দায়িত্বের কাছে তুচ্ছ তাপমাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যখন কঠিন, তখন ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। গেল দু-একদিন বৃষ্টি হলেও রোদের তীব্রতা কমার নাম নেই। ফেনীতে গড়ে প্রতিদিন ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা অব্যাহত আছে। গরমে সাধারণ মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা ট্রাফিক পুলিশদের দায়িত্বের কাছে তাপমাত্রা যেন তুচ্ছ।

রোববার (৫ মে) দুপুরে ফেনীর মহিপাল, ট্রাংক রোড়, মিজান রোড়, ডাক্তার পাড়া মোড়সহ শহরের বি়ভিন্ন ব্যস্ত সড়কে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দেখা যায় তাদের। কড়া রোদ, তীব্র গরম, যানজট, উচ্চ শব্দের হর্ন চারদিকে। এরমধ্যে রয়েছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। সব মিলিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলেও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতির সম্মুখে থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জেলা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদর, সোনাগাজী, দাগনভূঞাসহ ৬ জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই), শহরে ৬ জন সার্জেন্ট/ টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (টিএসআই), ১০ জন অ্যাসিসটেন্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টরসহ (এটিএসআই) ৪০ জন কনস্টেবল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত আছে।

ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বার্তা২৪.কমকে জানায়, তীব্র গরমকে উপক্ষো করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও হিট স্ট্রোকসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি থাকলেও সাধারণ মানুষকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়।

কথা হয় ট্রাংক রোড মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের সদস্য কনস্টেবল জামালের সাথে। তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে এই তীব্র গরমে আমাদের রাস্তায় কাজ করতে হয়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে বিধায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খাবার স্যালাইন, পানি, ছাতা সরবরাহ করছে। এছাড়াও নিয়মিত শরীর চেকআপ করা হচ্ছে।

মহিপালে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন কনস্টেবল মো. রিপন। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব। কষ্ট হলেও জনগণকে সেবা দিতে এই তীব্র দাবদাহে রাস্তায় আমরা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল আজীম মজুমদার বলেন, তাপমাত্রা যদি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হয় আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ আমরা যদি কিছুক্ষণের জন্য থেমে যাই তাহলে তীব্র যানজট লেগে শহর অচল হয়ে যাবে। যতই রোদ, বৃষ্টি, ঝড় লেগে থাকুক আমাদের সার্বক্ষণিক রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে হয়।

পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) এস.এম শওকত হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশদের সবসময় রাস্তায় থেকে কাজ করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টি, রোদ, যানবাহনের উচ্চ শব্দের হর্ন আর ধুলোয় থেকে শরীরে নানা অসুস্থতা বাসা বাঁধলেও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়।

চিকিৎসকের মতে, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকের সবচেয়ে ঝুঁকিতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে হলে মাসল ব্রেকডাউন হতে পারে। এছাড়াও ডিহাইড্রেশন হয়, শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যায়। এর ফলে হার্টবিট অ্যাবনর্মাল হয়ে যেতে পারে, যে কারণে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে চিকিৎসা নেওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

হিট স্ট্রোক রোধে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার (হালকা রঙের সুতির কাপড় হলে ভালো), যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার, রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করার, প্রচুর পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করার, রোদে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি না করা, তীব্র শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলার।

এ প্রসঙ্গে জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল আজীম মজুমদার বলেন, ট্রাফিক পুলিশদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে সর্বোচ্চমাত্রায়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পানি, স্যালাইন, ছাতা সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি কনস্টেবলের শরীরে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে নিয়মিত চেকআপ করা হচ্ছে। যাদের সমস্যা ধরা পড়ছে তাদের স্থলে অন্য কনস্টেবলকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেককে নির্দেশনা দেওয়া আছে যাতে তীব্র রোদে একটানা কাজ না করে ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে কাজ করে। ওই ৩০ মিনিটে অন্য কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবে। এভাবে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে বলে জানান তিনি।

   

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রলি চাপায় বৃদ্ধা নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জোবেদা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালের দিকে নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় স্যালো ইঞ্জিন চালিত বালু বোঝাই ট্রলির চাপায় তিনি নিহত হন।

নিহত বৃদ্ধা মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের জামাদারপাড়া গ্রামের মৃত তোরাব আলী মণ্ডলের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জাবেদা খাতুন বাড়ির সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী স্যালো ইঞ্জিন চালিত বালু বোঝাই ট্রলি (স্টিয়ারিং) তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু। এসময় ট্রলি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, বালু বোঝাই ট্রলির চাপায় এক বৃদ্ধ মহিলা নিহত হয়েছেন। ট্রলি ও চালককে আটক করা যায়নি। অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

