পদ্মার চরে কাউন শীষে চোখ ধাঁধানো ‘তিন-রঙ্গা মুনিয়া’



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী, ছবি: আকাশ মজুমদার
কাউন শীষে তিন রঙ্গা মুনিয়া/ শিমলা,পদ্মাপাড়, রাজশাহী, ছবি: আকাশ মজুমদার

কাউন শীষে তিন রঙ্গা মুনিয়া/ শিমলা,পদ্মাপাড়, রাজশাহী, ছবি: আকাশ মজুমদার

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রমত্তা পদ্মায় এখন বিস্তীর্ণ চর। চরজুড়ে শোভা পাচ্ছে সবুজ কাউন ক্ষেত। রবি মৌসুমে নভেম্বরে বোনা কাউনে জানুয়ারিতে বের হয় হলুদ শীষ। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে চালের ভারে নুইয়ে পড়ে সেই শীষ। ঠিক তখনই কাউন চাল খেতে দলবেঁধে ক্ষেতে আসে বাবুই পাখি। চরতে আসা ডোরা বাবুই, কালোবুক বাবুইয়ের ভিড়ে হঠাৎ চোখ ধাঁধিয়ে দেয় ‘তিন-রঙ্গা মুনিয়া’।

নজরকাড়া রঙের এ পাখিটি অতিসতর্ক। আচমকা উড়ে এসে বসে কাউন শীষে। ২০-২৫ সেন্টিমিটার উচ্চতার কাউন শীষে কিছুক্ষণের জন্য দোল খায় ১০ গ্রাম ওজনের পাখিটি। চোখের পলকে নাচন দিয়ে বদল করে দিক। নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই কেবল নজর দেয় খাবারে। ঠুকরে ঠুকরে কাউনের শীষ থেকে চাল বের করে খায়। মানুষের উপস্থিতি আঁচ করলেই ফুড়ুৎ করে উড়াল দেয় এরা।

তিন-রঙ্গা মুনিয়া পাখির সবচেয়ে প্রিয় খাবার কাউন চাল। সঙ্গে চিকন ধান ও ঘাসবীজও খায় এরা। খাদ্যস্থল ছাড়া এদের দেখা মেলা ভার! ফলে পাখি নিয়ে কাজ করা গবেষক এবং ছবি তুলতে ফটোগ্রাফারদেরও বেগ পেতে হয় বেশ।

তিন রঙ্গা মুনিয়া

রাজশাহীর পদ্মাপারের শিমলা এলাকা থেকে তিন-রঙ্গা মুনিয়ার বেশ কিছু ছবি তুলেছেন ফটোগ্রাফার আকাশ মজুমদার। তিনি রাজশাহী বার্ডস ক্লাবের সদস্য। লেখাপড়া করেন ঢাকায় শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। রাজশাহী নগরীতে তার বাড়ি।

আকাশ মজুমদার বলেন, ‘ওদের (তিন-রঙ্গা মুনিয়া) গতিবিধি বুঝে আপনি ফ্রেম ধরে বসে থাকবেন। ওরা আপনাকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করাবে। কিন্তু ওরা যখন আসবে, তখন আপনাকে সময় দেবে না। হঠাৎ আসবে, দ্রুত প্রস্থান করবে। অভ্যাস ও আচরণে দারুণ অস্থির ওরা। ফলে ভালো ফ্রেমে ছবি পাওয়া চ্যালেঞ্জ।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাউনের গাছ মূলত তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট হয়। কাউন গাছে বসলে ওরা আশেপাশে দেখতে পায়। বসেই চারপাশে ঘুরে-ফিরে আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে নেয় ওরা। মাটিতে বুকে ভর করে ওদের দিকে মুভ করতে গেলেও আঁচ করে ফেলে এবং উড়ে যায়।’

স্থানীয়রা এটিকে সুন্দরী পাখি, মুনে পাখি নামে চেনে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর শিমলা এলাকার পদ্মাপারে গিয়ে কাউন ক্ষেতে কথা হয় চাষি রইছউদ্দিনের সাথে। মোবাইলে পাখিটির ছবি দেখানো হলে তিনি বলে উঠেন- ‘ওহ, এটা তো সুন্দরী পাখি। অনেক পাখির মধ্যে থাকলেও চোখে পড়ে যায়। বাবুই ও চড়ুই পাখির সাথে কাউনের চাল খায়। মাঝে-মধ্যে দু’এক জোড়া দেখি।’

ঠুকরে ঠুকরে কাউনের শীষ থেকে চাল বের করে খাচ্ছে তিন রঙ্গা মুনিয়া

তিন-রঙ্গা মুনিয়া এশীয় অঞ্চলের পাখি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের দক্ষিণাঞ্চল, শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চল, জাপান ও চীনে এদের দেখা মেলে। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ত্রিনিদাদ-টোবাগো, ভেনিজুয়েলা ও জ্যামাইকায়ও দেখা গেছে এদের।

