বাংলাদেশ এগিয়েছে ও পিছিয়েছে যেসব খাতে

  সালতামামি



দেবদুলাল মুন্না
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

এ লেখাটি তৈরি করতে বেশ কিছু রিপোর্টের সাহায্য নিতে হয়েছে। সব রিপোর্ট গুলো যে নিরপেক্ষ সমীক্ষা চালিয়েছে এমনটি ভাবার কারণ নেই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই কিছু  ‘হিডেন উদ্দেশ্য’ থাকে।

দেশ স্বাধীনের পর ৫০ বছরে এসেও বাংলাদেশ উদার গণতান্ত্রিক সূচকে ভাল অবস্থানে নেই। ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৪তম। এমনকি নির্বাচনী ব্যবস্থাও নিরপেক্ষ নয়। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের ‘রুল অব ল ইনডেক্স’ এর রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০-২১ সালের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এ রিপোর্ট দিয়েছে সংস্থাটি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্প্রতি কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু তথাকথিত নিরপেক্ষ সংস্থার হিসেবমতে বাংলাদেশের সাফল্যও অনেক বেশি। উন্নয়ন হচ্ছে। যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফল।  

এছাড়া অন্তত ১৩টি খাতে বিশ্বে গৌরবোজ্জ্বল অবস্থান তৈরি করেছে। এসব খাতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের মতো বড় দেশের পরেই উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম। কয়েকটি ক্ষেত্রে তো চীন-ভারতকে পেছনে ফেলে প্রথম অবস্থানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ১৩টি খাতে দেশে সাফল্যের ধারা অব্যাহত আছে।

বিশ্বে মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে,। চারবছর আগে হতো  তবে  ৬৫ শতাংশ। গত দুইবছরে বেড়েছে ১৬ শতাংশ। ইলিশ উৎপাদনে ভারত দ্বিতীয়, মিয়ানমার তৃতীয়। এ ছাড়া ইরান, ইরাক, কুয়েত, পাকিস্তানেও সামান্য ইলিশ উৎপাদন হয়। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়। গত ২০১৯–২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বিশ্বের মোট পোশাক রপ্তানির ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। পোশাক রপ্তানিতে প্রথম হচ্ছে চীন। একসময় বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনাম এগিয়ে ছিল। রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। গত অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার। একই অর্থবছরে ভারত ৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার নিয়ে প্রথম এবং ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পেয়ে চীন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় ও ধান উৎপাদনে চার নাম্বার অবস্থানে রয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিভাগ কৃষিখাতের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছে।

আম, কাঠাল, পেয়ারা রুপ্তানি করেও আয় হচ্ছে ভাল। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়। নদ-নদীর খারাপ অবস্থা সত্ত্বেও এফএওর মতে,আগামী বছর বিশ্বের যে চারটি দেশ মাছ চাষে বিপুল সাফল্য অর্জন করবে, তার মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ। এরপর থাইল্যান্ড, ভারত ও চীন। গত ১০ বছরে মাছের উৎপাদন ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। আর মাছ রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। আউটসোর্সিং এ ভাল করছে শিক্ষিত তরুণ তরুণীরা। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছয় লাখ, যা শতকরা হারে বিশ্বের প্রায় ২৭ শতাংশ। এ মন্ত্রণালয় দাবি করছে,  বাংলাদেশ এ খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় প্রথম হচ্ছে ভারত।

যদিও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওকলার ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’র মতে, ইন্টারনেটের গতির ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫ নম্বরে। পেছনে রয়েছে আফগানিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা। বিশ্বের প্রধান সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক প্রকাশিত ‘ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্স ২০২১’ ডিজিটাল জীবনযাত্রার সূচকে ১১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৩তম।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায় রয়েছে। জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ নামের শতবর্ষের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ৬৮ বছরের অমীমাংসিত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে ছিটমহলের মানুষ অভিশপ্ত জীবনে মুক্তির আস্বাদ পেয়েছে। ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ৮৫১ একর জায়গা বাংলাদেশের সীমানায় যুক্ত হয়েছে। সমুদ্রসীমায়ও প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৮ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা যুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের প্রতিবেদন মতে, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যোগদানের পর এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৬৪ শান্তি মিশনে খ্যাতি ও সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ যাবৎকালে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়ে। কিন্তু ঠিক কতো নাম্বারে বলা হয়নি।

বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৩২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজন, যার ফলে বিদ্যুতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সাথে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৩৪৮ কিলোওয়াট ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে ৩৫ লক্ষ গ্রাহককে।নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ৬৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বদনামও কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় নেই, হচ্ছে ধারাবাহিক অবনতি।এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে না কোন গবেষণা বলে দাবি করেছে বিশ্ব শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা ( ডব্লিউএডেও ) । যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) সর্বশেষ হিসাবেও তাই বলা হয়েছে। বিশ্বের ১ হাজার ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে। অথচ ২০১২ সালেও ৬০১তম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৫ সালে ছিল ৪০৭।

করোনার কারণে বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে, ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। তবে, সংক্রমণ কমে আসায় বছরের শেষদিকে সীমিত পরিসরে হয়েছে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা। ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় ২০২০ সালের এইচএসসি অটোপাসের ফল। করোনা মহামারির কারণে হয়নি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশের যোগফলের ভিত্তিতে এইচএসসি‘র অটোপাসের ফল প্রকাশ করা হয়।সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে ও পরীক্ষা হচ্ছে। পাঠদানও চলছে।২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে।

বিশ্বে পাসপোর্টের মান নির্ধারণকারী সূচক ‘হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স-২০২১’ সূচকের মোট ১১৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৮তম স্থানে রয়েছে। ২০০৭ সালের ৬৮তম অবস্থান থেকে ক্রমশ অবনতি ঘটছে এ বিষয়েও। বিশ্বব্যাংকের মতে, ১৪০টি মেগাসিটির মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৮তম। ট্র্যাফিক জ্যামের শিকার ৯১ শতাংশ মানুষ।আর রাজধানীর ৭১ শতাংশ মানুষ ডিপ্রেসনে ভোগেন।

ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য সেটি হলো, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত গ্লোবাল ওয়েজ রিপোর্ট ২০২০-২১-এ জানানো হয়েছে, এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ন্যূনতম মজুরিতে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে,নারী নির্যাতন বেড়েছে। স্ত্রী নির্যাতনের সূচকে  বিশ্বে চতুর্থ বাংলাদেশ। বাল্যবিয়ে তেও চতুর্থ। যৌন সহিংসতায় ঢাকা বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে এবং  নারীর প্রতি আরও সহিংসতা আরও বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, চিকিৎসাব্যয় মেটাতে মানুষ আরও গরিব হচ্ছে। প্রতিবছর ১ কোটি ১৪ লাখের মতো মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার জিডিপির মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ খরচ করে স্বাস্থ্য খাতে, যা বৈশ্বিক তলানিতে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর মতে, দুর্নীতিবাজদের ঘুষের পাতা ফাঁদ সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। দুর্নীতিবাজদের কারণে দেশের ৭৯ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই ঘোষিত ওই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পায়নি।

আইকিউএয়ারের বায়ুমান সূচক অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ঢাকা শহরের অবস্থান তিন নম্বরে। এফএও’র ‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস ফরেস্ট-২০১৬’ প্রতিবেদনে মতে, বনভুমি উজাড় হচ্ছে বেশি।

করাচির গবেষণা সংস্থা ইন্সটিটিউট অব হিস্টোরিকাল এবং সোশ্যাল রিসার্চের পরিচালক ড. সৈয়দ জাফর আহমেদ বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ১৯৭১ নিয়ে পাকিস্তানে সরকারি ব্যাখ্যা গত ৫০ বছরে তেমন বদলায়নি।কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ অনেক খাতে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং পাকিস্তান সেনা গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) সাবেক প্রধান লে. জে. (অবসরপ্রাপ্ত) আসাদ দুররানি বিবিসিকে বলেন, গত ৫০ বছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো স্বীকারোক্তি না এলেও পাকিস্তানের মানুষ এখন অনেকটাই বুঝতে পারছে কোথায় গলদ হয়েছিল।মানুষের মনে এখন আর কোনো সন্দেহ নেই যে ভুল হয়েছিল। সেনাবাহিনীর ভুল হয়েছিল। নির্বাচনের পর (সত্তরের নির্বাচন) শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব মেনে না নিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টো ভুল করেছিলেন।

লেখক পরিচিতি: কথাসাহিত্যিক সিনিয়র সাংবাদিক

   

৭৪ বছর ছুটিহীন কর্মজীবন!



