ঢাকার বায়ু আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের ১০০টি দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ১৪৮। বায়ুর এই মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছে বয়স্ক মানুষ, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারী। 

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

আজ সকাল ৯টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ১৭৭।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে চীনের চেংদু ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। চেংদুর স্কোর ১৬৯। চিয়াং মাইয়ের ১৬৮।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

   

আজ বিশ্ব মা দিবস



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মা’ আমাদের জীবনের সবথেকে মধুর শব্দ এবং নিঃস্বার্থ বন্ধনের ডাক। আমরা যতবার মা বলে ডাকি, ততবারই প্রশান্তির আঁচলে ঠাঁই পাই। যদিও মায়ের প্রতি ভালোবাসার নির্দিষ্ট দিন কিংবা সময়কে ঘিরে প্রকাশ করার মতো নয়; তবুও মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেই আমরা বছরের একটা দিন মাকে উৎসর্গ করি। সারাবিশ্বেই এই দিনটি নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোববার (১২ মে) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মা দিবস’। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

মা দিবসটি কীভাবে শুরু হয়েছিল?

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে আধুনিক যুগে ১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে ‘মাদার্স ডে’ বা মা দিবস পালিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে ভার্জিনিয়ায় অ্যান নামে এক শান্তিবাদী সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। তিনি ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতেন। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করতেন। অ্যান ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণ। অ্যানের একটি মেয়ে ছিল, যার নাম  আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস।

একদিন ছোট মেয়ের সামনেই অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন, 'আমি প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ তার মায়ের জন্য একটি দিন উৎসর্গ করুক। কারণ মায়েরা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটি তাদের অধিকার।

মায়ের সেই প্রার্থনা হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায় আনা মারিয়াকে। অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে সারাবিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন তিনি। তার পর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয়ে আসছে মা দিবস। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ ঘোষণা করেন।

এরপর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন হিসেবে করা হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশই অন্যদিনকে উৎসর্গ করেছে মায়েদের জন্য। সাধারণত মার্চ কিংবা মে-তেই পালিত হয় 'মাদার্স ডে'।

জানা যায়, ১৯১০ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় মায়েদের স্বীকৃতির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ছুটির দিন চালু করে। এক বছর পরে প্রায় প্রতিটি রাজ্যই উদযাপনের দিনটি চিহ্নিত করে । ১৯১৪ সালে প্রেসিডেন্ট উড্রউইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবসের জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করেন।

একজন মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ থেকে শুরু করে আমৃত্যু নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসেন। মায়ের এই ভালোবাসা একটি অনবরত স্রোত যেখানে কখনও ভাটা পড়ে না। মায়ের ভালোবাসা অমূল্য। তাইতো মায়ের এই অসীম ও অতল ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের সম্মানে তারই সম্মানে নিজেদের নত করেন গোটা পৃথিবীর সন্তানেরা। 

;

মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার যুবকের কিডনি অক্ষত আছে: চিকিৎসক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারে চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের যুবক সেলিম মিয়ার (৪৫) দুটি কিডনি অক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

শনিবার (১১ মে) রাতে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা.সৈয়দ হাসানুল ইসলাম আকাশ।

এর আগে গত বুধবার (৮ মে) পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে অসুস্থ অবস্থায় মিল্টন সমাদ্দারের আ্শ্রম চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেলিম মিয়া ঈশ্বরফগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের হাসিম উদ্দনের ছেলে।।

সেলিমের পরীক্ষা -নিরীক্ষা করেন নগরীর প্রান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা.সৈয়দ হাসানুল ইসলাম আকাশ। তিনি বলেন রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে তার শরীলে কোনো অপারেশন হয়নি। দুটি কিডনি ঠিক আছে যে জায়গায় কিডনি থাকে সে জায়গায় কাটা দাগ বা ক্ষত থাকায় সন্দেহ হয়েছিলো।হয়তো রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তাকে আটকে রাখার জন্য কোনে কিছু দিয়ে বেঁধে বা বেল্ট পরিয়ে রাখার কারণে ক্ষত বা কাটা দাগের মত হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেলিম প্রায় ছয় মাস আগে বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঢাকায় মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যাড কেয়ারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখে পরিবার শনাক্ত করে। ঢাকা গিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে। কিন্তু বাড়ি নিয়ে আসার পর সেলিমের পেটে বড় কাটা দাগ থাকা সন্দেহ হয়। পরিবারের দাবি সেলিম মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও পেটে কোনো কাটা দাগ ছিলো না।

