উপভোগ্য ব্যাটিংয়ে রংপুরের জয়, বিদায়ের পথে খুলনা



এম. এম. কায়সার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
জয়ে ফিরল মাশরাফির রংপুর

জয়ে ফিরল মাশরাফির রংপুর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইনিংসের প্রথম বল থেকে ম্যাচের ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলে গেলেন ক্রিস গেইল। কিন্তু রান মাত্র ৫৫। প্রায় পুরোটা জুড়েই ব্যাটিংয়ে থেকে বল খেললেন মাত্র ৪০ টি! তারপরও রংপুর রাইডার্স ১৮২ রানের বিশাল টার্গেট টপকে গেলো অনায়াস ভঙ্গিতেই। ম্যাচ জিতলো ৬ উইকেটে।

৫ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ক্রিস গেইলের ৪০ বলে ৫৫ রানের ইনিংসকে ঠিক ঝড়ো বলার উপায় নেই। কিন্তু ব্যাট হাতে এই ম্যাচে অ্যালেক্স হেলস ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ের উপমা জানতে আপনাকে অভিধানের পাতা উল্টাতে হবে! গেইল খেললেন ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট। আর হেলস এবং ডি ভিলিয়ার্স ব্যাটিংয়ে যেন সুনামি বইয়ে দিলেন!

স্কোরবোর্ড জানাচ্ছে ৩ বল বাকি থাকতে এই ম্যাচ জিতেছে রংপুর। ম্যাচ গড়িয়েছে শেষ ওভারে। তবে এই ব্যবধান দেখে যদি কেউ ভেবে থাকেন বড় স্কোরের ম্যাচটা জমেছে; তবে তিনি ঠকবেন নিশ্চিত! ঠিক যাকে বলে তারিয়ে তারিয়ে জয়; এমন ভঙ্গিতেই খুলনার বিপক্ষে এই ম্যাচটা উপভোগ করে জিতেছে রংপুর।

জয়ের জন্য ১৮৮ রান তাড়া করতে নামা রংপুর রাইডার্স শুরুর ওভার থেকে বলের সুতো খুলে ফেলার স্টাইলের ব্যাটিং শুরু করে। আর এই নির্দয় পিটুনির ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন অ্যালেক্স হেলস। অন্যপ্রান্তে ক্রিস গেইল শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেটা দেখেন। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে রংপুর রাইডার্সের স্কোরবোর্ডে রান জমা হয় কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৮। এই রানের মধ্যে ৫৪ রানই অ্যালেক্স হেলসের। তাও আবার মাত্র ২৬ বলে। অন্যপ্রান্তে ক্রিস গেইল তখন শুধু ‘হেলস ঝড়’ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। গেইলের রান তখন মাত্র ১০ বলে ৪!

প্রথম উইকেট জুটিতে রংপুর তুললো ৭৮ রান। যেখানে হেলসের অবদান ৫৫। গেইলের মাত্র ২৩! ওয়ান ডাউনে এলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এসেই ছক্কা-চারের ঝড়! দেখতে না দেখতে গেইলের চেয়ে বেশি রান ভিলিয়ার্সের! ১০ ওভারেই ৯৯ রানে পৌছে গেলো দলের ইনিংস। সামনে যাকেই পাচ্ছেন তাকেই হাঁকাচ্ছেন মি. থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী! যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো ১৫ ওভারের মধ্যেই টার্গেট ছাড়িয়ে যাবে রংপুর। খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এসে থামালেন ‘ভিলিয়ার্স ঝড়’। ততক্ষনে অবশ্য তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ২৫ বলে ৪১ রান। যাতে আছে ৪ ছক্কা, ৩ বাউন্ডারি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গেইল-ভিলিয়ার্সের যোগাড় ৪৩ রান। যেখানে ভিলিয়ার্স করলেন ৪১। গেইল বাকি ২!

ভিলিয়ার্স যখন ফিরলেন তখন ম্যাচ জিততে রংপুরের চাই ৪৬ বলে ৬২ রান। হাতে জমা ৮ উইকেট। ক্রিস গেইল তখনো ফুঁসতেই শুরু করেননি! আমেজ জমাতেই যেন ম্যাচটা আরেকটু শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেলেন গেইল। ২ ওভারে ৮ রানে ১ উইকেট তুলে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ তখন খুলনার সেরা বোলার। কিন্তু নিজের তিন নম্বর ওভারে এসে মাহমুদউল্লাহর বোলিংয়ের সেই হিসেব পুরো বদলে গেলো! সেই ১৮ নম্বর ওভারে গেইল মাহমুদউল্লাহকে তিন ছক্কা হাঁকালেন। ওভারে রান উঠলো ২০। যার ১৯ রানই গেইলের। পরের ওভারে জুনায়েদ খানের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে গেইল যখন বাউন্ডারি লাইনের কাছে ক্যাচ আউট হলেন তখন ম্যাচ জয় থেকে ১১ রান দুরে দাড়িয়ে রংপুর।