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
মেলবা মেবানের বিদায়ী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

মেলবা মেবানের বিদায়ী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছুটি ছাড়া আপনি কতদিন চাকরি করতে পারবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর একেক জনের কাছে একেক রকম হলেও, কেউই দীর্ঘ সময় ছুটিহীন চাকরি করবেন এমন উত্তর আশা করা যায় না। কিন্তু, অসুস্থ হলে যে সবারই ছুটি প্রয়োজন হবে সেটা নিশ্চিত। তবে এই কথাটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মেলবা মেবানের (৯০) জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ, এই নারী তাঁর ৭৪ বছরের কর্মজীবনে কখনও ছুটি কাটাননি আরও অবাক করার বিষয় হচ্ছে অসুস্থ হলেও সে হাসিমুখে তাঁর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মার্কিন গনমাধ্যম ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইল।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মেলবা মেবানে ১৯৪৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মেয়ার এন্ড স্মিথ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ‘লিফট গার্ল’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে এটি অধিগ্রহণ করে নেয় ডিলার্ড। মেয়ার পরবর্তী বছরগুলোতে পুরুষদের পোশাক এবং কসমেটোলজিতে কাজ শুরু করেন ধরে তিনি এখানেই কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৭৪ বছর কর্মজীবনে তিনি কখনও ছুটি নেননি এমনকি অসুস্থ হলেও না। 

মেলবার সম্পর্কে টাইলারের ডিলার্ডের স্টোর ম্যানেজার জেমস সায়েঞ্জ ফক্স নিউজকে বলেন, তিনি শুধু একজন বিক্রয়কর্মী নন। তিনি একজন মা। তিনি গাইড করেন। তিনি জীবন সম্পর্কে উপদেশ দেন। তিনি বহু গুণের অধিকারী। 

তিনি আরও জানান, মেলবা তাঁর মুখে হাসি নিয়ে প্রতিদিন কাজ শুরু করতেন।

তিনি বিক্রয়ে পারদর্শী ছিলেন এবং এমন কোন গ্রাহক বা সহকর্মী ছিল না যে তাকে ভালোবাসে না। তার পরে যারা এখানে কাজ শুরু করেছে তাদের সবাইকে খুব সুন্দরভাবে প্রশিক্ষন দিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন। 

মেবানে জানান, কর্মস্থলে কখনো বিরক্ত হতেন না তিনি। সেখানকার সবাইকে ভালোবাসতেন এবং প্রতিদিন কাজে যেতে পছন্দ করতেন। অবসর নেওয়ার পর এখন বিশ্রাম, ভ্রমণ এবং ভালো খাবার খেয়ে দিনযাপন করতে চান তিনি। 

মেবানের কয়েক দশকের কাজ এবং নিষ্ঠার প্রতি সম্মান জানাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে তাঁকে স্টোরের দীর্ঘতম কর্মক্ষম কর্মচারী হওয়ার জন্য ‘সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

  সালতামামি

;

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি', সম্পদ ৩ কোটি ডলার



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি'। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি'। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণত যখন কেউ মারা যায় তখন তাঁর সম্পদের অংশ পরিবারের সদস্যদের কাছে রেখে যান। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায়ও দান করে থাকেন। তবে, যুক্তরাজ্যের বাকিংহ্যামশায়ারের বাসিন্দা বেন রিয়া যা করেছেন তা বিরল! স্রেফ ভালোবাসা থেকেই তাঁর সম্পদের বড় একটি অংশ প্রিয় পোষা বিড়াল ‘ব্ল্যাকির’ জন্য দিয়ে যান। আর এতেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হয়ে উঠে ‘ব্ল্যাকি’। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

রেকর্ড সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১৯৮৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ব্ল্যাকির নাম উঠেছে। সেই নাম ৩৫ বছর ধরে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে গিনেসের পাতায় বিড়ালটির এই স্বীকৃতি অক্ষুণ্ন রয়েছে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সবচেয়ে ধনী বিড়ালটির সম্পদের পরিমাণ আসলে কত?

গিনেস ওয়ার্ল্ড বলছে, যখন ব্ল্যাকি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়ালের স্বীকৃতি পেয়েছিল, তখন সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ডলার। বর্তমানে যা ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ডের তথ্য মতে, ‘ব্ল্যাকির’ মালিক বেন রিয়া প্রাচীন জিনিসপত্র ক্রয় এবং বিক্রি করে কোটি ডলারের মালিক হন। ১৯৮৮ সালে এই ধনকুব মারা গেলে সম্পদের বিশাল একটি অংশ বিড়ালের নামে দিয়ে যান। তবে বেনের পরিবার ছিল কিন্তু সে একাই বসবাস করতো।  

তার বেশিরভাগ অর্থই তিনটি দাতব্য সংস্থার মধ্যে উইল করে যান। যেই সংস্থাগুলো পোষা প্রাণীদের দেখভাল ও সুরক্ষা দিয়ে থাকে। উইলে তিনি উল্লেখ করেন, যতদিন ব্ল্যাকি বেঁচে থাকবে ততদিন প্রাণীটির দেখভাল করতে হবে। 

তবে বেনের প্রিয় ব্ল্যাকি কত দিন বেঁচে ছিল কিংবা বেনের মৃত্যুর পর ব্ল্যাকির ভাগ্যে কী জুটেছিল, সেই বিষয়ে গিনেসের ওয়েবসাইটে কিছু না জানালেও এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি সেটি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি ।

  সালতামামি

;

১৬০০ মিটার উচ্চতায় কম সময়ে দড়ি পার হয়ে বিশ্ব রেকর্ড!



