জিআরপি থানায় ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে রাতভর আটকে রেখে পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান জানান, খুলনা জিআরপি থানায় এক নারীকে রাতভর আটকে রেখে পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই ধর্ষণ মামলায় পিবিআই আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেছে। তবে ওই নারীকে থানায় রেখে মারপিট করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের অভিযোগকারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। এরপর ওই নারীকে ডিএনএ টেস্টের পরামর্শ দিলেও তিনি এই টেস্ট করাতে রাজি হননি।

ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট বেনাপোল থেকে খুলনাগামী ট্রেনে আসার সময় ফুলতলা থেকে এক নারীকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে খুলনা জিআরপি থানা পুলিশ। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে রাতে থানা হাজতে রাখা হয়। ওই রাতে খুলনা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে বলে ৩ আগস্ট আসামি নিজে আদালতে দাঁড়িয়ে বিচারকের সামনে অভিযোগ করেন। এরপর আসামি নিজেই বাদী হয়ে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলা রুজু হয়। এরপর তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেল) ফিরোজ আহমেদ তদন্তকালে ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আসামি বাদী হয়ে উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যা রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় এবং পিবিআই খুলনাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ আবু বকর মামলাটি তদন্তকালে ১ নম্বর আসামি রেলওয়ে থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদীকে ধর্ষণ ও যৌন পীড়নের অভিযোগের সত্যতা পাননি।

এ বিষয়ে রেলওয়ে থানার চূড়ান্ত রিপোর্ট (নম্বর-০১, তারিখ-০২/০২/২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/১০/৩০) আদালতে দাখিল করেন। তবে তদন্তে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠান কর্তৃক বাদীকে মারপিট করার সত্যতা পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ওই নারীর নামে আগে আরো খুলনা দৌলতপুর ও যশোর কোতোয়ালি থানায় মোবাইল চুরির অভিযোগে মামলা রয়েছে। এছাড়া তার মা বাদী হয়ে ২০১১ সালে আসামিকে অপহরণের অভিযোগ করে ঢাকার পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই ঘটনার তদন্তেও ঘটনাটি সাজানো নাটক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে ওই নারী অভিযোগ করেন, জিআরপি থানায় তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ২ আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা জিআরপি থানায় ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান, এসআই গৌতম কুমার পাল, এসআই নাজমুল হাসান, কনস্টেবল মিজান, হারুন, মফিজ, আব্দুল কুদ্দুস, আলাউদ্দিন, কাজল, দুই নারী কনস্টেবলসহ বেশ কয়েকজন। ওই রাতে তাকে ওসি উছমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর থানা হাজতে রেখেই ওসি আগে তাকে ধর্ষণ করে। পরে পুলিশের অন্য চার সদস্য তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

   

২২ মাসে টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২২ মাসে টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু

২২ মাসে টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু

  • Font increase
  • Font Decrease

দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে পদ্মা সেতু। এই অর্থ অর্জিত হয়েছে সেতু চালু হওয়ার ২২ মাসের মধ্যেই।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম ওই সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১ টা ৫৯ পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে গত ২২ মাসে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতুটি। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।

;

পরকীয়া সন্দেহে ক্রাইম পেট্রোল দেখে স্ত্রীকে হত্যা, গ্রেফতার স্বামী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে পোশাক শ্রমিক স্ত্রী আনজুর সাথে বিবাদ চলছিল স্বামী ফিরোজের। পরে ক্রাইম পেট্রোল দেখে পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে আশুলিয়ার একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে হত্যা করেন ফিরোজ। হত্যার পর চোখ উপরে সেই বাঁশ বাগানেই মরদেহ ফেলে যান তিনি। হত্যাকাণ্ডকে ক্লুলেস রাখতে বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় গ্রেফতার হন স্বামী ফিরোজ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সব স্বীকার করেন তিনি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী। এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে র‍্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মো. ফিরোজ ওরফে লাল মিয়া (৪৫) মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার রৌহা গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রী আনজুকে (৩২) নিয়ে আশুলিয়ার পার্শ্ববর্তী গাজীপুরের কাশিমপুর বাগবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। নিহত আনজু খাতুন গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইউনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ এপ্রিল সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার একটি বাঁশ বাগান থেকে আনজু খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কাছে থাকা কর্মস্থলের আইডি কার্ড থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে তদন্তে নামে থানা পুলিশ ও ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাব-৪। তদন্তের এক পর্যায়ে ঘটনার সাথে স্বামীর যোগসূত্র খুঁজে পেয়ে স্বামীকে আটক করলে সব স্বীকার করে স্বামী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ফিরোজ জানিয়েছেন, একাধিক ব্যক্তির সাথে আনজু খাতুনের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ফিরোজ। আনজুর সাথে আনজুরই এক পুরোনো সিম দিয়ে কথা বলে তাকে কারখানা থেকে বের করেন ফিরোজ। এছাড়া নিজেকে আড়ালে রাখতে নিজের মোবাইল ও সিম মানিকগঞ্জে চালু করে রেখে এসেছিলেন ফিরোজ। কারখানা ছুটির পর কবিরাজ দেখানোর কথা বলে স্ত্রীকে কৌশলে বাঁশ বাগানে নিয়ে স্লাই রেঞ্চ দিয়ে আঘাত করেন তিনি। পরে আনজুর মুখ মন্ডল থেতলে দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে পালিয়ে যান ফিরোজ। স্লাই রেঞ্চ ও রক্ত মাখা কাপড় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার একটি ডাস্টবিনে ফেলে মানিকগঞ্জে চলে যান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে ২৭ এপ্রিল আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই র‍্যাবের সহযোগিতায় আমরা আসামিকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

