দুর্গাপূজা শুরু: মর্ত্যলোকে পদার্পণ দশভূজা দেবী দুর্গার



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরৎ এলেই স্থান ভেদে দুর্গাপূজার আমেজ শুরু হয়। বাঁশ-খড় থেকে শুরু করে কালো ও সাদা এঁটেল মাটি সংগ্রহ করে পালেরা যখন মূর্তি বানানোর কাজে হাত দেয়, তখন থেকেই শুরু হয় প্রতীক্ষার প্রহর। এর পরে মাটি লাগিয়ে মূর্তি শুকানো, তাতে রঙের প্রলেপের পর শাড়ি ও গহনা পড়ানো, একই সঙ্গে মণ্ডপ সাজানো পর্যন্ত এই উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে।

অপেক্ষা শুরু হয় দশভূজা দেবী দুর্গা কবে শ্বশুর বাড়ি কৈলাস থেকে বাবার বাড়ি মর্ত্যের উদ্দেশে বের হবেন। ১৫দিন পিতৃপক্ষের গণনা শেষে আসে কন্যা বা দেবী পক্ষের দিন। প্রত্যেকবার আলাদা আলাদা বাহনে করে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসেন মা দুর্গা। এবার দুর্গা দেবী মর্ত্যে এসেছেন ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে।

দেবীর যাত্রার দিনে অর্থাৎ মহালয়ায় তর্পণের মাধ্যমে প্রয়াত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের উদ্দেশে তিল ও জল সহযোগে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে। এরপর দুর্গতনাশিনী দেবী দুর্গার মর্ত্যে পা দেওয়ার অপেক্ষা।

মহালয়ার দিন রওনা করে পাঁচদিন সময় লাগিয়ে মর্ত্যে আসেন মা দুর্গা। মাঝখানের এই দিনগুলোতে নানা ধর্মীয় আচার ও রীতি পালনের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবীকে বরণ করতে শুরু করে পূজার প্রস্তুতি।

মহাপঞ্চমীতে প্রতিমা শিল্পীরা সকল কাজ শেষ করে প্রতিমা বসান মণ্ডপে। কাঠির বাড়ি পড়ে ঢাকে। চির চেনা সেই ঢাকের আওয়াজে উদ্বেলিত হয় মন। মূলত এটি দুর্গাপূজার প্রথম দিন। এই দিনটি থেকেই শারদ উৎসবের শুরু। পঞ্চমীর দিনে বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটির গায়ে নতুন জামা পরানো শুরু হয়। শেষ করা হয় বোধন পর্বের।

পঞ্জিকার সূচি অনুযায়ী, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে শুরু হবে ষষ্ঠীর লগ্ন। লগ্ন স্থায়ী হবে শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ এবং দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস শেষে মাতৃরূপে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঠাঁই করে নেবেন বিশ্বব্যাপী মঙ্গল ধ্বনি দিয়ে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসা মা দুর্গা। ষষ্ঠীর সকালে ষষ্ঠীর ঘট, চণ্ডীর ঘট বসবে এবং অনুষ্ঠিত হবে পূজা। সন্ধ্যায় হবে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। আর এই ষষ্ঠীর পূজার মধ্য দিয়েই দুর্গা দেবীর মর্ত্যে আগমন ঘটবে।

মহাঅষ্ঠমীর দিন, বেশিরভাগ বাড়িতেই নিরামিষ রান্না করা হয়। এই দিনটিকে পূজার দিনগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ দিন বলে মনে করা হয়। অষ্টমীতে দশভূজা দেবী তার দুই রূপে পূজা নেন। কুমারী পূজা ও সন্ধিপূজা হয় অষ্টমীতে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন সন্ধিপূজায় মা স্বয়ং আসেন মূর্তির মধ্যে। সেই সময় মা কে সাক্ষী রেখে তাঁর সামনে আঁখ, কলা, চালকুমড়া বলি দেওয়া হয়। এই বছর অষ্টমীর দিন পড়েছে আগামী ৬ অক্টোবর। পূজা-অর্চনা শেষে মায়ের ভক্তরা দূর দুরান্তের প্রতিমা দর্শন ও প্রসাদ নেন এদিনে।

বছর জুড়ে অপেক্ষা করলেও দুর্গা মা যে আসেন অল্প সময়ের জন্যই। তাই তাকে বরণ ও আরাধ্যে যে সময় ব্যয় করা হয় তার তুলনায় খুব অল্প সময়ই তিনি মর্ত্যে থাকেন। তাই, অষ্টমী শেষে মহানবমীর দিনেই বাজে বিদায়ের সুর।

নবমীর দিনই দুর্গাপূজার শেষ দিন। পূজার শেষ দিন হিসেবে সবাই আনন্দে মেতে উঠলেও মনের কোথাও যেন একটা মনখারাপ থেকেই যায়। ঢাক, কার শব্দ ও ধুপ-ধুনোর গন্ধটা ভেদ করে মনে কোনে বেজে ওঠে বিদায়ের সুর। কারণ, পরের দিনই মা দশভুজা দেবীকে বিদায় জানিয়ে দিতে হবে। তবে বিদায় লগ্নে মহানবমীর দিনে মা দুর্গার উদ্দেশে একটি বিশেষ আরতি রাখা হয়। যেখানে সনাতমধর্মী নানা বয়সের নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ বিশেষ কায়দায় নৃত্য পরিবেশন করে দুর্গা দেবীকে খুশি করার চেষ্টা করেন। আরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় মহানবমী।

