মুশফিক ও শেষ ওভারের দুঃখ গাঁথা!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘অপরাধী’-শিরোনামে একটা গান সম্প্রতি বেশ চলেছিল। কোন এক ম্যাচের শেষে ড্রেসিংরুমে সাকিবরাও তাতে সুর মিলিয়েছিলেন। মনে হচ্ছিল ক্রিকেটারদেরও বেশ পছন্দই হয়েছে প্রেম-অভিযোগ এবং অভিমানের বৃত্তে তৈরি সুর, ছন্দ ও পরিচিত সব শব্দমালা নিয়ে তৈরি এই গানের গাঁথুনি!

বড় কোন জয়ের পর ড্রেসিংরুমে আমাদের ক্রিকেট দল আরেকটা বেশ পরিচিত গান গায়-আমরা করবো জয়... একদিন!’ জয় আনন্দের উপলক্ষে অনেকদিন ধরে গাইছে এই গান বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

তবে গায়ানায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর ক্রিকেট গীতিকাররা নতুন গানের একটা প্লট এখন পেয়ে গেছেন। শিরোনামও ঠিকঠাক প্রায়-‘শেষ ওভারের দুঃখগাঁথা, কষ্টের কথা!’ হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ক্রিকেটীয় এই গানের লিড ভোকালিস্টও একেবারে দুস্তরমতো ঠিক-মুশফিকুর রহিম!

সাম্প্রতিক সময়ে শেষ ওভারে এসে বাংলাদেশ এমনসব কায়দায় ম্যাচ হেরেছে যে সেই ম্যাচগুলো নিয়ে এখন লম্বা দুঃখের সারি গান তৈরি করে ফেলা যায়। নিশ্চিত জয়ের কাছে দাড়ানো ম্যাচ হেরে আসছে বাংলাদেশ! একবার নয় দু’বার নয়। বারবার! একই ভুলের বৃত্তে আটকে যাচ্ছে দল। আর কি আশ্বর্য, প্রতিবারই শেষ ওভারের হারের এই দুঃখগাঁথার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের নাম!

দু’বছরের ব্যবধানে ব্যাঙ্গালোর থেকে দেরাদুন ঘুরে একই কাহিনী ফের দেখল ক্রিকেট বিশ্ব এবার গায়ানায়।

শুনি সেই ক্রিকেট দুঃখের সারি গান!

২৩ মার্চ, ২০১৬ সাল। ভেন্যু: ব্যাঙ্গালোরের চিন্মাস্বামী স্টেডিয়াম: টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ লড়ছে ভারতের বিপক্ষে। ভারতের গড়া ১৪৬ রানের স্কোর প্রায় ছুঁয়ে ফেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জিততে চাই ১১ রান। ৬ বলে ১১ রান। হাতে ৪ উইকেট জমা। ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বল থেকে মাহমুদউল্লাহ ১ রান নিলেন। দ্বিতীয় বলেই মুশফিকের বাউন্ডারি! পরের বলেই আরেকটি বাউন্ডারি হাঁকালেন ফাইন লেগের মাথার ওপর দিয়ে! বল বাউন্ডারিতে যেতেই মুশফিক শূন্যে ঘুসি হাঁকিয়ে যেন আগাম ঘোষণা দিলেন-ম্যাচ তো আমরা জিতেই গেছি! শেষ তিন বলে জিততে হলে চাই মাত্র ২ রান।

হাতে তখনো অক্ষত ৪ উইকেট। জয় উৎসবের জন্য প্রস্তত বাংলাদেশের ডাগআউট। অথচ এমন ম্যাচও হেরে এল বাংলাদেশ! পরের তিন বলের দুটোতে প্রথমে মুশফিক পরে মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ দিয়ে এলেন। মিডউইকেটে প্রায় একই জায়গায়। তাও আবার ফুলটস বলে! শেষ বলটা ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না শুভাগত হোম। রানের জন্য মুস্তাফিজ ছুটলেন এবং রান আউট। বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গেল ১ রানে!

ডাগআউটে হতাশায় দু’হাতে মুখ ঢাকা মুশফিকের ছবিটা তখন মাঠের বিগস্ক্রিনে!

