আজ পহেলা বৈশাখ

  ‘এসো হে বৈশাখ’


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: নূর এ আলম

ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানাবে বাঙালি। ১ বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। আজ আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হবে বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হবে নববর্ষ।

পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী এবং সারাদেশ জুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরনো হিসেব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসেবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তাঁরা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের।

আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে।

কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

   

হিজলা-মুলাদীতে ৩ লাখ রেণুপোনা জব্দ, ৯ জেলের জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ রেণুপোনা, বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করার পাশাপাশি ৯ জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য দপ্তর ও নৌপুলিশ। এ ঘটনায় তাদের আর্থিক জরিমানাও করা হয়।

হিজলা ও মুলাদী উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য দপ্তর ও নৌপুলিশ সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩টি ট্রলার থেকে প্রায় ৩ লাখ গলদা রেণুপোনা, রেণুপোনা ধরার ২২টি অবৈধ জাল, ৬ কেজি পাঙ্গাশের পোনা ও রেণুপোনা ধরার সরঞ্জাম, ৯টি হাড়ি, ৪টি ড্রাম ও এক ড্রাম রাসায়নিক তরল জব্দ করা হয়েছে।

পাশাপাশি ৪ জেলেকে আটক করা হয়। পরে হিজলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটকদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জব্দ করা রেণুপোনা নদীতে অবমুক্ত এবং অবৈধ জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।

অপরদিকে, উপজেলার কাউরিয়া বাজার, বাহেরচর ও লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার মিটার ইলিশ কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করার পাশাপাশি ৪ জেলেকে আটক করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীতে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি মশারি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করার পাশাপাশি এক জেলেকে আটক করা হয়। ওই জেলেকেও ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

অবৈধভাবে ছাপানো সিগারেটের জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অবৈধভাবে ছাপানো সিগারেটের কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেফতার ৫

অবৈধভাবে ছাপানো সিগারেটের কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেফতার ৫

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় সিগারেটের জাল স্ট্যাম্প তৈরির সময় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সিগারেটের জাল স্ট্যাম্পসহ ছাপা কাজে ব্যবহৃত ৪টি মেশিন জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চান্দগাঁওয়ের পাক্কার দোকানের উত্তর পার্শ্বে মিদি বাড়ি আব্দুর সবুরের টিনশেডে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল হোতা আরিফকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ সাব্বির হোসেন৷

গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- মো. ইয়াসিন (২৪), মো. রিফাত উদ্দিন (২৫), মো. নাসির (৩৮), মোঃ হাসন তারেক (২৬) ও মো. আরিফ হোসেন (২৮)। পলাতক রয়েছেন মূল মালিক মো. আরিফ (৩০)।

ডিবি পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা যায়, ভাড়া নেওয়া টিনশেডে ওই বাসায় প্রেস মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে সিগারেটের প্যাকেটে লাগানো শুল্ক কর পরিশোধিত রাজস্ব জাল স্ট্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। এসময় আটকদের সরকারের রাজস্ব স্ট্যাম্প তৈরি সংক্রান্তে ডকুমেন্ট দেখাতে বললে, তারা সেটি দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শুল্ক কর পরিশোধিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০টি ও ২০টি সিগারেট' লেখা দুই ধরনের মোট ৮ লাখ ৮০টি জাল স্ট্যাম্পসহ ছাপা কাজে ব্যবহৃত চারটি মেশিন জব্দ করা হয়ছে। জব্দ স্ট্যাম্পের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এবং মেশিন চারটির মূল্য ৪০ লাখ টাকা।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পলাতক আসামি ও মূল হোত মো. আরিফের (৩০) সহায়তায় তারা জেনে বুঝে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ লাভের উদ্দেশে জাল রাজস্ব স্ট্যাম্প তৈরি করে বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানির কাছে বিক্রয় ও বাজারজাত করত।

ডিবি উত্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ সাব্বির হোসেন বলেন, টিনশেড ঘরে প্রিন্টার মেশিন বসিয়ে সিগারেটের জাল স্ট্যাম্প তৈরির করা হচ্ছিল। পরে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে ৮ লাখ ৮০টি সিগারেটের জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব স্ট্যাম্পের আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।

তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে, এসব বিষয়সহ বিস্তারিত জানতে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডে আবেদন করা হবে। পরে রিমান্ডে এসে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করে হবে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত: সমবায় প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, অংক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লাগে। জীবন যখন শুরু হয় তখন থেকে অংক শুরু এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অংকের হিসাব লাগে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে ২৩তম আন্তর্জাতিক গণিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আপনাদের এই অংকের হিসাবটা আমাদের বাস্তব জীবনে মেলাতে চাই। আপনাদের অংক, জ্যামিতি আমরা মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে একটি সমন্বিত ও বিদ্বেষহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে মানুষ যা স্বপ্ন দেখবে নির্দ্বিধায় বাস্তবে সে তাই করবে। বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না, অংকও পিছিয়ে থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা মানুষকে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আমাদের দেশ যদিও বা একটু পিছিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক অনেক কারণে। পিছিয়ে পড়লেও আমাদের গবেষক, শিক্ষক এবং ছাত্ররা গোটা পৃথিবীতে তাদের কর্মদক্ষতা প্রমাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলায় চরম সাহসীকতা প্রদর্শন করেছে যা আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর রোল মডেল।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী, সাহসী এবং মেধাবী জাতি। এই জাতিকে আমরা অংক, বিজ্ঞান ও অর্থনীতি দিয়ে ধরে রাখতে চাই।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী কৃষি নির্ভর এই দেশে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনা থেকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আহ্বান জানান ।

রাবির গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো: জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: হুমায়ুন কবীর, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নাছিমা আক্তার, বাংলাদেশ গণিত পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো: শহিদুল ইসলাম, রাবির গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: আসহাবুল হকসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

বরিশালে বইছে তাপপ্রবাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কয়দিন স্বস্তির বৃষ্টির পর বরিশালে চলছে ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহ। এটি গত রাত থেকে শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল নয়টায় ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করলেও বাতাসের আর্দ্রতা ৬৮ শতাংশ।

এজন্য এই গরম অসহনীয় অবস্থায় রূপ নিয়েছে। শীঘ্রই বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

কাজের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষ বলছেন, এই গরমে শরীর যেন পুড়ে যাওয়া অবস্থায়।

সরকারি অফিসের কর্মচারী রিয়াজ হোসেন বলেন, একটু হাঁটলেই শরীর ভিজে চুপচুপ অবস্থা। বার বার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, পানি পান করেও যেন তৃষ্ণা মিটছে না।

আর শ্রমিকরা বলছেন, এমন দুর্বিষহ গরমে কাজে নামা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে ছেদ পড়েছে কামাই রোজগারে। স্বাভাবিক দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যে পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব, আজ হয়নি তার অর্ধেকও। আবার অনেকে তো প্রচণ্ড তাপদাহে কাজেই বের হতে চাচ্ছেন না।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;