শেষ ওভারে সেই টার্গেট কমে দাড়ালো ৬ রানে। ওভারের প্রথম বলেই মোহাম্মদ মিঠুন স্ট্যাম্পড! তবে ইয়াসির শাহ’র করা সেই ওভারে নাটকীয় কিছুর অপেক্ষায় থাকা খুলনা আরেকটি ছক্কা দেখলো; আর সেই ছক্কায় ম্যাচে রংপুরের ৬ উইকেটের জয়।

খুলনার ব্যাটিংয়ে বীরত্ব যা দেখানোর তা দেখালেন দলের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ব্রেন্ডন টেইলর, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ এবং শেষের দিকে ডেভিড ভিসার ব্যাটে ১৮১ রানের বড় সঞ্চয় তুলে খুলনা। কিন্তু হেলস, গেইল ও ভিলির্য়াস একসঙ্গে যে ম্যাচে জ্বলে উঠেন, সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষের সব বড় রানই যে তখন মামুলি হয়ে যায়! টুর্নামেন্টে দু’বারের মোকাবেলায় দু’বারই খুলনাকে হারালো রংপুর।

রংপুরের ব্যাটিং মাস্তানির এই ম্যাচে ফরহাদ রেজার বোলিংয়ের কৃতিত্বের কথা বলাই হলো না! ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ফরহাদ রেজা এই ম্যাচে বল হাতে দলের সেরা পারফর্মার। ম্যাচ সেরাও তিনি।

৮ ম্যাচে ১ জয় ও ৭ হারে খুলনা টাইটানসের জন্য এবারের বিপিএল প্রায় শেষই হয়ে গেলো। আর ৮ ম্যাচে সমান চার জয় ও হারে রংপুরের সুপার ফোরের স্বপ্ন আরো রঙিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: খুলনা টাইটানস: ১৮১/৬ (২০ ওভারে, টেইলর ৩২, শান্ত ৪৮, মাহমুদউল্লাহ ২৯, ভিসা ৩৫, ফরহাদ রেজা ৪/৩২, মাশরাফি ১/১৭)। রংপুর রাইডার্স: ১৮৩/৪ (১৯.৩ ওভারে, গেইল ৫৫, হেলস ৫৫, ভিলিয়ার্স ৪১, মিঠুন ১৫, রুশো ১০*, ইয়াসির শাহ ২/৪৭)। ফল: রংপুর রাইডার্স ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: ফরহাদ রেজা।

   

টানা চতুর্থবার ইংল্যান্ডের রাজা ম্যানসিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। মৌসুমের রোমাঞ্চকর শেষদিনে ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে পেপ গার্দিওলার দল। অন্যদিকে এভারটনকে হারিয়েও শেষ পর্যন্ত দুই পয়েন্টের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে আর্সেনালকে।

টানা দ্বিতীয় মৌসুম ম্যানসিটিকে লিগ শিরোপার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েও সাফল্য পায়নি আর্সেনাল। শিরোপা জিততে হলে অবশ্যই মৌসুমের শেষ দিনে এভারটনকে হারাতে হত তাদের। সে কাজটা ঠিকঠাক করেছেও তারা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর এভারটনকে ২-১ ব্যবধানে হারের স্বাদ দিয়েছে মিকেল আরতেতার দল। কিন্তু এরপরও রাজ্যের আক্ষেপ সঙ্গী গানারদের, কারণ গার্দিওলার সিটি মেশিন যে পা হড়কায়নি!

ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে আর্সেনালের স্বপ্নে চিড় ধরাতে মোটে দুই মিনিট খরচ করে ম্যানসিটি। একদিন আগেই প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমসেরা ফুটবলারের খেতাব জেতা ফিল ফোডেন দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে ওয়েস্ট হ্যামের জালে বল জড়ান।

১৮ মিনিটে আবার ফোডেন-ম্যাজিক! জেরেমি ডকুর পাস ধরে নিখুঁত প্রথম প্রচেষ্টায় লক্ষ্যভেদ করেন। ২-০।

যদিও বিরতির আগে এক গোল হজম করে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে ম্যানসিটি। দারুণ এক ওভারহেড কিকে সিটিজেনদের হতভম্ব করে ব্যবধান কমান ওয়েস্ট হ্যামের মোহাম্মদ কুদুস।

বিরতির পর ৫৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে করা রদ্রির গোলে স্বস্তির দুই গোলের লিড ফিরে পায় গার্দিওলার দল। সে লিড ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে আনন্দ-উৎসবে মাতে সিটিজেনরা।

;

ফেড কাপ ফাইনালের আগে হঠাৎ বাফুফেকে মোহামেডানের চিঠি!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দু’দিন পরই ফেডারেশন কাপ ফাইনাল। শিরোপা ধরে রাখতে বসুন্ধরা কিংসের মোকাবিলা করবে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে ঠিক এই সময়ে এসে রেফারিদের চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) চিঠি দিয়েছে তারা।