 

;

জন্মদিনে শিশুদের মাঝে ১০ হাজার গাছ বিতরণ করল বাবুল্যান্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের বিনোদনভিত্তিক ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ড বাবুল্যান্ড এর ৬ষ্ঠ বছরপূর্তী উপলক্ষে শিশুদের মাঝে ১০ হাজার গাছ বিতরণ করেছেন বাবুল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলার পাশাপাশি, সবুজ পৃথিবীর গুরুত্ব শিশুদের কাছে তুলে ধরে ভবিষ্যত সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার মূল্যবোধ সৃষ্টি করায় এই উদ্যোগের প্রধান উদ্যেশ্য বলে জানানো হয়।

শনিবার (১১মে) বাবুল্যান্ডের ৬ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত বাবুল্যান্ডের ১১টি ব্রাঞ্চে শিশুদের মাঝে এই গাছ বিতরণ করা হয়।

শিশুদের স্বর্গরাজ্যখ্যাত বাবুল্যান্ডের বিশেষ আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে শিশুদের মাঝে গাছ বিতরণের মতো সামাজিক উদ্যোগ। এসময় প্রতিটি ব্রাঞ্চে দেখতে পাওয়া যায় বাবুল্যান্ড বাডিস গাব্বুশ,ক্যাপ্টেন কিকো, তুতুন সহ শিশুদের পছন্দের সব চরিত্র। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন শিশুদের মাঝে এক ভিন্ন উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

প্রতিষ্ঠাতা ইশনাদ চৌধুরী বলেন, 'বাবুল্যান্ড একটি ভিন্ন ধর্মী প্রতিষ্ঠান, যেখানে আমরা সবসময় শিশুদের বেনফিট এর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সেই চিন্তা ভাবনার একটা বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে শিশুদের মাঝে এই ১০ হাজার গাছ বিতরণ। এবং সেই সাথে আমি আরো বলতে চাই বাচ্চাদের সুস্থ্য বিনোদন শুধু প্লে-গ্রাউন্ডে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। এখন সবার ঘরে ঘরে স্মার্টফোন তাই বাচ্চাদের সুস্থ্য বিনোদন হতে হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও। সেই উদ্দেশ্যে বাবুল্যান্ডের নিজস্ব চরিত্র নিয়ে তৈরি করছে বাডিস-শো নামের ইউটিউব কনটেন্ট যা ইতিমধ্যে শিশুদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।'

এসময় বাবুল্যান্ডের জন্মদিনে কিছু অভিভাবকদের সাথে কথা হয় । তাদের মাঝে থেকে নিনিতের মা বলেন, 'বাবুল্যান্ড শুধু আমার ছেলের পছন্দের জায়গা না, আমারও অনেক পছন্দের। আমার ছেলে বাবুল্যান্ডে খেলতে এবং বাবুল্যান্ডের অন্য সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে খুবই পছন্দ করে। আর আজকের এই বিশেষ দিন জানার পর আমি নিজে থেকেই নিনিত কে নিয়ে চলে এসেছি। নিনিত বাবুল্যান্ডের জন্মদিনের জন্য একটি গিফট ও নিয়ে এসেছে ,সে নিজের হাতে বার্থডে উইশ কার্ড বানিয়ে নিয়ে এসেছে। আর বাবুল্যান্ডও নিনিতের মত সব শিশুদের কথা মাথায় রেখে গিফট হিসেবে রেখেছে গাছ এবং একটি পোস্টার। বাবুল্যান্ডের এই ব্যাপার গুলো সত্যি খুব অসাধারণ।'

রাজধানীতে উন্মুক্ত জায়গা দিন দিন কমে যাচ্ছে আর সেই সাথে কমে যাচ্ছে গাছ। সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ এখন শুধু বইয়ের পাতায়। অপরিকল্পিত নগরায়ন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন তথা উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। শিশুদের মাঝে গাছের গুরুত্ব তুলে ধরতে বাবুল্যান্ডের এই উদ্যোগ।

