পায়ে হেঁটে দুই বিল পাড়ি দিয়ে পানি আনেন তারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘দুই বিল পাড়ি দিয়ে এক কলস পুকুরের পানি আনতি যাই। হাইটে যাতি প্রায় ১ ঘন্টা লাগে। এক বিল পাড়ি দিয়ে পথের মধ্যে একটু খানি জিরাই। তারপর আবার কলসি কাকে নিয়ে বাড়ি ফিরি। প্রত্যেকদিন এক কলস পানি আনতে গিলি প্রায় দু’ঘন্টা সময় লাগে। এতো কষ্ট করে পানি আনার পরও ওই পানিতে শেওলার গন্ধ থাকে। শীতের সময় থেকে বর্ষাকাল আসা পর্যন্ত এভাবে আমাগের পানি আনতি হয়।’ কথাগুলো বলছিলেন খুলনা কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের কলাপাতা গ্রামের ছবি রানী সরদার।

শুধু ছবি রানী নয়, এ গ্রামের ১২০টি পরিবারেরই একই চিত্র এটি। তারা প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে বিছানা ছাড়ে। সকাল ৭টার মধ্যে সকালের এবং দুপুরের রান্না, খাওয়া সেরে কাজে বের হতে হয়। এ গ্রামের প্রতিটি ঘরের নারী এবং পুরুষেরা সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে অন্যের ঘেরে কাজ করেন। দুপুর ১টায় কাজ শেষে করে বাড়ি ফিরে সংসারের কিছু কাজ গুছিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করে আবার বের হতে হয় খাবার পানি আনার জন্য। বিকাল ৪টার দিকে ওই রোদের মধ্যে কলসি নিয়ে দুই বিল পাড়ি দিয়ে যেতে হয় কলাপাতা গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে বামিয়া গ্রামে। পানি নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে চারিদিকে অন্ধকারে ঢেকে যায়। তখন বসতে হয় রাতের রান্নার জন্য। এভাবেই চলে এই গ্রামের নারীদের দিন রাত।

জেলার কয়রায় ৭ ইউনিয়নে ৪০ হাজার ৫০০ পরিবার রয়েছে। যেখানে ৩ লাখেরও বেশি লোকসংখ্যা। এর মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। কয়রা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্যানুযায়ী উপজেলায় নলকূপের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩২ ও পিএসএফের (পুকুরের পানি পরিশোধন করে খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার উপযোগী করা) সংখ্যা ১৬৫।

স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলের মানুষকে পান করার পানি এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য পুকুর ও বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে, এসব এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনিয়ন্ত্রিত চিংড়ি চাষ, চিংড়ি ঘেরে উঁচু বাঁধ না দেয়া, নদীর প্রবাহ আটকে দেয়া, পুকুর ভরাট ও সরকারি খালগুলো বেদখলের হয়ে গেছে। ফলে মানুষকে মাইলের পর মাইল পেরিয়ে সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সুন্দরবনসংলগ্ন গ্রামগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ।

উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, তীব্র গরমে খাবার পানির পুকুরগুলোও শুকিয়ে গেছে। বাড়ির নারী, শিশুসহ অন্য সদস্যরা কলস নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে পানি সংগ্রহ করে। চারপাশে পানি থাকলেও খাবার উপযোগী পানি নেই কোথাও, সবই লবণাক্ত।

খুলনা মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, কোনো জমিতে ৪ ডিএস/মিটার লবণাক্ততা ফসল উৎপাদনের জন্য স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু এসব এলাকার জমিতে লবণাক্ততার পরিমাণ গড়ে প্রতি মাসে ১১ ডিএস/মিটার। কোথাও কোথাও লবণাক্ততা ১৭ ডিএস/মিটার পাওয়া যায়। অন্যদিকে এসব এলাকায় নদীতে লবণাক্ততার গড় ১৬ ডিএস/মিটারেরও বেশি। এ প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জিএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লবণাক্ততার তীব্রতার জন্য উপকূলীয় এলাকায় আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে যাচ্ছে।

কয়রা উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের এ গ্রামে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করে। এখানে ভাল খাবার পানি তেমন পাওয়া যায় না। এসব এলাকার বেশির ভাগ পানি লোনা। সরকারি ও বিভিন্ন এনজিও মাধ্যমে কিছু পরিবারে পানির ট্যাংকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সময় মত বৃষ্টি না হলে সেগুলোও খালি হয়ে যায়। সরকারি কোনো পুকুর বা জলাধার না থাকায় আমাদের এখানে প্রতিবছর দু-তিন মাস বিশুদ্ধ খাবার পানির কষ্টে থাকতে হয়। এই তীব্র গরমে এলাকায় খাবার পানি ও দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারযোগ্য পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলার ৫নং কয়রা গ্রামের মোঃ আবির হোসেন জানান, এখন তাপদাহ চলছে। এমন আবহাওয়ায় বার বার তৃষ্ণায় কাতর হচ্ছে উপকূলের মানুষ। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষের নাগালে এক ফোঁটা সুপেয় পানি নেই। এখানে তীব্র তাপপ্রবাহে শুধু সুপেয় পানিই নয় দৈনন্দিন ব্যবহারের পানির সংকটও চরমে। এক ফোঁটা পানির জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয় তাদের। নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুদেরও পানি জন্য মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়।

