বছরজুড়েই তোপের মুখে ছিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ

  সালতামামি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ একই মন্ত্রণালয়ের পৃথক দু’টি বিভাগ। বিদায়ী বছরে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিহাসের খাতায় নাম লেখালেও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ হঠাৎ বছরজুড়েই ছিল জনগণের তোপের মুখে।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে ঢিমেতাল নিয়ে ছিল বিশেষজ্ঞদের চরম আপত্তি। সেই সঙ্গে বিদেশি কোম্পানিকে চড়াদামে কাজ দেওয়া, বছরজুড়েই নানা দুর্ঘটনা, সর্বশেষ তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলার সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে এই বিভাগের কাঁধে।

নভেম্বর মাসের ৩ তারিখে (মধ্যরাত থেকে) হঠাৎ করেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। দাম বাড়ানোর সময় ইতিহাসের সকল রেকর্ড গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন । লিটার প্রতি ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ওই ঘোষণার পরে গণপরিবহনে অরাজকতা নেমে আসে। বাস মালিকরাও ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে থাকে। যাত্রীদের সঙ্গে টুকাটুকি শুরু হলে অঘোষিত ধর্মঘটে চলে যায় বাস মালিকরা। শেষতক গাড়ি মালিকদের চাপেই ২৭ শতাংশ গাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দেয় সরকার। ভাড়া বাড়ানোর পরে সিএনজিচালিত বাসেও বর্ধিত ভাড়া নিতে থাকলে আরেক লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়। সমাধান হিসেবে ডিজেল চালিত বাসে স্টিকার সাটানো হয়।

এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথম দিকে বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চলে আসলেও ১৯ নভেম্বর রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় রাজধানী শহর ঢাকা। লাগাতার আন্দোলনের মুখে প্রথমে বিআরটিসির বাসে পরে ৩০ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে ঢাকায় হাফভাড়া করার ঘোষণা দেন বাস মালিকদের সংগঠন।

করোনার সংকট কাটিয়ে না উঠতেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় তখন অনেকেই সমালোচনা মুখর হয়েছিলেন। যদিও জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার দাম বাড়ানোর কথা। বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলে আবার কমানো হবে। তাদের সেই বক্তব্য অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন তেলের দাম বাড়লে নানামুখী প্রতিঘাত হয়। বরং তেলের দাম অন্যভাবে সামাল দিলে অরাজকতা হতো না।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অক্টোবর ২০২১ মাসে মোট ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেছে বিপিসি। আর ভাড়া বাড়ানোর কারণে দৈনিক ২শ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুণতে হবে। বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা মুনাফার জন্য ৭৩ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুধু ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির উত্তাপে নয়, বছরজুড়েই নানা দুর্ঘটনায় সমালোচিত হয় জ্বালানি সেক্টর। আগের বছর (২০২০) নারায়ণগঞ্জ মসজিদে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানির ক্ষত না মুছতেই ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা সেক্টরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে জুনে রাজধানীর মগবাজারে। ভয়াবহতা এতো ব্যাপক ছিল আশপাশের ভবন ও রাস্তার ওপর বাসে থাকা যাত্রীরাও আহত হন। রাস্তার বিপরীত দিকের ভবনে থাকা আড়ংয়ের শো-রুমের সব কাঁচ ভেঙে রাস্তায় পড়ে যায়। কয়েকশো গজ দূরে থাকা একটি বাসের সবগুলো কাঁচ ভেঙে পড়ে যায়। দেশ বিদেশের মিডিয়ায় জায়গা করে নেয় মগবাজার ট্রাজেডি।

ওই ক্ষত দূর না হতেই ১২ নভেম্বর ফতুল্লায় একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২ নারী নিহত ও ১৫ জন আহত হন। মগবাজার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে পুরান ঢাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধসহ ১০ জন আহত হন। এছাড়াও ছোট খাটো আরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে গ্যাস সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ডে। বিদায়ী বছরে সব মিলিয়ে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদের। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু খুব একটা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। অনেক সুপারিশ এসেছে কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার নজির কমই রয়েছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তিতাস গ্যাসের নেটওয়ার্কের অনেক লাইনই তিন-চার দশকের পুরোনো, শত শত লিকেজ, জীর্ণ লাইন রয়েছে। পাশাপাশি নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য জটিল করে তুলেছে পরিস্থিতি। রাস্তার উন্নয়ন, ওয়াসা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িতেও নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্যাসের পাইপলাইনের ক্ষয় রোধে ক্যাথডিক প্রটেকশন (সিপি) ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় নিম্নমানের সিপি ব্যবহার করা হয়। পাইপের সঙ্গে থাকা ক্ষয়রোধী কভারও দেওয়া হয় নিম্নমানের। ফলে লাইন দ্রুত জীর্ণ হয়ে পড়ে। এভাবে জরাজীর্ণ লাইনগুলো হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী।

এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাসের রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত অনেক বাসায় লিকেজ রয়েছে, সুইচের গোড়াতেও লিক রয়েছে। যারা প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করছে, এরাই আমাকে বলেছে রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত লিকেজের কথা। এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব গ্রাহককেই নিতে হবে, তাদেরকে সচেতন হতে হবে।

জ্বালানি বিভাগের দর্শন নিয়েও রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ আহরণ ও ব্যবহার। কিন্তু বাংলাদেশ দিন দিন আমদানির দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে, কখনও বাধ্য হয়ে কখনও স্বেচ্ছায় সপে দিয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্বল্প সময়ে যে কাজ করেছেন অন্যরা দীর্ঘসময়ে তার ধারে কাছেও নেই।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেছেন, জ্বালানি খাতে বঙ্গবন্ধু যেটুকু করে গিয়েছিলেন সেটার সুবিধা ভোগ করছি, আমরা তার নীতি, পথও অনেকটা হারিয়ে ফেলেছি।

তিনি বলেছেন, গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। সেদিকে সেভাবে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না। দেশীয় জ্বালানির বিকল্প হতে পারে না। অবশ্যই বিকল্প রাখা উচিত।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ১/২ বছরে যেভাবে কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু এতো বছরে যদি চলতে পারতাম তাহলে চিত্র ভিন্ন হতো। যিনি এক-দুই বছরে পুরো সাগরকে অনুসন্ধানের আওতায় আনলেন। তবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের আইডিয়াল সিচুয়েশন আর দেখতে পেলাম না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এখনও তিমিরেই রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর মাত্র ৪০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে, একই সময়ে ত্রিপুরা কূপ খনন করেছে ১৬০টি। ত্রিপুরা (মাত্র ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন) ১৬০টি কূপ খনন করে মাত্র ১১টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করেছে, এরমধ্যে ৭টি থেকে উৎপাদন করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সফলতার হার অনেক উচ্চ। ১০টি কূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে তিনটি কূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে প্রথম কূপ খনন করা হয় ১৯১০ সালে। বর্তমান সময় পর্যন্ত (১১০ বছরে) মাত্র ৯৫টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। এতে করে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। এর বাইরে মোবারকপুর, কশবা ও কুতুবদিয়ার মতো কয়েকটি ফিল্ড রয়েছে যেগুলোতে গ্যাসের আঁধার পেলেও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয় বলে ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে বাংলাদেশের তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও তিমিরেই বলা হয়।

তবে স্থবিরতা কাটিয়ে কিছুটা গতিতে ফেরাতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। গত ১১ বছরে ১৯টি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে। কূপ খননে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাফল্য ছিল পিলে চমকানোর মতো। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরে সময়ে ৯টি কূপ খনন করেছিলেন। অফসোরে (সাগরে) ৭টি এবং স্থলভাগে ছিল ২টি। আর অবশিষ্ট ৩৬ বছরে অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে মাত্র ১২টি।

সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে গভীর সমুদ্র অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে গেছে এই কার্যক্রমের বাইরে। সাগরে বাংলাদেশের সীমানার ওপার থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে মিয়ানমার। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানার ওপার থেকে ১১৬টি কূপ দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করছে ত্রিপুরা। অবহেলিত পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা অশোকনগরে তেল আবিষ্কার করেছে ভারত।

এতে করে এতোদিন যারা দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা অঞ্চল) তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই মনে করতেন তারাও এখন নড়েচড়ে বসেছেন। বিশাল এই অঞ্চলটিকে গত ১১০ বছরে মাত্র ৬টি কূপ খনন করা হয়েছে তার মধ্যে ৫টিতেই তেল-গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তারপর আর কাজ হয়নি কূপগুলো নিয়ে। এ কারণে আজকে দেশ জ্বালানি সংকটে পড়েছে। বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। তারপরও সংকট সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ আবাসিকে গ্যাস সংযোগ, শিল্পে দেওয়া হচ্ছে বেছে বেছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

