হংকং বিক্ষোভ: ট্রাম্পের কাছে সাহায্যের আবেদন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে দুই মাস আগে শুরু হওয়া হংকংয়ের বিক্ষোভ মোড় নিয়েছে অন্যদিকে। বিক্ষোভের ১৪তম সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত 'দ্যা স্টার-স্পাংগ্লেড ব্যানার' গেয়ে ট্রাম্পের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। মার্কিন দূতাবাস প্রধানের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভকারীরা 'হংকংয়ের জন্য যুদ্ধ কর ও আমাদের পাশে দাঁড়াও' বলে স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন: প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের পরও হংকংয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত

প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিক্ষোভকারীরা ব্যানার হাতে 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হংকংকে বাঁচান' স্লোগান দেয়। বিক্ষোভে তারা পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। এই পাঁচটি দাবির একটিও কম নয় বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

আরও পড়ুন: প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের ঘোষণা হংকংয়ের নেতার

এদিকে হংকংয়ের এ পরিস্থিতিতে যেন অন্য কেউ মাথা না ঘামায় সে বিষয়ে অনেক আগেই সতর্ক করেছে চীন। এমনকি এটি সম্পূর্ণভাবে চীন ও হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও জানানো হয়। তবে হংকংয়ের এ বিক্ষোভ মিছিল বিপরীত কথা জানান দিচ্ছিল। যেখানে হাজারও বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে। শুধু তাই নয় সম্প্রতি 'হংকংয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র' আইনটি পাশ করার একটি প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন তারা।

আরও পড়ুন: হংকং বিক্ষোভ: জলকামান ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

এদিকে বিক্ষোভকারীদের এ মিছিলে আবারও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন পুলিশ। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারও করা হয়।

আরও পড়ুন: গণবিক্ষোভের মুখে হংকংয়ে সরকারি দফতর বন্ধ ঘোষণা

চীনের প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে নতুন ‘আমব্রেলা মুভমেন্ট’

   

করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা অবশেষে স্বীকার করলো ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে বহু গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০২৩ সালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুই সন্তানের জনক জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে তার মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়। স্বাভাবিক কার্যক্ষমতাও কমে গেছে জেমি স্কটের। 

অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ‘খুব বিরল টিটিএস’ এর ঘটনা ঘটতে পারে। টিটিএসের পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম। এর ফলে মানুষের রক্তে প্লেটলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, ‘জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা স্বীকার করি না।’

কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলে, ‘আমরা এটি স্বীকার করছি যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কারণে খুব বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস-এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।’ 

অ্যাস্ট্রাজেনেকা নথিতে আরও উল্লেখ করে, ‘এ ছাড়া, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা (বা যেকোনো টিকা) না দিলেও থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঘটনা ঘটতে পারে। কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটার কারণ জানার বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার দাবি রাখে।’

সব মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। আইনজীবীরা বলছেন, সংখ্যা ছোট হলেও এই টিকা ভুক্তভোগীদের পরিবারের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে।

 

;

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩১ জন। স্থানীয় সময় রোববার (২৮ এপ্রিল) এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। 

স্থানীয় নিরাপত্তা সচিব জানিয়েছেন, মেক্সিকো রাজ্যের রাজধানীর উপকণ্ঠে সড়কপথে একটি বাস উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, এ দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৪ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। ২০২২ সালে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৩১টি সড়ক দুর্ঘটনার খবর রেকর্ড হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, উত্তর-মধ্য রাজ্য সান লুইস পোটোসিতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চারজনই ছিল শিশু।

এর আগে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) অভিবাসীদের ওপর একটি ট্রাক উঠে গেলে তিনজন নিহত হন। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওক্সাকা রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ওই ঘটনায় চালক এখনও পলাতক রয়েছেন।

 
 
;

‘অব্যাহত রুশ হামলায় পিছু হটছে ইউক্রেন’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি। রোববার (২৮ এপ্রিল) টেলিগ্রামে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রামে দেয়া ওই পোস্টে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেন, রাশিয়ার ক্রমাগত হামলায় রণক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার মুখে সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে বেশকিছু অবস্থান থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে আরও দুর্বল হচ্ছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান আরও বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দোনেৎস্কের কিছু অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রতিরক্ষাব্যুহ তৈরি করছেন ইউক্রেনের সেনারা।

এদিকে, কিয়েভকে নতুন করে অস্ত্র দেয়া সংক্রান্ত ৬১ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল কয়েক মাস আটকে থাকার পর গত সপ্তাহে তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যত দ্রুত সম্ভব কিয়েভে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে করে জরুরি হয়ে পড়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। এরপরই তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি।

;

একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই পারে রাফাহতে ইসরায়েলি ‘হামলা থামাতে’: আব্বাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা ইসরায়েলকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা থেকে বিরত রাখতে পারে। রাফাহ শহরটিতে প্রায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, যে কোনো হামলা হলে ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। ইসরায়েল বেশ কিছুদিন থেকেই রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়ে আসছে।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে, তারা রাফাহতে বেসামরিক মানুষদের ক্ষতির বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে না।

এর আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস রাফাহতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করছি ইসরায়েলকে রাফাহ অভিযান বন্ধ করতে বলুন; কারণ আমেরিকাই একমাত্র দেশ যে ইসরায়েলকে এ অপরাধ করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম। রাফাহতে ছোট পরিসরে হামলা হলেও এখানকার ফিলিস্তিনিরা গাজা উপত্যকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

তখন ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেন আব্বাস।

যদিও জো বাইডেন রাফাহতে ইসরাইলের হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেন নি, তবে জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নেটওয়ার্ককে বলেছেন তারা ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে এবং রাফাহতে হামলার আগে তারা দ্বিতীয়বার ভাববে।

 

 

;