করোনার চোখ রাঙানি, যুদ্ধ, ক্ষমতার লড়াই নিয়ে যেমন কাটল ‘২১

  সালতামামি


মোস্তাফিজুর রহমান পলিন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বিদায় নিতে যাচ্ছে ২০২১ সাল। নতুন কিছুর প্রত্যাশায় বিশ্ব বরণ করে নিতে যাচ্ছে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২২ সালকে। তবে বিদায়ী ২০২১ সাল ইতিহাসে জায়গা করে নিবে নানা ঘটন-অঘটনের বছর হিসেবে। এসব মধ্যে রয়েছে নতুন রূপে করোনাভাইরাসের আগমন। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, মার্কিন কংগ্রেসে (ক্যাপিটল হিল) হামলা, আফগানিস্তানে তালেবানের ফের ক্ষমতায় আসা, অকাস নিয়ে বিতর্ক, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, গাজায় ইসরাইলি হামলা, অভিবাসী সংকট, মালালার বিয়ে, ইউরোপের দেশ সুইডেনে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীসহ নানা ঘটনার কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিদায়ী বছরটি।

নতুন রূপে করোনা, ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ

বছরের শেষ সময়ে এসে নতুন করে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এর ফলে ইউরোপের অনেক দেশ ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি সীমানা বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছে। অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) অস্তিত্ব মিলেছে ৮৯টি দেশে। মহামারি পুরোপুরি নির্মূল না হতেই লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলাকেই এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শক বিজ্ঞানীরা বলেন, বিস্তার ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালগুলো বিশাল চাপের মুখে পড়বে। করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন ইউরোপে বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স। এদিকে করোনা প্রতিরোধে টিকা কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্বের সব দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিলে আগামী বছরের মধ্যে মহামারির অবসান সম্ভব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বয়স্ক বাইডেন

মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (৭৮) ২০ জানুয়ারি শপথ নেন। এছাড়া দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথা ভেঙে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করার পরপরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করেন। যুক্তরাষ্ট্র ফের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফেরে। এছাড়া ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তি পুনর্বহালের বিষয়ে আগ্রহে প্রকাশ করে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়া বাইডেন প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সৌদি আরবে ক্রমাগতভাবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিমান হামলার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ক্যাপিটল ভবনে নজিরবিহীন হামলা

গত ৬ জানুয়ারি জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয়নে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকরা নজিরবিহীন হামলা চালায়। এঘটনায় চার ব্যক্তি নিহত হন। এমনকি রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কারফিউ জারি করা হয়। এ ঘটনায় বিস্মিত হয় বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। একে লজ্জাজনক বলেও উল্লেখ করেন তারা। মার্কিন গণতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন উঠে।

২০ বছর পর ফের ক্ষমতায় তালেবান

দীর্ঘ ২০ বছর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর গত ১৫ আগস্ট ফের আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। দেশ ছেড়ে পালান পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তালেবান ক্ষমতায় আসায় এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এছাড়া আফগানিস্তানে গণতন্ত্রের যতটুকু চর্চা শুরু হয়েছিল, নারীর ক্ষমতায়নের যে ধারার সূচনা হয়েছিল, তা তালেবানের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে থমকে গেল। আবার দেশটি যেন ২০ বছর পেছনে ফিরে গেল। দেশটিতে দুই দশকের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হয়েছে। সরকারি হিসেবে আড়াই হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য ও প্রায় ৪ হাজার মার্কিন বেসামরিক লোক নিহত হন। অন্যদিকে আফগানিস্তানে ১ লাখ ৭০ হাজারের ওপর প্রাণহানি ঘটে। এদিকে তালেবান আবারও কঠোর শাসন চালু করতে শুরু করেছে, তার সঙ্গে দেশটিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তারা প্রায় দেশটিতে রক্তক্ষয়ী হামলা চালাচ্ছে।