জানা গেছে, পাঁচজন রেফারিকে নিয়ে অস্বস্তি আছে মোহামেডানের। ফেড কাপ ফাইনালে ‘সুন্দর খেলার স্বার্থে’ এই পাঁচ রেফারিদের কাউকে দায়িত্ব না দিতে বাফুফেকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। তবে ওই পাঁচ রেফারি কারা, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

অবশ্য মোহামেডানই প্রথম নয়, চলতি শীর্ষ ক্লাবগুলোকে রেফারিদের নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ফেডারেশনে হরহামেশাই চিঠি দিতে দেখা গেছে। বসুন্ধরা কিংস এবং আবাহনীও মৌসুমের শুরুর দিকে এমন চিঠি দিয়েছে। এবার মোহামেডানও হাঁটল তাদেরই দেখানো পথে।

মোহামেডানের এই চিঠির পর বেশ বিপদেই পড়েছে বাফুফে। কারণ দুই ক্লাবের আপত্তি মুখে এখন সবমিলিয়ে ১০ রেফারি। তাই ফেডারেশন কাপের ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্ব এখন কাকে দেয়া হয়, সেটা এখন দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাচনের কারণে ফেডারেশন কাপের ফাইনালের দিনক্ষণে পরিবর্তন এসেছে। ২১ মে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের কারণে এখন ম্যাচটি হবে ২২ মে।

;

আন্তর্জাতিক কাবাডি কাপ সম্মেলনে আসবেন মাশরাফি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জাতীয় খেলার হাডুডু, যাকে বিশ্বব্যাপী ক্রীড়াপ্রেমিক এবং দর্শকরা চিনেন কাবাডি নামে। ভারতসহ আরও কিছু দেশের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই খেলাটির প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে এই খেলাটির কোনো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো না।

তবে ২০২১ সাল থেকে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। এবার দেশের মাটিতে এই টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরের পর্দা উঠবে।

কাবাডি খেলাটির এবং এই টুর্নামেন্টটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল (সোমবার) একটি সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। ফেডারেশনের মিডিয়া বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি ছাড়াও আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়ক এসএম নেওয়াজ সোহাগ।

২৬ মে থেকে ৩ জুন মিরপুর শহীদ সোহওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির আসর। যেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের মোট ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। গত তিন আসরেরই চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ। এবারও ঘরের মাটিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে প্রস্তুত তারা।

;

‘ধোনি নিশ্চিতভাবে আবারও গর্জে উঠবেন’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের আইপিএল আসর শেষ করেই অবসরে যাবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এমনটাই জানত সবাই। কারণ তিনি নিজেই জানিয়ে রেখেছিলেন এ কথা। তবে গেলবার শিরোপা জিতে নেওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনেন তিনি। চলতি আইপিএলেও প্রতি ম্যাচেই মাঠে নেমে নিজের জাত চিনিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

শনিবার চলতি আইপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ম্যাচ নিজেদের নামে করে প্লে-অফেও জায়গা করে নিয়েছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু। অপরদিকে খুব সম্ভবত নিজের শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি খেলে ফেলে নিরবে বিদায় নিয়ে ফেললেন ধোনি।

তবে ধোনি আরও বেশ কয়েকদিন মাঠের খেলা চালিয়ে যাবেন, এমনটাই আশা করেন তার ভক্তরা। এমনকি চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসিও বলেছেন, তিনি আরও কয়েক মৌসুম ধোনিকে খেলার মাঠে দেখতে পাচ্ছেন। এবার একই সুরে বললেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা।

গতরাতে ধোনির হারটা মেনে নিতে পারেননি উথাপ্পাও। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি না আমরা ধোনির শেষ ম্যাচ দেখেছি। তিনি এমন কেউ নন যে এই বিষয়গুলোকে হালকাভাবে নেন। তিনি নিশ্চিতভাবে আবারও ব্যাট হাতে গর্জে উঠবেন।‘

ধোনি আরেকটু আগে উইকেটে নামলে হয়ত চেন্নাই নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারত ম্যাচটি। চেন্নাইয়ের হারের এই দিনে ধোনিকে কেন আরেকটু আগে ব্যাটিংয়ে নামানো হলো না এ বিষয়ে উথাপ্পা বলেন, আমরা তাকে কেবল শেষ ৪ বা ৫ ওভারে ব্যাট করতে দেখেছি। এরও একটি কারণ রয়েছে। তার হাঁটুতে চোট ছিল একটু বেশি গুরুতর ছিল। এই কারণে, তাকে নিজেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে যা তিনি প্রায়শই করে এসেছেন। চোট থাকার পরও তিনি চেন্নাইয়ের দলে অবদান রাখতে চেষ্টা করেছেন।‘

;