কাচালং নদীতে নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে ৮ বছর বয়সী জয়ন্তী চাকমা কৃষ্ণা নামের এক শিক্ষার্থীর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের গঙ্গারাম এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। 

শনিবার (২৮ এপ্রিল) ‍বেলা দুইটার সময় নদীতে মায়ের সাথে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায় কৃষ্ণা। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোনো খোঁজ পায়নি কৃষ্ণার পরিবার। পরবর্তীতে ১৬ ঘণ্টা পর ভাসমান অবস্থায় কৃষ্ণার নিথর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুর ২ ঘটিকায় মায়ের সঙ্গে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে  কৃষ্ণা তলিয়ে যায়। নিখোঁজ এর সংবাদ পেয়ে  স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুজি করলেও তার সন্ধান মেলেনি। পরে রোববার ভোরে তার মরদেহটি নদীর ঘাটে ভেসে উঠলে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। মৃত জয়ন্তী চাকমা কৃষ্ণা সাজেক গঙ্গারাম এলাকার মিসন চাকমার মেয়ে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার শিশু জয়ন্তীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে কৃষ্ণা চাকমার মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবারসহ স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

   

পল্টনে ককটেল বিস্ফোরণে পথশিশু আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পথশিশু আহত হয়েছে। আহত ওই শিশুর নাম সানি (১৬)। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

শনিবার (১১ মে) বেলা পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টন হোটেল মিডওয়ের পেছনে এই ঘটনা ঘটে।

আহত সানি জানায়, তার বাবার নাম টিটু মিয়া। সে কাকরাইল এলাকায় থাকে। বিভিন্ন ভাঙ্গারি জিনিসপত্র কুড়িয়ে বিক্রি করে।

শনিবার দুপুরে ভাঙ্গারি কুড়ানোর সময় সে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পায়। সেটিতে ককটেল ছিল। হাত দিয়ে ধরে সেটি নাড়াচাড়া করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার দুই হাত ও দুই পায়ে আঘাত লাগে।

আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

পল্টন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সেন্টু মিয়া জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগের ভেতরে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে সানি নামে ওই পথশিশু আহত হয়েছে। ঘটনাটি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

;

জলাতঙ্ক নির্মূলে চসিকের কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জলাতঙ্ক নির্মূলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অধীনে ৪১টি ওয়ার্ডে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কর্মসূচি শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।

টিকাদান কর্মসূচির প্রতিটি টিমে কাজ করেছেন দুইজন কুকুর ধরার লোক, একজন টিকাদান কর্মী, একজন তথ্য সংগ্রাহক ও একজন স্থানীয় দিকনির্দেশক।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে ৪৬টি টিম পর্যবেক্ষণ করেন এমডিভি সুপারভাইজার, ওয়ার্ড সচিব ও এমডিভি এক্সপার্ট।

টিকা দেওয়া কুকুরকে লাল বা গোলাপি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি কুকুরের রেকর্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকা বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। যেসব কুকুর এখনো টিকার আওতায় আসেনি, সেগুলোকে পরবর্তীতে টিকার আওতায় আনা হবে।

চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে দেখি কুকুর খুব আগ্রাসী থাকে এবং দলবদ্ধভাবে প্রায়শ পথচারীদের ধাওয়া করে। এজন্য জলাতঙ্ক নির্মূলে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন। আশা করি, এমডিভি কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে জলাতঙ্ক রোগ শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পথের পাশের বেওয়ারিশ কুকুর আঁচড় কিংবা কামড় দিলে র‌্যাবিস ভাইরাস সংক্রমণে মস্তিষ্কে প্রদাহ হয়। একে বলা হয় ‘এনকেফালাইটিস’, যা আমাদের কাছে জলাতঙ্ক রোগ হিসেবে পরিচিত। এতে মৃত্যুহার প্রায় একশ ভাগ।

প্রাণীটি কামড় দেওয়ার পর পাঁচদিন থেকে শুরু করে কয়েক বছরের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসের ভেতরেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। আক্রান্ত স্থানে ব্যথা, চুলকানি, ঝিন ঝিন ভাব, অনুভূতি কমে যায়। এরপর অনুভব হয় শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর, বমি। লালা ঝরতে থাকে। বাতাস হলে ও পানি দেখলে ভয় লাগে। চোখে আলো পড়লে অস্বস্তি লাগে।

মাংসপেশিতে টিকা নিলে সাতদিন পর দুটি নিতে হবে। চামড়ার নিচে নিলে দুই পাশে দুই ডোজ। সাতদিন পর দ্বিতীয় ডোজ। সামান্য আঁচড় কাটলে এবং রক্তক্ষরণ না হলে ক্ষতস্থানের চিকিৎসা এবং যত দ্রুত সম্ভব অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন এক ডোজ নিতে হবে। একাধিক কামড় বা আঁচড় এবং কামড়ের অবস্থান যদি মুখে, ঘাড়ে, মাথায়, হাতে হয় এবং প্রাণীটি যদি জলাতঙ্ক আক্রান্ত থাকে অথবা জলাতঙ্ক আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহ করা হয়, তাহলে অবশ্যই অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ইমিউনোগ্লোবিলিন টিকাও নিতে হবে।

