রমনার বটমূলে চলছে নববর্ষ বরণে প্রস্তুতি

  ‘এসো হে বৈশাখ’


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ কড়া নাড়ছে বাঙালির দরজায়। পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। উৎসব আর আনন্দ নিয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করবে বাঙালিরা।

বৈশাখ বরণে ইতোমধ্যে সর্বত্র চলছে প্রস্তুতি। রাজধানীর রমনা বটমূলে প্রতি বছরের মতো এবারেও গান, কবিতা ও নানা আয়োজনে নববর্ষকে বরণ করবে ছায়ানট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। থাকবে শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা আয়োজন।


শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রমনা পার্কে দেখা গেছে বৈশাখ বরণে ছায়ানট শিল্পীদের ব্যস্ততা। হারমোনিয়ামের সুর আর তবলার তালে নিজেদের প্রস্তুত করছেন এসো হে বৈশাখ গানে। ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এখন চলছে মঞ্চ তৈরিসহ চূড়ান্ত প্রস্তুতি। রমনা পার্ক প্রাঙ্গণে টানা হয়েছে অনুষ্ঠানস্থলের সীমারেখা। সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।

ছায়ানট ও চারুকলা অনুষদ সূত্রে জানা গেছে, বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। তৈরি করা হচ্ছে মুখোশ, পুতুল, চাকাসহ দেশি ঐতিহ্যের বিভিন্ন প্রতীক। শিক্ষার্থীরা রংতুলি, কাগজ, বাঁশ, বেত, চাটাই নিয়ে কাজ করছেন। শনিবার দুপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য ৪০ জন শিল্পীর আঁকা পোস্টার নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী হবে চারুকলা অনুষদে। কাঠামোর পাশাপাশি এবার মুখোশ, বড় মুখোশ, গাজীর পটের দুটি চিত্র বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে থাকবে। এবারের শোভাযাত্রায় মোটিফ ও কালারের মাধ্যমে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে।


এ বিষয়ে ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, পহেলা বৈশাখের আগে মঞ্চে শিল্পীরা চূড়ান্ত মহড়ার অংশ নিচ্ছে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি।

মঙ্গল শোভাযাত্রার আহ্বায়ক সাদিত সাদমান বলেন, বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। মঙ্গল শোভাযাত্রার পোস্টার তৈরির জন্য যে কর্মশালা আয়োজিত হয়েছিল, তা থেকে ৪০ জন শিল্পীর আঁকা পোস্টার নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী হবে শনিবার দুপুরে। রংতুলি, কাগজ, বাঁশ, বেত, চাটাই নিয়ে ভাগে ভাগে কাজ করছে শিক্ষার্থীরা।


এদিকে পহেলাবৈশাখ উদযাপনের সুনির্দিষ্ট কোন হামলার শঙ্কা নেই জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন,পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন হামলার শঙ্কা নেই। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমনা পার্কে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও মনিটরিং করা হবে।

   

চার ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেল দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ইঞ্জিন বিকল হওয়া দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন প্রায় চার ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে ক্রুটি দেখা দেয়। পরে রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এসে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের পুলিশ ফাড়ির আইসি উপ-পরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গফরগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড় করিয়ে দুই নম্বর লাইন দিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল রাখা হয়। পরে রাত ১০ টায় ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এসে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এদিকে, বিকল ইঞ্জিন ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চামড়া শিল্পে মান মাত্রায় কোন ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘চামড়া শিল্প পরিবেশবান্ধব না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। এছাড়াও চামড়া শিল্প লাভজনক করতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনগার বা সিইটিপি নতুন করে তৈরি করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল হাই-লেভেল ডায়লগ ফর গ্রিনিং দ্যা ট্যানারি এন্ড লেদার সেক্টর’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নদী মারা গেলে এ ক্ষতি কোনও কিছু দিয়েই পূরণ হবার নয়। পানিতে বিওডি ৩০ এর মধ্যে থাকতে হয়, ধলেশ্বরীর পানিতে আছে চার গুণের বেশি। হেভি মেটাল ২ গুণের বেশি। এতে মানুষের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসকল ক্ষতির দায় কে নেবে? ব্লেম গেম করা যাবে না। সমস্যার অংশ না হয়ে সমাধান করতে হবে। যাত্রা নতুনভাবে করতে হবে। ভুল থেকে শিখতে হবে। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই রোল মডেল, চামড়া শিল্পেও রোল মডেল হতে চাই। অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করা আমাদের অগ্রাধিকার। এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা; ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ড ফাহমিদা খানম; ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর এবং যৌথ নদী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ইমেরিটাস ড আইনুন নিশাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড মিশাল ক্রেজা বক্তব্য রাখেন।

এই সংলাপে ট্যানারি ও চামড়া খাতের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, পরিবেশবিদ এবং সরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং খাতটিকে আরও পরিবেশবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পেশ করেন।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় আসিম জাওয়াদের বাবা মো. আমান উল্লাহ, মা নিলুফার আক্তার, স্ত্রী রিফাত আন্তোরা, কন্যা আয়েজা ও পুত্র আয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাক্ষাৎকালে জাওয়াদের মা প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে দুপুর পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান। এর আগে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

এর পরপরই পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে নামলেও আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসিম জাওয়াদ পতেঙ্গার নেভি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

বগুড়ায় বোরোর ফলন বেশি, দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। ধানের ফলন এবং দাম ভালো পেয়ে কৃষকও খুশি। ধান চাষের খরচ মেটাতে জমি থেকে কাটা মাড়াই পরপরই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।

হাটবাজারে নতুন ধান কাঁচা অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা। জেলার বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

জেলার শাজাহানপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ধানের হাট ঘুরে দেখা গেছে কৃষক মাঠ থেকে ধান কাটা মাড়াই করে কাঁচা ধান হাটে নিয়ে আসছে বিক্রির জন্য।

শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক এবং পানি সেচের টাকা পরিশোধ করার জন্য ধান শুকানোর আগেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, তিনি কাটারি জাতের ধান কাটা মাড়াই করে পরের দিনই হাটে বিক্রি করেছেন ১২০০ টাকা মণ দরে।

তিনি বলেন, ১১৫০ টাকা থেকে ১২৫০ টাকার মধ্যে ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে ধান শুকাতে পারলে দাম আরও বেশি পাওয়া যাবে।

বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, প্রতি বছরই সার, বীজ, কীটনাশক ও পানির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ধান চাষে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। একারণে কৃষক দিন দিন ধান চাষ কমিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার ফলনের পাশাপাশি ধানের দাম ভালো।

তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে এবার ধান চাষ এবং কাটা মাড়াই করতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। ২০ মণ ধান পাওয়া গেলে বিক্রি হবে ২৩ হাজার টাকায়। যাদের নিজের জমি তারা লাভবান হলেও বর্গা চাষিদের ধান চাষ করে তেমন লাভ নেই।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বগুড়া জেলায় এক লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল এক লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। তার আগের বছর এক লাখ ৮৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী গত তিন বছরে বগুড়া জেলায় এক হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ কমেছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, বোরো চাষে খরচ বাড়ার কারণে কৃষক ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। যার কারণে প্রতি বছরই বোরো চাষে জমির পরিমাণ কমছে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ বোরো চাষে কৃষকদের উৎসাহ যোগাতে বিভিন্ন সময় প্রণোদনা দিয়ে থাকে। কিন্তু তাতেও বোরো চাষ বাড়ানো যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, কম খরচে অধিক লাভের আশায় ভুট্টা চাষ বেড়ে যাওয়ার কারণেই বোরো চাষের জমি কমছে। তবে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক লাভবান হচ্ছেন।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;