রাজধানীর যানজট নিরসন করে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা, অবৈধ যানবাহন, মাটি ও বালি বহনকারী ট্রাক ও হকারদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, এডমিন এন্ড রিসার্চ) মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই সঙ্গে তালিকা পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মূল সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ব্যবহার রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বড় সমস্যা। এসব যান হুটহাট সড়কে চলে আসছে। সঙ্গে আছে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের দৌরাত্ম্য। ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূল সড়কে যেন অযান্ত্রিক যানচলাচল করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ছক অনুযায়ী ৮টি ট্রাফিক বিভাগ থেকে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা, অবৈধ যানবাহন, মাটি ও বালি বহনকারী ট্রাক ও হকারদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই তালিকা পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গতকাল এবং আজ আমরা পর্যবেক্ষণ ও চালকদের সচেতন করছি। পরবর্তী সময়ে ঢাকা মহানগরীর মূল সড়কে অটোরিকশা পেলেই ধরা হবে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল' কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম।
এ সময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনা মামলার তদন্ত সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে ডিআইজি অপারেশন্স (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।