বছরজুড়েই তোপের মুখে ছিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ

  সালতামামি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ একই মন্ত্রণালয়ের পৃথক দু’টি বিভাগ। বিদায়ী বছরে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিহাসের খাতায় নাম লেখালেও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ হঠাৎ বছরজুড়েই ছিল জনগণের তোপের মুখে।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে ঢিমেতাল নিয়ে ছিল বিশেষজ্ঞদের চরম আপত্তি। সেই সঙ্গে বিদেশি কোম্পানিকে চড়াদামে কাজ দেওয়া, বছরজুড়েই নানা দুর্ঘটনা, সর্বশেষ তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলার সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে এই বিভাগের কাঁধে।

নভেম্বর মাসের ৩ তারিখে (মধ্যরাত থেকে) হঠাৎ করেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। দাম বাড়ানোর সময় ইতিহাসের সকল রেকর্ড গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন । লিটার প্রতি ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ওই ঘোষণার পরে গণপরিবহনে অরাজকতা নেমে আসে। বাস মালিকরাও ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে থাকে। যাত্রীদের সঙ্গে টুকাটুকি শুরু হলে অঘোষিত ধর্মঘটে চলে যায় বাস মালিকরা। শেষতক গাড়ি মালিকদের চাপেই ২৭ শতাংশ গাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দেয় সরকার। ভাড়া বাড়ানোর পরে সিএনজিচালিত বাসেও বর্ধিত ভাড়া নিতে থাকলে আরেক লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়। সমাধান হিসেবে ডিজেল চালিত বাসে স্টিকার সাটানো হয়।

এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথম দিকে বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চলে আসলেও ১৯ নভেম্বর রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় রাজধানী শহর ঢাকা। লাগাতার আন্দোলনের মুখে প্রথমে বিআরটিসির বাসে পরে ৩০ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে ঢাকায় হাফভাড়া করার ঘোষণা দেন বাস মালিকদের সংগঠন।

করোনার সংকট কাটিয়ে না উঠতেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় তখন অনেকেই সমালোচনা মুখর হয়েছিলেন। যদিও জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার দাম বাড়ানোর কথা। বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলে আবার কমানো হবে। তাদের সেই বক্তব্য অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন তেলের দাম বাড়লে নানামুখী প্রতিঘাত হয়। বরং তেলের দাম অন্যভাবে সামাল দিলে অরাজকতা হতো না।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অক্টোবর ২০২১ মাসে মোট ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেছে বিপিসি। আর ভাড়া বাড়ানোর কারণে দৈনিক ২শ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুণতে হবে। বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা মুনাফার জন্য ৭৩ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুধু ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির উত্তাপে নয়, বছরজুড়েই নানা দুর্ঘটনায় সমালোচিত হয় জ্বালানি সেক্টর। আগের বছর (২০২০) নারায়ণগঞ্জ মসজিদে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানির ক্ষত না মুছতেই ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা সেক্টরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে জুনে রাজধানীর মগবাজারে। ভয়াবহতা এতো ব্যাপক ছিল আশপাশের ভবন ও রাস্তার ওপর বাসে থাকা যাত্রীরাও আহত হন। রাস্তার বিপরীত দিকের ভবনে থাকা আড়ংয়ের শো-রুমের সব কাঁচ ভেঙে রাস্তায় পড়ে যায়। কয়েকশো গজ দূরে থাকা একটি বাসের সবগুলো কাঁচ ভেঙে পড়ে যায়। দেশ বিদেশের মিডিয়ায় জায়গা করে নেয় মগবাজার ট্রাজেডি।

ওই ক্ষত দূর না হতেই ১২ নভেম্বর ফতুল্লায় একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২ নারী নিহত ও ১৫ জন আহত হন। মগবাজার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে পুরান ঢাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধসহ ১০ জন আহত হন। এছাড়াও ছোট খাটো আরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে গ্যাস সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ডে। বিদায়ী বছরে সব মিলিয়ে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদের। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু খুব একটা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। অনেক সুপারিশ এসেছে কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার নজির কমই রয়েছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তিতাস গ্যাসের নেটওয়ার্কের অনেক লাইনই তিন-চার দশকের পুরোনো, শত শত লিকেজ, জীর্ণ লাইন রয়েছে। পাশাপাশি নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য জটিল করে তুলেছে পরিস্থিতি। রাস্তার উন্নয়ন, ওয়াসা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িতেও নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্যাসের পাইপলাইনের ক্ষয় রোধে ক্যাথডিক প্রটেকশন (সিপি) ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় নিম্নমানের সিপি ব্যবহার করা হয়। পাইপের সঙ্গে থাকা ক্ষয়রোধী কভারও দেওয়া হয় নিম্নমানের। ফলে লাইন দ্রুত জীর্ণ হয়ে পড়ে। এভাবে জরাজীর্ণ লাইনগুলো হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী।

এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাসের রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত অনেক বাসায় লিকেজ রয়েছে, সুইচের গোড়াতেও লিক রয়েছে। যারা প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করছে, এরাই আমাকে বলেছে রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত লিকেজের কথা। এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব গ্রাহককেই নিতে হবে, তাদেরকে সচেতন হতে হবে।