অকাস উত্তেজনা

চীনকে মোকাবিলা করতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অকাস (এইউকেইউএস) নামের একটি নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা দেয়। যার ফলে ওই অঞ্চলে হঠাৎ করে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সরবরাহ কথা বলা হয়েছে। এতে করে অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে এবং এর মধ্য দিয়ে কৌশলগত এই অঞ্চলে নতুন মেরুকরণের সূত্রপাত হবে। কিন্তু পরমাণু শক্তিধর দেশ ফ্রান্স এই চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেছে। অকাসের তীব্র নিন্দা করে বলেছে এর মাধ্যমে তাদের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে। এর জেরে ক্ষুব্ধ প্যারিস যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় তাদের নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়। যা খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের ব্যাপক সমালোচনা হয়। ধারণা হচ্ছে ২০২২ সালে কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে এর মূল্য দিতে হবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল একটি অতি স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত নৌ-অঞ্চল। মূলত বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলার জন্যই অকাস জোট গঠন করা হয়েছে।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান

চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকার। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। এর জেরে সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এক বিলিয়ন ডলারের সরকারি তহবিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যাতে ব্যবহার করতে না পারে, সে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তরের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করে বলে আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে এটি করা হবে। জান্তা সরকার ৬ ডিসেম্বর মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়।

গাজায় ইসরাইলি হামলা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে হামলা চালায়। এতে গাজায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। নারী-শিশুসহ মারা যায় ১৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। যার ফলে সংঘাত ছড়িয়ে গেছে ইসরাইলেও। সেখানে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে সংঘর্ষে দেখা দেয়। পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি দখলদারদের হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে মুসলিম বিশ্ব। পবিত্র মসজিদের ভিতর নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, বাংলাদেশসহ প্রায় সব মুসলিম দেশ। তবে এই ইস্যুতে অনেকটাই নমনীয় সুর ছিল পশ্চিমাদের।

গভীর হচ্ছে অভিবাসী-সংকট

দিন যত যাচ্ছে ততই অভিবাসী-সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ এশীয় দেশগুলো থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে ওই অঞ্চলে চলমান অভিবাসী-সংকট গভীর হচ্ছে। এছাড়া হাইতি ও হন্ডুরাসের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রমুখী হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে অভিবাসী সংকট নতুন মাত্রা যোগ করে এ বছর। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ১৭ লাখ মানুষ ঢোকে, অন্যদিকে ইউরোপে গত বছরের তুলনায় এবার ৭০ শতাংশ বেশি অভিবাসী ঢুকেছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেকে সাগর পথে ইউরোপে প্রবেশ করার সময় নৌকাডুবে মারা গেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, এ বছর শুধু মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথে নৌকা দুর্ঘটনা এবং জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় ১৫০০ শরণার্থী ডুবে মারা গেছে। সম্প্রতি লিবিয়া উপকূলে ভেসে এসেছে ইউরোপগামী ২৭ জন শরণার্থীর লাশ। বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রুটের এই ঘটনাকে সবশেষ ট্যাজেডি বলছে রেড ক্রিসেন্ট।

বিয়ে করেছেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই

পাকিস্তানের নারীশিক্ষা অধিকারকর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই বিয়ে করেছেন। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মালালা। কারণ একসময় তিনি বলেছিলেন, মানুষ কেন বিয়ে করে। ভোগ ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৩ বছর বয়সী মালালা বলেন, আমি নিশ্চিত নই যে কখনো বিয়ে করবো কি না। আমি এখনো বুঝতে পারছি না কেন মানুষকে বিয়ে করতে হবে’ তিনি আরও বলেন, আপনি যদি আপনার জীবনে একজন ব্যক্তি থাকতে চান, তাহলে কেন বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে, কেন এটি একটি কেবল অংশীদারিত্ব হতে পারে না? বিয়ে করার পর এ নিয়ে মালালা বলেন, আমি একজন সেরা বন্ধু ও সঙ্গী খুঁজে পেয়েছি। তাঁর ভাষ্য, এবার সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিয়েকে দেখেছেন তিনি।

সুইডেনে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন

সুইডেনের ইতিহাসে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন দেশটির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন তিনি। ফের ২৯ নভেম্বর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এক দলীয় সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

  সালতামামি

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

  সালতামামি

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

  সালতামামি

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

  সালতামামি

;