খুলনার একমাত্র ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি নষ্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনার একমাত্র ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি নষ্ট। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনার একমাত্র ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি নষ্ট। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট হয়ে আছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ মেশিনটি সংস্কার বা নতুন মেশিন ক্রয় করছে না। এর ফলে খুলনা অঞ্চলের থ্যালাসেমিয়া, লিউকেমিয়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা চাহিদা মোতাবেক রক্তের অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রয়োজনীয় রক্ত পরিসঞ্চালনের অভাবে এ সমস্ত রোগীদের অকাল মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য রোগী রক্তের পরীক্ষা করাতে না পেরে বিভাগের সামনে থেকে ফিরে যাচ্ছে।

কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীর রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য এসেছেন। কিন্তু রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের ব্লাড সেল সেপারেটর বা রেফ্রিজারেটর সেন্ট্রিফিউজ মেশিন খারাপ থাকায় প্রয়োজনীয় রক্তের ব্যবস্থা ছাড়াই ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/21/1542778357822.gif

গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে এসব রোগীরা হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে ঘুরছে। প্রতিদিন এভাবে থ্যালাসেমিয়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা ফিরে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় রক্ত না পেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করা হয় ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এই যন্ত্রের মাধ্যমে রক্তের শ্বেত কণিকা, লোহিত কণিকা, অণুচক্রিকা ও প্লাজমা আলাদা করে রোগীর দেহে দেয়ার উপযোগী করা হয়। থ্যালাসেমিয়া, লিউকেমিয়া, ডেঙ্গুসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রতিবছর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ হাজার ব্যাগ রক্তের কণিকা আলাদা করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে মেশিনটি বিকল হওয়ায় রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী রক্ত সঞ্চালন সম্ভব হচ্ছে না।

রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের এখানে গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো থ্যালাসেমিয়া, লিউকেমিয়া, ডেঙ্গু জ্বরসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা আসেন। তাদের জন্য পিসিবি মেশিনটি খুবই প্রয়োজনীয়। আমাদের মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ার কারণে আমরা রোগীদের সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। খুলনা বিভাগের আর কোথাও ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিন না থাকায় প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে অকাল মৃত্যুও হচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/21/1542778388537.gif

রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম তুষার আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গত ৫ থেকে ৬ মাস আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের পিসিবি মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হবার আগে এখানে থ্যালাসেমিয়া, লিউকেমিয়া, ডেঙ্গুসহ আরও জটিল রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দিয়েছি। রক্ত কণিকা আলাদা করার মেশিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনই রোগীরা এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। মেশিনটি কিছুদিনের মধ্যেই পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ থেকে নতুন মেশিন ক্রয়ের চেষ্টা করছি।’

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই চাহিদাপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু দরপত্রের জটিলতা থাকার কারণে মেশিনটি ক্রয় করতে পারিনি। দেশি বিদেশি সিন্ডিকেটের কারণে এতোদিন আটকে ছিল। কিন্তু আবারো নতুন মেশিন কেনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় পেলেই দ্রুত ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি কেনা হবে।’

উল্লেখ্য, ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি এর আগেও বিকল হয়েছিল। তখন ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি মেরামতের সঙ্গে সঙ্গে খুলনায় থ্যালাসেমিয়া সেন্টার চালুর দাবি করেন অনেকে। তবে দাবি তো পূরণ হয়নি, বরং প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণ।

   

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে মো. সাইফ (৯) নামের এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে অপহরণ চক্রের সদস্যরা। অপহৃত ভিক্টিম জাদিমুড়ার রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদরাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ছাত্রের মামা জামাল উদ্দীন জানান, রোববার বিকালে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের মত মাদরাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজ করতে বের হয়। অনেক খুঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে সকালে একটি মোবাইলফোন থেকে বাড়িতে কল করে বলে সাইফকে পেতে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, না হয় তাকে পাওয়া সম্ভব না বলে মোবাইল কেটে দেন। তখন জানতে পেরেছি তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

ভিক্টিমের ভাই রিয়াজ উদ্দীন জানান, আমার পিতা নাই। বেশি টাকাও নাই। অপহরণকারীরা এত টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমরা তা কীভাবে দেব। আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে তাহার সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাইফকে একজন যুবক এসে বলে, তোমার ভাবি আমার থেকে ৫ হাজার টাকা পাবে সেগুলো নেওয়ার জন্য বাড়িতে যায়। এর পরও যখন ভিক্টিমকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না তখন অপহরণ চক্রের সদস্য তাহার মোবাইল থেকে সাইফের ভাবিকে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিনয় করে ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

;