;

বাহারি খাবারে জমজমাট দিয়াবাড়ি বউবাজার ফুডকোর্ট



গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
বাহারি খাবারে জমজমাট দিয়াবাড়ি বউবাজার ফুডকোর্ট

বাহারি খাবারে জমজমাট দিয়াবাড়ি বউবাজার ফুডকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনের পাশে বউবাজার ফুডকোর্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভোজনরসিকদের কাছে। বছর খানেক ধরে এখানে গড়ে ওঠেছে শত শত রেস্টুরেন্ট আর ফাস্টফুডের দোকান।

ছোট ছোট এ খাবার দোকানগুলো হয়ে ওঠেছে সন্ধ্যাকালীন খাবার ও আড্ডার কেন্দ্রস্থল। সী ফুড, ফাস্ট ফুড, বাঙালিয়ানা খাবার, ইন্ডিয়ান খাবার, মিনি চাইনিজ, ইটালিয়ান খাবার সবই পাওয়া যায় এখানে। হাঁসের মাংস, কলাই রুটি, চাপটি রুটি, চালের আটার রুটি, ময়দার রুটি, শাহি পরোটা, মাছ-মাংসের বারবিকিউসহ বিভিন্ন আইটেম। ফুচকা, চটপটি, মোমো ভাজাপোড়া খেতে খাদ্যরসিকরা যাচ্ছেন কেউবা পরিবার, কেউবা বন্ধুবান্ধব, প্রিয়জন নিয়ে।

ছোট ছোট এ দোকানগুলো সন্ধ্যায় হয়ে ওঠে জমজমাট। উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশন থেকে নেমে বাম দিকের রাস্তায় ৪/৫ মিনিট হাঁটলে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে শত শত ফাস্টফুডের দোকান। মেট্রোরেলের  সুবিধার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে আসছেন মানুষ। সামুদ্রিক বিভিন্ন খাবার থেকে শুরু করে স্ট্রিটফুড সবই আছে এখানে। খোলা আকাশের নিচে ছোট ছোট চেয়ার টেবিলে ছিমছাম পরিবেশে প্রায় ১৫০টি দোকানের  বিভিন্ন মুখরোচক খাবার উপভোগ করছেন ভোজনরসিকরা।


ফুড কোর্টের প্রধান আকর্ষণ হাঁসের মাংস, রুটি। কাজল আপার পিঠা ঘরে পোড়া-পোড়া করে হাঁসের মাংসের কালাভুনা আর চাপটি রুটি বানাচ্ছেন কাজল ও তার সহকারীরা। দোকানের সামনে ক্রেতারা ভিড় করছেন। গরম গরম চাপটি রুটি, চালের আটার রুটি সাথে হাঁসের মাংস যেন অনবদ্য জুটি। তৃপ্তি করে খাচ্ছেন সবাই। দেশি হাঁস ও চিনা হাঁস পাওয়া যায় এখানে। চিনা হাঁসের দাম ২০০ টাকা, আর দেশি হাঁসের দাম ২৫০  টাকা সাথে চাপটি রুটি পার-পিস ২০ টাকা, চালের আটার রুটি ১০ টাকা। কাজল বলেন "আমার এখানে কখনো হাত খালি যায় না। খাবারের মান ভালো, টাটকা বানিয়ে দিই চোখের সামনে। ভালো বেচাকেনা হয় আলহামদুলিল্লাহ; বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত লাইন থাকে মানুষের।"

সরেজমিনে দেখা যায়, হাঁসের মাংসের সাথে রুটি দিয়ে উপভোগ করছেন একটি পরিবার। কথা হলে জানা যায়, উত্তরা দিয়াবাড়িতে থাকেন তারা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ছুটির দিন সন্ধ্যায় সবাই মিলে এসেছেন খাবার খেতে। পরিবারটির সদস্য ব্যাংক কর্মকর্তা অরুণ রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, "সন্ধ্যা হলে মনে হয় এখানে কোন মেলা বসেছে। খাবার-দাবার, নাগরদোলা, গানবাজনা চারদিকে সবকিছু মিলিয়ে মনে  হয় কোন মেলা, উৎসব চলছে। ছুটির দিন বিকাল থেকে বাচ্চারাও বায়না শুরু করে  আসার জন্য। এখানে ওদের খেলার জায়গা আছে, রিফ্রেশ লাগে তাই আসি।"


