'করুণা ধারায় এসো'

  ‘এসো হে বৈশাখ’


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চৈত্রের দাবদাহ পেরিয়ে বৈশাখে, নববর্ষের আবাহনে, শোনা যায় চির নূতনের ডাক এবং আশার প্রাণোচ্ছল ধ্বনি: "জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো/সকল মাধুরী লুকায়ে যায়, গীতসুধারসে এসো।" আর এভাবেই ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চলে বিন্যস্ত বাঙালি যুক্তসাধনার মুক্ত প্রতীতিতে পুনরুজ্জীবন লাভ করে বাঙলা নববর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণে।

বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উৎসব। বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। ইংরেজি নতুন বছরের দিন শুরু হয় মধ্যরাতে। আর বাংলা সাল শুরু হয় ভোরে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে।

১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল বাংলা সনের প্রবর্তন। মোগল সম্রাট আকবরের আদেশে তাঁর রাজস্ব কর্মকর্তা ফতেহ উল্লাহ সিরাজি ‘সৌর সন’ এবং আরবি ‘হিজরি’ সালের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সন তৈরি করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা থেকে মদিনা যাত্রা বা 'হিজরত'- এর সময়টিকে (৬২২ খ্রিস্টাব্দে) সূচনা বিন্দু ধরে অব্দের গণনা শুরু হয়। প্রথমে এই সালের নাম ছিল ‘ফসলি সন,’ পরে তা ‘বঙ্গাব্দ’ বা ‘বাংলা নববর্ষ’ নামে পরিচিত হয়। অনেকে মনে করেন, বঙ্গাব্দের গণনায় আকবরের রাজ্যাভিষেককেই সূচনা বলে ধরে নেওয়া হয়।

সম্রাট আকবরের বাংলা সন প্রবর্তনের সঙ্গে শুরু হয় ‘হালখাতার প্রথা’। হালনাগাদের খাতাটি হল বিগত বছরের যাবতীয় হিসাব বিবরণীর নথি। আজও ব্যবসায়ীরা লাল রঙের শালু কাপড়ের মলাটে মোড়ানো খাতাটি ব্যবহার করেন। নববর্ষের প্রথম দিন ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের হিসাবের হালখাতা অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করেন। থাকে মিষ্টিমুখের আয়োজন।

পহেলা বৈশাখ শুধু একটি তারিখমাত্র নয়, বাঙালির উৎসবের দিন। আহারে-বিহারে সাজগোজে নিজস্বতার ছোঁয়া থাকে এই দিনটিতে। বাঙালির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হলে নিজস্ব সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। চর্চা করতে হবে। মনে-প্রাণে তাকে লালন করতে হবে। এটাই জীবন্ত সংস্কৃতির জাগ্রত মানুষের জীবনাবেগ। কারণ, যে জাতি যত সংস্কৃতিমান, সেই জাতি তত উন্নত এবং সমৃদ্ধ।

নববর্ষ মানে বিগত বছরের সমস্ত জীর্ণতা ও মলিনতাকে মুছে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোরও দিন। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, আমাদের ইতিহাসবোধ, সমকালবোধও, আজ আন্তর্জাতিক খ্রিস্টীয় কালপঞ্জির দ্বারা এতটাই নিয়ন্ত্রিত যে, বাংলা সন-তারিখ দেখলে একটু বিহ্বল বোধ করেন অনেকেই। কোথাও তারিখ হিসাবে বাংলা সন উল্লিখিত হলে সমস্যায় পড়তে 'শিক্ষিত' মানুষদেরও।

তাদের দ্বিধার কারণ হলো, কোন মাস ঠিকঠাক কী ভাবে বুঝব? কেননা, ইংরেজি বছরে ঢুকে থাকে দুইটি বাংলা সাল। ও দিকে ঐতিহাসিক পারম্পর্যের কাহিনিবিন্যাসটি খ্রিস্টাব্দের পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণ মানুষের মনোলোকে সাজানো আছে। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কালপঞ্জির প্রতি এত আগ্রহ কখনও আত্মপরিচিতির অজ্ঞতার কারণ হলে বিপদ। এই বিপদকে সঙ্গে করেই চলছে একবিংশ শতকের উত্তরাধুনিক বাঙালি জনগোষ্ঠী। পরিস্থিতি এমনই শোচনীয় হয়েছে যে, পহেলা বৈশাখ শেষ হলেই বাংলা মাসের নাম ও বাঙালিয়ানা গানে ও কবিতায় আশ্রয় নেয় আত্মরক্ষার্থে।