জ্বালানি বিভাগের দর্শন নিয়েও রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ আহরণ ও ব্যবহার। কিন্তু বাংলাদেশ দিন দিন আমদানির দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে, কখনও বাধ্য হয়ে কখনও স্বেচ্ছায় সপে দিয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্বল্প সময়ে যে কাজ করেছেন অন্যরা দীর্ঘসময়ে তার ধারে কাছেও নেই।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেছেন, জ্বালানি খাতে বঙ্গবন্ধু যেটুকু করে গিয়েছিলেন সেটার সুবিধা ভোগ করছি, আমরা তার নীতি, পথও অনেকটা হারিয়ে ফেলেছি।

তিনি বলেছেন, গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। সেদিকে সেভাবে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না। দেশীয় জ্বালানির বিকল্প হতে পারে না। অবশ্যই বিকল্প রাখা উচিত।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ১/২ বছরে যেভাবে কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু এতো বছরে যদি চলতে পারতাম তাহলে চিত্র ভিন্ন হতো। যিনি এক-দুই বছরে পুরো সাগরকে অনুসন্ধানের আওতায় আনলেন। তবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের আইডিয়াল সিচুয়েশন আর দেখতে পেলাম না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এখনও তিমিরেই রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর মাত্র ৪০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে, একই সময়ে ত্রিপুরা কূপ খনন করেছে ১৬০টি। ত্রিপুরা (মাত্র ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন) ১৬০টি কূপ খনন করে মাত্র ১১টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করেছে, এরমধ্যে ৭টি থেকে উৎপাদন করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সফলতার হার অনেক উচ্চ। ১০টি কূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে তিনটি কূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে প্রথম কূপ খনন করা হয় ১৯১০ সালে। বর্তমান সময় পর্যন্ত (১১০ বছরে) মাত্র ৯৫টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। এতে করে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। এর বাইরে মোবারকপুর, কশবা ও কুতুবদিয়ার মতো কয়েকটি ফিল্ড রয়েছে যেগুলোতে গ্যাসের আঁধার পেলেও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয় বলে ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে বাংলাদেশের তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও তিমিরেই বলা হয়।

তবে স্থবিরতা কাটিয়ে কিছুটা গতিতে ফেরাতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। গত ১১ বছরে ১৯টি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে। কূপ খননে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাফল্য ছিল পিলে চমকানোর মতো। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরে সময়ে ৯টি কূপ খনন করেছিলেন। অফসোরে (সাগরে) ৭টি এবং স্থলভাগে ছিল ২টি। আর অবশিষ্ট ৩৬ বছরে অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে মাত্র ১২টি।

সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে গভীর সমুদ্র অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে গেছে এই কার্যক্রমের বাইরে। সাগরে বাংলাদেশের সীমানার ওপার থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে মিয়ানমার। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানার ওপার থেকে ১১৬টি কূপ দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করছে ত্রিপুরা। অবহেলিত পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা অশোকনগরে তেল আবিষ্কার করেছে ভারত।

এতে করে এতোদিন যারা দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা অঞ্চল) তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই মনে করতেন তারাও এখন নড়েচড়ে বসেছেন। বিশাল এই অঞ্চলটিকে গত ১১০ বছরে মাত্র ৬টি কূপ খনন করা হয়েছে তার মধ্যে ৫টিতেই তেল-গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তারপর আর কাজ হয়নি কূপগুলো নিয়ে। এ কারণে আজকে দেশ জ্বালানি সংকটে পড়েছে। বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। তারপরও সংকট সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ আবাসিকে গ্যাস সংযোগ, শিল্পে দেওয়া হচ্ছে বেছে বেছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

   

ইসলামী ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি প্রটেকশন বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে ঢাকা নর্থ, চট্টগ্রাম সাউথ, ময়মনসিংহ ও নোয়াখালী জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাইবার সিকিউরিটি প্রটেকশন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এস এম রেজাউল করিম ও ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ হেলাল উদ্দিন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম মাহবুব মোরশেদ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় জোনসমূহের অধীন বিভিন্ন শাখা ও এজেন্ট আউটলেটের ৭৯০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

  সালতামামি

;

আমানত ও ঋণের সুদের ব্যবধান তুলে দেওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশ ছিল।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে স্মার্ট (Six Months Moving Average Rate of Treasury Bill) এর সাথে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। সুদহার নির্ধারণের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হওয়ায় সুদহারের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে তারল্য পরিস্থিতির বিবেচনায় ঋণের সুদহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমানতের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানত ও ঋণের সুদহারের সীমা নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।

এর আগে, ২০১৮ সালের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করছে। ঋণের সুদহার অযৌক্তিক মাত্রায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে যা উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে, উৎপাদনশীল খাতসহ বিভিন্ন খাতে ঋণের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের লক্ষ্যে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তার আগে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধানের সীমা আর থাকছে না।

  সালতামামি

;

ওয়ান-ক্লিক পেমেন্টে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের নিশ্চয়তা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ওয়ান-ক্লিক পেমেন্টে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের নিশ্চয়তা