  সালতামামি

স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

রোববার (২৬ মার্চ) ব্যাংকের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী।

এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, মো. নাইয়ার আজম, মো. সিদ্দিকুর রহমান ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

  সালতামামি

;

ইসলামী ব্যাংকের রংপুর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংকের রংপুর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংকের রংপুর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের রংপুর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) স্থানীয় একটি হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. নাইয়ার আজম ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জি. এম. মোহা. গিয়াস উদ্দিন কাদের।

ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. কে. এম মাহবুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের রংপুর জোনপ্রধান আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

  সালতামামি

;

বিদেশ থেকে ইন্সট্যান্ট রেমিটেন্স সেবা এখন নগদ-এ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদেশ থেকে ইন্সট্যান্ট রেমিটেন্স সেবা এখন নগদ-এ

বিদেশ থেকে ইন্সট্যান্ট রেমিটেন্স সেবা এখন নগদ-এ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আর্থিক খাতে আরেকটি নতুন সাফল্যের পালক যুক্ত করল ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। দেশের আর্থিক খাতকে মজবুত করতে এখন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে কম খরচে নগদ-এর মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আনা যাবে মুহূর্তেই। পাশাপাশি প্রতি হাজারে সরকারি বোনাস ২৫ টাকাসহ সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে নগদ।

নগদ লিমিটেড বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত একটি রেমিটেন্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ফলে এখন থেকে দেশের প্রবাসী ভাই-বোনেরা বিদেশ থেকে কম খরচে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও দ্রুততার সাথে দেশে তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন।

বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে নগদ একটি বোনাস ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় একজন গ্রাহক ১০ হাজার বা তার বেশি টাকা পাঠালে প্রতি লেনদেনে ১০০ টাকা বোনাস পাবেন এবং ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহক সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পেতে পারেন। আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চালু থাকবে।

নগদ রেমিটেন্স সেবার ফলে এখন আর প্রবাসীদের স্বজনদের রেমিটেন্স পাওয়ার জন্য কোনো ধরনের অপেক্ষা করতে হবে না এবং কোনো কর্মদিবসের ওপরও নির্ভর করতে হবে না। রেমিটেন্স সেবা ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকের জন্য খোলা থাকবে, ফলে চাইলেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মুহূর্তেই রেমিটেন্স পাঠানো যাবে নগদ-এ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত সকল দেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, কাতার, কুয়েত, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও জাপান থেকে কম খরচে টাকা পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা। এসব দেশ থেকে পার্টনার এক্সচেঞ্জ হাউস, মানি ট্রান্সফার অপারেটর বা ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ-এ রেমিটেন্স পাঠানো যাবে।

প্রাথমিকভাবে দেশের সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর পার্টনার এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে দেশে নগদ ওয়ালেটে টাকা পাঠানো যাবে। ক্রমাগত দেশের সকল ব্যাংকের মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র নগদ এ সেবা ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবে।

নগদ-এর এমন সেবা চালুর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে চেষ্টা করেছি মানুষের জীবন সহজ করার জন্য। তারই অংশ হিসেবে আজ যুক্ত হলো রেমিটেন্স, এরফলে প্রবাসী ভাই-বোনেরা এখন কম খরচে তাৎক্ষণিকভাবে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। বাজারে বিদ্যমান এমএফএস সেবাগুলোর মধ্যে নগদ কম খরচে দেশে রেমিটেন্স আনার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।’ নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘দেশের আর্থিকখাতে রেমিটেন্স একটি শক্তিশালী বিষয়, এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে।

আমরা খুবই গর্বিত যে, বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর এই প্রক্রিয়ায় আমরা সম্পৃক্ত হতে পারলাম, এক্ষেত্রে দেশও লাভবান হবে। আমরা এমন আরো অনেক সহজলভ্য সেবা নিয়ে প্রবাসী ভাই-বোনদের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর। এই যাত্রায় আমরা দেশের সকল প্রবাসী ভাই-বোনদের নগদ-এর পাশে পাব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

  সালতামামি

;

সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড দাম বৃদ্ধির পর চার দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম দুই দফা কমে আবার বাড়ানো হয়েছে। তাতে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ছে। এর ফলে ভালো মানের ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহসভাপতি এমএ হান্নান আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সারা দেশে নতুন দর কার্যকর হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।

এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। এতে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়।

তারও আগে, ১৮ মার্চ এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো বাড়েনি।

নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

  সালতামামি

;