শেষ ওভারে এমন ক্লোজ ম্যাচ হারের পরের ঘটনা আরো সাম্প্রতিক সময়ের।

৭ জুন, ২০১৮ সাল। ভেন্যু দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম: আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচের শেষ ওভার। জিততে হলে বাংলাদেশের চাই ৮ রান। বোলার রশিদ খান। এখানেও মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক ব্যাট হাতে উইকেটে । স্ট্রাইকে মুশফিকুর রহিম। ৩৬ বলে ৪৬ রান করা মুশফিক ম্যাচটা শেষ করে দিয়ে আসছেন এই অপেক্ষায় পুরো দল। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলেই প্রিয় স্লগ সুইপ খেলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ। পরের বলে মাহমুদউল্লাহ ১ রান নিলেন। তৃতীয় বলে আরিফুর হকের ব্যাটে এল আরও ২ রান।

জয়ের আরো কাছে বাংলাদেশ। চতুর্থ বলে আরিফুল ১ রানের বেশি পেলেন না। পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহও মাত্র ১ রান নিতে পারলেন। শেষ বলে জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন তখন ৪ রান। অন্তত ৩ রান হলেও ম্যাচ টাই হবে। স্ট্রাইকে আরিফুল হাঁকালেন। রশিদ খানের বলটা উড়ে যাচ্ছিল লং অন বাউন্ডারির দিকে। ছক্কাই বুঝি হয়ে গেল! কিন্তু শফিকুল্লাহ বাউন্ডারি সীমানায় পুরো শরীর শূন্যে মেলে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার ভঙ্গিতে হাত লাগিয়ে বল মাঠের মধ্যেই রাখলেন। বিদ্যুৎগতিতে উঠে দাড়িয়ে সেই বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠালেন উইকেটকিপারের কাছে। তৃতীয় রান নিতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ তখন রান আউট!

বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গেল ১ রানে! এত কাছে এসেও জেতা হল না, আরেকবার।

মুশফিকের হতাশায় নুয়ে পড়া চেহারাটা এখানেও মিলল।

২৬ জুলাই, ২০১৮ সাল। ভেন্যু: গায়ানার প্রভিন্স স্টেডিয়াম:

ম্যাচের শেষ ওভার। ৬ বলে জিততে চাই ৮ রান। জ্যাসন হোল্ডারের প্রথম বল লো ফুল টস মুশফিকের ব্যাট বরাবর। মুশফিক তুলে মারলেন এবং মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ। বিপদের যেন সেই শুরু! নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত পরের দুই বলে কোন রানই নিতে পারলেন না। চতুর্থ বলে কোনমতে ২ রান পেলেন। অপরপ্রান্ত থেকে মাশরাফি এসে সাহস দিলেন মোসাদ্দেককে। কিন্তু পঞ্চম বল মোসাদ্দেক যেভাবে খেললেন তাতে এবার মিলল মাত্র ১ রান। হিসেব পরিস্কার, শেষ বলে জিততে চাই ৫ রান। বাউন্ডারি হলে ম্যাচ টাই হবে। মাশরাফি চেষ্টা করলেন। কিন্তু এল মাত্র ১ রান। বাংলাদেশ এই ম্যাচ হারল ৩ রানে! ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সমতা আনল।

ডাগআউটে মুশফিক তখনো প্যাড পরেই বসে আসেন। কপাল গড়িয়ে আসা পরিশ্রমী ঘাম মুছছেন আঙ্গুলের ডগায়। নাকি বন্ধ চোখের পাতায় কষ্টের কান্না লুকাচ্ছেন? হতাশ! স্তম্ভিত!! পাথুরে মুর্তি যেন!!! টিভি ক্যামেরায় লেন্সে তার তীব্র কষ্ট-দহনের মুখচ্ছবি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশের জন্য শেষ ওভারের দুঃখ-কষ্ট, হতাশা ও যন্ত্রণা চিত্রের আরেকটি এফিটাফ যেন!

   

‘ধোনি নিশ্চিতভাবে আবারও গর্জে উঠবেন’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের আইপিএল আসর শেষ করেই অবসরে যাবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এমনটাই জানত সবাই। কারণ তিনি নিজেই জানিয়ে রেখেছিলেন এ কথা। তবে গেলবার শিরোপা জিতে নেওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনেন তিনি। চলতি আইপিএলেও প্রতি ম্যাচেই মাঠে নেমে নিজের জাত চিনিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

শনিবার চলতি আইপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ম্যাচ নিজেদের নামে করে প্লে-অফেও জায়গা করে নিয়েছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু। অপরদিকে খুব সম্ভবত নিজের শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি খেলে ফেলে নিরবে বিদায় নিয়ে ফেললেন ধোনি।

তবে ধোনি আরও বেশ কয়েকদিন মাঠের খেলা চালিয়ে যাবেন, এমনটাই আশা করেন তার ভক্তরা। এমনকি চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসিও বলেছেন, তিনি আরও কয়েক মৌসুম ধোনিকে খেলার মাঠে দেখতে পাচ্ছেন। এবার একই সুরে বললেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা।