ওয়ান-ক্লিক পেমেন্টে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের নিশ্চয়তা

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা আনতে বিকাশ-এর সঙ্গে পার্টনারশিপ করল দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে, মাইবিএল সুপার অ্যাপে ওয়ান-ক্লিক পেমেন্টের সুবিধা নিয়ে এলো প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে বিকাশ-কে নিজেদের পছন্দের পেমেন্ট মেথড হিসেবে যুক্ত করেছে বাংলালিংক। এখন থেকে গ্রাহকরা তাদের মাইবিএল অ্যাপ থেকে মাত্র একটি ক্লিকেই বিকাশ-এর মাধ্যমে দ্রুত ও স্বাচ্ছন্দ্যে পেমেন্ট করতে পারবেন যা তাদের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে।

সম্প্রতি বাংলালিংকের সদরদফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন এই সেবার উদ্বোধন করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস এবং বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কামাল কাদীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত, বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এবং দুই প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।

ওয়ান-ক্লিক পেমেন্টের এই সুযোগ গ্রাহকদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলকে করে তুলবে আরো স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক, নিরাপদ ও ঝামেলাহীন। গ্রাহক বিকাশ-কে একবার পছন্দের পেমেন্ট অপশন হিসেবে যুক্ত করে নিলে ওটিপি বা পিন ছাড়াই ওয়ান-ক্লিকে ডিজিটাল কনসেন্ট (সম্মতি) দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।

গ্রাহকদের নতুন ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে বাংলালিংক ও বিকাশ একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। এই যৌথ যাত্রার সবচেয়ে জনপ্রিয় সেবাগুলোর একটি - বিকাশ অ্যাপে “আমার অফার” অপশন। এই সেবার মাধ্যমে বাংলালিংক গ্রাহকরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী অফার বেছে নিতে পারেন। আরও একটি বহুল ব্যবহৃত সেবা – বিকাশ অ্যাপের ‘অটো রিচার্জ’। এর মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ব্যাল্যান্স বা ক্রেডিট কমে গেলে বিকাশ ওয়ালেট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল রিচার্জ হয়ে যাবে।

বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী এরিক অস বলেন, অগ্রসর চিন্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলালিংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের জীবনযাত্রা আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করার লক্ষ্যেই মাইবিএল সুপার অ্যাপে ওয়ান-ক্লিক পেমেন্টের সুবিধা নিয়ে এসেছি আমরা। সহজ এই পেমেন্ট ব্যবস্থা আমাদের বিকাশ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জীবন যেমন আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করবে তেমনি তাদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাও আরও উন্নত হবে।

বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কামাল কাদীর বলেন, ক্রমশ পরিবর্তনশীল ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে গ্রাহকদের আরও সহজ, সুবিধাজনক এবং সময়-সাশ্রয়ী সেবার প্রয়োজন। তাই দুটি প্রতিষ্ঠানেরই কোটি গ্রাহকের জীবন আরও সহজ করতে ওয়ান-ক্লিক পেমেন্ট সুবিধা চালু করা হলো। এই পার্টনারশিপ আগামীতে আরও গ্রাহক-কেন্দ্রিক সেবার সুযোগ তৈরি করবে যা তাদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলে আরও স্বাচ্ছন্দ্য, স্বাধীনতা নিয়ে আসবে।

বাংলালিংক ও বিকাশ-এর এই পার্টনারশিপ শুধু পুরনো সম্পর্কই মজবুত করবে না, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে -যেখানে উভয় প্রতিষ্ঠান আরও নতুন ডিজিটাল উদ্ভাবন, আধুনিক সল্যুশনস দেয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সংযুক্ত রেখে উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম-কে আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রেখে যাবে।

  সালতামামি

;

তিন মাসে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মুনাফা ৯১ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি ৯১ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, প্রথম প্রান্তিকে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৪২ পয়সা ৷ অর্থাৎ তিন মাসে জ্বালানি খাতের কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছে ৯১ কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৬২৯ টাকা। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৮ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় শেয়ার প্রতি আয় ২৮ পয়সা করে কমেছে।

মুনাফায় ভাটা পড়ার কারণ হিসেবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম বলছে, গত তিন মাসে কোম্পানির বিক্রি কমেছে। বেড়েছে পরিচালন ব্যয়। ফলে কোম্পানিটির আয় কিছুটা কমেছে।

এদিকে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ঋনাত্মক (নেগেটিভ) হয়েছে। প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬৮ দশমিক ৯১ টাকা। এর কারণ হিসেবে জ্বালানি খাতের কোম্পানিটি বলছে, কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ায় এনওসিএফপিএস ঋণাত্মক হয়েছে।

ইপিএস কমলেও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সম্পদের মূল্য বেড়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০৮ টাকা ৪৩ পয়সায়। এ হিসেবে কোম্পানিটির সম্পদের বর্তমান মূল্য দুই হাজার ২৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। গত ৩০ জুন মেঘনা পেট্রোলিয়ামের এনএভিপিএস ছিল ২০০ টাকা ১ পয়সা।

  সালতামামি

;