অর্ধযুগেও হয়নি জাবি ছাত্রদলের কমিটি



মাহমুদুল হাসান (জাবি প্রতিনিধি) বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়াদোত্তীর্ণের অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতায় গঠিত হচ্ছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটি। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী সোহেল রানাকে সভাপতি ও আব্দুর রহিম সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।

এরপর কমিটি বিলুপ্তির একমাসের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষনার কথা উল্লেখ করে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর সোহেল-সৈকতের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়।

পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আর কোনো কমিটি গঠিত না হলেও এই সময়সীমার মধ্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি কমিটি গঠিত হয়েছে।

এরপরও অজানা কারণে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের গড়িমসি বিলম্বিত করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য তিনবার কর্মী সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ। সর্বশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় করেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল। এ সময় তিনি খুব শীঘ্রই নতুন কমিটি করবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন। তবে তার সে আশ্বাসও আলোর মুখ দেখেনি।

তবে দীর্ঘদিন কমিটি না থাকলেও কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের অনুসারীদের।

হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীতে ঢাকার সুপার ইউনিট খ্যাত সকল ইউনিটের ন্যায় কর্মসূচী পালন করেতে রাজপথে অবস্থান করতে দেখা যায় পারভেজ মল্লিকের অনুসারী ক্যাম্পাসের বর্তমান নেতা-কর্মীদের।

জাতীয় নির্বাচনকালীন চলতে থাকা অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ ৮টি গেইট একই সময়ে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবরুদ্ধ করে রাখে তার অনুসারীরা। পরবর্তীতে যেটি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মীদের অনুকরণ করতে দেখা যায়। কর্মসূচিটি দেশে প্রায় শতাধিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিল।

কমিটি গঠনে বিলম্ব : উদাসীনতা না জটিলতা?

কারণ অনুসন্ধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে নানা প্রতিবন্ধকতার বিষয় উঠে আসে। নেতা-কর্মীদের অনেকে মনে করেন আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্ব প্রদানের আগ্রহীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান করতে পারে না এবং তারা দীর্ঘদিন পূর্বেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রম শেষ করেছে।

আবার অনেকেই মনে করেন শিক্ষকেরা অধিকতর জুনিয়র ছাত্রদের কমিটিতে আনতে আগ্রহী বলে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে থাকতে পারেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে সোহেল রানাকে সভাপতি ও আব্দুর রহিম সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ১৯ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষিত হয়।

এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সেই কমিটির সভাপতি সোহেল রানাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫টি কলেজ ও ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নাম উল্লেখ থাকায় সেই সময়কার সোহেল-সৈকতের নেতৃত্বাধীন কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ সে বছরের ১৫ ই নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একাধিকবার কমিটির পুনর্বিন্যাস হলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো সদিচ্ছা লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণের দীর্ঘ ৬ বছরের বেশী সময় পার হলেও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি না হওয়াকে কারো কারো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

তৎকালীন শ্রাবণ-জুয়েলের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটির দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। সকল বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দের পরামর্শে তিনি একটি প্রস্তাবিত কমিটি তালিকা দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে জমা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে অদৃশ্য কারনে সেই কমিটিও আলোর মুখ দেখেনি। কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকার অনেক তথ্য, যে তথ্যগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ অনেকের কাছেই ছিলো অজানা।

নেতাকর্মীদের দৃষ্টিতে কমিটি ঘোষণায় দীর্ঘসূত্রিতার কারন

বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের স্ত্রী শামীমা পারভীন শিল্পী বর্তমান পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী ছিলেন।

পুলিশের চাকুরিতে কর্মরত থেকেও তিনি তার সাবেক অনুসারীদের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আগামী নেতৃত্ব গঠন করার জন্য তার স্বামী বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদককে ব্যবহার করছেন। অনেকে এটিকেও কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন।

আবার অনেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিকের অনুসারীদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার জন্যেও এই দীর্ঘসূত্রিতা হতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

নেতা-কর্মীদের অনেকের মতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির রকিবুল ইসলাম বকুলের নির্দেশে বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা জাবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের বিরোধীতা করতে অনেককেই অনুপ্রাণিত করে থাকেন।

যত দ্রুত সম্ভব নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন এখন সময়ের দাবী উল্লেখ পূর্বক নেতা-কর্মীরা আরও জানান, ছাত্র রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অছাত্র, পোষ্য, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী ও ঢাকার অধিবাসী ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের কমিটিতে স্থান দিতে একটি মহলকে সক্রিয় হতে দেখা যায় এবং তাদের পক্ষে বিভিন্ন সময় কথা বলতে শোনা যায় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদককে।

ব্যক্তিগত রাজনৈতিক বিরোধ চরিতার্থ করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মুখথুবড়ে পড়ে আছে, যেটি কোনো মহলের জন্যই স্বস্তিকর নয়।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্টজনদের ভাবনা

কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বার্তা২৪.কমকে বলেন, জাবি ছাত্রদলের কমিটি না থাকার পরও কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল অবরোধসহ সকল কর্মসূচী যেভাবে পালন করেছে তা অন্য যেকোনো ইউনিটের জন্য অনুকরণীয়। জাবির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যোগ্য, ত্যাগী, সক্রিয় এবং ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রত্বের বিষয়টি সংগতি রেখে কমিটি হলে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই কমিটি ভারসাম্যপূর্ন হবে। এ ছাড়া যারা বাদ পড়বে তাদের সাথে বৈষম্য না করে তাদেরকে যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, কমিটি গঠনে জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক নেতাদের ও জাবির সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক ভাইসহ যেসকল নেতৃবৃন্দ কর্মীদের সার্বিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে ছাত্রদলকে সক্রিয় রেখেছেন তাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাবি অফিসার্স সমিতির বর্তমান সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নিয়মিত কমিটি দেওয়া হলে ছাত্র রাজনীতি বিকশিত হয়। নতুন নতুন নেতা তৈরি হয়। কমিটি না দেওয়াতে রাজনীতিতে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হয়, নেতৃত্বে গতিশীলতা আসে না। ঠিক সময়ে কমিটি দিলে এতদিনে দুই-তিনটা কমিটি হয়ে যেত, নতুন নতুন নেতৃত্ব উঠে আসতো, রাজনীতিতে গতিশীলতা আসতো। আমি মনে করি দ্রুতই কমিটি দেয়া উচিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি নাই, এটা দ্রুত হওয়া উচিৎ। কারণ, একটা সংগঠনের কমিটি না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই সংগঠনটা দূর্বল হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় যাবৎ কমিটি না থাকলে নেতা-কর্মীদের মাঝে একটা হতাশা চলে আসে। যদি কমিটি থাকতো তাহলে ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিটটা আরও শক্তিশালী হতো। অন্যান্য সংগঠন যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে তাহলে ছাত্রদলও নিশ্চয়ই পারবে, কেননা এ সংগঠন তো নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেট মেম্বার হিসেবে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সহাবস্থানের ব্যাপারে প্রায়ই আমরা সিনেট অধিবেশনে কথা বলি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ অন্যান্য যারাই এখানকার স্টুডেন্ট তাদের স্বার্থে কোন ব্যাঘাত ঘটলে অবশ্যই কথা বলবো। বিষয়গুলো নিয়ে সিনেটে আমাদের কথা বলার একটা সুযোগ থাকে, আমরা যারা জাতীয়তাবাদী প্যানেলের আছি প্রত্যেকেই প্রতিবারই এ নিয়ে কথা বলি। যেহেতু কথা বলার সুযোগ আছে, সিনেটের পরবর্তী অধিবেশনে আমরা এটা নিয়েই কথা বলবো।’

নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কমিটির রদবদল কাম্য মন্তব্য করে কমিটি গঠনের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল আহসান বার্তা ২৪.কমকে জানান, ‘যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় সেহেতু ছাত্রত্ব থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়মিত কমিটি গঠিত হলে সেটি অধিক কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে ছাত্রনেতারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যারা রাজনীতি করেন তারা প্রত্যাশা করেন কমিটি পাওয়ার। তবে ছাত্রদলের কমিটি প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতার দায়ভার কিন্তু শিক্ষার্থীদের না। আমি মনে করি যারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, সংগঠনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতি যারা করছেন তাদেরকে ও বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাবা উচিৎ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এতোদিন কমিটি না দেয়ার দায় আমাদের উপর-ও বর্তায় মন্তব্য করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘এটা সত্য বেশ কয়েক বছর যাবত আমাদের অন্যতম সুপার ইউনিট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমরা কমিটি ঘোষনা করতে পারিনি। তবে আমরা খুব দ্রুতই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করতে পারবো বলে আশাবাদী। এ নিয়ে আমরা কাজ-ও শুরু করেছি। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আমাদেরকে এ ব্যাপারে দ্রুত কাজ করার ব্যাপারে তাগাদা দিয়েছেন।’

কমিটিতে কারা থাকছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘সিনিয়র-জুনিয়র যেই আসুক শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, সংগঠনের স্বার্থে যারা কাজ করবেন তাদের নিয়েই কমিটি গঠন করা হবে। এক্ষেত্রে আমরা সকলের মতামতের প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য পথ বিবেচনায় নিবো।’

খুব দ্রুতই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনার হবে মন্তব্য করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দেশের অগনতান্ত্রিক পরিবেশসহ রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এতোদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি দিতে পারিনি। এখন জেলা কমিটিগুলো দেওয়ার কাজ চলছে। দুই-তিনটে জেলা কমিটি হয়ে যাওয়ার পরই আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকল সংকট উপেক্ষা করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তাদেরসহ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্রলীগের হামল-মামলা উপেক্ষা করে যারা রাজপথে থেকে এতোদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করে গেছেন, তাদের নিয়ে শীঘ্রই কমিটি দিতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।’

এদিকে কমিটি গঠনে বিলম্ব, দীর্ঘসূত্রিতা ও সার্বিক বিষয়ে জানতে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দুইবারের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;