেক মাঠে আয়োজিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ঈদের জামাতে ৩০ হাজারের অধিক মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫টি করে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ২৭০টি ঈদের জামাত আয়োজন করা হচ্ছে ডিএনসিসির উদ্যোগে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো মিরপুর গোলারটেক মাঠে ডিএনসিসির ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

;

বন্যার পানিতে ভাসছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের ঈদ আনন্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বন্যার পানিতে ভাসছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের ঈদ আনন্দ

বন্যার পানিতে ভাসছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের ঈদ আনন্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানে হাসি। ঈদ মানে খুশি। সেই হাসি-খুশি নেই সিলেটের দেড় লক্ষাধিক মানুষের মুখে। সোমবার (১৭জুন) পালিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমা নিয়ে ঈদ উদযাপন করবে সারাদেশের মানুষ। কিন্তু ইতোমধ্যেই সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। তাই সিলেটের দেড় লক্ষাধিক মানুষের মুখে নেই ঈদের আনন্দ।

জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির পানিতে সিলেটের সীমান্ত উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্ট হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রদান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারা দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কিছু কিছু স্থানে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে।

সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৯টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পুরো জেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৮ জন মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ জন। জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৫৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। আশ্রয় নিয়েছেন ৫৩ জন। এরমধ্যে ওসমানী নগরে ৪৩ জন ও বালাগঞ্জে ১০জন আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, রোববার (১৬জুন) বিকাল ৩টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ও গোয়াইনঘাটের সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিলেটে ১৬ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের সতর্কবাণী দিয়েছেন।

এদিকে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক। উপজেলার গোয়াইনঘাট-সারিঘাট ও সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের উপর দিয়ে একাধিক স্থানে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া কানাইঘাট উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বাজার হাটে হাঁটু সমান পানিও দেখা যায়।

নতুন করে কানাইঘাট উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে হাওর ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ওই এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণ এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

সিলেট জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি আছে। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় উদ্ধারকাজের জন্য নৌকাও প্রস্তুত আছে। ঈদের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবারের আয়োজনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণসহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

;

ফাঁকা রাজধানীতে শুধু হাসপাতালের সামনে ভিড়



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ উৎসব পালন করতে মেগাসিটি ঢাকার বেশিরভাগ বাসিন্দারা গ্রামে ফিরে গেছেন। এ কারণে নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গলির সড়কগুলোও প্রায় খাঁ খাঁ করছে। মুহূর্তেই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোনো সিগন্যালে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে না। অন্য সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি গণপরিবহন গিজগিজ করলেও ঈদের আগের দিনে মাঝে মধ্যে দু’চারটি বাসের দেখা মিলছে।

রোববার (১৬ জুন) হাসপাতালগুলোর সামনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ধানমন্ডিতে পপুলার মেডিকেল কলেজ, গ্রিন রোডে অবস্থিত ল্যাবএইড হাসপাতাল, গ্রিন লাইফ হাসপাতালের সামনে রাস্তার ওপর অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ সারির পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। যা নগরীর আর কোনো সড়কে দেখা যায়নি।

আজও অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন। যে কারণে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ ও রেল স্টেশন কমলাপুর ও বিমানবন্দরে কিছুটা যাত্রীর চাপ দেখা গেছে।

রাজধানীতে মধ্যম আয়ের লোকদের শপিংয়ের অন্যতম গন্তব্য নিউ মার্কেটও ক্রেতা শূন্য। অনেকেই দোকান খুলে বসে থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। ফাঁকা সড়কের মধ্যে, মাঝে মধ্যে দু’চারজন ক্রেতা হাজির হচ্ছেন। যে কারণে দুপুরের পর কিছু দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।


কাপড়ের দোকানে ক্রেতার সমাগম না থাকলেও জুতার দোকানে কিছুটা ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে। রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও বাটা সিগন্যাল এলাকায় কিছুটা সরব দেখা গেছে। অনেকেই ঘুরে দেখছেন নতুন কোনো ডিজাইন এসেছে কিনা। তবে ক্রেতার তালিকায় তরুণদের আধিক্য লক্ষণীয়। অনেকে বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন জুতা কিনতে।

মিরপুর রোড, রোকেয়া সরণি, বিজয় সরণি, প্রগতী সরণি ঘুরে তেমন লোক সমাগম দেখা যায় নি। 

গলি ও মহল্লার প্রশস্ত সড়কগুলোকে শোভা পাচ্ছে অস্থায়ী বিশাল বিশাল সেড। যেখানে কোরবানির পশু এনে রাখা হয়েছে। কিছু লোকজন কোরবানির পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত, আর ছোট শিশুরা মেতে উঠেছেন ভিডিও এবং সেলফি তোলায়।

অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পাড়া-মহল্লায় ঘুরছে গরু ছাগলের খাবার নিয়ে। তাদের কারো ভ্যানে কাঁঠাল পাতা, কোনো ভ্যানে খড় ও ঘাস শোভা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পুরো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে রাজধানীজুড়ে। আকাশ মেঘলা থাকায় রাজধানীর তাপমাত্রা কয়েকদিনের তুলনায় অনেকটা কম। তাই ফাঁকা রাস্তায় ব্যাটবল হাতে নেমেছেন শিশুরা।

;