‘ছবি তুলে চলে যায়, বই কিনে না’

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামনের টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কাব্যগ্রন্থ থেকে উপন্যাস, আত্মজীবনী থেকে অনুবাদ-কি নেই! বইয়ের প্রচারেও কোনো কমতি রাখেনি প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ। সবখানেই ঝুলছে কি কি বই আসল, তারই বিবরণীর ব্যানার-ফেস্টুনে। কিন্তু সেই বই ছুঁয়ে দেখার, কেনার পাঠক কোথায়?

তাই কেমন সাড়া পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে কণ্ঠজুড়ে মন খারাপের সুর বিক্রয়কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়ার। একরাশ হতাশা নিয়ে বইয়ের ওপর জমে থাকা ধুলো মুছতে মুছতে এই তরুণী বললেন, ‘সবাই এসে ছবি তুলে চলে যায়। বই কিনে না। বইমেলা শেষের দিকে। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশার অর্ধেকও এখনো পূরণ হয়নি।’

চট্টগ্রাম বইমেলার ‘গলুই’ নামের একটি প্রকাশনীর স্টলের এই নারী বিক্রয়কর্মীর হাহাকার যেন পুরো মেলারই প্রতিকী চিত্র। অথচ প্রতিদিন বিকেল গড়াতেই মেলায় ভিড় নামে দর্শনার্থীদের। সেই ভিড় লেগে থাকে রাত পর্যন্ত।

চট্টগ্রামে এই প্রথমবারের মতো নগরীর রেলওয়ে সেন্ট্রাল বিল্ডিংয়ের (সিআরবি) শিরিষতলায় বসেছে অমর একুশে বইমেলায়। এর আগে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে বসত এই বইমেলা। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই বইমেলায় সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন। বইমেলায় চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ সারা দেশের মোট ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার স্টল রয়েছে। সবমিলিয়ে মেলায় ১৫৫টি স্টল রয়েছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে বইমেলায় গিয়ে দেখা যায়, তখনো সেভাবে ভরে উঠেনি মেলা প্রাঙ্গণ। তবে সন্ধ্যার আগে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। অধিকাংশ স্টল ঘুরে দেখা যায় ক্রেতার চেয়ে বই নিয়ে ছবি তোলার মানুষই বেশি।

চারুলিপি প্রকাশনী সংস্থার স্টলে কথা হয় বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে। জানতে চাইলে এই তরুণ বলেন, ‘এবার আমাদের প্রকাশনী সংস্থা ১৫টি নতুন বই এনেছে। আর সবমিলিয়ে ১০০ লেখকের বই আছে আমাদের স্টলে। কিন্তু তেমন সাড়া পাচ্ছি না। অন্যান্য বছরে এই সময়ের মধ্যে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বই বিক্রি হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ টাকার মতো বই বিক্রি হয়েছে।’

একই সুর অক্ষরবৃত্তের রাজেশ শীলের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু লেখকের বই ভালোই বিক্রি হচ্ছে। সাড়াও পাচ্ছি এসব বই নিয়ে। কিন্তু সার্বিকভাবে বই বিক্রির হার হতাশাজনক। মানুষ আসছে, বই দেখছে কিন্তু কিনছে কম। আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম আমরা।’

হাওলাদার প্রকাশনী নামের আরেকটি প্রকাশনী সংস্থার স্টলে গিয়ে দেখা যায় দুই বিক্রয়কর্মী অবসর সময় পার করছেন। জানতে চাইলে তাঁদের একজন বললেন, ‘হতাশাজনক। বই বিক্রি নেই, বসে আছি।’

কেন সাড়া কম:

বই বিক্রি কম হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে সবাই একটা কারণকে সামনে এনেছেন। তাঁরা বলেছেন, স্থান পরিবর্তনের কারণে সাড়া মিলছে কম। আগে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে মেলা হতো, সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিল বেশি। কেননা এলাকাটি ছিল জনবহুল। অবশ্য সিআরবিতেও এখন মানুষের ভিড় থাকে, তবে সেখানে বেশিরভাগই মানুষ ঘুরতে-বেড়াতে যান। এ জন্য শুরুর দিকে প্রকাশনী সংস্থাগুলো এই জায়গায় মেলা করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে খেলার মাঠে মেলা নয়-জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশনার কারণে তাঁদের সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। এখন তাই বিক্রি কম হওয়ায় সেটি আবার সামনে আনছেন তাঁরা।