পুড়েছে দু’ শতাধিক ঘর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনী।

শুক্রবার (২৪ মে) দেড়টার দিকে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে খবর পাওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। এখনো পর্যন্ত ৮০ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যেখানে দু' শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উখিয়ার থাইংখালী ১৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন।

তিনি বলেন, উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অলরেডি ফায়ার সার্ভিসকে সেখানে পাঠিয়েছি। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ক্যাম্প ইনচার্জকে খবর দেওয়া হয়েছে। শরণার্থী কমিশনকেও জানানো হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সবাই মিলে কাজ করছে।

;

কিশোরগঞ্জে ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবির



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ২০ বছর পর আমেরিকা থেকে কিশোরগঞ্জের নিজের এলাকায় এসেছেন একাধিক বিমান আবিষ্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ হুমায়ুন কবির।

শুক্রবার (২৪ মে) পাকুন্দিয়ার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামে তার নানার বাড়িতে হেলিকপ্টারে আসেন। সঙ্গে তার সহধর্মিণী ফরিদা কবির এসেছেন।

দীর্ঘদিন পর দেশে আসায় গ্রামের মানুষ ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন৷ এসময় স্বাগত জানান, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রেণু৷ চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিনসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রথমেই তিনি দেখা করেন আগে থেকেই উপস্থিত হওয়া একই এলাকার বৃটিশ সরকারের ভাতা প্রাপ্ত সৈনিক শতবর্ষী আব্দুল মান্নান (১২৫) তাকে স্বাগত জানান। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিমান আবিষ্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. হুমায়ুন কবিরকে দেখার জন্য সকাল থেকে তার বড় আজলদী গ্রামে মানুষের ভিড় জমে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা থেকে গ্রামে আসেন৷ এসময় এলাকার নারী পুরুষ ভিড় করেন৷ সর্বশেষ ২০০৪ সালে তিনি দেশে এসে নিজ এলাকায় এসেছিলেন৷


চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন বলেন, বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবির দেশে এসেছেন, এটা আমাদের জন্য আনন্দের৷ তিনি বাংলাদেশের অহংকার৷ এমন একজন মেধাবী মানুষের জন্ম আমাদের দেশে এটা গর্বের বিষয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের মাটিতে আবারও আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত৷ সবাইকে পেয়ে ভালো লাগছে। কিশোরগঞ্জে ৭ দিন অবস্থান করে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করবো।

সম্প্রতি তিনি আরো একটি বিশেষ ও আধুনিক হেলিকপ্টার আবিষ্কার করেছেন। বাংলাদেশি এই বিশিষ্ট রকেটবিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি, অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে গত ২৬ বছর ধরে বোয়িং বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। ডক্টর কবিরকে মার্কিন সরকারের জন্য এই বিশেষ হেলিকপ্টারটি তৈরি করতে কয়েক শ সেরা এবং উজ্জ্বলতম মহাকাশ প্রকৌশলী সাহায্য করেছেন।

এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবির ১৯৮৬ সালে রিমোট নিয়ন্ত্রিত এইচ-৫ হায়েন্স হেলিকপ্টার আবিষ্কার করেছেন। বর্তমানে হুমায়ুন কবির যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বোয়িং কোম্পানিতে ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। এই দায়িত্ব থেকে তিনি আমেরিকার সরকারের প্রতিরক্ষা প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক বিচিত্র সাময়িকি গ্রন্থে একক এবং যৌথ বিজ্ঞান বিচিত্রা নামে বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবিরের ৩৫টিরও বেশি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবির আমেরিকার আকাশে হেলিকপ্টার সোসাইটির একজন বিজ্ঞানী এবং আবিষ্কারক। ২০০৪ সালের ৫ মার্চ তিনি তার জন্মস্থান কটিয়াদীর বনগ্রাম নাগেরগ্রামে এসেছিলেন। এখন ২০ বছর পর আবার দেশে আসলেন তিনি। 

;

এমপি আনার হত্যায় গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনকে আজ আদালতে তোলা হবে। আদালতে তুলে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

শুক্রবার (২৪ মে) ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি। 

আব্দুল আহাদ বলেন, এমপি আনার হত্যায় জড়িত গ্রেফতার ৩ জনকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। যে পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া যাবে, সে পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়াও এ ঘটনায় আরও যে বা যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বারানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস।

এদিকে, আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।’

মামলায় তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদেবার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো। সএছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদেবার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’

;