সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়: ওবায়দুল কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে স্ট্যাবিলিটি থাকে, এবং স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের জন্মদিনে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছেন বলে হত্যা ও গুমের রাজনীতি থেকে দেশ বের হয়ে আসতে পেরেছেন। দেশে গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে  স্থিতিশীলতা থাকে, এবং  স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি তিনি দেশ থেকে নির্মূল করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে। সেই রাজনীতি বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছে। ১৯৭৫ এ যদি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সে দিন ৩২ নম্বরে থাকতেন তাদের বেঁচে থাকার কথা ছিল না।

বিএনপির সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। সেই পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জা পাচ্ছে। শাহবাজ শরীফ বলেন, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত কারণ তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। শাহবাজ শরীফ যা দেখেন তারা (বিএনপি) তাও দেখেন না। 

জাতীয় পার্টি বিদেশি চাপ ও দল ভাঙ্গার হুমকির মুখে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিন বিদেশী শক্তির কথা বলছেন তিনি, সেই চাপটা তিনি অনুভব করছেন কি না জানি না। কারণ তাদের জন্ম তো বন্ধুকের নলে। তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় আসেনি। বাংলাদেশে ৪২ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছে। খুন-খারাবি কিছু হয়নি। ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন হয়েছে। আমরা এখানে কোনো বিদেশি শক্তির চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে বা কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই বলতে বলুন।’



   

‘কর্মদক্ষ যুবসমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোন বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (১১ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম একথা বলেন।

তিনি বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সহ নানা কর্মসূচি প্রমাণ করে সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।

মার্কেট ইকোনমি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা অপরিহার্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন এক অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসলে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।

;

পল্টনে ককটেল বিস্ফোরণে পথশিশু আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পথশিশু আহত হয়েছে। আহত ওই শিশুর নাম সানি (১৬)। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

শনিবার (১১ মে) বেলা পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টন হোটেল মিডওয়ের পেছনে এই ঘটনা ঘটে।

আহত সানি জানায়, তার বাবার নাম টিটু মিয়া। সে কাকরাইল এলাকায় থাকে। বিভিন্ন ভাঙ্গারি জিনিসপত্র কুড়িয়ে বিক্রি করে।

শনিবার দুপুরে ভাঙ্গারি কুড়ানোর সময় সে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পায়। সেটিতে ককটেল ছিল। হাত দিয়ে ধরে সেটি নাড়াচাড়া করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার দুই হাত ও দুই পায়ে আঘাত লাগে।

আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

পল্টন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সেন্টু মিয়া জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগের ভেতরে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে সানি নামে ওই পথশিশু আহত হয়েছে। ঘটনাটি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

;

জলাতঙ্ক নির্মূলে চসিকের কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জলাতঙ্ক নির্মূলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অধীনে ৪১টি ওয়ার্ডে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কর্মসূচি শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।

টিকাদান কর্মসূচির প্রতিটি টিমে কাজ করেছেন দুইজন কুকুর ধরার লোক, একজন টিকাদান কর্মী, একজন তথ্য সংগ্রাহক ও একজন স্থানীয় দিকনির্দেশক।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে ৪৬টি টিম পর্যবেক্ষণ করেন এমডিভি সুপারভাইজার, ওয়ার্ড সচিব ও এমডিভি এক্সপার্ট।

টিকা দেওয়া কুকুরকে লাল বা গোলাপি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি কুকুরের রেকর্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকা বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। যেসব কুকুর এখনো টিকার আওতায় আসেনি, সেগুলোকে পরবর্তীতে টিকার আওতায় আনা হবে।

চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে দেখি কুকুর খুব আগ্রাসী থাকে এবং দলবদ্ধভাবে প্রায়শ পথচারীদের ধাওয়া করে। এজন্য জলাতঙ্ক নির্মূলে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন। আশা করি, এমডিভি কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে জলাতঙ্ক রোগ শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পথের পাশের বেওয়ারিশ কুকুর আঁচড় কিংবা কামড় দিলে র‌্যাবিস ভাইরাস সংক্রমণে মস্তিষ্কে প্রদাহ হয়। একে বলা হয় ‘এনকেফালাইটিস’, যা আমাদের কাছে জলাতঙ্ক রোগ হিসেবে পরিচিত। এতে মৃত্যুহার প্রায় একশ ভাগ।

প্রাণীটি কামড় দেওয়ার পর পাঁচদিন থেকে শুরু করে কয়েক বছরের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসের ভেতরেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। আক্রান্ত স্থানে ব্যথা, চুলকানি, ঝিন ঝিন ভাব, অনুভূতি কমে যায়। এরপর অনুভব হয় শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর, বমি। লালা ঝরতে থাকে। বাতাস হলে ও পানি দেখলে ভয় লাগে। চোখে আলো পড়লে অস্বস্তি লাগে।