কয়রা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইস্তিয়াক আহমেদ জানান, এ অঞ্চলের মানুষের খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য ৪ হাজার ৫০০ প্লাষ্টিকের ট্যাংক বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত লবণাক্ততার জন্য নলকূপ স্থাপন করা যাচ্ছে না। আর যেসব নলকূপ রয়েছে, সেগুলো নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত পানি ওঠে না। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে দূষিত পানি পান করছে।

   

উপজেলা নির্বাচন

১৫৭ উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি

১৫৭ উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ১৫৭টি উপজেলায় আগামী ২১ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ কামরুজ্জামানের ১৫ মে স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অফ বিজনেস অ্যামঙ দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

;

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য সারাদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

যা গতবারের তুলনায় ৪ লাখ ৪৪ হাজারটি বেশি। এছাড়াও এবার সারাদেশে ৩ হাজার গরুর হাটবাজার বসবে বলেও জানান মন্ত্রী। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেনো ঢাকায় আসতে পারে তা নিশ্চিতকল্পে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, আগামী কোরবানি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকার প্রস্তুত। কোরবানিকে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এছাড়াও কোরবানির চামড়া যেন অবৈধপথে পাচার হতে না পারে তার জন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কেউ যেন পশু আনা নেওয়াতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পুলিশের টিম থাকবে, তাদের মাধ্যমে যে কেউ সহযোগিতা নিতে পারবে। খামারি, সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা যেন তৈরি করা যায় তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামগ্রিক অর্থে আগামীর কোরবানি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও জানান, সড়ক পথে চাঁদাবাজী বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যা করা দরকার তা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি বাজারে পুলিশ কেন্দ্র থাকবে। এবারের কোরবানির জন্য সারাদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি গরু প্রস্তুত আছে।

এবছর কোরবানিতে ১ কোটি ৩৯ হাজারের বেশি চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী চোরাই পথে কোনো গরু যেনো দেশে না আসে তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করলে মন্ত্রী বলেন, চোরাই পথে গরু আসার কোন সুযোগ নাই।

এসময় সভায় খামার প্রতিনিধির লোকজনও উপস্থিত ছিল।   

;

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কে জোড়াতালির সংস্কার, নতুন দুর্ভোগে মানুষ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে এমনিতেই সমস্যা আর সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে ধুলোবালি৷ বালি পাথর ও নুড়ি দিয়ে রোলার করা হচ্ছে রাস্তার গর্ত গুলোতে। এভাবেই একসপ্তাহ ধরে রেখে দেওয়ায় গাড়ি চলাচলের ফলে এগুলো বাতাসে মিশ্রিত হয়ে মানুষের চোখেমুখে লাগছে৷

এতে চালক ও চলাচলরত মানুষের সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে৷ রাস্তায় এই জোড়াতালি দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে গিয়ে সমস্যার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

তবে বিষয়টি জরুরী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক ও জননপথের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী,কিশোরগঞ্জ- ভৈরব মো. মাইদুল ইসলাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কটিয়াদীর আচমিতা জর্জ স্কুলের পাশের সড়কে বালু ও ছোট পাথর ফেলে রাখা হয়েছে একসপ্তাহ ধরে। স্কুলের শিক্ষার্থীরা মুখে রুমাল চেপে যাচ্ছে৷ কারো চোখে বালু পাথর ডুকে চোখ লাল হয়ে গেছে৷ চালকদের চোখে বালু পড়ে আহত হচ্ছে৷ এতে ঝুঁকি বেড়েছে। সড়কজুড়ে খানাখন্দ। উঠে গেছে পিচঢালাই। কোথাও কোথাও সড়কের এক পাশ দেবে গেছে। আবার অন্য পাশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। কোথাও আবার ইট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে।

অথচ ২০১৯ সালের শেষ দিকে ১৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ প্রায় ৬০ কিলোমিটার কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটির সংস্কারকাজ করে। সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতেই সড়কটির প্রায় ১৫ কিলোমিটার আবারও খানাখন্দে ভরে গেছে। কোথাও এবড়োখেবড়ো হয়ে দেবে গেছে। কোথাও আবার পিচ ও ইটের টুকরো স্তূপ হয়ে আছে।

