প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের পরও হংকংয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের ঘোষণার পরও থেমে নেই হংকংয়ের বিক্ষোভ। টানা দুই মাস ধরে চলা এ বিক্ষোভ এখনও হংকংকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম। কিন্তু এ ঘোষণার পরও হংকংয়ের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস, পেপার স্প্রে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে।

বিক্ষোভের ১৪ সপ্তাহ পরেও বিক্ষোভকারীদের মিছিলে উত্তাল মংকক শহরের প্রিন্স এডওয়ার্ড রেলস্টেশন। বিক্ষোকারীরা কালো পোশাক-ছাতা এবং মাস্ক পরে বিক্ষোভে যোগ দেন। তাদের মুখে একটাই স্লোগান- চীনের নিয়ন্ত্রণ থেকে হংকংয়ের মুক্তি চাই।

জাস্টিন নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'আমরা সরকার ও পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ কারণ তারা আমাদের সঙ্গে অন্যায় করছে।'

এদিকে বিক্ষোভের মুখে মংকক শহরের প্রিন্স এডওয়ার্ড রেলস্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন। ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বিলটি পাশ করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে তাইওয়ানে ঘুরতে গিয়ে ২০ বছর বয়সী এক নারী তার প্রেমিকের দ্বারা নিহত হন। গর্ভবতী অবস্থায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে হংকংয়ে পালিয়ে যান ঘাতক। তাইওয়ানের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে বলেন। তাইওয়ান ও হংকংয়ের বন্দী বিনিময়ের চুক্তি না থাকায় প্রত্যর্পণ বিলটি নতুন করে সামনে আসে। 

হংকংয়ের বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে জানান, প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলটি পাশ করা হলে হংকংয়ের উপর চীনের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় হংকংয়ের সাধারণ মানুষ প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরবর্তীতে বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করলে চীনের উপর হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে অব্যাহতি চান বিক্ষোভকারীরা।  

   

হার্ভার্ড লাইব্রেরির বই বাঁধাই থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে গত ৯০ বছর যাবত সংরক্ষিত ছিল মানুষের চামড়ায় বাঁধানো একটি বই। বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, এ বইটি থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম এএফপি’র মাধ্যমে জানা যায়, ঊনবিংশ শতকের বই ডেস ডেস্টিনেস দে ল’আমে বা আত্মার নিয়তি। পরবর্তীতে বইটি নিয়ে গবেষণা হয়। ২০১৪ সালে জানা যায়, এক মৃত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় এই বই।

হার্ভার্ড জানিয়েছে, বইটির বাঁধাই অপসারন করা হয়েছে এবং উল্লেখ করেছে, ‘বইটির তদারককারীদের অতীতের ব্যর্থতা যা মানুষের মর্যাদাকে আরও আপত্তিকর এবং যার দেহাবশেষ বাঁধাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল তাকে হেয় করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ফরাসি লেখক আর্সিন হোসায়ের লেখা বইটির প্রথম মালিক ছিলেন ড. লুডোভিচ বোল্যান্ড। তিনি এক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ওই হাসপাতালের এক মানসিক রোগী হৃদরোগে মারা গেলে তার চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেন ড. বোল্যান্ড। বোল্যান্ড একটি নোটে হাউসেয়েকে বলেছিলেন: ‘মানুষের আত্মা সম্পর্কে একটি বই মানুষের ত্বকের আবরণ পাওয়ার যোগ্য।’

বুধবার হার্ভার্ড বিবৃতিতে বলেছে, বইটির সাথে সম্পর্কিত বোল্যান্ডের স্টুয়ার্ডশিপ অনুশীলনগুলো ‘নৈতিক মানগুলোর স্তর পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এতে বলা হয়, বইটি মানুষের ত্বকে আবদ্ধ ছিল তা নিশ্চিত করার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের পরে লাইব্রেরি ব্লক পোস্টে বইটি সম্পর্কে ‘একটি চাঞ্চল্যকর, বিষাদগ্রস্ত এবং হাস্যকর টোন ব্যবহার করেছে যা অনুরূপ আন্তর্জাতিক মিডিয়া কভারেজকে উৎসাহিত করে।’

২০২২ সালে হার্ভার্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সংরক্ষণে রয়েছে আরও ২০ হাজারেও বেশি মানব দেহাবশেষ, যার মধ্যে আছে কঙ্কাল, দাঁত, চুল, এবং হাড়ের অংশ।

;

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংকট-কবলিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) জাপান পুনরায় অর্থায়ন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি গাজাকে প্রায় সমস্ত সাহায্যের সমন্বয় করে। সরকার এ কথা জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ’র ১৩ হাজার গাজা কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন ৭ অক্টোবর হামাসের মারাত্মক হামলায় জড়িত ছিল বলে ইসরায়েলের অভিযোগের পর সংস্থার ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থায়নকারী জাপান এক ডজনেরও বেশি দেশের সাথে তাদের তহবিল স্থগিত করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া প্রশাসন ও স্বচ্ছতা জোরদার করার জন্য সংস্থার গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) টোকিওতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনির সাথে দেখা করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাপান এবং ইউএনআরডব্লিউএ নিশ্চিত করেছে, তারা জাপানের অবদান পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার বিষয়ে চূড়ান্ত সমন্বয় এগিয়ে নেবে।

জাপানি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে স্থগিত হওয়া তহবিল পুনরায় চালু করা হবে। এপ্রিলের প্রথমার্ধে সহায়তা সংস্থায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তহবিল আকস্মিকভাবে স্থগিত হওয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর গাজায় মরিয়া প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যেখানে জাতিসংঘ আসন্ন দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।

এই মাসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন এবং অন্যান্যরা বলেছে, তারা সাহায্য সরবরাহ আবার শুরু করছে।

লাজারিনি মঙ্গলবার বলেছেন, সংস্থাটির অন্তত মে মাসের শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট তহবিল রয়েছে।

;

ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে "লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি একটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হামলায় ৩৬ সিরীয় সৈন্য" নিহত হয়েছে"।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে চালানো সিরিয়ায় বিমান হামলায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।

;

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ব্ল্যাক সি’য়ের ওপর থেকে রাশিয়ান বিমানের নিক্ষেপ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের যুদ্ধক্ষমতা হারিয়েছে।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, পরবর্তীতে রাশিয়া সকালে আরও একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

;