বউবাজারের এই ফুডকোর্টে বিকেল নামার পরেই বাহারি খাবার, আর খাবারের সুগন্ধ, আকৃষ্ট করে মানুষকে। বিকেল থেকে দোকানপাট খুললেও সরগরম হয় মূলত সন্ধ্যা থেকে।

অনেকের পছন্দের খাবার সী ফুড। দিয়াবাড়ির বউবাজারের সী ফুড খুবই জনপ্রিয়। কাঁকড়া, অক্টোপাস, স্কুইড, লবস্টার, সামুদ্রিক মাছ কোরাল, লাল কোরাল চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছের আইটেমের দেখা মেলে এখানে। সামুদ্রিক গোটা এক একটা মাছ বারবিকিউ করে খাচ্ছেন অনেকে। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০-৩০০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে সী ফুড আইটেমগুলো। কাঁকড়া ২০০-২৫০ টাকা, স্কুইড ৪০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তানভীর এসেছেন তার বন্ধুদের সাথে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি এখানে এরকম ফুডকোর্ট আছে। আমরা আবার ভালো খাবার ট্রাই করতে বিভিন্ন জায়গায় যাই। মেট্রো দিয়ে মিরপুর ১০ থেকে এসেছি। খাবার ভালোই সামনেই বানিয়ে দেয়।"


ফুডকোর্টে ৫ মাস ধরে দোকান চালান মিজানুর রহমান। তার দোকানে গরু মাংসের কালাভুনা ২৫০, হাঁস ২৫০, চালের আটার রুটি ১০ এবং শাহি পরোটা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিজান বলেন, "শুক্র শনিবারসহ ছুটি ও উৎসবের দিনগুলোতে বেশি বিক্রি হয়। মাসে ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা বিক্রি হয়। শীতকালে লোক আসে বেশি।"

মিরপুর ১২ থেকে দুই বন্ধু সাদিকুল আর ইমন এসেছেন। তারা বলেন, "আমরা বাইক নিয়া  প্রায় আইসা পড়ি। গরমে এখানকার শরবতগুলো ভালো লাগে।  এছাড়া চটপটি, ফুচকা আর টাটকা চোখের সামনে যে খাবার বানায় সেগুলো খাই।"

উত্তরা দিয়াবাড়ির এ বাজারে ভোজনরসিকদের পছন্দের তালিকায় আরও রয়েছে মাংসের চাপ লুচি। চাপ ১৫০ টাকা করে আর ১০ টাকা করে লুচি, চিকেন মোমো, ভেজ মোমো বিক্রি হচ্ছে ৭০-১৫০ টাকায়, দোসা, ছোলাবাঁটুরে ৮০-১২০ টাকায়। এছাড়া ফুচকা, চটপটি ৩০- ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মশলা পান, আগুন পান, বিক্রি হচ্ছে ১০-৫০ টাকায়।

মাটির পাত্র পুড়িয়ে তন্দুরি চা, মালাই চা, গরুর দুধের চা, তেঁতুল চা খেতে ও সান্ধ্যকালীন আড্ডা দিতে  'বরিশাল চায়ের আড্ডা ঘর' দোকানে বসেছে চা আড্ডা আর গানের আসর। বন্ধুরা মিলে ম্যান্ডলিন,  গিটার বাজিয়ে গান করছে, সাথে চা খাচ্ছে।

;

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন কারো নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হোক: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষার জন্য যে আইন করা হচ্ছে, তা যেন অন্য কারো নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয় সেবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত আইন ২০২৪ এর খসড়া উপস্থাপনকালে এই আহ্বান জানান তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনে মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য হয়নি। সরকার বলছে তারা আইনের কাজ করছে, কিন্তু তা নয়। ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষার আইন যেন কারো তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়। সেদিকে নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে কমিশন গঠন করে সরকারি কার্যক্রম পর্যালোচনা করার জন্য স্বাধীন কমিশন দরকার। সরকারের ব্যক্তিগত তথ্য নিতে কিছু ক্ষেত্রে এক্সেস থাকবে, তবে তা জুডিশিয়ারি বা আইনগত মাধ্যমে। এছাড়া আইনের জন্য স্পষ্টভাবে ব্যক্তি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে।

সম্মেলনে আর্টিকেল নাইনটিন এর আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর ই আলম বলেন, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে এই আইন প্রয়োজন। তবে ডাটা স্থানীয় করণের বিধিবিধান বাদ দিতে হবে। সেটি বাইরে হওয়া উত্তম তাতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভালো দিকের তুলনায় খারাপ দিকে যাচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে চলে গেছে। এ ক্ষেত্রে স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে।

;