গতরাতে ধোনির হারটা মেনে নিতে পারেননি উথাপ্পাও। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি না আমরা ধোনির শেষ ম্যাচ দেখেছি। তিনি এমন কেউ নন যে এই বিষয়গুলোকে হালকাভাবে নেন। তিনি নিশ্চিতভাবে আবারও ব্যাট হাতে গর্জে উঠবেন।‘

ধোনি আরেকটু আগে উইকেটে নামলে হয়ত চেন্নাই নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারত ম্যাচটি। চেন্নাইয়ের হারের এই দিনে ধোনিকে কেন আরেকটু আগে ব্যাটিংয়ে নামানো হলো না এ বিষয়ে উথাপ্পা বলেন, আমরা তাকে কেবল শেষ ৪ বা ৫ ওভারে ব্যাট করতে দেখেছি। এরও একটি কারণ রয়েছে। তার হাঁটুতে চোট ছিল একটু বেশি গুরুতর ছিল। এই কারণে, তাকে নিজেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে যা তিনি প্রায়শই করে এসেছেন। চোট থাকার পরও তিনি চেন্নাইয়ের দলে অবদান রাখতে চেষ্টা করেছেন।‘

;

শেষ ম্যাচে হাসল পাঞ্জাবের ব্যাট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে আছে আরও আগেই। তবে আজকে ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে জয় তুলে নিলে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠবে তারা। অপরদিকে পাঞ্জাবের জন্য ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার। বর্তমান পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী তলানির দিকেই তাদের অবস্থান।

আইপিএলের এবারের আসরটি একদমই ভালো কাটেনি পাঞ্জাবের। শেষ ম্যাচেই তাদের পাওয়ার কিছু নেই। তবে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্যাট হাতে ঠিকই খুশি করতে পেরেছে সমর্থকদের। হায়দরাবাদের মাঠে তাদেরকে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে তারা।

এদিন ব্যাট হাতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার। অথর্ব করেছেন ২৭ বলে ৪৬ রান এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৭১ রান। রাইলি রুসোও খেলেছেন ২৪ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

অধিনায়ক জিতেশ শর্মাও ছিলেন ফর্মে, তার ১৫ বলে ৩২ রানের ক্যামেওতে ভর পর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ করেছে পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের হয় ২টি উইকেট শিকার করেছেন নাতারঞ্জন। এছাড়া কামিন্স ও বিজয়াকান্ত নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

;

লিভারপুল ছাড়ার আগেই ক্লপের ‘নতুন শুরু’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিভারপুলের ডাগআউটে আজ শেষবারের মতো দাঁড়াবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। অলরেডদের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি। অবশ্য তার আগেই নতুন এক আঙিনায় পদচারণা শুরু হল তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাম লিখিয়েছেন ক্লপ, যোগ দেয়ার একদিনের মাথায় তার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

কোচিং ক্যারিয়ারে ব্যস্ত সময় কেটেছে ক্লপের। ২০০১ সালে জার্মান ক্লাব মেইনজের দায়িত্ব নিয়ে পেশাদার কোচিং শুরু তার। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘুরে লিভারপুলে থিতু হয়েছিলেন। কোচিং ব্যস্ততায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না তিনি।

বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বেশ অজ্ঞ, এমনকি এগুলো নিয়ে খুব একটা আগ্রহ বোধ করেন না তিনি। তবে লিভারপুল ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদচারণা শুরু করলেন তিনি।

ক্লপের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘ক্লপো’। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই তার ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তরতরিয়ে বাড়ছে ফলোয়ার সংখ্যা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারি তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করেছেন।

;

জাভিকে ছাঁটাই করবে বার্সেলোনা?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনার টানা বাজে পারফরম্যান্সের পর কোচ জাভি হার্নান্দেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, এই মৌসুম শেষেই বিদায় নিবেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এবার মৌসুমের শেষদিকে এসে আরও একবার জাভির বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এখন আর জাভিকে কোচ হিসেবে রাখতে চান না বার্সেলোনার সভাপতি। তবে নিজের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সব গুঞ্জন উপেক্ষা করে বার্সা কোচ জানিয়েছেন, ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জাভিকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। জাভি আবার বলেছেন এ বিষয়ে বার্সেলোনা তাকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, ‘কোনো রিপোর্ট নিয়ে আমি আগ্রহী নই। ক্লাব আমাকে শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। আমার কাছে সবকিছুই এখনো আগের মতোই আছে।‘

আজ রবিবার রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জাভি কথা বলেছেন, ‘আমরা সভাপতির সাথে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কোন কিছু হয়ে থাকলে সবাই জানতো। কিন্তু কার্যত তিন সপ্তাহ আগে যেমন ছিল সবকিছুই এখনো তেমনই আছে।’

;