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
শি হ্যালিন। ছবি: সংগৃহীত

শি হ্যালিন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার (১.৬ কিলোমিটার) উচ্চতায় চীনের শি হ্যালিন (৩১) নামে এক ব্যক্তি খুব দ্রুত সময়ে ১০০ মিটারের স্ল্যাকলাইন (দড়ির উপর দিয়ে হাঁটা) পার হয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

রেকর্ড সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চীনা নাগরিক শি হ্যালিন সবচেয়ে কম সময়ে মাত্র ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে ১০০ মিটার লম্বা দড়ি পার হয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার উঁচুতে ছিল। 

শি হ্যালিন জানান, আমি পিংজিয়াংয়ের মাউন্ট উগং-এর গুয়ানিইন্ডাং ক্যাম্পে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার উপরে স্টান্ট করেছি। সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে এই রেকর্ডটি করতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এটি বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে এতো উচ্চতায় বাতাসের চাপ বেড়ে যায় এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। এর মধ্যে আবার দিনটি ছিল খুব কুয়াশাচ্ছন্ন। ফলে ভালো করে দেখতেও সমস্যা হচ্ছিল। 

এই রেকর্ডের পর সে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে এরকম প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি। 

তবে, এর আগেও তিনি এশিয়াতে বেশ কয়েকটি স্ল্যাকলাইন রেকর্ড জিতেছেন। ২০১৬ সালে তিনি ২ মিনিটে এই রেকর্ডটি করেছিলেন কিন্তু, সেটি পরের বছরই ফ্রান্সের নাগরিক লুকাস মিলিয়ার্ডের কাছে হারাতে হয়। 

  সালতামামি

;

মেডেলিনে তাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ‘গ্রিন করিডোর’



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী মেডেলিনে ‘গ্রিন করিডোর’ প্রকল্প শহরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশগত সুবিধার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে পুরো শহর জুড়ে গাছের শীতল ছায়ার ব্যবস্থা করেছে দেশটি।

মেডেলিনকে ‘বসন্তের শহর’ বলা হয়। মেডিলিনের নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু সারা বছরই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। নতুন নির্মিত ভবন ও রাস্তাগুলো তাপ শোষণ করে ধরে রাখে। তবে স্থানীয় সরকারী তথ্য অনুসারে, নতুন গ্রিন করিডোরগুলো শহর জুড়ে ২ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস করেছে।

কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেডেলিনে বায়ু দূষণ ও ক্রমবর্ধমান তাপ নিয়ে উদ্বেগের কারণে ২০১৬ সালে "গ্রিন করিডোর" প্রোগ্রাম শুরু হয়। ৩০ টিরও বেশি সবুজ করিডোর রয়েছে এ শহরে। করিডোরগুলো নতুন রাস্তার প্রান্ত, উদ্যান, পার্ক এবং নিকটবর্তী পাহাড়গুলোকে সংযুক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে শহর জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ২০হাজার গাছ লাগানো হয়। ১২ হাজার ৫০০ টি গাছ রাস্তা ও পার্কে রোপন করা হয়। এছাড়া আরো ২৫ লক্ষ ছোট গাছের চারা রোপন করা হয়। ২০২১ সালের মধ্যে শহর জুড়ে ৮ লক্ষাধিক বড় গাছ রোপন করা হয়।

স্থানীয় সরকারের মতে, প্রকল্পটি জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয় ১৬.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬ লক্ষ২৫ হাজার মার্কিন ডলার।

ওইসিস কাস্ত্রো যিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে শহরের ওরিয়েন্টাল অ্যাভিনিউয়ের একটি স্ট্যান্ডে ফল বিক্রি করেন। কয়েক দশক আগের কথা মনে করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার একটি ট্রাফিক প্রকল্পের কাজের সময় রাস্তার সারিবদ্ধ গাছগুলো উপড়ে ফেলেছিল।

কাস্ত্রো বলেন, বর্তমানেও ওরিয়েন্টাল অ্যাভিনিউ রাস্তাটি ট্রাফিক ও বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখন রাস্তার দুপাশে বড় বড় ফল গাছ, ফুল গাছ ও ঝোপঝাড়ে সবুজ এলাকায় পরিণত হয়েছে।

