বইমেলায় সাইফুল্লাহ সাদেকের 'দৌড়ের ওপরে আছি'

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’


ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪। প্রতিদিন মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে নানা ধরনের বই। বইমেলার এই শেষ সময়েও প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বই। তেমনি গবেষক ও লেখক সাইফুল্লাহ সাদেক প্রকাশ করেছেন ব্যতিক্রমধর্মী দৌড়-ভ্রমণ বিষয়ক বই 'দৌড়ের ওপরে আছি' ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা প্রাঙ্গণে লেখক ও গবেষক সাইফুল্লাহ সাদেক জানান এডুসেন্ট্রিক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত 'দৌড়ের ওপরে আছি' মূলত দৌড়-ভ্রমণ বিষয়ক বই। যেখানে লেখকের হায়দরাবাদ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে লেখা, একই সাথে দৌড় জীবনের নানা দিক ও ম্যারাথন বিষয়ে খুঁটিনাটি ধারণা নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে গল্পের মাধ্যমে ।

জানা যায়, 'দৌড়ের ওপরে আছি' লেখকের লেখা দ্বিতীয় বই। এর আগে ইউরোপের দেশ আর্মেনিয়ায় ভ্রমণ নিয়ে লিখেছেন ভ্রমণ-ইতিহাস বিষয়ক বই ‘আর্মেনিয়ার বাংলাদেশ’ যা ২০১৮ সালে অমর একুশে বইমেলায় স্বপ্ন৭১ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়া তার সম্পাদনায় ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা বিষয়ক বই-‘গবেষণা প্রারম্ভিকা’ যা ২০২৩ সালে নবান্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় এবং ‘একুশ শতকে তারুণ্য ও নেতৃত্ব’ বইটি ২০২২ সালে কাকলি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। ‘একুশ শতকে তারুণ্যের দক্ষতা’ বইটি ২০২৩ সালে নবান্ন প্রকাশনী এবং ‘একুশ শতকে তারুণ্যের উদ্যোগ’ বইটি ২০২৪ সালে একুশে বইমেলায় নবান্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়।

লেখক সাইফুল্লাহ সাদেক জানান, এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ দৌড়বিদ উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন লুৎফর রহমান, একে এম আহসান, ইমতিয়াজ এলাহী, ওয়াহাব খান, প্রশান্ত রায়, শাকিল মিরাজ, সিডিও হাসিব, ফেরদৌস আলম, কামাল হোসাইনসহ দেশের বিভিন্ন বর্তমান কমিউনিটির এডমিনবৃন্দ। ডিইউআরসির রানার শাহরিয়ার নাজিম সীমান্ত ও নিয়মিত সদস্যবৃন্দের সামগ্রিক সহযোগিতায় ঢাবিতে দৌড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বই উন্মোচন ইভেন্টটি সম্পন্ন হয়।

প্রসঙ্গত, গবেষক সাইফুল্লাহ সাদেক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে। পড়ালেখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণা-সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বাংলাদেশে ‘গবেষণা সংসদ’-এর যে ধারণা, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার সূচনা করেছেন ২০১৬ সালে ৬ ডিসেম্বর। বর্তমানে কর্মরত আছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা গ্লোবাল সেন্টার ফর ইনোভেশন এন্ড লার্নিং এর বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে।

   

নরসিংদীতে বজ্রপাতে কিশোরসহ নিহত দুই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে ভাটপাড়ায় বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো দুই জন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া চাকশাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে চাকশাল এলাকায় ধান কাটার সময় কবির মিয়া নামে এক শ্রমিক ও পাশের মাঠে ফুটবল খেলারত অবস্থায় বিজয় (১২) নামে এক স্কুল ছাত্র বজ্রপাতে নিহত হয়েছে।

এসময় আহত হয়েছেন শ্রমিক সিরাজ মিয়া এবং ১০ বছর বয়সের শিশু সৌরব। পরে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

নিহত কবির মিয়া পাঁচদোনা ইউনিয়নের চাকশাল বোনদের গাও গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে এবং বিজয় বাটপাড়া এলাকার তাহের আলীর ছেলে। বিজয় স্থানীয় ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

জমির মালিক চাকশাল এলাকার মোমেন মিয়া জানান, জমির ধান কাটার জন্য পাঁচদোনা মোড় থেকে তিনজন শ্রমিক নিয়ে আসি এবং তারা দুপুর পর্যন্ত ধান কাটে। দুপুরের পর জমিতে গিয়ে পুনরায় ধান কাটার কাজ শুরু করলে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পাশেই টানানো তাবুতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। দুই শ্রমিক তাবুতে যেতে পারলেও নিহত কবির মিয়া তাবুতে যাওয়ার পূর্বেই বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুল কবীর বাশার জানান, বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বজ্রপাতের ঘটনায় চাকশাল এলাকায় দুইজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরো তিনজন। ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ রয়েছে। পরিবারের লোকজন যদি মনে করেন ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা মরদেহ দাফন করবেন তাহলে আমাদের কাছে আবেদন জানাবেন নতুবা আমরা আমাদের মতো করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

