দিল্লির দরবারে বিএনপি



খুররম জামান ও মুজাহিদুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশ ভারত যে একটা ফ্যাক্টর তা বলার অপেক্ষা রাখে না্। সাম্প্রতিক সময়েই নয়, বরং বিগত দিনেও সংগ্রাম সংকটে তার বহু প্রমাণ মিলেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বলতে গেলে ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের নানা কথা বাতাসে ছড়ালেও তা অনেকটা অস্পষ্ট ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ভারতমুখী হওয়ায় সেই প্রশ্নকে জিইয়ে দিচ্ছে বহুগুণে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, ভৌগলিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে প্রতিবেশী রাষ্টগুলো একে অপরের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং রাজনৈতিক ও নির্বাচনে কিছুটা প্রভাব পড়তেই পারে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে দেশের বাইরে থেকে কোনো শক্তি সরাসরি হস্তক্ষেপ করে তা নিতান্তই ভূল ধারণা। বাইরের দেশের কাছে ধরনা ধরা একদিকে যেমন ঐ দলের দুর্বলতা প্রকাশ পায়।  অন্যদিকে দেশের ভাবমূর্তিও সাংঘাতিকভাব ক্ষুন্ন হয়।

২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেই নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের পিছনে প্রতিবেশি দেশ ভারতের আকুণ্ঠ সমর্থন ছিল এমন অভিযোগ বরাবরই করে আসছে দলটি। তখন থেকেই ভারতের কড়া সমালোচনায় নামে বিএনপি‘র সিনিয়র নেতারা। সম্প্রতি সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে তারা। এখন মনে করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতেই বড় ফ্যাক্টর।

সরকারি দলের নেতাদের ভারত সফর নিয়ে এতোদিন বিএনপির যেসব নেতার সমালোচনা করে আসছিলেন। ভারতে ব্যাপারে নিজেদের তুলসি পাতার ন্যায় ভাবলেও সময়ের পরিক্রমায় তারাই চুপিসারে ভারত সফর গিয়ে নানা তদবির করছে, যার খবর দেশি বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিতও হচ্ছে।

এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ১৪ এপ্রিল ২০১৭ বিএনপির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই- আমরা সকলকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। কিন্তু কেউ যদি আমাদের বন্ধু হয়ে প্রভু হতে চায়, সেটা আমরা কখনো মেনে নেব না।  কারো প্রভুত্ব বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করবে না।’

এরপর চলতি বছরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি পুনরায় বলেন, ‘দেশের জনগণ ভিন্ন তাদের(বিএনপি) কোনো বন্ধু নেই। বিদেশি কোনো শক্তির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসতে চাই না।’ এটা তো দলীয় প্রধানের কথা গেলো।  আর দলের সিনিয়র নেতারা প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আলোচিত সমালোচিত হয়েছেন। 

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দিল্লিতে অবস্থান করছেন। সেখানে তারা অবজারভার রিচার্স ফাউন্ডেশন(ওআরএফ), বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন(ভিআইএফ) এবং রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন(আরজিএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন।

এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। দলের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে তিনি ভারতের প্রতি বার্তা পাঠিয়েছেন যে 'এখন দেশের তরুণ সমাজ ও বাংলাদেশ কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি। এছাড়া বিএনপি'র ক্ষমতাকালীন সময়ে ভারত ও বিএনপি মধ্যকার যে তিক্ত সম্পর্কের কথা প্রচলিত আছে সে গুলোকে ভুল ধারণা এবং বোকামি।  এমনটা ভাবার কারণ নেই ভারতের।’

তারেকের এই বার্তা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য কতটা সুখকর তা জানতে বার্তা২৪.কম-এর কথা হয় বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী(বীর প্রতীক) ও সাবেক রাষ্টদূত ওয়ালিউর রহমানের সঙ্গে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী (বীর প্রতীক) বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ ধরনের সফর করে থাকে। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। আমি মনে করি, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।  সুষ্ঠু নির্বাচন তো বাংলাদেশ নিজেই করবে। তবে ভারত বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কিভাবে সাহায্য করবে সেটা আমার কাছে পরিস্কার নয়। সফররত বিএনপি নেতাদের মূল বক্তব্যের ধারাটি কি ছিল, তা জানি না। তবে মনে করছি, তারা(বিএনপি) চাচ্ছে ভারত বাংলাদেশে একটু চাপ সৃষ্টি করুক, যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।  এটাই তাদের মূখ্য বিষয় ছিলো কিনা সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।

বিএনপি নেতাদের ভারত সফরকে দূর্বলতার বহিঃপ্রকাশ এমন শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যদি বিএনপির নেতৃবৃন্দ এমন আশা করে ভারত গিয়ে থাকে সেটা দূর্বলতার বহিঃপ্রকাশ কিনা জানি না।  আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারছি না, বাইরে থেকে একটি চাপ সৃষ্টি হোক সে ব্যাখ্যাও এখানে দেয়া যায়। তাদের সফর ভারতীয় গণমাধ্যমে খুব বড় করে প্রকাশ হয়েছে।তারা বিভিন্ন থিংক ট্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিন্তু মোদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা আমি জানি না। তবে জানতে পেরেছি তারা নির্বাচন নিয়েই কথা বলছে। প্রতিনিধি দলের একজনের বক্তব্যে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এটি ভারতের জন্যও জয় স্বরুপ।’ আমার কথা হলো, নির্বাচনে জয় পরাজয় তো বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগনের জন্য। কিন্তু এটা ভারতের জন্য ‘জয়’ হবে, এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।   

সাবেক রাষ্টদূত ওয়ালিউর রহমান বার্তা২৪ কে বলেন, যে কোন রাজনৈতিক দল অন্য দেশে যেতে পারে এবং তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। কিন্তু তা অবশ্যই তা দেশের বদনাম করে নয়। বিএনপি ভারতের থিংক ট্যাংক ও সরকারের বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলে দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে জানিয়ে কান্নাকাটি করছে। তা নৈতিকভাবে অবশ্যই অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে কি না সে বিষয়ে ভারতে গিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়। আমরা ৪৭ বছর দেখলাম যে দলটি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছিল, এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছিল।রাজাকারদের প্রধানমন্ত্রী করেছিল। তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল তাদের আমরা বিচার করেছি। এই বিচারকে বিশ্ব স্বাগত জানিয়েছে। এই পরিপেক্ষিতে বিষয়টা বিচার করতে হবে।

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;