এখানকার তাপমাত্রা সারা বছরই উপভোগ্য মনে হয়। শহরের যেসব অঞ্চলে বেশি গাছপালা নেই সেসব জায়গার তুলনায় অনেক সতেজ থাকে এই এলাকা। সাইকেল লেনের দুপাশে সারিবদ্ধ গাছের পাশে বেঞ্চগুলোতে পথচারীরা বিশ্রাম নিতে পারেন।

শহরের তাপমাত্রা কমিয়ে শীতল করার জন্য প্রকল্পটি এখন বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বায়ুর গুণগত মান উন্নয়নে ভালো কাজ করছে। এটি শহরে বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে এনেছে।

একটা সময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্চ তাপপ্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শহরগুলোতে।

সবুজ করিডোরের প্রতি মেডেলিনের দৃষ্টিভঙ্গি একটি কম খরচে, জনপ্রিয় সমাধান দেয় যা অন্যান্য শহরগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে প্রতিলিপি করতে চাইছে। এটি কি ভবিষ্যতের একটি জলবায়ু-স্থিতিশীল শহরের জন্য একটি মডেল হতে পারে?

মেডেলিন কম খরচে ‘গ্রিন করিডোর’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাপ প্রবাহ কমানোর একটা জনপ্রিয় সমাধান দেয়। বিশ্বের অনেক দেশ তাদের তাপপ্রবাহ কমাতে মেডেলিনকে অনুসরণ করছে। মেডেলিনকে ভবিষ্যতের জলবায়ু-স্থিতিশীল শহরের জন্য একটি মডেল ভাবা হয়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার মতে, মেডেলিনের বায়ুদূষণের মাত্রা পিএম ২.৫। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা ডব্লিউএইচও জানায়, পিএম২.৫ নামে পরিচিত ছোট ও বিপজ্জনক বায়ুবাহিত কণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।

যাইহোক, শুষ্ক মৌসুমে যখন শহরটিতে বৃষ্টিপাত হ্রাসের কারণে বায়ুর অবস্থার সবচেয়ে খারাপ সময়ের মুখোমুখি হয় তখন মেডেলিন বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) পিএম২.৫ এর ৫৫ µg/m3-এ পৌঁছাতে পারে। যখন দূষণ ৩৮ µg/m3-এর বেশি হয়ে যায়, তখন উপত্যকার প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা স্বরুপ গাড়ি ব্যবহারে বিধিনিষেধ দিতে পারে।

২০১৫-১৬ সালে আমরা বায়ু দূষণের শীর্ষে পৌঁছেছিলাম বলে জানিয়েছেন সে সময়কার মেডেলিনের স্থানীয় অবকাঠামো সচিব পাওলা প্যালাসিও। তিনি বলেন, পরিবেশগত সমস্যায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।

২০২০ সালে মেডেলিনের অ্যান্টিওকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে আবুরা উপত্যকা অঞ্চলে দূষণের কারণে ১হাজার ৯৭১ জনের অকালমৃত্যু ঘটেছে। যানবাহন থেকে ধোয়া নির্গমনের উপর নিয়ন্ত্রণের অভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে দূষণের কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

গবেষকরা বলছেন, গ্রিন করিডোরে ব্যবহৃত গাছগুলো এই বিপজ্জনক কণার বিরুদ্ধে বাধা হিসাবে কাজ করে, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দূষণ শোষণ করে নেয়।
মেডেলিন প্রকল্পে ব্যবহৃত কিছু প্রজাতির গাছ দূষণ শোষণে বিশেষভাবে দক্ষ বলে পরিচিত।

গ্রিন করিডর প্রকল্প বায়ু দূষণ কতটা কমিয়েছে তা নিয়ে কোনো সামগ্রিক সমীক্ষা বা পর্যালোচনা এখনও দেখা যায়নি। তবে গবেষকরা বলছেন, এর প্রভাব অধ্যয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, গবেষণা ফলাফল ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রকাশিত হবে।

৩০টি গ্রিন করিডোরের পাশাপাশি, প্রায় ১২৪ টি পার্কও প্রকল্পের অংশ হিসেবে করিডোর দ্বারা সংযুক্ত হয়েছে। শহর জুড়ে সবুজের এই বৃদ্ধি জলবায়ুর ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অ্যান্টিওকিয়ার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, এই পার্কগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি, নুটিবারা এবং ভোলাডোর পাহাড় বায়ুমণ্ডল থেকে প্রতি বছর ৪০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) অপসারণ করে থাকে।

  সালতামামি

;