কর্ণফুলীতে ৫ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে প্রায় ৫ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান এসব জমি উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর মৌজার বি.এস ৫২৬,৫২৭, ৫২৮ দাগে জমির পরিমান ৩০ শতক, বি.এস ২৮৩ দাগে ১৫ শতক, ২৮৪ দাগে ১৫ শতক, বি. এস ২৭২, ২৭৩, ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৯ ও ২৮০ দাগে ২২ শতক, বি.এস ৩৪৫, ৩৪৬, ৩৪৭, ৩৪৮, ৩৪৯ দাগে ২৪ শতক, এছাড়া ৩১১ দাগে ৮ শতক ও ৪৯৫ দাগে ৭ শতক জমিসহ মোট ১ একর ২১ শতকসহ মোট মোট ১ একর ২১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, অভিযানে মোট ১ একর ২১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে খাস জমিগুলো অবৈধ দখলদারদের কাছে ছিল। পরে জমিগুলো উদ্ধার করে সেখানে জমির তফসিল উল্লেখ করে সীমানা পিলার দ্বারা চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। পাশে কিছু জমিতে ঘরবাড়ি থাকায় আমরাও মানবিক কারণে তাদের উচ্ছেদ করিনি। পরে ঊর্ধ্বতন স্যারদের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শওকত জামান, বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম, সিএমপি কর্ণফুলীর পুলিশের চৌকস টিম।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

পাচারকালে প্রায় ৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ, বিএসএফের হাতে আটক ৪



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে পাচারকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬ কেজির ৫০টি স্বর্ণের বার জব্দ ও ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। জব্দ করা স্বর্ণের বার গুলির ওজন ৫ কেজি ৮শ ৪০ গ্রাম এবং এর বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৬ হাজার ১শ ৬৫ টাকা।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ভারতের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এক বার্তায় আটকের এ তথ্য সংবাদকর্মীদের জানায়।

বার্তায় জানানো হয়, বুধবার কয়েক ধাপে পাচার কালে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদের একজন হলেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী শরীয়তপুরের মাতবরকান্দি উপজেলার আব্দুল হোসেন মোল্লার স্ত্রী দিলরুবা আক্তার। বেনাপোল কাস্টমস পার হয়ে ভারতে ঢোকার পর দিলরুবা আক্তারের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় ইমিগ্রেশনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যদের। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার শরীরের পায়ুপথ থেকে দুটি স্বর্ণবার জব্দ করেন পেট্রাপোল কাস্টমসে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা।

এছাড়া একই দিন পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাস থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে ১৮টি স্বর্ণবারসহ আটক করে বিএসএফ। এরা হলেন- উত্তর ২৪ পরগণার পশ্চিমবঙ্গের আকারে অবস্থিত ধাকপাদা গ্রামের হরিপদ রায়ের ছেলে তাপস রায় ও কোরবাগার জেলার নামনগর গ্রামের অনুপ লুমার ছেলে অভিজিৎ। অন্যদিকে, একই সময়ে পেট্রাপোল বন্দর থেকে ভারতীয় ট্রাকচালক পোলতা গ্রামের দিলীপ মণ্ডলের ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডলকে ৩০টি স্বর্ণবারসহ আটক করে বিএসএফ। তিনি বেনাপোল বন্দর থেকে মনসুর শেখ নামে এক ব্যক্তির দেওয়া ৩০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ট্রাকে লুকিয়ে ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

ভারতের ২৪ পরগনা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণবারসহ পাচারকারীদের আটকের বিষয় জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের জানান, আটক চোরাকারবারি ও জব্দ করা স্বর্ণের বিস্কুট পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুল্ক বিভাগ, পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবে না। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও ছাড় দেবে না বিএসএফ। চোরাচালান প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এ বিএসএফ কর্মকর্তা।

জানা যায়, বেনাপোল কাস্টমসের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুট’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর। তবে স্বর্ণ নিয়ে নির্বিঘ্নে বেনাপোল পার হয়ে গেলেও পেট্রাপোলে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন ধরা পড়ছে চোরাকারবারিরা।

জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৪টি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। এর একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়, বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম।

এছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট ও রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন- কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরো তিনটি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। তবে স্ক্যানিং মেশিনগুলোর মধ্যে তিনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় গেল ছয় মাস ধরে স্ক্যানিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী পরিবহনের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন চোরাচালানে।

বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষে স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন জানান, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। চুক্তি অনুযায়ী, সেটির ব্যয় কাস্টমসের বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্ক্যানিং তিনটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

 

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন, ২০ বছরে সুস্থ ২৮ শতাধিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন, ২০ বছরে সুস্থ ২৮ শতাধিক

মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন, ২০ বছরে সুস্থ ২৮ শতাধিক

  • Font increase
  • Font Decrease

আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র বলছে, গত ২০ বছরে তাদের কাছে ২ হাজার ৭৮৯ জন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। এসব রোগীদের মধ্যে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ইয়াবা ও ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ গাঁজা গ্রহণকারী।

এছাড়া ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ঘুমের ওষুধ, ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ হিরোইন, ১২ দশমিক ৬ শতাংশ এ্যালকোহল এবং ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ একই সঙ্গে একাধিক মাদক গ্রহণকারী, বাকিরা অন্যন্য মাদক গ্রহণকারী। মানসিক রোগের মধ্যে সিজোফ্রিনিয়া ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বাইপোলার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ডিপ্রেশন ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওসিডি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বাকিরা অন্যান্য মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) গাজীপুর আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এসব তথ্য জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

তিনি জানান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ১৯৯০ সাল থেকে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তার প্রতিষ্ঠানিক রূপ নেয় ২০০৪ সালের ৪ মে গাজীপুরে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠানটি ছাড়াও ঢাকা আহছানিয়া মিশন ২০১০ সালে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, যশোর, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জে আহ্ছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে।

গত ২০ বছরে কেন্দ্রটি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ধ্বংসাত্মক প্রভাবের সঙ্গে লড়াইরত অগণিত ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য আলোর বাতিঘর হয়ে উঠেছে। আমাদের সামগ্রিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় যত্ন ও চিকিৎসা সেবা প্রদান নয় বরং তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৮৯ জনকে সেবা প্রদান করেছে। ২ হাজার ৭৮৯ জন চিকিৎসা গ্রহণকারীর মধ্যে মাদকাসক্ত জনিত সমস্যা দুই হাজার ১৪২ জনের এবং মানসিক সমস্যা ৬৪৭ জনের । যার মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

গত দুই দশকের তথ্যের আলোকে, ২ হাজার ৭৮৯ জন রোগীর মধ্যে ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ চিকিৎসার মেয়াদ পূর্ণ করেছে, মেয়াদ পূর্ণ না করে চলে গেছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং বিভিন্ন কারণে ১ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীকে রেফার করা হয়েছে এবং ২ দশমিক ২৯ শতাংশ রোগী বর্তমানে চিকিৎসারত রয়েছে। আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ডাম হেল্থ অ্যাপের মাধ্যমে রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন।

চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ইয়াবা, ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ গাঁজা, ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ঘুমের ওষুধ, ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ হিরোইন, ১২ দশমিক ৬ শতাংশ এ্যালকোহল এবং ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ একই সঙ্গে একাধিক মাদক গ্রহণকারী, বাকিরা অন্যান্য মাদক গ্রহণকারী। মানসিক রোগের মধ্যে সিজোফ্রিনিয়া ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বাইপোলার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ডিপ্রেশন ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওসিডি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বাকিরা অন্যান্য মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল।

পরিচালক ইকবাল মাসুদ আরও বলেন, এই কেন্দ্রটি তিন ধরনের রোগী যেমন মাদকদ্রব্য নির্ভরশীল, আচরণগত এবং মানসিক সমস্যাগ্রস্থ তাদের ৬ মাস ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও পূর্ণ মেয়াদ চিকিৎসা সম্পূর্নকারী ক্লায়েন্টরা পরবর্তিতে রিলেপ্স করলে রিভিউ ক্লায়েন্ট হিসাবে ৩ মাস ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারবে। যারা পূর্ণমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণ করে এখনও সুস্থ আছেন তারা সেন্টার থেকে বছরে সর্বোচ্চ ১২ দিন বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া ও কাউন্সেলিং সেবা পাচ্ছেন।

কেন্দ্রটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসন্মত প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। চিকিৎসা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো ক্লায়েন্টের সমস্যাগুলো নিরূপণ ও ড্রাগ টেস্ট করা। এরপর ক্লায়েন্টের চিকিৎসা পরিকল্পনা করা হয়। ডিটক্সিফিকেশন বা নির্বিষকরণের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের মূল চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ধারাবাহিক ও নিয়মিত চিকিৎসা সেবার অংশ হিসেবে রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, চিকিৎসক দ্বারা নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা, যে সকল রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, অ্যাজমা ইত্যাদি রোগ ব্যাধি থাকে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ মনো চিকিৎসকের মাধ্যমে মাসে ২ বার মনো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;