টি এস এলিয়ট লিখেছিলেন, ‘এপ্রিল ইজ় দ্য ক্রুয়েলেস্ট মান্থ'/‘এপ্রিল নিষ্ঠুর মাস। বিপরীতে ইংরেজি সাহিত্যের ডাকসাইটে ছাত্র সমর সেন লিখেছিলেন: ‘উজ্জ্বল, ক্ষুধিত জাগুয়ার যেন,/ এপ্রিলের বসন্ত আজ’। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’, ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান’, ‘শরৎমেঘ ও কাশফুলের বন্ধু’, ‘কার্তিকের মাঠে’, শিরোনামগুলোয় গভীর হয়ে আছে নিজস্ব চিহ্ন। এমন পঙ্‌ক্তিতেও আছে শিহরণ: ‘আগত শরৎ অগোচর প্রতিবেশে;/ হানে মৃদঙ্গ বাতাসে প্রতিধ্বনি,/ মূক প্রতীক্ষা সমাপ্ত অবশেষে/ মাঠে, ঘাটে, বাটে আরব্ধ আগমনী।’ কিংবা ‘স্বপ্ন, একুশে ভাদ্র’ অথবা ‘আমাকে আমি ভুলেছি এই একুশে আশ্বিনে’। তাৎপর্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, দু’টিই যথাক্রমে কবিদ্বয়ের জন্মতারিখ। হায়! আমরা কয়জন জন্মদিনের, জন্ম তারিখের, বাংলা ভার্সান মনে রেখেছি?

মনে রাখে নি অধিকাংশই। বরং ‘পহেলা বৈশাখ’ এলেই হঠাৎ চারিদিকে উন্মত্ততা চাপিয়েছে। একদিনের বাঙালিয়ানার মচ্ছব চলছে। বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার নামে হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে। সুপ্ত অপসংস্কৃতির তাণ্ডব কখনও দৃশ্যমান হচ্ছে। কেউ একজন একবার বলেছিলেন, "আমরা আসলে বেশি উদ্‌যাপন করেছি ক্ষণোন্মাদনার তীব্রতা, ধারণ করেছি কম। উদ্‌যাপন বাহ্যিক, ধারণ অভ্যন্তরীণ। প্রমিত তথা ‘স্ট্যান্ডার্ডাইজ়ড’ আন্তর্জাতিক হওয়ার অতি-আগ্রহে ভুলতে চেয়েছি আত্মপরিচয়ের প্রাতিস্বিক চিহ্ন।'

এসবই ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’। ‘হেজিমনি'। ‘গোলকায়নের ভবিতব্য'। সর্ববাঙালির সামনে আরেক বিপদ 'ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের কর্ণবিদারী ঢক্কানিনাদ'। যদিও বাঙালির সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয় নির্মাণ সীমান্তহীন, ধর্মনির্দিষ্টতাহীন, বহুস্বরিক, তার বহু শরিকও, তথাপি, আগ্রাসন একটা আছে। খুব বলশালী, ধূর্ত আর কৌশলী সেই আগ্রাসন।

আগ্রাসীরা বাঙালিকে একমাত্রিক একঢালা বানাতে চায়। বাঙালির বহুস্তরিক বর্ণালি ভাঙতে চায়। বহুস্বরিক কলকণ্ঠ স্তব্ধ করতে চায়। গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের আবহ মুছে দিতে চায়। ‘সংখ্যাগুরু’ ও ‘সংখ্যালঘু’ এবং ‘প্রতাপান্বিত’ ও ‘দুর্বল’-এর সম্মানজনক ভারসাম্যের বুনিয়াদ উপড়ে ফেলতে চায়।

নববর্ষে একদিনের বাঙালিয়ানায় এইসব আগ্রাসন রোধ করা অসম্ভব। চিরায়ত বাংলা ও সর্বজনীন বাঙালিত্বে শাশ্বত করুণা ধারায় হটানো সম্ভব ইত্যাকার যাবতীয় আগ্রাসন, আবিলতা, ক্লেদ, ক্লেশ, গ্লানি, হীনমন্যতা ও অবদমন।

   