বিজয়া দশমী, দুর্গতিনাশিনী দেবীর বিদায়ের পালা। দেবী তাঁর বাপের বাড়ি থেকে আবার শ্বশুর বাড়ি কৈলাস ের উদ্দেশে রওনা দেন। মাকে হাসি মুখে বিদায় দিতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে হিন্দু ধর্মাম্বলীরা। পূজার মণ্ডপ নির্দিষ্ট কয়েকাবার চক্রাকারে ঘুরে বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় দেওয়া হয় দুর্গা দেবীকে। তার আগে মা দুর্গাকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। ভাসানোর পরেই এক বছরের জন্য শুরু হয় দুর্গতিনাশিনী, দশভূজা দেবীর অপেক্ষার প্রহর।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এবার সারাদেশে ৩১ হাজার ১০০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীতে ২৩৭টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা, যা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি।

   

কাচালং নদীতে নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে ৮ বছর বয়সী জয়ন্তী চাকমা কৃষ্ণা নামের এক শিক্ষার্থীর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের গঙ্গারাম এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। 

শনিবার (২৮ এপ্রিল) ‍বেলা দুইটার সময় নদীতে মায়ের সাথে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায় কৃষ্ণা। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোনো খোঁজ পায়নি কৃষ্ণার পরিবার। পরবর্তীতে ১৬ ঘণ্টা পর ভাসমান অবস্থায় কৃষ্ণার নিথর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুর ২ ঘটিকায় মায়ের সঙ্গে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে  কৃষ্ণা তলিয়ে যায়। নিখোঁজ এর সংবাদ পেয়ে  স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুজি করলেও তার সন্ধান মেলেনি। পরে রোববার ভোরে তার মরদেহটি নদীর ঘাটে ভেসে উঠলে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। মৃত জয়ন্তী চাকমা কৃষ্ণা সাজেক গঙ্গারাম এলাকার মিসন চাকমার মেয়ে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার শিশু জয়ন্তীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে কৃষ্ণা চাকমার মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবারসহ স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

;

ঢাকার বায়ু আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের ১০০টি দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ১৪৮। বায়ুর এই মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছে বয়স্ক মানুষ, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারী। 

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

আজ সকাল ৯টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ১৭৭।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে চীনের চেংদু ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। চেংদুর স্কোর ১৬৯। চিয়াং মাইয়ের ১৬৮।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

;

নওগাঁয় ঝরে যাচ্ছে আম, চিন্তায় চাষিরা 



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই সপ্তাহের টানা তাপপ্রবাহের কারণে যেমন জনজীবন অতিষ্ঠ; তেমনই ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। ফলে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে আম চাষিদের কপালে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় এবছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে; যা গতবছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরজেমিনে রোববার ( ২৮ এপ্রিল) বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছ। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত আমের দেখা। গাছে গাছে আমের গুটির খরা। রোদের তীব্রতায় গাছের নিচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতি আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছর আম বাগানে মুকুল এসেছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এরপর চলতি মাসে প্রায় ১৫ দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে গুটি। এতে পানি সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছে না। ফলে এদিকে আম চাষে যেমন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।

সাপাহার উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের আমচাষি রউফ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম ছিল মুকুল। যে মুকুল এসেছিলো সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচর্যা করা হয়। মুকুল বের হওয়া শেষ হলে আমের গুটি আসে। কিন্তু গুটি আসার পর অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে গাছে আম টেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

একই এলাকার আরেক আমচাষি আসিফ বলেন, বাগানের আম রক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। পানি, ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচণ্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হবে। সব মিলিয়ে আম চাষিরা এবছর বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে

বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, সাপাহার উপজেলা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকায়। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোন বৃষ্টি নেই। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে।

যেসব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সেসব বাগানগুলোতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেসব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। তাই আমাদের সরকারের কাছে দাবি বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোন আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়র পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

;

কুমিল্লায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন হাজারো মুসল্লি। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় উপজেলার সুয়াগঞ্জ টি.এ. হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে মুসল্লিরা দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। ভারী বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।

হানজালা কাসেমী ফাউন্ডেশন এই ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেন। নামাজের ইমামতি করেন জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া বট্টগ্রাম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এমদাদুদ হক। পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা কওমী মাদ্রাসা সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হক। এতে আশপাশের এলাকার প্রায় ১ হাজার স্থানীয় মুসল্লি অংশ নেন।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো কুমিল্লা অঞ্চল। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একই মাত্রায় তাপ নামছে। এরই মাঝে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় বেশ ক'জন হিট স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার খবর রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগী।

;