বৃষ্টি শেষে আবারও প্রাণোচ্ছল বইমেলা

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি হবে এমন পূর্বাভাসও ছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের। তবে সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই শুরু হয় অমর একুশে বই মেলা ২২তম দিনের যাত্রা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে লেখক-পাঠকে পূর্ণ হয় বই মেলা প্রাঙ্গণ। প্রতিকূল আবহাওয়া আশঙ্কা উপেক্ষা করে সময়ের সাথে বাড়তে থাকে মেলার পাঠক। 

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ শুরু হয় মুষল ধারায় বৃষ্টি 

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ শুরু হয় মুষল ধারায় বৃষ্টি। চারিদিকে ছোটাছুটি করে স্টলের কোনায় আশ্রয় নেয় অনেকে। অনেকেই অসহায় হয়ে ভিজেন বৃষ্টিতে। কেউ কেউ আবার বেশ আনন্দের সাথে বৃষ্টির পানি গায়ে মেখে ঘুরতে থাকেন মেলা প্রাঙ্গন।

তবে হতাশা নামে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে। বৃষ্টির কারণে মেলা পাঠক শূন্য হওয়ার আশঙ্কা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু বৃষ্টি কমতেই আবারও প্রাণ ফিরে পায় বইমেলা। বৃষ্টির আবেশ উপেক্ষা করে আবারও পাঠকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মেলা। এতে আশঙ্কা থেকে বেরিয়ে খুশি প্রকাশক ও বিক্রেতারা। 

বৃষ্টিতে হতাশা নামে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোয় 

আইডিয়া প্রকাশনীর প্রকাশক শাকিল মাসুদ বলেন, বৃষ্টির কারণে কিছুটা আশঙ্কা ছিল যে আজ বিক্রি হবে না। তবে বৃষ্টি তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ায় আবারও কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তুলনামূলক কয়েক দিনের থেকে কম বিক্রি হলেও মেলা অল্প সময়ে শেষ হয়নি এটাই বড় বিষয়।

বীকন পাবলিকেশনের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ বলেন, আসলে বৃষ্টি হঠাৎ আসায় আমরা আজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। অনেকটা বিক্রি কমে গেল। দেখা যাক কী হয়। 

 বৃষ্টির কারণে মেলা পাঠক শূন্য হওয়ার আশঙ্কা ছিল অনেক বেশি

এদিকে বৃষ্টির ফলে ঠান্ডা পরিবেশে বই মেলা বেশ উপভোগ করছেন পাঠকরা। তুলনামূলক ভিড় কম থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারছেন বলে জানান অনেকে।

বাংলা অ্যাকাডেমির সদস্য সচিব এ কে এম জাহিদুল ইসলাম জানান, বইমেলার স্টলগুলো প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার বিষয় চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছে। আশাকরি বৃষ্টির জন্য কোনো ব্যাঘাত হবে না।

প্রকাশ্যে অনলাইন জুয়ার ভয়ংকর ফাঁদ, নিষ্ক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পাবনা
ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের সদ্য এসএসসি পেরোনো কিশোর রাসেল মন্ডল। নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন ক্রিকেট পাগল রাসেলকে টার্গেট করে বেটিং সাইটের (অনলাইন জুয়া) এজেন্ট মোহাম্মদ আলী জীবন। টাকা ধার দিয়ে খুলে দেয় বেটিং সাইটের একাউন্ট। গত দুই বছরে কিশোর রাসেলকে প্রলুব্ধ করে কয়েক লাখ টাকা জুয়ায় বিনিয়োগ করিয়েছে জীবন। বাজিতে হেরে রাসেলের মাথায় চেপে বসে প্রায় দুই লাখ টাকার ঋণ। একপর্যায়ে ঋণ শোধ করতে রাসেলকে মায়ের গহনা চুরি করার পরামর্শ দেয় জীবন।

জীবনের পরামর্শে গত মে মাসে সুজানগর বাজারের কর্মকার জুয়েলার্সে গহনা বন্ধক রেখে চড়া সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নেয় রাসেল। তবে জুয়ায় জেতার নেশা আর ঋণের বোঝা কোনোটাই পিছু ছাড়েনি তার। মানসিক চাপ ও অনুশোচনায় সম্প্রতি তার মাকে গহনা চুরির কথা জানায় ভুক্তভোগী কিশোর।

পুরো ঘটনা জানতে পেরে তথ্য প্রমাণসহ এজেন্ট মোহাম্মদ আলী জীবনের বিরুদ্ধে সুজানগর থানায় অভিযোগ করে রাসেলের পরিবার। তবে এতেও খুব একটা লাভ হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, অর্থ লেনদেন ও অপরাধে প্ররোচনার প্রমাণ থাকার পরেও জীবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

রাসেলের মা রোজিনা খাতুন বলেন, ছেলের কাছে সব জানতে পেরে আমি সুজানগর থানায় মোহাম্মদ আলী জীবনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ তদন্তে থানা থেকে এস আই মাহবুবকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি মালিফা ফাঁড়িতে উভয়পক্ষকে ডাকেন। সেখানে জীবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং আমার ছেলেকেই চোর সাব্যস্ত করে ধমক ও চর থাপ্পড় দেন। এ সময় ঘটনা মীমাংসার কথা বললে আমি রাজি হইনি। যারা আমার ছেলেকে বিপথে নিয়েছে, মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছে আমি তার বিচার চাই ।

