সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ১ মাস পর দেহাবশেষ উদ্ধার

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ১ মাস পর ফায়ার কর্মীর দেহাবশেষ উদ্ধার

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ১ মাস পর ফায়ার কর্মীর দেহাবশেষ উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণের এক মাস পর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে ডিপুর ভেতর টিনশেড পরিষ্কারের সময় এই দেহাবশেষ পাওয়া যায়।

এসব তথ্য বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক এইচ. এম দেলোয়ার হোসেন।

তবে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া ওই দেহাবশেষ ঠিক কত জানের তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।

তিনি বলেন, হাসপাতালে শুধু দেহের কিছু অংশ বিশেষ আসছে। এগুলো কয়েকটা টুকরো। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এখানে ঠিক কতজনের দেহাবশেষ তা বলা যাচ্ছে না। দেহাবশেষগুলো আগের মরদেহগুলোর সাথে ফ্রিজারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

গত ৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন সদস্য ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন দুই শতাধিকের বেশি মানুষ।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের সংদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভায় স্বাগত বক্তব্যে এই স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা হচ্ছে। সেখানে সভাপতিত্ব করছেন শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালায় বাংলাদেশে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জাতীয়ভাবে দেশে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে।

স্বাধীনের পর থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘরসহ নানা সংগঠনের প্রচেষ্টায় গত কয়েক দশকে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষও গণহত্যায় শহিদদের স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।

ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা হলেও জাতিসংঘে বা আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক কোনো দলিলে এর স্বীকৃতি এখনো নেই। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে আর তার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হয়নি।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে নিখোঁজের দুইদিন পরে প্রাডো গাড়িসহ সম্রাট হোসেন (২৮) নামে এক চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালের দিকে কুমারখালী উপজেলা পাবনার পদ্মার চর সাদিপুর এলাকা থেকে গাড়ির ভেতরে থাকা ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত চালক সম্রাট হোসেন পাবনা জেলার ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মহিলা কলেজের পিছনে আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। সে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়িচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত সম্রাট হোসেন দুইদিন নিখোঁজ হয়। আজ সকালের দিকে কুমারখালী চর সাদিপুর এলাকায় দুইদিন ধরে একটি গাড়ি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বস্তাবন্দি অবস্থায় গাড়ির ভিতর একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন হোসেন জানান সম্রাট হোসেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের গাড়ি চালক ছিলেন। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায় নি। তবে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর সব জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;

‘বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গৌরবোজ্জল ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে আমি দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার (২৫ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

বাণীতে বলেন, কৃতজ্ঞচিত্তে সেই দেশের অবদান স্বীকার করছি, যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সহায়তা জুগিয়েছে।

মহান স্বাধীনতা দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি ৩০ লাখ বীর শহীদদের। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করে যারা আমাদের লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছেন। সশ্রদ্ধ সালাম সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছেন আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য।

পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের আধুনিকায়নে যার অপরিসীম অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলাদেশিদের জীবনে এক অবিনশ্বর চেতনা। মহান স্বাধীনতা জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সামনে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। প্রতিটি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে একাত্তরের গৌরবোজ্জল উত্তাল দিনগুলো আজীবন পথ দেখাবে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ^বাসীর সামনে সাহস আর বিজয়ের প্রতিক হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ আজীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এই শুভক্ষণে আগামী প্রজন্মের সুখময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ক্ষুধা, দারিদ্র এবং দুর্নীতিমুক্ত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। সবার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল, সমৃদ্ধি এবং সুস্থতা কামনা করছি।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;

নান্দাইলে ভাগ্নে ভাগ্নির হাতে মামা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাগ্নে ভাগ্নির হাতে খুন হয়েছেন মাজিম উদ্দিন (৭০) নামের এক বৃদ্ধ।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে নান্দাইলের উত্তর জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে মাজিম উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করেন হালিমা ও তার ভাইয়েরা। পরে সন্ধ্যা ৭টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাজিম উদ্দিনের। এ ঘটনার পর থেকে ভাগ্নি হালিমা খাতুন ও তার ভাইয়েরা পলাতক রয়েছে।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাজিম উদ্দিনের সঙ্গে ভাগ্নি হালিমা, নাছিমা ও ভাগ্নে আব্দুর রাশিদ, কাদির, আলামিন, হালিমদের দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হালিমা তার হাতে থাকা কাঠের লম্বা টুকরা দিয়ে মামা মাজিম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে নাছিমা, আব্দুর রাশিদ, কাদির, আলামিন, হালিম তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে মাজিম উদ্দিনের স্বজনরা তাকে উদ্ধারে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত্যু হয় তার।

ওসি আরও বলেন, অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পালিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;