গরমে পানি সংকটে কাফরুল, গ্রাহকদের ক্ষোভ
তীব্র গরমে রাজধানীর কাফরুলে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকে প্রতিদিন অর্থ খরচ করে বাইরে থেকে পানি কিনে খাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত প্রায় ৫-৬ দিন ধরে পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন কাফরুল এলাকার বাসিন্দারা। কোন কোন বাসায় সারাদিনে এক ঘণ্টার জন্যও ওয়াসার পানি পাচ্ছেন না। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।
উত্তর কাফরুল, ইব্রাহীমপুর কাঁচা বাজার, পানির পাম্প, ওয়েস্ট কাফরুলসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যেই পানি সংকট মানুষের কষ্টকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পানির অভাবে রান্না, খাওয়া ও গোসলসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন কাজগুলো করতে তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। কিন্তু সমাধানের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই ওয়াসার।
রাজধানীর কাফরুলে বসবাস করেন আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম আমানী। তিনি বলেন, একদিকে তাপ প্রবাহ, অন্যদিকে অনেকটা ‘ঘাড়ে ভূত সওয়ার’ হবার মতো তীব্র পানি সংকট চেপে বসেছে। সব মিলিয়ে পড়াশোনায় কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। এমন অবস্থায় মাসখানেক পরে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ শিক্ষার্থী আমানী বলেন, গরমের কারণে এমনিতে অসহ্য যন্ত্রণায় আছি, তার ওপর গত এক সপ্তাহ ধরে নেই পানি। সারাদিনে এক ঘণ্টাও পানি থাকে না। গোসল করতে পারি না, রান্না বান্নায়ও সমস্যা। জরুরি প্রয়োজনেও পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে খুব হিসাব করে। বালতিতে জমিয়ে রাখা পানি দিয়ে আর কতক্ষণ চলে।
পানির এমন সংকটে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে নানান কথা শুনতে হচ্ছে জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সারাদিনে এক ঘণ্টাও ওয়াসার পানি থাকে না। এদিকে পানির জন্য ভাড়াটিয়ারা সারাদিনই একজনের পর একজন ফোন দিতে থাকে। আমি কোথায় পানি পাব, ওয়াসা যদি না দেয়। তারপরও প্রতিদিন নানাভাবে ম্যানেজ করে একবার পানি দেওয়ার চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিক আহমেদ খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তীব্র তাপদাহে পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে কয়েকটি পাম্প ডাউন (নষ্ট) হয়ে গেছে। যার কারণে পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
কবে নাগাদ পাম্পগুলো সচল হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহ ভালো জানে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দ্রুতই পাম্পগুলো সচল করার।