জানা গেছে, বাবুল্যান্ড বিগত ৬ বছরে প্রায় ৩০ লাখ শিশুর হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। শিশুদের সাথে সাথে তাদের অভিভাবকের মনেও বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে বাবুল্যান্ড। ২০১৮ সালের ১১ই মে থেকে যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত বাবুল্যান্ডের মোট ব্রাঞ্চ সংখ্যা ১১টি। ঢাকার প্রায় সব এলাকায় জনপ্রিয় মার্কেট এবং ল্যান্ডমার্কেই আছে বাবুল্যান্ড ব্রাঞ্চ।

বাবুল্যান্ডের ঠিকানা: মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স - মিরপুর ২, রমজান নেসা সুপার মার্কেট - মিরপুর ১২, শেওড়াপাড়া - মেট্রোরেল সেটশনের পাশে, রোজ ভ্যালী শপিং মল - ওয়ারী, এলিয়েন স্কয়ার - লক্ষ্মীবাজার, নর্থ টাওয়ার হাউজ বিল্ডিং - উত্তরা, আতিক টাওয়ার - আজমপুর উত্তরা, বিটিআই প্রিমিয়ার প্লাজা - উত্তর বাড্ডা, ওয়েস্ট পয়েন্ট বিল্ডিং - গ্রিন রোড, ধানমন্ডি সিমান্ত সম্ভার এবং আলমাস পয়েন্ট শপিং কমপ্লেক্স - নারায়ণগঞ্জ।

;

মেয়র-চেয়ারম্যান গ্রুপে বিভক্ত রাঙামাটির শ্রমিক নেতারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাঙামাটির পরিবহণ শ্রমিক অঙ্গণ।

গত কয়েকদিনে শ্রমিক নেতাকে মারধর, ড্রাইভারের উপর হামলাসহ চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগ, রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় অভিযোগের পাশাপাশি টানা তিনদিনে পরপর তিনবার সংবাদ সম্মেলনে একের বিরুদ্ধে অপরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে পরিবহণ শ্রমিকদের নিয়ে রাঙামাটিতে ধর্মঘট পালনের হুমকি দেওয়া ঘটনা ঘটেছে।

গত ৯ এপ্রিল রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করার পরেরদিন ১০ এপ্রিল রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারসহ সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি করে রাখার অভিযোগ করে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন রাঙামাটি জেলা ট্রাক-মিনি ট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এটিএম হাসমত উল্লাহ। এসময় হাসমত উল্লাহ-সিরাজসহ অন্যান্য নেতারা রাঙামাটির পৌর মেয়রের দিকে ইঙ্গিত করে রুহুল আমিনকে মেয়রই মাঠে নামিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনার পরদিন ১১ এপ্রিল দুপুরে পাল্টাপাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের হাসমত উল্লাহ, সিরাজদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করে রুহুল আমিন বলেন, আমার প্রতি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান রোমান আমাকে রাউজানে নিয়ে গিয়ে মার খাইয়েছেন।

এসব ঘটনায় প্রায় প্রকাশ্যেই এখন চাউর হয়েছে রাঙামাটির পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এখন মেয়রপন্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যানপন্থী হিসেবেই নিজেদের অর্ন্তোকোন্দল প্রকাশ্যে এনে সংঘাতে জড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ শ্রমিকরা।

শ্রমিকনেতাদের এমন পাল্টাপাল্টি ইন্ধনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেছেন, রাঙামাটির প্রতিটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতি আমার আন্তরিকতা ভালোবাসা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে আমি সবাইকে সহযোগিতা করি।

বিগত ২০১৭ সালের পাহাড় ধস, এরপর কোভিট পরিস্থিতিতে রানীরহাট, রাউজানসহ রাঙামাটির সর্বস্তরের সকল শ্রমিক ভাইদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি এখনো পর্যন্ত তাদের পাশে থেকে কাজ করছি। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো ধরনের অর্ন্তকোন্দলে আমি মোটেও জড়িত নই এবং এটি আগামী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি কোনোদিন শ্রমিক সংগঠনের কোনো পদেই ছিলাম না। মেয়র বলেন, কেউ যদি কারো ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সাধারণ শ্রমিকদের ব্যবহার করে তাদের ভেতরকার কোন্দলে আমাকে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্ঠা করে তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।

অপরদিকে শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটির সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, মূলতঃ উপজেলা নির্বাচনে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আগামী পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর হতেই রুহুল আমিন গংরা আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

তিনি বলেন, সামনে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে এক জনপ্রতিনিধির ইন্ধনেই এসব করা হচ্ছে। পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিবহন সেক্টরে,পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে নানা অরাজকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টিসহ জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।

;