এপ্রিল মাসে খুলনায় ৩৪৭টি মামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা জেলা ও মহানগরীর পরিস্থিতি তুলে ধরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মে মাসের সভায় জানানো হয়েছে, খুলনা জেলায় এপ্রিল মাসে ১৫২টি মামলা দায়ের হয়েছে। আর মহানগরী অধিক্ষেত্রে মামলা হয়েছে ১৯৫টি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, মাদক থেকেই নানাবিধ অপরাধের সূচনা হয়। এর কারণেই পরিবার ও সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়। দেশ থেকে মাদক ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ সভায় জানান, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে আাগামী ২১ মে খুলনা জেলার তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোয় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছাবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলো দালালমুক্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে সিলগালা করা বেসরকারি কোন ক্লিনিক অনুমতি না নিয়ে সিলগালা খুলে অবৈধভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসন্ন কোরবানির ঈদে রাস্তা বন্ধ করে পশুর হাট স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত এপ্রিল মাসে ১৫২টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মার্চ মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৩০টি কম। মহানগরী অধিক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে ১৯৫টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মার্চ মাসের দায়ের হওয়া মামলা থেকে ১৬টি কম।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন, মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলাল, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: সিলেটে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি ও ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ করায় সিলেটে ৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬মে) সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আহারগাঁও গ্রামের মো.ওয়াব আলীর ছেলে ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবু ছুফিয়ান মামলাটি দায়ের করেন। সাইবার মামলা নং-১৩২/২০২৪ইং।

মামলার আসামীরা হলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার চিনির চক মুন্সিপাড়া গ্রামের শামসুল হক লস্করের ছেলে আবুল কালাম আজাদ লস্কর(২৮), মৌলভীবাজার থানার জুড়ি উপজেলার জারফর নগর গ্রামের মো.মুজিবুর রহমানের ছেলে এবাদুর রহমান(২৮), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের এনায়েত নগর গ্রামের মো.জাহাঙ্গীর আলম(৩০), গোলাপগঞ্জ থানার ফতেহপুর ভাদেশ্বর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলাম মাহি (২৬), সুনামাগঞ্জের দোয়ারাবাজারের উনগ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে রফিক উদ্দিন (৩০) ও কানাইঘাট থানার বড়দেশ উত্তর গ্রামের মো. এখলাছুর রহমানের ছেলে মো.আব্দুল্লাহ নাঈম(২৬)।

সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো.মনির কামাল মামলাটি আমলে নিয়ে ছাতক থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আমিনুল হক খান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবু ছুফিয়ান দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ছবি প্রচার করে আসছেন। তার সেই সব ছবিতে কমেন্টে আসামীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করে। এছাড়াও আসামীরা বিভিন্ন সময় তাদের নিজ নামীয় ফেসবুক আইডি ও ফেইক আইডি খুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। এসব ব্যাপারে বাধা দিলে তারা আরও বেশী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একজন সচেতন নাগরিক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে মামলাটি দায়ের করেন আবু ছুফিয়ান।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

উপজেলা নির্বাচন

১৫৭ উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি

১৫৭ উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ১৫৭টি উপজেলায় আগামী ২১ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামানের প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অফ বিজনেস অ্যামঙ দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য সারাদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। যা গতবারের তুলনায় ৪ লাখ ৪৪ হাজারটি বেশি। এছাড়াও এবার সারা দেশে ৩ হাজার গরুর হাট বসবে বলেও জানান মন্ত্রী। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরুপণ, সরবরাহ ও অবাধে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেন ঢাকায় আসতে পারে তা নিশ্চিতকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ মন্তব্য করেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, আগামী কোরবানি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকার প্রস্তুত। কোরবানিকে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এছাড়াও কোরবানির চামড়া যেন অবৈধপথে পাচার হতে না পারে তার জন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কেউ যেন পশু আনা নেওয়াতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পুলিশের টিম থাকবে, তাদের মাধ্যমে যে কেউ সহযোগিতা নিতে পারবে। খামারি, সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা যেন তৈরি করা যায় তার জন্যও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামগ্রিক অর্থে আগামীর কোরবানি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

চাঁদাবাজি বন্ধে সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সড়ক পথে চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যা করা দরকার তা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি বাজারে পুলিশ কেন্দ্র থাকবে। এবারের কোরবানির জন্য সারাদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি গরু প্রস্তুত আছে।

এ বছর কোরবানিতে ১ কোটি ৩৯ হাজারের বেশি চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী চোরাই পথে কোনো গরু যেনো দেশে না আসে তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করলে মন্ত্রী বলেন, চোরাই পথে গরু আসার কোন সুযোগ নাই।

এ সময় সভায় খামার প্রতিনিধির লোকজনও উপস্থিত ছিল।   

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;