তবে প্রকাশনী সংস্থার এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে একটা অদ্ভূত কৌশলের বিষয় সামনে আনেন বইমেলার আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বই কম বিক্রি হচ্ছে, এমন দাবি তাঁদের একটা কৌশল হতে পারে। আমি অনেক ভেবে বুঝলাম অধিক বই বিক্রির কথা প্রচার হলে লেখকেরা বেশি রয়্যালিটি দাবি করতে পারেন। এখন কম বিক্রির কথা প্রচার হলে লেখকেরা সেই দাবি করতে পারবেন না। সেজন্য হয়তো বই বিক্রি কম হচ্ছে এমন কৌশল সামনে আনতে পারে তাঁরা।’

   

অনলাইন জুয়া, বেটিংয়ের প্রচার, প্রসার ও অর্থপাচারে টিআইবির উদ্বেগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে অনলাইন জুয়ার ব্যাপক বিস্তারে মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার, অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অর্থপাচার এবং জুয়ার ব্যাপক প্রসারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলছে, সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনলাইন জুয়া বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো ভিন্ন মোড়কে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংস্থার আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি’র এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিজনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে অনলাইন জুয়ার নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে এ সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ ও জুয়া প্রতিরোধে আইন প্রণয়নসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায় টিআইবি।

উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি জানায়, দেশের প্রচলিত আইনে যে কোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ হলেও নানা কৌশলে অনলাইন জুয়ার প্রচার ও প্রসার চলছেই। মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যমে আইপিএল, বিপিএলসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা সম্প্রচারসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেটিং সাইটের চটকদার বিজ্ঞাপন ভিন্ন মোড়কে বা ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করা হচ্ছে। এমন কী এ বছরের বিপিএল-এর একটি দলের জার্সিতে জুয়ার ওয়েবসাইটের সারোগেট বিজ্ঞাপনও দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চরম উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, দেশে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপনের মহোৎসব চলছে। আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুধু মুনাফার লোভে দেশকে চরম বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া কোনোমতেই দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে না। ইদানিং শহরের বিভিন্ন বিলবোর্ডেও অনলাইন জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতে দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন; বিশেষ করে স্পোর্টস চ্যানেলসহ ডিজিটাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাজি ও জুয়ার বিজ্ঞাপনের রমরমা প্রচার চলছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ ধরনের বিজ্ঞাপনের কুফল উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, টিআইবি মনে করে, শুধুমাত্র অনলাইন জুয়ার মাধ্যমেই দেশ থেকে বিপুল অংকের টাকাও পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা আরো বড় উদ্বেগের বিষয়! গণমাধ্যম ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের সূত্রে জানা যায়, শহর থেকে গ্রামসহ সারাদেশে লাখ লাখ মানুষ বিশেষ করে তরুণ সমাজ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন।

এর মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ই-ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড, ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার হয়। অনলাইন জুয়ার অ্যাপসের বেশির ভাগই রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পরিচালনা করা হলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলোর স্থানীয় এজেন্ট রয়েছেন।

এসব এজেন্টরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে টাকা আদান-প্রদান করেন। আবার এই এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। অথচ চোখের সামনে হয়ে যাওয়া এই পাচার রোধে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-সহ কোনো দায়িত্বশীল সংস্থারই কোনো কৌশলগত উদ্যোগ বা প্রচেষ্টার কথা জানা যায় না।

একইভাবে সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখের সামনে চলছে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের বিশাল ব্যবসা, যা অবৈধ ও অনৈতিক!

অনলাইন জুয়ার ফলে সামাজিক নানা সংকটেরও জন্ম হচ্ছে উল্লেখ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিভিন্ন সময়ে জুয়ায় আসক্ত হওয়া ও সর্বস্ব খুইয়ে আত্মহত্যার ঘটনা আমরা নিয়মিত বিরতিতে বিভিন্ন সংবাদে দেখছি। সম্প্রতি, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন ৩৫ বছরের যুবক অনলাইন জুয়ায় ১৫-২০ লাখ টাকা হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। পারিবারিক অশান্তি, কলহ, বিষণ্ণতা, সর্বোপরি জুয়ায় সর্বস্ব খোয়ানোর ঘটনার পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে বিপুল বিত্ত-বৈভব অর্জনের ঘটনাও ঘটে চলেছে।

