ফেনীতে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’


মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে ৬ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। লেখক, পাঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, কবি ও সুশীল সমাজ, দর্শনার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ এবং সরব উপস্থিতিতে জমে উঠেছে মেলা।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড়। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট বেচাকেনা চলছে মেলায়। তবে সন্ধ্যার পর মেলায় ভিড় আরও বেড়ে যায়। মেলা উপলক্ষ্যে শহীদ বেদিতে চলছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বই কেনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে ভিড় করে সাধারণ মানুষ।


অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়েও মেলায় ঢুঁ মারছেন। মেলায় বিভিন্ন স্টলে গিয়ে দেখা যায় উৎসুক পাঠকরা। অনেকেই দল বেঁধে বইমেলায় এসেছেন। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে, কেউবা পরিবার পরিজন, প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিশু, কিশোর-কিশোরীরাও এসেছে। মেলায় আগতরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন নিজের প্রিয় লেখকদেরসহ মেলায় আসা নতুন বইগুলো। এ স্টল থেকে ওই স্টলে ঘোরাঘুরিতে কাটিয়ে দিচ্ছে সময়। পছন্দমতো বইও কিনছে। অনেকে আবার দল বেঁধে এসে বিভিন্ন স্টল ঘুরে চলে যাচ্ছেন, কেউবা আবার বইয়ের পাতা উল্টে দেখছেন। আবার অনেকে বই কিনে প্রিয় মানুষদের উপহার দিচ্ছেন।


বইমেলায় আসা স্কুল শিক্ষক নুরুল আফছার বলেন, দিনের বেলা সুযোগ পাই না। সন্ধ্যা নামলেই বইমেলায় চলে আসি। স্টলে স্টলে ঘুরি আর বই কিনি। ফেনীর মানুষ বইমেলার দাবি এজন্যই জানিয়েছিল, কারণ এখানে সাহিত্যের চর্চা আছে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ আছে। আর একটা মেলা হলে যে বই পড়েনা তারও পড়ার ইচ্ছা জাগ্রত হয়। এমন মেলা সবসময় আয়োজন করা উচিত।

স্কুল শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, বই মেলায় আসার একটি আনন্দ আছে। অনেক মেলায় তো যাওয়া হয়, তবে বইমেলা আলাদা। এখানে আসলে সময়টা এমনিতেই ভালো যায়। দুই একটি বই কিনেছি শেষ দিন আরও কিনব।


গ্রন্থকুটির স্টল এর মনোজ পাল জানান, বই বিক্রি বেড়েছে। এমনকি গত দুইদিনের চেয়ে ভালো বিক্রি হচ্ছে। কোহিনুর লাইব্রেরির হোসেন মজুমদার বলেন, বেচা বিক্রি ভালো হচ্ছে। পাঠক আসছে এবং বই নিচ্ছে।

ভাটিয়াল প্রকাশনীর আলমগীর মাসুদ বলেন, ফেনীতে বইমেলা হচ্ছে এটাই আনন্দের। পাঠক ও সাংস্কৃতিকজনদের কাছে এ মেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাঠক এখানে এসে বই দেখেন, বই ক্রয় করেন। এ বই মেলা প্রতিবছর যেন ১৫ দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়।


ঢাকা থেকে আসা সাহিত্যদেশ এর মিল্লাত আল জিসাদ বলেন, ফেনীতে বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। ঢাকাতে অনেকে শুধু ছবি তুলে। এখানে ছবি তোলার চেয়ে পাঠক বেশি। এটা দেখে আমার ভালো লাগছে এবং বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

মেলায় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে স্টল দিয়েছেন পৌর এলাকার কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংগঠন। মেলার বিষয়ে সংগঠনের একজন সাংবাদিক সুরঞ্জিত নাগ জানান, মেলায় যা বিক্রি হয় তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তরুণ প্রজন্ম বইকে ভালোবাসছে। বইকে সানন্দে গ্রহণ করছে। মানুষজন বইকে ভালোবেসে মেলায় আসছেঅ এটাই মেলা আয়োজনের সফলতা। প্রাণের বই মেলা প্রতিবছর আয়োজন হোক, এটি ফেনীবাসীর প্রাণের দাবি।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ফেনী প্রতিনিধি এবং দৈনিক ফেনী সম্পাদক লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, ফেনীর অনেক গুণী মানুষ ভাষা আন্দোলনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তার মধ্যে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম অন্যতম। সে জেলায় বইমেলা আয়োজন ছিল সময়ের দাবি। এবারের মেলা অনিশ্চিত ছিল কিন্তু পৌর মেয়রের আন্তরিকতায় এ মেলা আয়োজিত হয়েছে এবং ফেনীর মানুষ খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। ৩ দিনের মধ্যেই বেচাবিক্রি দারুণ হচ্ছে এবং ফেনীতে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৬ দিনব্যাপী এই মেলা ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবং আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত ৯ টা অবধি এ মেলা চলছে। মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে পবিত্র শবে বরাতের জন্য রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।

   

দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি জিয়াউর রহমান চালু করেছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে চালু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে চালু হওয়া ঋণ খেলাপি পরে এরশাদ, খালেদা জিয়ার মাধ্যমে সম্প্রসারিত হয়েছে। যারা এখন গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে উঠেছেন, তাদের জন্মটা যেন কীভাবে সেটি কি তারা ভুলে গেছেন? ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া, গণতন্ত্রহীনতা এগুলো তো জিয়ার আমলেই শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সরকারি প্রকল্পে দেশের টাকা মারার কোনো সুযোগ রাখেননি বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাওয়ার অফার কখনো নেননি। জনগণের ভোটে না জিতে ক্ষমতায় আসা সরকার কতটা ভয়ংকর হয়, সেই অভিজ্ঞতাও আছে।

দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদই বিএনপি আমলের চিত্র ছিলো। তাদের দুঃশাসনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয় বলেও দাবি করেন সরকার প্রধান।

জনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে যায়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের হাত থেকে প্রধান বিচারপতি-সাংবাদিক কেউ নিরাপদ নন। প্রধান বিচারপতির চেম্বারের দরজায় লাথি মারার অভ্যাসও দলটির আছে তো। এহেন কোনো অপকর্ম নাই যা, তারা করেনি। আসলে বিএনপির নেতারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখেন না।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

নারীর ক্ষমতায়নে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নারীর ক্ষমতায়নে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নারীর ক্ষমতায়নে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে বলেই আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫২ ব্যাচ) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আঙ্গরপোতা দহগ্রামে দেখেছি স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন একজন নারী অথবা কোন জেলার ডিসি নারী অথবা তার পরের জন নারী। নারীদের সঙ্গে নিয়ে চলতে পারছি বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বাংলাদেশকে বদলে দেব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানান।

জাবি উপাচার্য বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর 'এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪' এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র‍্যাংকিং এ দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

এর আগে, নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের কাছে নিজ নিজ অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠক্রম সম্পাদনের জন্য উপস্থাপন করেন। এ সময় অনুষদগুলোর ডিন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য গ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠান হয়েছিলো। এরপর, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রবেশিকা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

তৈলারদ্বীপ সেতুতে টোল প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালীর সীমান্তে সাঙ্গু নদীতে নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুতে চাঁদাবাজি বন্ধ, সেতুর টোল প্রত্যাহার ও ইজারাদার আইনুল কবীর কর্তৃক বাঁশখালীবাসীকে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ বক্তব্য প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সামাজিক সংগঠন 'আমরা বাঁশখালীবাসী'।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা অবিলম্বে তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রত্যাহার ও এলডিপি নেতা আইনুল কবিরের নিয়ন্ত্রনে থাকা সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তৈলারদ্বীপ সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ২০০৬ সালে। সাঙ্গু নদীল আরও ৫টি সেতু রয়েছে। সেগুলোতে কোনো টোল নেওয়া হয় না। একমাত্র তৈলারদ্বীপ সেতুতে টোল নেওয়া হয়। প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনের পর ২০০৭সাল থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে। ৩ বছরের ইজারা দিয়েই যেখানে নির্মাণ ব্যয় উঠে যায়, সেখানে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনগণের অধিকারের পরিপন্থি। তাই আমরা মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে এই সেতুর টোল প্রত্যাহারের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তৈলারদ্বীপ সেতুর অনায্য টোল বাঁশখালীবাসীর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইজারাদার প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। ফলে টোল আদায় রূপ নিয়েছে চাঁদাবাজিতে। বাঁশখালীর মানুষ দীর্ঘদিনের সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেছে। সাধারণ মানুষের জাগরণকে থামিয়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সেতুর ইজারাদার কুখ্যাত এলডিপি নেতা আইনুল কবির। তিনি বাঁশখালীর সংসদ সদস্য ও বাঁশখালীর জনগণকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমান উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রাহুল কান্তি দাশের সাঞ্চালনায় মানবন্ধনের উপস্থিত ছিলেন কালীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত ফারুক, বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন খোকন, প্রকৌশলী রোকন উদ্দীন, সাংবাদিক সুবল বড়ুয়া, বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক ওয়াসিম আহমেদ, যুবলীগ নেতা রায়হানুল কবীর শামীম, চাম্বল ইউপি সদস্য নুর হোসেন, পুকুরিয়া ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন, বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ওকান উদ্দিন সাকিব, সংগঠনটির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

নরসিংদীতে বজ্রপাতে কিশোরসহ নিহত দুই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে ভাটপাড়ায় বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো দুই জন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া চাকশাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে চাকশাল এলাকায় ধান কাটার সময় কবির মিয়া নামে এক শ্রমিক ও পাশের মাঠে ফুটবল খেলারত অবস্থায় বিজয় (১২) নামে এক স্কুল ছাত্র বজ্রপাতে নিহত হয়েছে।

এসময় আহত হয়েছেন শ্রমিক সিরাজ মিয়া এবং ১০ বছর বয়সের শিশু সৌরব। পরে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

নিহত কবির মিয়া পাঁচদোনা ইউনিয়নের চাকশাল বোনদের গাও গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে এবং বিজয় বাটপাড়া এলাকার তাহের আলীর ছেলে। বিজয় স্থানীয় ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

জমির মালিক চাকশাল এলাকার মোমেন মিয়া জানান, জমির ধান কাটার জন্য পাঁচদোনা মোড় থেকে তিনজন শ্রমিক নিয়ে আসি এবং তারা দুপুর পর্যন্ত ধান কাটে। দুপুরের পর জমিতে গিয়ে পুনরায় ধান কাটার কাজ শুরু করলে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পাশেই টানানো তাবুতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। দুই শ্রমিক তাবুতে যেতে পারলেও নিহত কবির মিয়া তাবুতে যাওয়ার পূর্বেই বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুল কবীর বাশার জানান, বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বজ্রপাতের ঘটনায় চাকশাল এলাকায় দুইজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরো তিনজন। ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ রয়েছে। পরিবারের লোকজন যদি মনে করেন ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা মরদেহ দাফন করবেন তাহলে আমাদের কাছে আবেদন জানাবেন নতুবা আমরা আমাদের মতো করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;