বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই ‘ট্রেন-বাস-লঞ্চে’ আ.লীগের নির্বাচনী প্রচারণা!



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

  • Font increase
  • Font Decrease

শোষণ নি‌র্যাতন থেকে দেশকে মুক্ত করতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রেন-বাস-লঞ্চে করে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন। তার সেই স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে আওয়ামী লীগ টানা দুইবার সরকারের ক্ষমতায় থেকে দেশের যে উন্নয়ন কর্ম করছেন সেইসব উন্নয়ন জনগণের নজরে আনতেই এবার বঙ্গবন্ধুর পথেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন দলটি।

নি‌র্যাতিত বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে সত্তরের আগে নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু যেমন উত্তরবঙ্গে গেছেন ট্রেনে; তেমনি লঞ্চে গিয়েছিলেন দক্ষিণাঞ্চল। পাকিস্তান শাসকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে ঘুরে বেরিয়েছেন ট্রেনে-লঞ্চে।

এর আগেও ১৯৫৪ সালে তেমনি গেছেন প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে। কখন নৌকায় আবার কখনওবা ট্রেনে। তিনি বুঝাতেও সক্ষম হয়েছিলেন অপমর জনতাকে পাকিসস্তানের শোষণের কথা। স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মুক্তও করছেন শোষণ আর বঞ্ছনার হাত থেকে।

বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন; তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও ১৯৯৬ নির্বাচনের আগে ও ২০০০ সালের পরে ট্রেনে দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন ট্রেনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598688457.jpg

আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মসূচি জনতার কাছে পৌঁছাতে উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে এবার সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় রওনা হয়েছে দলটি।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গে ট্রেনযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। যাত্রা পথে স্টেশনে স্টেশনে নির্বাচনী পথসভাও করে দলের নেতারা।

ট্রেন বাস আর লঞ্চে নির্বাচনীর প্রচারণার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের রাজনীতির দিকনির্দেশক ও আদর্শ বঙ্গবন্ধু; আমরা তাঁর রাজনৈতিক দিক নির্দেশনাকেই অনুসরণ করি।

‘সেই সময় জনগণকে সম্পৃক্ত; এভাবে (ট্রেন-লঞ্চ ) বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন। শেখ হাসিনা ২০০১ সালে নির্বাচনে প্রচারণায় ট্রেনে সিলেট এবং খুলনা থেকে সৈয়দপুর গিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598713119.jpg

এসময় সৈয়দপুরের উদ্দেশ্য যাত্রাপথে নাটোরে গুলি করেছিল বিএনপি সন্ত্রাসীরা বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার; সেই উন্নয়ন জাগরণের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততায় জন্য নির্বাচনের প্রচারণা চলছে।

ট্রেন বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি ডিজিটাল গণমাধ্যমেও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানের গণমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা বেশি হবে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্যই এ কর্মসূচি।’

বঙ্গবন্ধু ট্রেন-লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন বলেও জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্‌্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু দেশের অাপামর জনতার কাছে বাঙালির মুক্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। সেসময়ে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ছিল বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। সেগুলোতে করে বঙ্গবন্ধু যেমন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন, তেমনি বাঙালির মুক্তির দাবিগুলো তিনি তুলে ধরেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি নৌকায় করেও নির্বাচনী প্রচারণার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598730172.jpg

এই নির্বাচনী প্রচারণা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই করছে আওয়ামী লীগ-বলে জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন অর রশিদ।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ। তারা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তি আর উন্নত জাতি প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারেননি। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার, আদর্শেরও উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর যে আর্দশ ও তার দেখানো সে পথে তিনি চলছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর্দশ বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যা কিছু করছে। নির্বাচন হোক; নির্বাচনী প্রচারের কৌশল হোক; যে কর্মসূচি বা পরিকল্পনা হাতে নেয়; বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও তার নির্দেশিত পথ অবলম্বন করে আসছে এবং তার সেই রাজনৈতিক শিক্ষা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ চলে।

‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে আওয়ামী লীগ অগ্রসর হচ্ছে। নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রচার যদি বলি; তাও বলা যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর পথেই আওয়ামী লীগ হাঁটছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট ও সত্তরে নির্বাচনে ট্রেন,বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের জনগণের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণার স্মৃতিচারণও করেন এই শিক্ষক। সেসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন বলেও জানান ।

অধ্যাপক হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণায় যান; তখন আমি নিজেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজাপুরে হ্যান্ডসেইক করেছিলাম এবং তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) রিসিভও করেছিলাম।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা একটি গণসংযোগ। গণপরিবহন, বাস, লঞ্চ ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুত সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব ছিল সে সময়ে। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। কাজেই সেই সময়ে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এগুলো ব্যবহার করেছিলেন।’  

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;