তিনি বলেন, জুয়ার নেশা আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় তারুণ্যের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিপন্ন করে তুলছে।

অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে বহুমুখী উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী, যে কোনো ধরনের জুয়া প্রতিরোধ করতে সরকারের ওপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশে এখনো জুয়া প্রতিরোধে ব্যবহার হচ্ছে ১শ ৫৭ বছরের পুরনো আইন।

সরকার ‘জুয়া প্রতিরোধ আইন-২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিলেও এখনো তা খসড়া পর্যায়েই রয়ে গেছে। অথচ বর্তমান প্রেক্ষাপটে জুয়া প্রতিরোধে কঠোর ও যুগোপযোগী আইন আরো আগেই প্রণীত ও প্রয়োগ হওয়া প্রয়োজন ছিল।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনটি এখনো খসড়া অবস্থাতেই রয়েছে। খসড়া আইনের ৬ ধারায় দূরবর্তী জুয়া ও অনলাইন জুয়ার প্রকৃতি এবং ৭ ধারায় বাজি বা বেটিং সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে বেটিং, অনলাইন জুয়া প্রচারণার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় সারোগেট বিজ্ঞাপন প্রচার এবং অনলাইন বেটিংয়ের সঙ্গে অর্থ পাচারের যোগসূত্রের ব্যাপারগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে।

আবার, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার ৪.৫.৩ (ঘ) ধারা অনুযায়ী, বাজি ধরা বা জুয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থা/কোম্পানি/ব্যক্তির বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা হলেও সারোগেট বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে কোনো নির্দেশনা দেওয়া নেই।

অন্যদিকে, অনলাইন জুয়া রোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত ভূমিকা দেখা যায় না। অনলাইনের অবারিত দুনিয়ায় জুয়া বা বেটিংয়ের প্রসার রোধে সবার আগে এর প্রচারণা রোধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।

এমতাবস্থায়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বিএফআইইউ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, নাগরিক অধিকার সংগঠনসহ সব অংশীজনের সঙ্গে পর্যালোচনার মাধ্যমে খসড়াটি অতি দ্রুত সংশোধন করে আইন প্রণয়ন ও অবিলম্বে প্রয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

পাশাপাশি, অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে এ সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত নজরদারি ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায় টিআইবি।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

হবিগঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশত। এসময় বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির (২৫), সিএনজি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার সিরাজ মিয়া (৫০) ও লিলু মিয়া। এদের মধ্যে লিলু মিয়ার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়া ও অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। একই বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাঙ্গামাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে কাদির ও সিরাজ ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান লিলু মিয়া।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

পতেঙ্গায় নিহত পাইলটের বাড়িতে শোকের মাতম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদের মানিকগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) ওই পাইলট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহতের মামা সুরুয খান জানান, অসিম জাওয়াদ খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। সে পরিবারের একমাত্র সন্তান। তার মৃত্যুর খবরে আমার বোন নিলুফা পাগল প্রায়।তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অসিমর মরদেহ দেখতে তার স্ত্রী ও ২ সন্তান চট্রগামে রয়েছেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে: বিমান মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে: বিমান মন্ত্রী

উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে: বিমান মন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ব্যবসা বান্ধব নীতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহ এর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ব্যাপক অবকাঠামোগত ও কারিগরি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের সাথে নিয়োজিত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সের ফ্লিট সম্প্রসারণকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর সময়ে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশি কর্মীদের যে যত্ন নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। একই সাথে প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সচেতনতা প্রশংসার দাবিদার। আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী কর্মী সিঙ্গাপুরে কাজ করার সুযোগ পেলে তারা দক্ষতা এবং নিষ্ঠা দিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে।

সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের খুব ভালো বন্ধু। এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশী কর্মীরা খুব দক্ষ ও পরিশ্রমী। ভবিষ্যতে আরো বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সিঙ্গাপুর বিবেচনা করবে।

হাইকমিশনার আরো বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ শুরু হয়েছে তাতে সিঙ্গাপুর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য সিঙ্গাপুর এভিয়েশন খাতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তাও প্রদান করতে আগ্রহী।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;