মাংসপেশিতে টিকা নিলে সাতদিন পর দুটি নিতে হবে। চামড়ার নিচে নিলে দুই পাশে দুই ডোজ। সাতদিন পর দ্বিতীয় ডোজ। সামান্য আঁচড় কাটলে এবং রক্তক্ষরণ না হলে ক্ষতস্থানের চিকিৎসা এবং যত দ্রুত সম্ভব অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন এক ডোজ নিতে হবে। একাধিক কামড় বা আঁচড় এবং কামড়ের অবস্থান যদি মুখে, ঘাড়ে, মাথায়, হাতে হয় এবং প্রাণীটি যদি জলাতঙ্ক আক্রান্ত থাকে অথবা জলাতঙ্ক আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহ করা হয়, তাহলে অবশ্যই অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ইমিউনোগ্লোবিলিন টিকাও নিতে হবে।

জলাতঙ্কের প্রধান বাহক পথকুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিতে ২০২১ সালের জুন মাসে একটি প্রকল্পের অধীনে কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)। কুকুরকে হত্যা না করে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ এবং রোগমুক্ত করাই ছিল এ প্রকল্পের লক্ষ্য। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হলেই এসব কুকুরকে ছেড়ে দেওয়া হতো।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিজিওলজি ও প্রাণিকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রাশেদুল আলমের নেতৃত্বে সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুলি দেসহ শল্যচিকিৎসকরা ‘নিউটার (বন্ধ্যাকরণ)’, ‘ভ্যাকসিন (জলাতঙ্ক টিকা)’ প্রদানের কাজও করেছেন।

 

;

টাকা দিয়ে কেনা সনদের তালিকা পেয়েছি: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)’র অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা বছরের পর বছর টাকার বিনিময়ে সনদ ও মার্কশীট বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা এসব সনদগুলো কিভাবে শনাক্ত করা যায় সেই তথ্য শামসুজ্জামান আমাদের দিয়েছেন। আমরা সেই তথ্য বোর্ডের কাছে দিবো তারা সেগুলো বাতিলের ব্যবস্থা নেবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান পাঁচ হাজার মানুষকে জাল সনদ দিয়েছেন। এমনকি তার সঙ্গে বোর্ডের বহু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও জড়িত রয়েছেন। শামসুজ্জামান রিমান্ডে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা সনদ বাতিলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যার মাধ্যমে সনদ শনাক্ত করে বাতিল করা যাবে। তাই আমরা এই তথ্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবো। পাশাপাশি বুয়েটের এক্সপার্টদের যুক্ত করে এই কাজটি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদিক ও দুদক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে শামসুজ্জামান সনদ বিক্রি করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন গত ১ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। তখন রমজান মাসের শেষের দিকে। শামসুজ্জামান আমাদের কাছে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অনেক সাংবাদিক ফোন দিয়ে ঈদের বোনাস চেয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে খোলামেলাভাবে জানিয়েছে, আমার পদে থাকতে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। সে কারণেই ম্যানেজ করে চলতে হয়েছে। তাকে দ্বিতীয় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে কোন সাংবাদিক কখন, কিভাবে, কত টাকা দিয়েছে। আমাদের ডিবির কর্মকর্তারা যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কোনো সংবাদিক যদি চায় শামসুজ্জামানের মুখোমুখি বসে কথা বলতে চায় আমরা তাকে সেই সুযোগ দিব। আমরা মনে করি আমরা অন্যায়ভাবে কেউ হয়রানির শিকার হোক সেটা আমরা চাই না। পাশাপাশি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা তাদেরকেও বলেছি, দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যে তথ্য দিয়েছে। চাইলে আপনারাও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। যাদের নাম বলেছে সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিবো।

দুদক কর্মকর্তারা শামসুজ্জামানের সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলেন জানতে চাইলে হারুন বলেন, শামসুজ্জামান মনে করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল প্রকৃতির লোক থাকে। পাশাপাশি সাংবাদিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের অনিয়ম তদন্ত করে। তারাও যদি তার পাশে থাকে তাহলে তার যে সনদ বাণিজ্যটা বড় আকারে করতে পারে। সে কারণেই সে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। ফলে শামসুজ্জামানের সহযোগী ফয়সালকে নিয়ে একটি আলাদা বাসায় বসে সনদ তৈরি করত। যার কারণে বিভিন্ন মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর গত ২১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রী জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পরে চেয়ারম্যান আলী আকবরকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;