কক্সবাজারে র‍্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে কৃষক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ভারুয়াখালীতে র‍্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে বায়াত উল্লাহ নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশীর এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরী আজ বিকেলে অপহরণের স্বীকার হয়। বিষয়টি র‍্যাব জানতে পেরে ভারুয়াখালীর ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এলাকার পাহাড়ে র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ডাকাতরা। এসময় এক পর্যায়ে একজন নিরীহ কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।

নিহত বায়াত উল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ জানান, শেরে বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ-মোস্তক এঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো।

এঘটনায় এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এসময় ডাকাত ফরহাদকে আটক করেছে বলে র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে।

;

আমার ধারণাই ছিল না যে নড়াইল এত সমৃদ্ধ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেছেন, নড়াইল হলো মাশরাফি ও আপনাদের এবং আজকে আমার মনে হচ্ছে নড়াইল আমারও। আজকে থেকে নড়াইলের প্রতিটা কাজ আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে দেখব। আমার আসলেই ধারণা ছিল না যে নড়াইল এত সমৃদ্ধ।

তিনি বলেন, নড়াইল মাশরাফির এলাকা। নড়াইলের বাতিঘর আমার ছোট ভাই মাশরাফি। মাশরাফি যা চাইবে, আমি সেটা করে দিব।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানে ৯৯ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরে আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলার সমাপনী ও সুলতান পদক প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের কাছে নিজ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের আবদার করেন। তারই প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মাশরাফি যেমন একজন স্বচ্ছ, পরিষ্কার মনের মানুষ। আমরা দেখতে চাই, নড়াইলের প্রতিটা মানুষ যেন ঠিক মাশরাফির মত। নড়াইলবাসীর মধ্যে যেন বিভেদ না থাকে। তারা যেন প্রত্যেকে মাশরাফির সাথে হাতে হাতে রেখে নড়াইলের উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নড়াইল হলো মাশরাফি, আপনাদের এবং আজকে আমার মনে হচ্ছে নড়াইল আমারও। আজকে থেকে নড়াইলের প্রতিটা কাজ আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে দেখব। আমার আসলেই ধারণা ছিল না যে নড়াইল এত সমৃদ্ধ।

বক্তব্য শেষে প্রতিমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতান মেলায় আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। এরপর এস এম সুলতান কমপ্লেক্স, বাঁধাঘাটসহ নড়াইলের বিভিন্ন ঐতিহ্য ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর আগে চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভীর হাতে সুলতান পদক ২০২৩ তুলে দেন।

এসময় জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদি হাসান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার খান শাহাবুদ্দিনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

;

চোখের অপারেশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল ৬ জনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকায় সকাল সাড়ে ১১ টায় বাস-মাইক্রোর মুখামুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৫ জনসহ এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে ২ জন মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো ৪ জন। এনিয়ে সড়ক দুর্ঘটনাটিতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। এসময় বাঁশখালীর ৬ জনসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলেও জানা যায়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম, খানখানাবাদ ইউপির কুফিয়া ডোংরা গ্রামের গোলাম সোবহানের ছেলে মো. দুলা মিয়া, বাহারছড়া ৭ নং ওয়ার্ডের ইলশা পুরাতন গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আবু আহমদ, পশ্চিম ইলশার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, ডোংরা চৌকিদার বাড়ির আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন।অপরজনের নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে সায়রা খাতুন এবং মাহমদা খাতুন পরস্পর মা-মেয়ে বলে জানান স্বজনরা।

এই ঘটনায় আহতরা হলেন- বাহারছড়া ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আকমল মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, একই ইউপির দক্ষিণ ইলশা ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আবু ছালেকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, খানখানাবাদ ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ, কাথরিয়া ২ নং ওয়ার্ডের মাতব্বর বাড়ির তৈয়ব আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম, ৩ নং ওয়ার্ড বাগমারা গ্রামের আবুল খাইয়েরের ছেলে রফিক আহমদ, একই এলাকার আব্দুল কায়ুম প্র. কাইয়ুম মিয়ার ছেলে নুরুল হোসেনসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহতরা চোখের চিকিৎসা করাতে শুক্রবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম সিকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বাঁশখালীর সাবের আহমদ মাস্টার স্মৃতি সংস্থা এবং বাঁচাও এর উদ্যোগে বিনামূল্যে গরীব দুস্থ মানুষের চোখের চিকিৎসা করে থাকেন। এবারও ২১৫ জনের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা হচ্ছে। কক্সবাজারের বাইতুশ শরফ হাসপাতালে অপারেশন করানো হয়। একদম শেষ পর্যায়ের অপারেশন করে ফেরার পথে আমার এলাকার পাঁচ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এটা খুবই মর্মান্তিক।

নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক।

;