পথচারী সজীব আহমেদ বলেন, দুর্ভোগ যেখানে কমার কথা সেখানে বাড়লো আরো৷ ধুলাবালুর জন্য চলাচল করা যাচ্ছেনা৷ এই সমস্যা কারো চোখেই যেনো পড়ছেনা৷'

কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজিতপুরের উজানচর মোড়ের আগ পর্যন্ত অন্তত তিন কিলোমিটার সড়ক পর্যন্ত এবড়োখেবড়ো হয়ে আছে। খানাখন্দের জায়গা দিয়ে গাড়ি ধীরে ধীরে চলাচল না করলে উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। অনেক সময় গাড়ি উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এরপর উজানচর মোড় পার হয়ে কুলিয়ারচরে শেষ হয়ে ভৈরব পর্যন্ত আরও অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থাও নাজুক। সব মিলিয়ে মহাসড়কটির কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা হলেও সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি সাত কিলোমিটার সড়কের সমস্যা।

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি ১৮ থেকে ৩০ ফুটে প্রশস্তকরণ করা হয়। প্রায় ৬০ ফুট সংস্কারকাজে ব্যয় হয় ১৮৮ কোটি টাকা।

সওজ কিশোরগঞ্জের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী,কিশোরগঞ্জ, ভৈরব) মো. মাইদুল ইসলাম বার্তা ২৪.কম'কে বলেন, কিছু স্থানে বালু ও পাথর ফেলা হয়েছে৷ এগুলো লেভেল হতে কয়দিন সময় লাগে৷ ধুলাবালির সমস্যা হচ্ছে বিষয়টি জানতাম না৷ দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যাবস্থা নিচ্ছি।

এছাড়ও কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত কিলোমিটার সংস্কারকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

;

মদের আসরে কমার্স কলেজের ছাত্ররা! ভিডিও ভাইরাল



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মদের আসরে কমার্স কলেজের ছাত্ররা, ভিডিও ভাইরাল

মদের আসরে কমার্স কলেজের ছাত্ররা, ভিডিও ভাইরাল

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শাহ আলী থানার ঢাকা কমার্স কলেজের (ডিসিসি) পোশাকে কয়েকজন শিক্ষার্থী মদের আসর বসিয়েছেন। এরপর বিদেশি ব্রান্ডের মদের বোতলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তারা।

গত সোমবার 'ডিসিসি স্কয়াড' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভিডিওটি প্রথম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তানভীর মাহাতাব রাজ নামের এক শিক্ষার্থী। তবে তার পোস্ট করার সময়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিডিওতে ছয়জন শিক্ষার্থীকে দেখা যায়। তাদের মধ্যে ছিলেন- তানভীর মাহাতাব রাজ, শান্ত, সেজান হান্নান, আকিব। বাকি দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা সবাই কমার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখে গেছে, কমার্স কলেজের ছয় শিক্ষার্থী একটি রুমের ভেতরে মদের বোতল নিয়ে একেকজন হাতবদল করছেন। একজন ছাত্রের মদের বোতলে চুমু দেওয়া ছবি সেই ভিডিওর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ আছে, এমন মদের আসরে ছাত্রীরাও বসছেন। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এ ছবি ভাইরাল হওয়ার পর সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ডিসিসি স্কয়াড নামের পেজটি ঘেটে দেখা গেছে, কমার্স কলেজের শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের আলোচিত বিভিন্ন ঘটনার টিকটিক ভিডিও তৈরির করার ঘটনা নিয়মিত। এমন কি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কলেজের পেছনের দেওয়াল দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও রয়েছে। ডিসিসি স্কয়াড নামের পেজটি থেকে কমার্স কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বিতর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও নিয়মিত পোস্ট করতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, কমার্স কলেজের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারেননি ব্যবস্থাপনা কমিটি। তারা শুধু টাকার নেশায় বুধ হয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় চরম অবহেলা সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য ও আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা আদায়ই এখন একমাত্র টার্গেট। একটা সময়ে সারাদেশে সেরা কলেজ এখন শাহ আলী থানার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পায় এটা লজ্জার। শাহ আলী থানা এলাকায় মাত্র দুটি কলেজ দুটি কলেজের মধ্যে সেরা হয়েও সেটি আবার নানাভাবে প্রচার করেন সংশ্লিষ্টরা।

কলেজের পোশাকে মদের আসরে শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ বলেন, আমার ওই শিক্ষার্থীকে খুঁজতেছি। খুঁজে পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীদের আপত্তিকর টিকটক ভিডিও ও গানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমি আপনার সঙ্গে আর কোনো কথা বলতে পারছি না। ধন্যবাদ।

এমন কাণ্ডের বিষয়ে জানতে কমার্স কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপদেষ্টা দেওয়ান জোবাইদা নাসরিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

;