বন্যপ্রাণী গবেষক সারোয়ার আলমের তথ্যমতে, তিন-রঙ্গা মুনিয়া ইংরেজি Tri-Colored Munia নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘Loxia malacca Linnaeus’। মুনিয়ার আরও পাঁচটি প্রজাতি বাংলাদেশে দেখা যায়। সেগুলো হলো- খয়রা মুনিয়া, লাল মুনিয়া, ধলাকোমর মুনিয়া, দেশি চাঁদি ঠোঁট মুনিয়া, তিলা মুনিয়া। তবে অন্য পাঁচ প্রজাতির মুনিয়ার চেয়ে সৌন্দর্যে অনন্য তিন-রঙ্গা মুনিয়া। শখের বসে অনেকে খাঁচায় পাখিটি পোষেও বলেন জানান তিনি।

পাখিটি সম্পর্কে সারোয়ার আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘চমৎকার পরিপাটি ও চোখ ধাঁধানো রঙে আচ্ছাদিত পাখি এটি। মুনিয়া সংখ্যায় কিছু কম। ওরা বাবুই পাখিদের ঝাঁকে মিশে খাবার খায়। শুধু পুরুষ তিন-রঙ্গা মুনিয়া গান গায়। প্রজননের আগে পুরুষ পাখি গায় বেশি। শান্ত স্বরে চিঁ চি শব্দে গাওয়া শুরু করে। স্ত্রী পাখিটি কাছাকাছি এলেই পুরুষ মুনিয়া স্বর জোরালো করে। শেষ অব্দি পিঁ পিঁ শব্দে রূপ নেয় মুনিয়ার ডাক।’

তিন রঙ্গা মুনিয়া/ শিমলা,পদ্মাপাড় রাজশাহী

তিনি আরও বলেন, ‘বসন্ত ঋতু থেকে গ্রীষ্ম এদের প্রজননকাল। ৪ থেকে ৭টি ডিম পাড়ে এরা। দুই সপ্তাহ তা দিলে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে। বাবা-মা পাখি মিলে বাচ্চাকে নরম কাউন চাল, বাজরা ঘাস ও ফুলের বীজ খাওয়ায়। ১৪/১৫ দিনে পাখি উড়তে শেখে। তবে প্রায় ছয় মাস বাবা-মায়ের সাথে থাকে বাচ্চা মুনিয়ারা। তারপর জোড় বেঁধে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’

একনজরে তিন-রঙ্গা মুনিয়া:

ছোট আকারের পাখিটির ওজন হয় ১০ থেকে ১২ গ্রাম। লম্বায় ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পাখি মূলত তিন রঙে আচ্ছাদিত। মাথা, ঘাড়, গলা, বুকের কেন্দ্র, লেজের নিচের অংশ চকচকে কালো। তবে লেজের প্রচ্ছদ পোড়া কমলাও হয়ে থাকে। বুকের কেন্দ্র বাদে বাকি অংশ সাদা।

পাখিটির ঠোঁট বেশ শক্ত এবং ত্রি-কোণ আকৃতির

ডানা পিঠ ও লেজ কালচে খয়েরি রঙের। ঠোঁট বেশ শক্ত এবং ত্রি-কোণ আকৃতির। পায়ের পাতা, আঙুল ও নখ কুচকুচে। শক্ত শ্রেণির পাখি হলেও তিন-রঙ্গা মুনিয়া কিছুটা ঠান্ডা অসহিষ্ণু। এদের প্রজনন ক্ষমতা কম। ডাকাডাকির ক্ষেত্রে শান্ত প্রকৃতির। তবে দ্রুত গতিতে উড়তে পারে।

   

নিখোঁজের ২ দিন পর অটোচালকের গলিত মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবা থেকে আঞ্জুরুল হক (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের নান্দাইলের মুশুলী এলাকার কাওয়ারগাতি-জামতলা নামক সড়কের পাশে একটি ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আঞ্জুরুল হক উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চান্দুরা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিকালে নিজের অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় আঞ্জুরুল হক। কিন্তু তিনি শুক্রবার রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কোনো সন্ধান না পেয়ে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নান্দাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইলের সূত্র ধরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মোবাইলটি উপজেলার মুশল্লী এলাকায় রয়েছে। সেই সূত্রে শনিবার রাতে ওই এলাকায় সন্ধান চালিয়েও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

পরে রোববার সকালে স্থানীয়রা মুশুলী এলাকার কাওয়ারগাতি ও জামতলা নামক স্থানের সড়কের পাশে একটি ডোবায় একজনের মরদেহ ভাসতে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

নান্দাইল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে, অটোরিকশাটি খোঁজে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

;

গরমে পানি সংকটে কাফরুল, গ্রাহকদের ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গরমে পানি সংকটে কাফরুল

গরমে পানি সংকটে কাফরুল

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে রাজধানীর কাফরুলে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকে প্রতিদিন অর্থ খরচ করে বাইরে থেকে পানি কিনে খাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত প্রায় ৫-৬ দিন ধরে পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন কাফরুল এলাকার বাসিন্দারা। কোন কোন বাসায় সারাদিনে এক ঘণ্টার জন্যও ওয়াসার পানি পাচ্ছেন না। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

