গরমে পানি সংকটে কাফরুল, গ্রাহকদের ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গরমে পানি সংকটে কাফরুল

গরমে পানি সংকটে কাফরুল

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে রাজধানীর কাফরুলে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকে প্রতিদিন অর্থ খরচ করে বাইরে থেকে পানি কিনে খাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত প্রায় ৫-৬ দিন ধরে পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন কাফরুল এলাকার বাসিন্দারা। কোন কোন বাসায় সারাদিনে এক ঘণ্টার জন্যও ওয়াসার পানি পাচ্ছেন না। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

উত্তর কাফরুল, ইব্রাহীমপুর কাঁচা বাজার, পানির পাম্প, ওয়েস্ট কাফরুলসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যেই পানি সংকট মানুষের কষ্টকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পানির অভাবে রান্না, খাওয়া ও গোসলসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন কাজগুলো করতে তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। কিন্তু সমাধানের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই ওয়াসার।

রাজধানীর কাফরুলে বসবাস করেন আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম আমানী। তিনি বলেন, একদিকে তাপ প্রবাহ, অন্যদিকে অনেকটা ‘ঘাড়ে ভূত সওয়ার’ হবার মতো তীব্র পানি সংকট চেপে বসেছে। সব মিলিয়ে পড়াশোনায় কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। এমন অবস্থায় মাসখানেক পরে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ শিক্ষার্থী আমানী বলেন, গরমের কারণে এমনিতে অসহ্য যন্ত্রণায় আছি, তার ওপর গত এক সপ্তাহ ধরে নেই পানি। সারাদিনে এক ঘণ্টাও পানি থাকে না। গোসল করতে পারি না, রান্না বান্নায়ও সমস্যা। জরুরি প্রয়োজনেও পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে খুব হিসাব করে। বালতিতে জমিয়ে রাখা পানি দিয়ে আর কতক্ষণ চলে।

পানির এমন সংকটে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে নানান কথা শুনতে হচ্ছে জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সারাদিনে এক ঘণ্টাও ওয়াসার পানি থাকে না। এদিকে পানির জন্য ভাড়াটিয়ারা সারাদিনই একজনের পর একজন ফোন দিতে থাকে। আমি কোথায় পানি পাব, ওয়াসা যদি না দেয়। তারপরও প্রতিদিন নানাভাবে ম্যানেজ করে একবার পানি দেওয়ার চেষ্টা করি।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিক আহমেদ খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তীব্র তাপদাহে পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে কয়েকটি পাম্প ডাউন (নষ্ট) হয়ে গেছে। যার কারণে পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

কবে নাগাদ পাম্পগুলো সচল হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহ ভালো জানে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দ্রুতই পাম্পগুলো সচল করার।

   

নরসিংদীতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর হাটবাজারে এবং ছোট বড় মেলাগুলোতে প্রকাশ্যেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। আর এসব প্রসাধনী ব্যবহারে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। 

বিএসটিআই ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহারে স্কীনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবুও নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি ও রুপ লাবন্য তৈরীর চেষ্টায় অনেকেই এসব প্রসাধনী ব্যবহার করেন। 

নিন্মমানের এসব প্রসাধনী ব্যবহারে হিতের বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। নরসিংদীর বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের মেলায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ বা বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়া ছাড়াই বাসায় বসে নিজেরাই তৈরী করেন এসব প্রসাধনী। এর কোনটা বোতলজাত, আবার কোনটা প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। 

উদ্যোক্তাদের তৈরী প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে মাথার তৈল, মূখের ব্রন পরিস্কার করার ক্রীম, মাথা ঠান্ডার তৈল, বিভিন্ন রকমের মেহেদী ও গোসলের সাবানসহ হরেক রকম প্রসাধনী। এসব পণ্যের গায়ে নেই কোনো উৎপাদন বা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ। নেই কোনো পণ্যের মূল্যও। এরপরও প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে এসব প্রসাধনী। বিষয়টি নিয়ে কারো নেই নজরদারি।

তবে উদ্যোক্তাদের দাবি, এসব পণ্য কোন ক্ষতি করেনা। আবার অনেকেই বলছেন মানসম্মত প্রসাধনী অবশ্যই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। আর এসব মানহীন অনুমতিবিহীন প্রসাধনী জেনে-না জেনে মানবদেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর বলে দাবি অনেকের।

নরসিংদী সিভিল সার্জন ফারহানা আহমেদ জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া কোন প্রধান প্রসাধনী বা ক্যামিকেল পরীক্ষা ছাড়া ব্যবহার ঠিক নয়। আর অনুমোদন এসব পণ্য ছাড়া বাজারে বিক্রি দণ্ডনীয়। এটা ব্যবহারে স্কিন ক্যন্সার, এলার্জিসহ চর্মজাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে বড়ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তাই বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।

;

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসে কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতি মাসে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে নগর ভবনে ডিএনসিসি’র চার বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির ৭২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। কাউন্সিলররা এই টাকা ওয়ার্ডে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, র‍্যালি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য ব্যয় করবেন।

এ ছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে যেসব বর্জ্য-পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মে, ওইসব পণ্য কেনার জন্য কাউন্সিলদের আলাদা করে এ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রধান ওষুধ বিটিআই সরাসরি সিটি কর্পোরেশন আমদানি করবে।

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা তুলে ধরে মেয়র আতিক বলেন, ডেঙ্গু ভয়াবহতায় ২০২৩ সাল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মোট ১ হাজার ৬শ ৯৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মশার ওষুধ ছিটানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মতো নানান পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ফলে, প্রতি বছরই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

;

চার বছরে ডিএনসিসির অগ্রগতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরবেন আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) দায়িত্ব গ্রহণের পর চার বছরের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরবেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ মে) সকালে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএনসিসি। সেখানে তিনি তার দায়িত্বগ্রহণের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিশ্রুতি পূরণে তাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু করোনার অভিঘাত ছাড়াও নানারকম সীমাবদ্ধতার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছিল সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা।

দায়িত্ব গ্রহণের চার বছরে এসে দেখা যাচ্ছে, 'সচল ঢাকা' চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আলোর মুখ দেখা যায়নি। সচল ঢাকা করতে গেলে ঢাকায় যানজট নিরসনে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি নগর বাসী।

ডিএনসিসি জানায়, ২০২০ সালের ১৩ মে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. আতিকুল ইসলাম। ওইদিন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এর আগে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আতিকুল ইসলাম। সেখানে নির্বাচিত হয়ে ডিএনসিসির মেয়র হন তিনি। পরে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আতিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে একই বছরের ১৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

কটিয়াদীতে তীব্র গরমের মধ্যেও কুয়াশা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের তীব্র গরমের মধ্যেও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ভোরে প্রচণ্ড কুয়াশা পড়েছে। ঘাসের ডগায় জমেছে শিশির বিন্দু। এতে বিস্মিত হয়েছেন অনেকে। 

সোমবার (১৩ মে) কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুয়াশা দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায় এবং প্রচণ্ড গরম পড়ে।

অনেকেই বলছেন, গ্রীষ্মে প্রকৃতির এমন দৃশ্য বিরল। নানা কারণে প্রকৃতি বিরূপ আকার ধারণ করেছে। 


পথচারী আবুল কাশেম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমন ঘটেছে বলে মনে হয়। ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়েই দেখি চারদিকে কুয়াশা৷ এসময়ে কিছুটা ঠান্ডাও অনুভূত হয়।’

জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকৃতি আর আগের মতো নেই৷ সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ভবিষ্যৎ এর জন্য ভালো লক্ষ্মণ নয় বলে মনে করেন তিনি৷’

;