ভুক্তভোগী কিশোর জানান, জীবনের প্ররোচনায় জুয়ায় জড়িয়ে নিজের ক্ষতির বিষয়টি বুঝতে পেরে এ পথ থেকে সরে আসার চেষ্টা করে সে। বাবা মা তাকে গ্রাম থেকে ঢাকা পাঠিয়ে দিলেও, জীবন তার পিছু ছাড়ে নি। মানসিক চাপ সৃষ্টি করে আবারও খেলতে বাধ্য করে। হেরে যাওয়ার পর টাকার জন্য চাপ দেয়। রাসেল বলেন, ‘আমাকে কিডন্যাপের নাটক সাজিয়ে প্রবাসী বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়, ঢাকার হাসপাতালে কিডনি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করার পরামর্শ দেয় জীবন। একপর্যায়ে তাদের চাপে মায়ের গহনা চুরি করি। আমি এই ফাঁদ থেকে বের হতে চাই ‘

রাসেলের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে সরেজমিনে সুজানগর বাজারের কর্মকার জুয়েলার্সে গিয়ে তার মায়ের গহনার সন্ধান মেলে। দোকান মালিক সজীব কর্মকার বলেন, ‘গত মে মাসে রাসেল ও জীবন সুজানগর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের কৃষ্ণ নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে গহনা বন্ধক রেখে যান। তারা প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা সুদের চুক্তিতে এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। তবে কি কাজে তারা টাকা ঋণ নিয়েছে তা কিছুই আমি জানি না।’

এ বিষয়ে এজেন্ট জীবনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনলাইন জুয়ায় জড়িত নন বলে দাবি করেন। তথ্য প্রমাণ আছে জানালে তিনি দ্রুত সরে পড়েন।

এদিকে রাসেলের জুয়ায় জড়িয়ে পড়ার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য। স্থানীয় সূত্র বলছে, কেবল নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নেই বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ্যে সক্রিয় অন্তত দশজন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট। এদের প্ররোচনায় জুয়ার মরণ ফাঁদে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন অনেকেই।

নাজিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কেরামত আলী ব্যাপারী বলেন, ব্যবসা দেখাশোনার জন্য ছোটভাই রহমতকে দোকানে বসিয়েছিলাম। অনলাইন জুয়া এজেন্টদের খপ্পরে পড়ে সে। গত দুই বছরে দোকানের ক্যাশ নষ্ট করার পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মতো। ঋণ আমার পরিবারের কাঁধে। দিনে দিনে জমি বিক্রি করে তাদের দেনা শোধ করেছি। এখন আমি নিঃস্ব।

একই গ্রামের রবিউল মোল্লা বলেন, আমার বড় ভাই ইসা মোল্লাকে স্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট শীতল অনলাইন জুয়ার ফাঁদে ফেলে। খেলায় হেরে তার আয়ের সম্বল সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করে এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। অথচ এজেন্টরা বহাল তবিয়তে। পুলিশ সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

অন্যদিকে অনলাইন জুয়ার বিষয়ে তেমন অভিযোগ না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে দাবি করছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাসেল মন্ডলের মায়ের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।’

কেবল সুজানগরই নয় পাবনার ১০টি থানার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া। সক্রিয় অন্তত দুই শতাধিক এজেন্ট। বেটিং সাইটের এজেন্টরা প্রবাসী, অবস্থাপন্ন পরিবারের তরুণদের টার্গেট করে জুয়ার ফাঁদে ফেলে যুক্ত করছে নানা অপরাধে। বিদেশে অর্থ পাচার ও সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করার এমন কার্যক্রম প্রকাশ্যে চললেও, তৎপরতা নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য উৎপল মির্জা বলেন, অনলাইন জুয়ায় তরুণ সমাজ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ না থাকার অজুহাতে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয় থাকার কোন সুযোগ আছে বলে আমি মনে করিনা।

পাবনার পুলিশ সুপার আব্দুল আহাদ বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ: নিউমার্কেট থানায় হত্যাসহ ৩ মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ/বার্তা২৪.কম

ছবি: সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সায়েন্সল্যাবরেটরি এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থী এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় হত্যা, ভাঙচুরসহ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম।

তিনি জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এবং ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এসব মামলা নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সায়েন্সল্যাব থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় এরমধ্যে একজন শিক্ষার্থী এবং একজন হকারের মৃত্যুর ঘটনায় আলাদা দুটি হত্যা মামলা এবং সায়েন্সল্যাব মোড়ের পুলিশ বক্স ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি (মোট ৩টি) মামলা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা বারোটার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে আশপাশের অন্তত ৬-১০টি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে দুপুর ২টা নাগাদ এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ব্লকের সভাপতি পদপ্রার্থী দুই নেতা বাকবিতণ্ডায় জড়ালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে পুরো কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ওই এলাকায় দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স, ৩টি বাস ও একটি কভার্ডভ্যান।

এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। এরমধ্যে একজন হলেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগকর্মী সবুজ আলী এবং আরেকজন হলেন নিউমার্কেটের হকার শাহজাহান।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ নিউমার্কেট এলাকায় মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যদের দীর্ঘসময়ের সম্মিলিত চেষ্টায় সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

কুষ্টিয়ার যে গ্রামের নাম এখন 'মসলা গ্রাম'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রণোদনায় দেশে একমাত্র মসলা গ্রাম গড়ে উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড়িয়া গ্রামে। বড়িয়া গ্রামটি এখন সবাই চেনে মসলা গ্রাম হিসেবে।

মডেল মসলা গ্রামে রাস্তার দুইধারে খাঁচা পদ্ধতিতে দারুচিনি, তেজপাতাসহ বিভিন্ন মসলার ৬ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। বাড়ির উঠান, আঙিনা, পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন পতিত জমিতে জিও ব্যাগে চাষ করা হচ্ছে আদা ও হলুদ। এছাড়াও আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম, গোলমরিচ, জিরা, চুইঝালসহ মোট ১৪ পদের মসলা চাষ করছে বড়িয়া গ্রামের কৃষকেরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে মধ্যে একটি গ্রামকেই মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে।

সরকারি প্রণোদনায় মডেল মসলা গ্রামে মসলার আবাদ হচ্ছে। এতে যুক্ত হয়েছে ১০০ কৃষক। কৃষক মহিরুল বলেন, কৃষি অফিসের তদারকিতে রাস্তার দুই ধারে তেজপাতা ও দারুচিনি গাছ লাগানো হয়েছে। আমার বাড়িসহ এই গ্রামের অনেক বাড়ির আশপাশের পড়ে থাকা খালি জমিতে আদা, হলুদসহ বিভিন্ন মসলার চাষ হচ্ছে।


এই মডেল মসলা গ্রামের কৃষক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশের পতিত জমি পরিষ্কার করে জিও ব্যাগে আদা ও হলুদ চাষ করেছি। আমাদের কোন খরচ নেই সব খরচ সরকার দিয়েছে। গ্রামের রাস্তার পাশে মসলার গাছ লাগানো হয়েছে, মসলার ফলন ভালো হলে আমাদের এলাকার চাহিদা মিটবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন প্রধান মসলা (মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও হলুদ) অন্তত ৩৮ গ্রাম খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু দেশে উৎপাদিত ও আমদানি মিলে দৈনিক মাথাপিছু মাত্র ৮ গ্রাম মসলার চাহিদা পূরণ হয়। এ হিসেবে চাহিদা পূরণে বড় ধরনের ঘাটতি থেকে রয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন আগের থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মসলার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গৌতম কুমার শীল বলেন, মডেল মসলা গ্রামের জন্য কুষ্টিয়ায় পাঁচটি স্থান নির্বাচন করার পরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসে বড়িয়া গ্রামকে নির্ধারণ করে। আমরা সেখানে কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার মসলার চারা দিয়েছি। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে মসলার বীজ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মসলা গ্রামে গ্রীন হাউজ স্থাপন করা হবে।

মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, মডেল মসলা গ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার বড়িয়া গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়। এখানে মোট ১৪ ধরনের মসলার জাত চাষ করা হচ্ছে। মডেল গ্রামে বসত বাড়ির আঙিনাসহ রাস্তার দুই ধারে পড়ে থাকা ফাঁকা স্থানে মসলার চাষ হচ্ছে।

গ্রামটিতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা ও হলুদ চাষসহ পরিপূর্ণ একটি মডেল গ্রাম তৈরি করতে পেরেছি। এর সুফল আগামীতে কৃষকেরা পাবেন। মডেল মসলা গ্রামে মসলা চাষের পাশাপাশি মসলার বীজ ও চারা বিক্রি করতে পারবে কৃষকেরা।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনে ওবায়দুল কাদেরের শুভেচ্ছা বার্তা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

ছবি: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়।

শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্র এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়-এর শুভ জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মহাসংগ্রামের মধ্যে সম্ভাবনার সোপানে অগ্নিগর্ভ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন জয়। সকল প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। তবে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকল মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন।

তার লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তারই সুযোগ্য কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রতিনিয়ত বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন।

২০০৭ সালে তিনি ২৫০ তরুণ বিশ্বনেতার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন। সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর কর্মকাণ্ডে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়-এর নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লক্ষ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তরুণ। সজীব ওয়াজেদ জয় এই তারুণ্যের উদ্যমতা ও সৃজনশীলতাকে বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের স্বপ্ন দেখানো ও তা বাস্তবায়নে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে এবং এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ও ইনকিউরেশন সেন্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে। দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ।

দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর। ই-গভার্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৩০০-এর অধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে জনগণ। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

শুভেচ্ছা বার্তায় কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের গর্বিত সদস্য সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের নিকট তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;