জলাতঙ্কের প্রধান বাহক পথকুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিতে ২০২১ সালের জুন মাসে একটি প্রকল্পের অধীনে কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)। কুকুরকে হত্যা না করে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ এবং রোগমুক্ত করাই ছিল এ প্রকল্পের লক্ষ্য। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হলেই এসব কুকুরকে ছেড়ে দেওয়া হতো।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিজিওলজি ও প্রাণিকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রাশেদুল আলমের নেতৃত্বে সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুলি দেসহ শল্যচিকিৎসকরা ‘নিউটার (বন্ধ্যাকরণ)’, ‘ভ্যাকসিন (জলাতঙ্ক টিকা)’ প্রদানের কাজও করেছেন।

 

;

টাকা দিয়ে কেনা সনদের তালিকা পেয়েছি: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)’র অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা বছরের পর বছর টাকার বিনিময়ে সনদ ও মার্কশীট বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা এসব সনদগুলো কিভাবে শনাক্ত করা যায় সেই তথ্য শামসুজ্জামান আমাদের দিয়েছেন। আমরা সেই তথ্য বোর্ডের কাছে দিবো তারা সেগুলো বাতিলের ব্যবস্থা নেবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান পাঁচ হাজার মানুষকে জাল সনদ দিয়েছেন। এমনকি তার সঙ্গে বোর্ডের বহু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও জড়িত রয়েছেন। শামসুজ্জামান রিমান্ডে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা সনদ বাতিলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যার মাধ্যমে সনদ শনাক্ত করে বাতিল করা যাবে। তাই আমরা এই তথ্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবো। পাশাপাশি বুয়েটের এক্সপার্টদের যুক্ত করে এই কাজটি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদিক ও দুদক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে শামসুজ্জামান সনদ বিক্রি করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন গত ১ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। তখন রমজান মাসের শেষের দিকে। শামসুজ্জামান আমাদের কাছে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অনেক সাংবাদিক ফোন দিয়ে ঈদের বোনাস চেয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে খোলামেলাভাবে জানিয়েছে, আমার পদে থাকতে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। সে কারণেই ম্যানেজ করে চলতে হয়েছে। তাকে দ্বিতীয় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে কোন সাংবাদিক কখন, কিভাবে, কত টাকা দিয়েছে। আমাদের ডিবির কর্মকর্তারা যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কোনো সংবাদিক যদি চায় শামসুজ্জামানের মুখোমুখি বসে কথা বলতে চায় আমরা তাকে সেই সুযোগ দিব। আমরা মনে করি আমরা অন্যায়ভাবে কেউ হয়রানির শিকার হোক সেটা আমরা চাই না। পাশাপাশি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা তাদেরকেও বলেছি, দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যে তথ্য দিয়েছে। চাইলে আপনারাও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। যাদের নাম বলেছে সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিবো।

দুদক কর্মকর্তারা শামসুজ্জামানের সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলেন জানতে চাইলে হারুন বলেন, শামসুজ্জামান মনে করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল প্রকৃতির লোক থাকে। পাশাপাশি সাংবাদিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের অনিয়ম তদন্ত করে। তারাও যদি তার পাশে থাকে তাহলে তার যে সনদ বাণিজ্যটা বড় আকারে করতে পারে। সে কারণেই সে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। ফলে শামসুজ্জামানের সহযোগী ফয়সালকে নিয়ে একটি আলাদা বাসায় বসে সনদ তৈরি করত। যার কারণে বিভিন্ন মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর গত ২১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রী জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পরে চেয়ারম্যান আলী আকবরকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;

জিম্মিদশার এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
জিম্মিদশার এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'

জিম্মিদশার এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'

  • Font increase
  • Font Decrease

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির ঠিক এক মাসের মাথায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরে পৌঁছেছে। আগামী সোমবার (১২ মে) বিকেলে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে দুদিন কিছু পণ্য খালাসের পর বাকি পণ্য খালাস করতে জাহাজটি আসবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে।

জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছে জানিয়ে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আশা করছি সোমবার বিকেলেই জাহাজটি ১৩ নাবিক নিয়ে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম আসবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।'

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা।

নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।

২২ এপ্রিল জাহাজটি দুবাই পৌঁছে। এরপর সেখানে পণ্য খালাস শেষে একই দেশের মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে যায় নতুন করে পণ্য নিতে। পরে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে জাহাজটি পরে দেশের পথে রওনা হয়।

;