উত্তর কাফরুল, ইব্রাহীমপুর কাঁচা বাজার, পানির পাম্প, ওয়েস্ট কাফরুলসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যেই পানি সংকট মানুষের কষ্টকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পানির অভাবে রান্না, খাওয়া ও গোসলসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন কাজগুলো করতে তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। কিন্তু সমাধানের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই ওয়াসার।

রাজধানীর কাফরুলে বসবাস করেন আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম আমানী। তিনি বলেন, একদিকে তাপ প্রবাহ, অন্যদিকে অনেকটা ‘ঘাড়ে ভূত সওয়ার’ হবার মতো তীব্র পানি সংকট চেপে বসেছে। সব মিলিয়ে পড়াশোনায় কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। এমন অবস্থায় মাসখানেক পরে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ শিক্ষার্থী আমানী বলেন, গরমের কারণে এমনিতে অসহ্য যন্ত্রণায় আছি, তার ওপর গত এক সপ্তাহ ধরে নেই পানি। সারাদিনে এক ঘণ্টাও পানি থাকে না। গোসল করতে পারি না, রান্না বান্নায়ও সমস্যা। জরুরি প্রয়োজনেও পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে খুব হিসাব করে। বালতিতে জমিয়ে রাখা পানি দিয়ে আর কতক্ষণ চলে।

পানির এমন সংকটে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে নানান কথা শুনতে হচ্ছে জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সারাদিনে এক ঘণ্টাও ওয়াসার পানি থাকে না। এদিকে পানির জন্য ভাড়াটিয়ারা সারাদিনই একজনের পর একজন ফোন দিতে থাকে। আমি কোথায় পানি পাব, ওয়াসা যদি না দেয়। তারপরও প্রতিদিন নানাভাবে ম্যানেজ করে একবার পানি দেওয়ার চেষ্টা করি।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিক আহমেদ খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তীব্র তাপদাহে পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে কয়েকটি পাম্প ডাউন (নষ্ট) হয়ে গেছে। যার কারণে পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

কবে নাগাদ পাম্পগুলো সচল হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহ ভালো জানে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দ্রুতই পাম্পগুলো সচল করার।

;

আ.লীগের অর্জনকে নস্যাৎ করার অপশক্তিরা এখনো সক্রিয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যান মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের যত অর্জন, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছু এসেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আর সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবার জন্য যে অপশক্তি, তারা বঙ্গবন্ধুর সময় যেমন ছিল আজকেও তারা সক্রিয় আছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে '১/১১ এ কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা -মুক্তির দাবিতে ২৫ লক্ষ গণস্বাক্ষর জমা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদেরকে আমাদের ঐক্য, সংকল্পের দৃঢ়তা, দলীয় আনুগত্য যদি সুধরে রাখতে না পারি তাহলে কিন্তু সেই অপশক্তি আবারও ছোবল দিবে। তাই দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব ওই অপশক্তি যেনো কখনো ছোবল মারতে না পারে সেটা লক্ষ রাখতে হবে। সেই দ্বায়িত্ব পালনে যেনো আমরা কখনো পিছ পা না হই। আমি মনি করি সেটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।

দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্ববান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দিবেন বলবেন কিন্তু নেত্রী নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না; তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন এটাতো আসলে হওয়া উচিত না। আমরা কথায় কথায় বলি নেত্রীর জন্য জান দিয়ে দিবো। কিন্তু কেউ জান দিয়ে দিক এটা নেত্রী চান না। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেয়, সে সিদ্ধান্ত মানি কিনা? সেটা কেন্দ্রে হোক, তৃণমূলে হোক, যেখানেই হোক। আমাদের সবার যদি এরকম হয় যে, বিচার মানি তালগাছ আমার তাহলে কিন্তু হবে না। তাহলে কিন্তু নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা হলো না।

তিনি বলেন, আওয়ামী একটি গণতান্ত্রিক দল, এর সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানি না হয় আমি দল করবো না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু আপনি দলও করবেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দিবেন বলবেন কিন্তু নেত্রী নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না; তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন এটাতো আসলে হওয়া উচিত না।

সমাজকল্যান মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১১ জুন ২০০৮ সালে জনতার চাপে আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা সমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লক্ষ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারা দেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এসে সারা দেশকে জানিয়ে দিলো 'নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন'।

সাপ্তাহিক গণ বাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্র নেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দারসহ অন্যান্য নেতারা।

;

বাস ধর্মঘটে রাঙামাটিতে চরম দুর্ভোগে যাত্রী সাধারণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে বাস ধর্মঘটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেন বাস মালিক শ্রমিকরা। এ কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-বান্দরবানসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি।

সকাল থেকে রাঙামাটির সব রুটের বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সকালে বিআরটিসির বাস চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে এলেও রাঙামাটি থেকে বিআরটিসির কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বান্দরবান, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়িগামী যাত্রী ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ।

জীবন-জীবিকার তাগিদে আটকেপড়া যাত্রীরা বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রাঙামাটি থেকে রানীরহাট ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলাচল করছেন।

;